সোশ্যাল মিডিয়ায় মাঝে মধ্যেই মেয়ে ইনায়া নাওমি খেমুর সঙ্গে কাটানো নানা মুহূর্ত ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করে থাকেন সোহা আলি খান ও কুনাল খেমু দম্পতি।
এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (১৩ ডিসেম্বর) ইনস্টাগ্রামে মেয়ের সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করেছেন সোহা।
বিজ্ঞাপন
বলিউডের এই অভিনেত্রীর শেয়ার করা ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, মা-মেয়ে একে অপরের কানে কিছু বলছে। এসময় দু’জনই পরেছিলো হলুদ রঙের ওপর ব্যাটম্যান প্রিন্ট করা ড্রেস।
শেয়ার করা ছবিটির ক্যাপশনে সোহা আলি খান লিখেছেন- ‘ব্যাট গার্লস।’
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মেয়ে সম্পর্কে সোহা আলি খান বলেছিলেন, মেয়ে ইনায়া যা করতে চায় তিনি তাই করতে দেন। এ প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, ‘মেয়ে মহাকাশচারী, অভিনেত্রী, আর্কিটেক যাই হোক আমি ওকে সাপোর্ট করবো। আমি ওর জীবনের ভিতটা শক্ত করে গড়তে চাই। জীবনের মূল্যবোধ শেখাতে চাই। তাছাড়া ওর সব স্বপ্ন পূরণ করতে সাহায্য করতে চাই।’
২০১৫ সালে অভিনেতা কুনাল খেমুকে বিয়ে করেন সোহা। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে তাদের ঘর আলোকিত করে আসে প্রথম সন্তান ইনায়া নওমি খেমু।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অকুতোভয় সৈনিক মাস্টারদা সূর্যসেনের প্রহসনমূলক বিচার ও হত্যাকাণ্ডের বিষয়বস্তুকে উপজীব্য করে ‘ট্রায়াল অব সূর্যসেন’ নাটক মঞ্চে আনে নাট্যদল ঢাকা পদাতিক।
নাটকটি রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন নাট্যজন মাসুম আজিজ। তার মৃত্যুর পর নবনির্দেশনার কাজটি করছেন অভিনেতা নাদের চৌধুরী।
আগামী বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে সন্ধ্যা সাতটায় নাটকটির ৩২তম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ২৫ থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে নাটকটির মহড়া।
গত বছর দিল্লিতে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত এই নাটকের দুটি প্রদর্শনী হয়। সেখানে বেশ প্রশংসা কুড়ায় এটি। নবনির্দেশনার অনুভূতি জানিয়ে নাদের চৌধুরী বলেন, ‘ট্রায়াল অব সূর্যসেন’ ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন নিয়ে ঐতিহাসিক একটি নাটক। এর রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রয়াত মাসুম আজিজ ভাই। পরবর্তীতে এই নাটকের কিছু কিছু জায়গায় প্রয়োজনসাপেক্ষে অলঙ্করণ করে নবনির্দেশনার কাজটি আমি করেছি। ‘মাস্টারদা সূর্যসেন’ নাটকের প্রধান চরিত্রটি আমি রূপায়ণ করছি। ঐতিহাসিক এই নাটক আমাদের এখনকার জেনারেশনের দেখা উচিত।
নাটকটিতে চরিত্রের সংখ্যা ৪০। এসব চরিত্র হলো- সূর্যসেন, প্রীতিলতা, কল্পনা দত্ত, অম্বিকা রায়, নির্মল সেন, ব্রিটিশ উকিল, বাঙালি উকিল প্রমুখ। এসব চরিত্র রূপায়ণ করছেন, নাদের চৌধুরী, মাহবুবা হক কুমকুম, মনজুরুল ইসলাম নানটু,হাসনাহেনা শিল্পী, মামুন উর রশিদ, শ্যামল হাসান, সাবিহা জামান, আক্তার হোসেন, তারেক আলী মিলন, আতিক, মিলটন আহমেদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
একের পর এক খুনের হুমকি, হামলার ঘটনায় অস্থির বলিউড! সালমান খানকে একাধিকবার খুনের হুমকি, সাইফ আলি খানের উপর অক্রমণের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার প্রাণনাশের হুমকি পেলেন কপিল শর্মা। কিন্তু কী আছে কপিলকে পাঠানো ইমেলে?
