চলতি বছরের ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে নির্মাতা জেমস ক্যামেরুনের পরিচালনায় বিশ্ববিখ্যাত ‘অ্যাভেটার’ ফ্রাঞ্চাজির তৃতীয় সিনেমা ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’। আর এই সিনেমার দৈর্ঘ্য পূর্বের সিনেমার থেকে দীর্ঘ হতে চলেছে।
সম্প্রতি এম্পায়ার ম্যাগাজিনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্যামেরন বলেন, ‘তৃতীয় পর্বের সময়কাল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, কারণ তখন আমার মাথায় প্রচুর আইডিয়া জমা হয়েছিল। তবে সিনেমাটি একটা সময় বুলেট ট্রেনের মতো দ্রুত গতিতে এগোচ্ছিল এবং আমরা চরিত্রগুলো যথেষ্ট গভীরভাবে বিশ্লেষণ করতে পারছিলাম না। তাই আমি আমার সহকর্মীদের বলি, বন্ধুরা, আমাদের সিনেমার চরিত্রগুলোকে আলাদা করে ফুটিয়ে তুলতে হবে। যার ফলস্বরূপ, তৃতীয় কিস্তির সিনেমাটির শো টাইম দ্বিতীয়টির চেয়ে একটু দীর্ঘ হবে।’
‘অ্যাভেটার’ নির্মাতা জেমস ক্যামেরুন
এদিকে সিনেমাটির বিষয়ে চিত্রনাট্যকার আমান্ডা সিলভার বলেন, ‘‘অ্যাভেটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’, ‘দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ পর্বের থেকে আলাদা একটি সিনেমা হতে চলেছে। কারণ এর গল্প শুধু অ্যাকশন ও ভিজ্যুয়াল স্পেকট্যাকলের বাইরে গিয়ে চরিত্রগুলোর গভীর বিশ্লেষণ নিয়ে কাজ করবে। যা দর্শকদের দারুণ একটা অনুভূতি উপহার দেবে।’’
২০২৪ সালের আগস্টে ডিজনির ডি ২৩ এক্সপোতে ক্যামেরন সিনেমার অফিসিয়াল টাইটেল ঘোষণা ও কনসেপ্ট আর্ট প্রদর্শন করেন। প্রকাশিত কনসেপ্ট আর্টে দেখা যায়, বিশাল আকাশযান, জো সালদানার চরিত্র নেইটিরিকে একটি ব্যানশিতে চড়ে থাকতে দেখা যায় এবং অ্যাশ পিপল নামে নাভি জনগোষ্ঠীকে একটি আগুনের চুলার চারপাশে জড়ো হয়ে থাকতে দেখা যায়।
‘অ্যাভেটার’ ফ্রাঞ্চাজির দৃশ্য
সিনেমাটির বিষয়ে নির্মাতা জানান, চলচ্চিত্রটিতে প্যান্ডোরার এমন কিছু অংশ দেখা যাবে, যা আগে কখনো কোন সিনেমায় দেখা যায়নি। চলচ্চিত্রটিতে সম্প্রতি অস্কারজয়ী জো সালদানা ছাড়াও অভিনয় করেছেন ‘টাইনাটিক’ তারকা কেট উইন্সলেট, সিগর্নি ওয়েভার, স্টিফেন ল্যাংসহ আরও অনেকে।
শাহেদ-কারিনার এই মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে
বিনোদন
গত শনিবার ভারতের অন্যতম সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড ফাংশানের মঞ্চে অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে হাজির ছিলেন বলিউডের এক সময়ের জনপ্রিয় জুটি শাহেদ কাপুর ও কারিনা কাপুর খান। মঞ্চেই হঠাৎ দেখা হয়ে যায় তাদের।
ক্যামেরার সামনে দীর্ঘদিন তাদের একসঙ্গে কথা হয় না। একে অপরকে দেখলে কার্যত মুখ ফিরিয়ে নেন তারা। ক্যামেরার সামনে সাধারণ কথা বলতেও দেখা যায়নি তাদের। তবে এবারের ব্যাপারটা এক্কেবারে আলাদা।
এদিন খোলা মঞ্চে একে অপরের সঙ্গে দেখা হয়ে যায় তাদের। এড়াতে পারলেন না কেউই। শত শত ক্যামেরা তাক করা তাদের দিকে। আলিঙ্গন করলেন একে অপরকে। কথাও বললেন বিস্তর। দাঁড়ালেন পাশাপাশি। ব্যাস.. সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তে ভাইরাল। অনেকেই বলছেন ফের কি একসঙ্গে পর্দায় দেখা যাবে তাদের?
