শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় মরিয়া প্রার্থীরা



নাজমুল হাসান সাগর, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
গণসংযোগে ঢাকার দুই সিটির প্রার্থীরা

গণসংযোগে ঢাকার দুই সিটির প্রার্থীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই শেষ হচ্ছে আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা। শেষ মুহূর্তের গণসংযোগে ব্যস্ত আওয়ামী লীগের দক্ষিণের প্রার্থী ফজলে নূর তাপস ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা ইশরাক হোসেন। পিছিয়ে নেই উত্তরের আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম এবং বিএনপির তাবিথ আউয়ালও। এছাড়া অন্যসব মেয়র প্রার্থীসহ কাউন্সিলর প্রার্থীরাও শেষ মুহূর্তের প্রচারে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রার্থীদের যেন দম ফেলার ফুরসত নেই।

নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী ভোটের ৩২ ঘণ্টা আগে প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সে হিসাবে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ১২টায় শেষ হবে সব ধরনের প্রচারণা। নির্বাচনী এলাকায় কোনো ব্যক্তি কোনো জনসভা আহ্বান, অনুষ্ঠান বা তাতে যোগদান করা এবং কোনো মিছিল বা শোভাযাত্রা সংগঠিত বা তাতে যোগদান করতে পারবেন না।

সকালে মিরপুর ভাষানটেক এলাকায় গণসংযোগে আতিক

সময় ঘনিয়ে আসায় নির্বাচনী প্রচারণায় কোন ঘাটতি রাখতে চান না প্রার্থীরা। তাই নিজেদের সবটুকু উজাড় করে গণসংযোগ ও প্রচারণায় নেমেছেন। ভোটারদের সমর্থন আদায়ে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। এতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে নগরজুড়ে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল থেকেই দুই সিটিতে চার হেভিওয়েট প্রার্থী ও তার সমর্থকদের শেষ সময়ের নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে। দক্ষিণ সিটির গোপীবাগে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র পদ প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

ঢাকা রি‌পোর্টার্স ইউনিটিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তাবিথ আউয়াল

দুপুর ১২টা থেকে তার প্রচারণা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই ঢাকা দক্ষিণ সিটির নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা ট্রাক-পিকআপ ও মোটরসাইকেলযোগে মিছিল করে এখানে এসে উপস্থিত হন।

দুপুর সাড়ে ১২টায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। গণসংযোগের আগে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবে এক সংক্ষিপ্ত পথসভায় তাপস বলেন, নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার আজ শেষ দিন। আমরা যে ইশতেহার ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে জনগণের দ্বারে দ্বারে গিয়েছি সেই প্রতিশ্রুতি ও ইশতেহার জনগণ গ্রহণ করেছে। এবারের নির্বাচনে শেষবারের মতো আপনাদের কাছে আসার সুযোগ হচ্ছে, ভোট চাওয়ার সুযোগ হচ্ছে। উন্নত ঢাকা গড়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে আপনাদের কাছে আসার আজকেই শেষ সুযোগ,আমি সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আপনাদের কাছে এসেছি আপনারাও নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে উন্নত ঢাকা বিনির্মাণের সুযোগ নিন। বক্তব্যে তিনি, গোপীবাগ এলাকায় দল-মত নির্বিশেষে সবার কাছে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন।

গণসংযোগে ব্যারিস্টার তাপস

এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র পদপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন সকালে কোন ধরনের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ না করলেও তার কর্মী ও সমর্থকরা ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন।

ইশরাকের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেছেন অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার স্ত্রী ও ইশরাক হোসেনের মা। এসময় গণসংযোগ করেছেন ইশরাক হোসেনের ছোট ভাইও।

তবে সকালে প্রচারণায় না থাকলেও বিকেল তিনটা থেকে শেষ সময়ের প্রচারণায় সরাসরি অংশগ্রহণ করবেন ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। তিনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ করার আগে নির্বাচনী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দলীয় জ্যেষ্ঠ নেতাকর্মী ও মিত্র স্থানীয় কূটনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বলে জানা গেছে।

গণসংযোগে ইশরাক

শেষ সময়ের নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র প্রার্থীরাও।

এদিন সকাল দশটায় রাজধানী ভাষানটেক বাজার এলাকায় ভাষানটেক বস্তির সামনে থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নৌকা মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম।

