ঢাকা সিটি নির্বাচন
ভোটের জন্য প্রস্তুত ২৮ হাজার ৮৭৮ ইভিএম সেট
আগামী শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিতব্য ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি) নির্বাচনের জন্য ২৮ হাজার ৮৭৮টি ইভিএম সেট প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, ‘সেগুলো (ইভিএম) পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এরইমধ্যে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। ইভিএমের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য ভোট হবে বলে আমরা আশাবাদী।’
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা ও ইভিএমসহ সবশেষ প্রস্তুতির বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের শতভাগ প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। একটা অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে আমরা বদ্ধ পরিকর। এরইমধ্যে ২ হাজার ৪৬৮ টি ভোট কেন্দ্রে ১৪ হাজার ৪৩৬টি ভোটকক্ষ পরিচালনার জন্য আমরা প্রশিক্ষণ শেষ করেছি। পরীক্ষামূলক বা মক ভোটিংয়ের জন্য ৩৫ হাজার ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে। নির্বাচন ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ৪৫ হাজার ৭৭০ জন প্রিজাইডিং পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক কেন্দ্রে দুই জন করে ৫ হাজার ১৫ জন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমান ববাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। তারা টেকনিক্যাল কাজ দেখবেন। তবে আইন-শৃঙ্খলার কোনো কাজে অংশ নেবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ রাত ১১টা পর্যন্ত ১৭ বা ১৩ ডিজিটের এনআইডি নম্বর ১০৫ নম্বর এসএমএস করে যেকোনো ভোটার তার কেন্দ্রের বিষয়ে জানতে পারবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী থাকবে।’
এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক বলেন, ‘নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার কিংবা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কোনো ভোট দিতে পারবেন না। তবে তারা ভোট পরিচালনা করবেন। বিভিন্ন কারণে কারও ফিঙ্গার প্রিন্ট না মিললে তারা ১ শতাংশ পর্যন্ত ভোট দিতে সহায়তা করতে পারবে। এর চেয়ে বেশি প্রয়োজন হলে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘কেউ অবৈধভাবে ভোট বা ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে গেলে তাকে শনাক্ত করে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সকালে পোলিং এজেন্টের উপস্থিতিতে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। ফলাফলের প্রিন্ট কপি প্রত্যেক এজেন্টের কাছে দেওয়া হবে। কেন্দ্র থেকেই ফলাফল ঘোষণা করা হবে। পরে কেন্দ্র থেকে সেই ফলাফল রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হবে।’
সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘একজন ভোটারের ভোট দিতে ৪০ সেকেন্ড থেকে সর্বোচ্চ ১ মিনিট লাগার কথা। এবার নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতিতে বাড়বে বলে আশাবাদী।’