শাহেদ-কারিনার এই মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে
বলিউডের দর্শক জানেন, শাহেদ আর কারিনার প্রেম একটা সময় কতোটা চর্চিত বিষয় ছিলো। দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর একে অপরকে এড়িয়ে চলতেন। এখন দুজনই বিয়ে করে আলাদাভাবে সুখের সংসার করছেন। এরমধ্যে ‘উড়তা পাঞ্জাব’ ছবিটিতে দুজন কাজ করলেও ছিলো একসঙ্গে কোন দৃশ্য। ছবির প্রচারণাতেও তারা পাশাপাশি দাঁড়াতেন না, কথা তো দূরের কথা।
তবে গত শনিবার পুরস্কারের মঞ্চেই হঠাৎ দেখা হয়ে যায় তাদের। প্রথমে কিছুটা অস্বস্তিতেই পড়েছিলেন দুজন। ক্যামেরায় তা ধরাও পড়ে। তবে এড়িয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি ছিল না। আলিঙ্গনে উদ্যোগী হন কারিনাই। ফেরাননি শাহেদ। আলিঙ্গনের পরে পাশাপাশি দাঁড়ান তারা। কথা বলেন অনেকক্ষণ ধরেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় সেই মুহূর্ত। যে জুটিকে দীর্ঘদিন পর্দায় দেখা যায়নি একসঙ্গে, তাদের একসঙ্গে কথা বলতে দেখে আপ্লুত হয়ে যায় নেটদুনিয়া। অনেকেই বলেন, এবার কি ‘জাব উই মেট ২’ আসতে চলেছে?
শাহেদ-কারিনার এই মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে
এই ঘটনার পর এক সাক্ষাৎকারে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন শাহেদ। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে করিনার সঙ্গে তার এই দেখা কী একেবারেই অকস্মাৎ? তিনি কী অস্বস্তিতে পড়েছিলেন? এই উত্তরে শাহেদ বলেন, ‘আমাদের তো প্রায়ই দেখা হয়। আমাদের মধ্যে সব কিছু স্বাভাবিক রয়েছে। এটা কোনও বড় ব্যাপার নয়। মানুষের যদি ভাল লেগে থাকে, তাহলে ভাল।’
বিয়ের পরপরই সুখবর দিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। ভারতের বেঙ্গালুরুতে পুরস্কৃত হয়েছে তার অভিনীত চলচ্চিত্র ‘সাবা’।
দিন চারেক আগেই জাপানের ২০তম ওসাকা এশিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগে জায়গা করে নেওয়ার খবর জানায় মেহজাবীনের ছবিটি। সেই খুশির রেশ কাটতে না কাটতেই তাদের দুয়ারে নতুন আনন্দ।
‘সাবা’ সিনেমায় মেহজাবীন চৌধুরী
গত ১ মার্চ শুরু হয়েছিল ১৬তম বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। শনিবার (৮ মার্চ) নেমেছে উৎসবটির পর্দা। সমাপনী আয়োজনে ঘোষণা করা হয় পুরস্কৃত ছবিগুলোর নাম। এই আসরে এশিয়ান সিনেমা কম্পিটিশন বিভাগে তৃতীয় হয়েছে ‘সাবা’।
গতকাল সকালে খবরটি জানিয়ে ফেসবুকে ‘সাবা’ অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী লিখেছেন, ‘কী সুন্দর সকাল। অভিনন্দন ছবির সংশ্লিষ্ট সবাইকে।’ উৎসবটিতে এশিয়ান সিনেমা বিভাগে সেরার পুরস্কার জিতেছে ইরানের ‘ইন দ্য ল্যান্ড অব ব্রাদার্স’। দ্বিতীয় হয়েছে ইসরায়েলের ছবি ‘রিডিং ললিতা ইন তেহরান’। এবারের আসরে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়েছে অভিনেত্রী শাবানা আজমিকে।
মেহজাবীন চৌধুরী
মেহজাবীন অভিনীত প্রথম ছবি ‘সাবা’। টেলিভিশনে দীর্ঘ দেড় দশক অভিনয়ের পর এ ছবির মাধ্যমে সিনেমায় এসেছেন তিনি। অবশ্য দেশের প্রেক্ষাগৃহে এখনো ছবিটি মুক্তি পায়নি। বরং দ্বিতীয় ছবি ‘প্রিয় মালতী’ দিয়ে তার অভিষেক হয়েছে।