এসময় তার সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন এক ঝাঁক চলচ্চিত্র ও নাট্যশিল্পী। শেষ দিনের প্রচারণায় এই প্রার্থী বলেন, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে ভাষানটেক বস্তি থেকে আর একটি মানুষকেও উচ্ছেদ করা হবে না। বস্তিতে যারা থাকেন তারাও মানুষ। আমাদের কাজ হচ্ছে মানুষের মৌলিক চাহিদা ও সুবিধাগুলো তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। তাই কথা দিচ্ছি, আপনাদের ভোটে যদি মেয়র নির্বাচিত হতে পারি তাহলে আগে পুনর্বাসনে ব্যবস্থা করব তারপর বস্তি খালি করা হবে।

প্রচারণায় মোহাম্মদপুর এলাকায় আতিক পত্নী

বক্তব্যে তিনি প্রচারণার শুরু দিন দেকে আজকে শেষ দিন পর্যন্ত গণসংযোগ ও প্রচারণায় গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকার কথা তুলে ধরে তাদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।

ভাষানটেক এলাকা থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে রাতের শেষ সময় পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা চালাবেন বলে জানান মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম।

এদিকে, জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে শেষ সময়ের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপরেশনের বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল।

দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালান বিএনপি নেতাকর্মীরা

মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচ‌নের লক্ষে দেশবাসী আগামী ৪৮ ঘণ্টা নির্বাচন ক‌মিশনের দি‌কে তা‌কি‌য়ে থাকব। এখনো নির্বাচনের দিন ঘিরে শঙ্কা রয়েছে। পোলিং এজেন্টরা কেন্দ্রে থাকতে পারবে কিনা তা নিশ্চিত নই। ইভিএমের বিষয়টা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা আছে। নির্বাচনে কোন অভিযোগ, সংঘর্ষ আসলে মোকাবেলায় নির্বাচন কমিশন ইতিবাচক প্রস্তুত কিনা? তবে আমরা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগুচ্ছি। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার উপর নির্ভর করে নিবার্চন কেমন হবে।

প্রেসক্লাবে সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষ করে তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আরো একটি মতবিনিময় সভায় যোগদান করেন। সবার শেষে কারওয়ান বাজার ও ফার্মগেট এলাকায় গণসংযোগে নামবেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল।

আতিকের প্রচারণায় অংশ নেন তারকারা

এদিকে সব প্রার্থী তাদের গণসংযোগ ও প্রচারণায় সুষ্ঠু, সুন্দর আর স্বাভাবিক একটি নির্বাচনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।

শেষ সময়ের প্রচারণা ও ১ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিনকে কেন্দ্র করে নগরজুড়ে চোখে পড়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নগরীর আইন-শৃঙ্খলা ঝুঁকিতে নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত সরস্বতী পূজা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা-রক্ষাকারী বাহিনী পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিয়ন্ত্রণে থাকে। ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। আমি মনে করি নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পুরো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সুন্দর রয়েছে।

উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে নগরজুড়ে

গত ২২ ডিসেম্বর দুই সিটির তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরপর ১০ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ দেবার পরে প্রচারে নেমে পড়েন প্রার্থীরা। ইতোমধ্যে নিজের নির্বাচনী ইশতেহারও ঘোষণা করেছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে নিয়েছেন নানা কৌশল। টিভি, রেডিও, পত্রিকায় প্রচার করা ছাড়াও ইউটিউব ও ফেসবুকে প্রচারণা হচ্ছে জোরে সোরে। নানা প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি বিভিন্নভাবে প্রচার করে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন প্রার্থীরা।

প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীর সমর্থকরাও

দুই সিটি নির্বাচনে ১৩ মেয়র প্রার্থীসহ কাউন্সিলর পদে প্রায় সাড়ে সাতশ’ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৫৪টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৮টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) গঠিত।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) রয়েছে ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড। দুই সিটিতে ৫৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৬৭ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে মোট ভোটার রয়েছেন ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ জন। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ভোটার রয়েছেন ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৪ জন।

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি দুই সিটিতে ভোট। ওইদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। সম্পূর্ণ ভোটগ্রহণ হবে ইভিএমে।

   

নরসিংদীর দুই উপজেলায় প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীতে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল ) দুপুরে জেলা নির্বাচন অফিসের সম্মেলন কক্ষে নরসিংদী সদর ও পলাশ উপজেলার প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বিতরণ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল আলম।

জেলা রিটার্নিং অফিস সূত্রে জানা যায়, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে নরসিংদী সদর ও পলাশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন , ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আগামী ৮ মে উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

;

