ঢাকার দুই সিটিতে ভোটের প্রচার শেষ হচ্ছে রাতে

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী, ভোট শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে প্রচার কাজ বন্ধ করতে হবে। সে হিসেবে আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সব ধরনের প্রচার শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ১২টায়।

তাই শেষ মুহূর্তে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সমর্থিত প্রার্থীরা প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে নগরজুড়ে।

বিজ্ঞাপন

গত ১০ জানুয়ারি থেকে প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করেন। এরপর থেকে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা ভোটারদের দোরগোড়ায় ছুটছেন। কনকনে শীত বা বৃষ্টিতেও থেমে নেই প্রার্থীদের প্রচার। দলীয়ভাবে শুধু মেয়র পদে নির্বাচন হলেও প্রধান দুই রাজনৈতিক দল কাউন্সিলর পদেও দলীয় মনোনয়ন দিয়ে রাজনৈতিক মাঠ উত্তপ্ত করে তুলেছে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যুগ্ম সচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২) মো. ফরহাদ আহাম্মদ খান জানান, সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধ করার বিধান আছে। ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন ভোট শুরু হবে ১ ফ্রেবুয়ারি সকাল ৮টায়। সে অনুযায়ী, প্রচারণার সময় শেষ হবে ৩০ জানুয়ারি রাত ১২টায়।

বিজ্ঞাপন

বিধি অনুযায়ী, কোনো নির্বাচনী এলাকার ভোটগ্রহণ শুরুর পূর্ববর্তী ৩২ ঘণ্টা, ভোটগ্রহণের দিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা এবং ভোটের দিন রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেউ কোনো জনসভা আহ্বান, অনুষ্ঠান বা তাতে যোগদান এবং কোনো মিছিল বা শোভাযাত্রা করতে বা তাতে অংশ নিতে পারবেন না। ওই সময়ে কোনো আক্রমণাত্মক কাজ বা বিশৃঙ্খলামূলক আচরণ করতে পারবেন না। ভোটার বা নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত বা দায়িত্বরত কোনো ব্যক্তিকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা যাবে না। কোনো অস্ত্র বা শক্তিও প্রদর্শন বা ব্যবহার করতে পারবেন না কেউ। কেউ এ আইন ভঙ্গ করলে ন্যূনতম ছয় মাস ও অনধিক সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

ফলে প্রচার বন্ধ থাকবে বৃহস্পতিবার রাত থেকে নির্বাচনী ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করা পর্যন্ত। এমনকি জয়ের মিছিল, মশাল মিছিল, মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাও করা যাবে না। আচরণবিধি ভঙ্গকারী নির্বাচিত হলেও প্রার্থিতা বাতিল করার ক্ষমতা রয়েছে ইসির।

দুই সিটি নির্বাচনে ১৩ মেয়র প্রার্থীসহ কাউন্সিলর পদে প্রায় সাড়ে সাতশ’ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৫৪টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৮টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) গঠিত। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) রয়েছে ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড। দুই সিটিতে ৫৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৬৭ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে মোট ভোটার রয়েছেন ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ জন। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ভোটার রয়েছেন ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৪ জন।

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট হবে।