১৬ অঙ্গীকারে জাপার মিলনের ইশতেহার

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিলনের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা, ছবি: বার্তা২৪.কম

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিলনের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা, ছবি: বার্তা২৪.কম

১৬টি অঙ্গীকার নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের জাতীয় পার্টির মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাজী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আহম্মেদ মিলন।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে কাকরাইল জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে "যানজটমুক্ত তিলোত্তমা স্বপ্নের ঢাকা গড়তে চাই" স্লোগান নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

ইশতেহার প্রকাশ করে মিলন বলেন, ঢাকা সিটিকে যানজটমুক্ত রাখতে রাস্তাকে প্রশস্ত এবং ওভারপাস-আন্ডারপাস করার কোনো বিকল্প নেই। এজন্য দীর্ঘ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার এবার একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করবেন বলে মনে করছি। তবে সরকার না চাইলে তা হবে না। কিন্তু যদি ভোটে দুর্নীতি হয়, সেটি ইভিএম পদ্ধতিতে করলেও হবে অন্য পদ্ধতিতে করলেও তাই হবে।

বিজ্ঞাপন

জয়ের জন্য আশাবাদ ব্যক্ত করে মিলন বলেন, জয়ের জন্য মাঠে নেমেছি আমাদের সামনে এখন জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। আমি যেহেতু ঢাকার সন্তান এই শহরের মানুষ আমাকে গত ৩৭ বছর ধরে মানব সেবা করতে দেখেছে। তাই আমি মনে করছি জনগণ আমাকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে জয়ী করবে।

প্রচারণা চালাতে গিয়ে কোনো বাধার সম্মুখীন হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে তেমন কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি। তবে বিচ্ছিন্ন কিছু সমস্যায় পড়েছি। একদিন কামরাঙ্গীরচরে প্রচারণা চালাতে গিয়ে পুলিশ মাঝপথে ফিরিয়ে দিয়েছেন। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার জন্য তারা সামনে এগুতে দেয়নি। এছাড়া পল্টন কামরাঙ্গীরচরসহ কয়েকটি জায়গায় পোস্টার লাগাতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তবে এসব অতি উৎসাহী কর্মীদের জন্য এমন হয়।

গণমাধ্যমের প্রতি অভিযোগ জানিয়ে তিনি বলেন, কিছু কিছু প্রিন্ট মিডিয়া আর দুই একটি টিভি চ্যানেল বাদে অন্যান্যরা শুধু বিএনপি-আওয়ামী লীগ প্রার্থীদেরকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আমাদের কভারেজ সেভাবে করা হয়নি।

মিলনের ১৬টি অঙ্গীকারগুলো হলো: রাজধানী ঢাকাকে যানজট মুক্ত রাখা; ঢাকাবাসীর জন্য নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা; পরিচ্ছন্ন ঢাকা উপহার দেওয়াই হবে অন্যতম প্রধান লক্ষ্য; মশা ও মাছি থেকে ঢাকাকে মুক্ত রাখা; আইল্যান্ডস সমূহে বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে সবুজ ঢাকা গড়ে তোলা; ঢাকাকে করা হবে সন্ত্রাস মাদক ও চাঁদাবাজ মুক্ত এলাকা হিসেবে; জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা ও উন্নয়ন কাজের জন্য রাস্তা করার প্রয়োজন হলে সকল বিভাগের সমস্ত কর্ম পদ্ধতি গ্রহণ করা; ফুটপাত পথচারীদের চলাচলের উপযোগী রাখা; বুড়িগঙ্গা নদী দখলমুক্ত করা এবং নদী দূষণ মুক্ত রাখা; গণপরিবহন ব্যবস্থা উন্নত আরামপ্রদ করা এবং পর্যাপ্ত পরিবহন রাখার ব্যবস্থা করা; সিটি করপোরেশনের আই এর নতুন খাদ্যের আয় বৃদ্ধি করা, রাজধানীবাসীর ট্যাক্স না বাড়ানো; ভাড়াটিয়াদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা; ভবঘুরেদের পুনর্বাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাজধানীকে ভিক্ষুকমুক্ত রাখা; সিটি করপোরেশনের অন্তর্গত সকল এলাকার রাস্তাঘাট চলাচলের উপযোগী করা; রাজধানী ঢাকাকে সকল সময়ের জন্য হরতাল-অবরোধের মতো ধ্বংসাত্মক রাজনীতি থেকে মুক্ত রাখার জন্য জনমত গঠন করে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া; সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা।

এ সময় জাতীয় পার্টির অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।