উপজেলা ভোট: প্রথম ধাপে ভোটের মাঠ ছাড়লেন প্রায় ২০০ প্রার্থী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথমে ধাপে ১৫০ উপজেলায় তিন পদে ভোটের মাঠ থেকে সরে দাড়িয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৯৮ জন। এদিকে সব মিলিয়ে তিনপদে ভোটের মাঠে লড়ছেন ১ হাজার ৬৯৩ জন প্রার্থী।

সোমবার (২২ এপ্রিল) প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এই তথ্য জানান।

প্রথম ধাপের ১৫০ উপজেলায় তিনপদে এক হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন ৬৯৬ জন প্রার্থী। এরমধ্যে ৯৫ জন প্রার্থী প্রত্যাহার করায় এখন ভোটের মাঠে আছেন ৬০১ জন প্রার্থী। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ জন মনোনয় দাখিল করলেও ৭৯ জন প্রত্যাহার করায় এখন রয়েছেন ৬৪৫ জন। সংরক্ষিত নারী পদের জন্য জমা পড়েছিল ৪৭১টি মনোনয়নপত্র। এর মধ্যে ২৪ জন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ফলে এখন রয়েছেন ৪৪৭ জন।

এবারই প্রথম অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার বিধান বাধ্যতামূলক ছিল। এবার চার ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়েছে কমিশন। সে অনুযায়ী আগামী ৮ মে দেশের ১৫০ উপজেলায় জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট হবে।

নির্ধারিত দিনে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ করা হবে। ব্যালট ও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) দুই মাধ্যমেই এবার ভোটগ্রহণ করতে চায় নির্বাচন কমিশন।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল রোববার। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারি রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। আপিল কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসক।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে।
আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এই ধাপে ৪৭ জেলার ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিষ্পত্তি করবেন জেলা প্রশাসক।

আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তফসিল হতে পারে মঙ্গলবার। এদিন কমিশন ডেকেছে ইসি।

;

১৫০ উপজেলার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ মঙ্গলবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৫০ পরিষদে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পরই প্রার্থীরা প্রচার শুরু করতে পারবেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন ইসি।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী আপিল নিষ্পত্তি হয়েছে রোববার। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল সোমবার (২২ এপ্রিল)। মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল। আর প্রতীক নিয়েই প্রচারে নামতে পারবেন প্রার্থীরা। ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা ভোটে দুই হাজার ৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, চেয়ারম্যান পদে ৭৩০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৬৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৬২ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল রোববার। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। আপিল কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসক।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে।

আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এই ধাপে ৪৭ জেলার ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে৷ রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিষ্পত্তি করবেন জেলা প্রশাসক।

আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তফসিল হতে পারে মঙ্গলবার। এদিন কমিশন ডেকেছে ইসি।

;

দলের নির্দেশ উপেক্ষা করে ভোটের লড়াইয়ে এমপির ভাই-ছেলে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম লালমনিরহাট
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন লালমনিরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ ও ছোট ভাই বর্তমান চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ।

মাহবুবুজ্জামান আহমেদ রবিবার (২১ এপ্রিল) অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর আগে রাকিবুজ্জামান আহমেদ শনিবার একইভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সোয়েব সিদ্দিকী জানান, চেয়ারম্যান পদে ওই দুই জন ছাড়াও তৌহিদুল ইসলাম নামের আরেক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সাবেক মন্ত্রীপুত্র রাকিবুজ্জামান জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। আর তার চাচা মাহবুবুজ্জামান আহমেদ পরপর দুইবারের উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাহবুবুজ্জামান আহমেদ স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল হকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে নেমে নৌকার প্রার্থী ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে জনসভায় সমালোচনা করেন।

ওই সময়ে নির্বাচনী সভায় তিনি ভাই নূরুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিষোদাগার করেন; এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়।

মন্ত্রী ও দলীয় এমপির কোনো স্বজন উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে আওয়ামী লীগের তরফ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তারপরও প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগের এমন কোনো নির্দেশনার কথা তিনি জানেন না। নির্বাচন করবেন বলেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আর বড় পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকতেই পারে। এটি নতুন কিছু নয়; এর আগেও ছিল।’

সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর ভাই মাহাবুবুজ্জামান আহম্মেদ বলেন, ‘তার (নুরুজ্জামান) আগে থেকেই আমি ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছি। দুইবার ইউনিয়ন পরিষদ ও দুইবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম। তার সঙ্গে আমার সম্পর্কও নেই। সে কারণে, আমার নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা নেই।’

এদিকে আদিতমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত সদ্যসাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম মনোনয়ন দাখিল করেন।

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুর-ই-আলম সিদ্দিকি আদিতমারী উপজেলায় দুইজন প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

;