শঙ্খ দাশগুপ্তের এ ছবি মুক্তি পেয়েছে গত বছরের ২০ ডিসেম্বর। দুই যুগ আগের সড়ক দুর্ঘটনায় আহত এক কিশোরী ও তার মায়ের গল্প ‘সাবা’। এখানে মা-মেয়ের সম্পর্কের নানা দিক উঠে এসেছে, তেমনি জায়গা করে নিয়েছে প্রজন্মগত ব্যবধান ও ব্যক্তিগত মূল্যবোধের বিষয়াবলি। এতে মেহজাবীনের সঙ্গে আছেন রোকেয়া প্রাচী, মোস্তফা মনওয়ার প্রমুখ। গত বছরের আগস্টে কানাডার টরন্টো উৎসবে প্রিমিয়ার হয়েছিল ছবিটির। এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে এটি মুক্তি পেতে পারে।
‘গর্বিত বাবা সম্মাননা ২০২৪’ গ্রহণ করছেন রুনা খান ও তার বাবা । ছবি: শেখ সাদী
বিনোদন
অভিনেত্রী রুনা খান ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন কাজ করে উপার্জন শুরু করেন। যাদের মুখে হাসি ফুটাতে তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন তাদের একজন তার প্রাণপ্রিয় বাবা আজ না ফেরার দেশে চলে গেলেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার পাওয়া এই অভিনেত্রীর মনের এখন কী অবস্থা, তা কারো বোঝার বাকী নেই!
রুনা খানের বাবা ফরহাদ হোসেন বার্ধক্যজনিত রোগে রবিবার দিবাগত রাতে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন)।
মৃত্যুর খবর ভোর সাড়ে ৫টার দিতে এক ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে রুনা খান নিশ্চিত করেন বার্তা২৪.কম।
বাবার সঙ্গে রুনা খান
এরপর আজ (১০ মার্চ) সকালে এক ফেসবুক পোস্টে বাবার মৃত্যুর খবর সবাইকে জানান তিনি। ফেসবুকে রুনা খান লিখেন, ‘আমার আব্বু চলে গেলেন..! তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মসদই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। সেখানেই তার দাফন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানা গেছে।
এদিকে রুনা খানের বাবার মৃত্যুর খবরে শোকপ্রকাশ করেছেন তার সহকর্মী ও ভক্তরা।
বাবার সঙ্গে রুনা খান
রুনা খানের সঙ্গে তার বাবার সম্পর্ক ছিলো ভীষণ সহজ ও সুন্দর। মেয়ের কাজ নিয়ে তিনি গর্ববোধ করতেন। তাইতো গত বছরই বাবা দিবসে তাকে গর্বিত বাবা ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘গর্বিত বাবা সম্মাননা ২০২৪’-এ ভূষিত করা হয়।
সেই পুরস্কার পাওয়ার পর তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেছিলেন, ‘আমার মেয়ে অভিনয় করতে খুব ভালোবাসে। আমিও তার অভিনয় পছন্দ করি। যে তার দায়িত্ব সব সময় নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছে। পরিবারের প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্বের কমতি কখনোই ছিলো না। এজন্য আমার মেয়েকে নিয়ে আমি গর্বিত।’
মা-বাবা ও একমাত্র ভাইকে নিয়ে রুনা খান
আর বাবাকে নিয়ে রুনা খান বরাবরই বলে এসেছেন, ‘একটিন মফস্বলে বড় হওয়া মেয়ে হিসেবে শোবিজে কাজ করার সাহস হয়তো পেতাম না যদি আমার বাবা-মা আমার উৎসাহ না দিতেন। তারা দুজনই শিল্পবোধ সম্পন্ন। বিশেষ করে আমার বাবা কখনোই আমার কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াননি। তিনি বরং সব সময় আমাকে অনুপ্রাণীত করেছেন ভালো কাজ করার জন্য।’