তিন উপ-নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

জাতীয় সংসদের তিনটি আসন শূন্য হওয়ায় উপ-নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিতে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে নির্বাচন ভবনে বিকাল ৩টায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।

বিজ্ঞাপন

কমিশন সভার কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, বৈঠকে গাইবান্ধা-৩, ঢাকা-১০ ও বাগেরহাট-৪ আসনের উপ-নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে। গাইবান্ধা-৩ আসনটি গত ২৭ ডিসেম্বর, ঢাকা-১০ আসনটি ২৯ ডিসেম্বর এবং ১০ জানুয়ারি বাগেরহাট-৪ আসন শূন্য হয়।

সংবিধান অনুযায়ী, আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে অনুযায়ী, গাইবান্ধা-৩ আসনে আগামী ২৫ মার্চ, ঢাকা-১০ আসনে ২৭ মার্চ ও বাগেরহাট-৪ আসনে ৮ এপ্রিলের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব মো. ফরহাদ আহাম্মদ খান বলেন, উপ-নির্বাচনের ভোটের তারিখ নির্ধারণ হতে পারে বৈঠকে। এক্ষেত্রে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহের দিকে ভোট হতে পারে।

এই তিন উপ-নির্বাচনও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে সম্পন্ন করার কথা ভাবছে কমিশন। সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভোট হতে পারে মার্চের প্রথমার্ধে।

ইসি সচিবালয় প্রস্তাবনায় বলেছে, ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, ২৩ মার্চ শব-ই-মিরাজ, ৯ মার্চ দোলযাত্রা আর ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। তাই ছুটির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে একটি তারিখ নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা যেতে পারে।

এছাড়াও বৈঠকে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হবে।

সভার আলোচ্য সূচিতে রয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আইন, ২০২০ এর খসড়া বিল অনুমোদন, ভোটের তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি, ২০১৯ এর খসড়া প্রকাশের তারিখ নির্ধারণ, সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ নিয়োগ, খসড়ার ওপর দাবি অথবা আপত্তি গ্রহণ, নিষ্পত্তি, সন্নিবেশকরণ এবং চূড়ান্ত প্রকাশনার তারিখ নির্ধারণ; এবং বিবিধ।