দুই সিটির ভোটে ২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ চায় পুলিশ
আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরিচালনায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বরাদ্দ প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। এর থেকে ২৫ কোটি টাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য বরাদ্দের পরিকল্পনা রয়েছে ইসির। তবে এরই মধ্যে পুলিশ বাহিনী কমিশনের কাছে ২৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়েছে।
জানা গেছে, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য অগ্রিম উত্তোলনের মঞ্জুরীসহ অর্থ বরাদ্দ চেয়ে চাহিদা জানিয়েছে পুলিশ। চাহিদা অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৩ কোটি ৮৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকা এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১২ কোটি ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকা পুলিশের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। সব মিলে ২৬ কোটি ৪২ লাখ ৬৩ হাজার টাকা বরাদ্দ চায় পুলিশ।
এর মধ্যে উত্তর সিটিতে পুলিশের ১৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা চাহিদার মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) জন্য ১০ কোটি ৪৬ লাখ ৮২ হাজার টাকা, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের জন্য ৮১ লাখ ০৩ হাজার টাকা, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) জন্য ৫৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) জন্য ২ কোটি ২ লাখ ৮৯ হাজার টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
আর দক্ষিণে ১২ কোটি ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকার মধ্যে ডিএমপির জন্য ৯ কোটি ৬১ লাখ ১৬ হাজার টাকা, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের জন্য ৭০ লাখ ৭০ হাজার টাকা, এসবির জন্য ৪৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ও র্যাবের জন্য ১ কোটি ৭৭ লাখ ৩ হাজার টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, দুই সিটি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এরই মধ্যে পুলিশ ২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসবে কমিশন। বৈঠকে বাজেটের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। সেখানে অন্যান্য বাহিনীও তাদের চাহিদার কথা জানাবে। বৈঠকে আলোচনার ভিত্তিতে বিষয়টি নির্ধারণ করা হবে।
এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি ভোটের জন্য বাণিজ্য মেলা বন্ধের সুপারিশ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে ডিএমপি কমিশনারের পক্ষে চিঠি দেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) কৃষ্ণ পদ রায়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ভোটের দিন প্রায় ২৫ হাজার পুলিশ সদস্য, ১ হাজার এপিবিএন সদস্য ও ৩৫ হাজার আনসার সদস্য মোতায়েন করা প্রয়োজন হবে। নির্বাচনে দায়িত্বপালন যথাযথভাবে সম্পন্ন করে বাণিজ্য মেলার জন্য আলাদা ফোর্স মোতায়েন করা সম্ভব হবে না। এসব বিষয় বিবেচনা করে আগামী ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি বাণিজ্য মেলা বন্ধ রাখার সুপারিশ করা হয় চিঠিতে।
প্রসঙ্গত, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।