ইভিএমে জাল ভোট দিলে সর্বোচ্চ শাস্তি ৭ বছরের জেল

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

অবৈধভাবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিলে সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।

আর দল বা দলের পক্ষে কোনো প্রতিষ্ঠান বিধিমালা লঙ্ঘন করলেও এ শাস্তির বিধান আছে। এছাড়া কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে জাল ভোটের অভিযোগ প্রমাণ হলে নির্বাচনের পরেও সেই প্রার্থীর প্রার্থিতাও সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে বাতিল করতে পারে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বিজ্ঞাপন

ইসির জারিকৃত ৮ নম্বর পরিপত্রে বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।

আইন অনুযায়ী, এসব বিধিমালা প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য যে কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া ভোটে তাৎক্ষণিক আদালত বসিয়ে ফোজদারি অপরাধের বিচার করবেন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা। আবার বড় কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে মামলা হবে।

ইভিএম সংক্রান্ত অপরাধ ও দণ্ডের বিষয়ে পরিপত্রে বলা হয়েছে-

সিটি করপোরেশন নির্বাচন (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) বিধিমালা, ২০১৯ এর বিধি ২২ এর উপবিধি (২) বিধান সাপেক্ষে কোনো ব্যক্তি অন্যূন ছয় মাস ও অনধিক সাত বছরের কারাদণ্ডে বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

কেউ যথাযথ কর্তৃত্ব বা যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত ইভিএম সংশ্লিষ্ট কিংবা ইভিএম এ ব্যবহৃত বা ব্যবহার করা হবে এমন কোনো ডিভাইস, সরঞ্জামাদি বা সফটওয়্যার প্রোগ্রাম নষ্ট করবেন না কিংবা তাতে বেআইনি হস্তক্ষেপ করবেন না বা কোনো ভোট কেন্দ্র থেকে ইভিএমের কোনো ডিভাইস বা সরঞ্জামাদি বেআইনিভাবে অন্য কোথাও সরাবেন না বা এর ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবেন না।

এছাড়া কেউ কোনো ভোট কেন্দ্রে বেআইনিভাবে ইভিএম ব্যবহার করে জাল ভোট দেবেন না বা ইভিএমের কোনো ডিভাইস, সরঞ্জামাদি বা সফটওয়ার প্রোগ্রাম বেআইনিভাবে নকল করবেন না বা ইভিএম এর তথ্যভাণ্ডারে সংরক্ষিত তথ্যে অনধিকার প্রবেশ করবেন না কিংবা তথ্য বিকৃত বা বিনষ্ট করবেন না বা
(চ) দফা (ক), (খ), (গ), (ঘ) এবং (ঙ) এ উল্লিখিত অপরাধ সংঘটনে অন্য কোনো ব্যক্তিকে সহায়তা করবেন না।