হুমকি ইমেলে লেখা হয়েছে, ‘আমরা আপনার সাম্প্রতিক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের মনে হয়েছে, একটা গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল বিষয় আপনাদের নজরে আনি। এটা কোনও পাবলিসিটি স্টান্ট বা আপনাকে হয়রানি জন্য পাঠানো হচ্ছে না। আমরা আপনাকে এই বার্তাটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব এবং গোপনীয়তার সঙ্গে বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করছি।’
ইমেইলটি 'বিষ্ণু' নামের একজন পাঠিয়েছে।
‘কমেডি নাইটস উইথ কপিল’ শো কপিল শর্মাকে ভারতের অন্যতম বিশিষ্ট কৌতুক অভিনেতা করে তুলেছিলো। সম্প্রতি, তিনি নেটফ্লিক্সে 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' চালু করেছেন। যেখানে আমির খান এবং রণবীর কাপুরের মতো তারকাদের দেখা যায়।
মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে, কপিল শর্মাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে কারণ, তার শো-টি সালমান খান স্পনসর করেছেন।এই ঘটনায় মুম্বাইয়ের আম্বোলি থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫১(৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, কপিল শর্মা ও তার দলকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
আম্বোলি পুলিশ খতিয়ে দেখেছে যে আইডি থেকে ইমেল পাঠানো হয়েছে সেটা পাকিস্তানের। এ বিষয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেদেশের সরকারের সাহায্য চাওয়া হয়েছে।
ফ্যাশন অঙ্গনে সুপরিচিত নাম মেসবাহ উল আলম সাজু। আর ক্রেতাদের মাঝে জনপ্রিয় তার দেশি পোশাকের ব্র্যান্ড ‘ম্যাকয়্’। ব্র্যান্ডটি মানসম্মত পোশাকের জন্য দ্রুত পরিচিতি পায়। সাজুও এক এক করে বাঁড়াতে থাকেন তার শো রুমের সংখ্যা।
কাজের স্বীকৃতি হিসেবে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন সাজু। দেশিয় পোশাকের সেরা ডিজাইনারের পুরস্কার মানেই যেন সাজু, বিষয়টি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। শুধু পুরস্কার পেয়েই সন্তুষ্ট ছিলেন না এই মেধাবী মানুষটি।
প্রতিনিয়ত নিজের ব্র্যান্ডের পরিসর বড় করার কথা ভাবতেন। এ নিয়ে তার ছিলো হাজারও পরিকল্পনা। কোনটি বাস্তবায়ন হয়েছে, কোনটি বাস্তবায়ন হতে পারতো তিনি বেঁচে থাকলে!
হ্যাঁ, ফ্যাশন অঙ্গনের সবার প্রিয় ‘সাজু ভাই’ আর নেই। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১০টার দিকে বুকে ব্যাথা উঠে অকালেই না ফেরার দেশে চলে গেছেন এই সাদা মনের মানুষটি।
তার মৃত্যুর বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন জনপ্রিয় র্যাম্প মডেল ও কোরিওগ্রাফার বুলবুল টুম্পা। তিনি বলেন, ‘সাজু ভাই নেই ভাবতেই পারছি না। আমার বড় ভাইয়ের মতো ছিলেন তিনি। কিন্তু আমাকে ভীষণ সম্মান করতেন। একসঙ্গে কতো কাজ করেছি। অঞ্জনা আপার পর সাজু ভাই, একে একে কাছের শিল্পীদের মৃত্যু মানতে সত্যি কষ্ট হয়। কান্না আটকে রাখতে পারছি না। উনাদের চলে যাওয়া শুধু পরিবার বা আমার ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়। পুরো দেশের ক্ষতি। কারণ তারা দেশের শিল্প, সংস্কৃতি ধরে রাখতে আজীবন কাজ করেছেন।’
কিভাবে মারা গেলেন জানতে চাইলে টুম্পা বলেন, ‘সাজু ভাইয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট জুয়েল আমাকে ফোন করে খবরটা দেয়। আমি শুনে বিশ^াসই করতে পারছিলাম না। কারণ, একেবারেই সুস্থ সবল একটা মানুষ। কতোই বা বয়স হয়েছিল তার? কদিন আগেও দেখা হয়েছে। ফোনে প্রায়ই নানা কাজ নিয়ে আলোচনা হতো। সেই মানুষটি নাকি আর নাই! জুয়েল আমাকে বলল, হঠাৎ বুকে ব্যাথা উঠেছিলো। বেশি সময় না দিয়েই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন সাজু ভাই।’
টুম্পা আরও বলেন, ‘যে মানুষটি সপ্তাহে একবার কল দিতো সে অনেকদিন কল দিচ্ছিলো না। তাই আমি গত কয়েকদিন ধরে উনাকে বেশ কয়েকবার কল দিয়েছি। কিন্তু উনি ফোন ধরছিলেন না। আমি ভাবলাম হয়তো কোন ঝামেলায় আছেন। পরে আরেক দিন কল দিলাম, সেদিন ফোন ধরলেন। তখন জানতে পারি তিনি টানা ২০ দিনের মতো হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। জ¦র হয়েছিল, এতো ধরনের টেস্ট করিয়েছেন কিন্তু কিছুই নাকি ডক্তর আইডেন্টিফাই করতে পারেননি যে কেন জ¦র যাচ্ছে না। এজন্য তিনি কারও ফোন ধরছিলেন না। পরে একটু সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে আমার ফোন ধরেছেন। বেশ স্বাভাবিকভাবেই কথা বললেন, হাসাহাসিও করলাম আমরা। তার এক সপ্তাহের মাথায় শুনি তিনি একেবারেই বিদায় নিলেন আমাদের ছেড়ে। সত্যি খুব কষ্ট হচ্ছে সাজুর ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে।’
মেসবাহ উল আলম সাজু তার স্ত্রী, স্কুল পড়ুয়া দুটি ছেলে ও ভাই বোন রেখে মারা গেছেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা বিভাগে পড়াশুনা শেষ করে ঢাকায় আসেন। এরপর নিজের ডিজাইন করা পোশাকের ব্র্যান্ড ‘ম্যাকয়্’ প্রতিষ্ঠা করে সফল হন। তার ঝুলিতে বাইফা, বাংলাদেশ অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড, বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডসহ বহু পুরস্কার রয়েছে। তার পোশাকের মডেল হয়ে কাজ করেননি দেশে এমন জনপ্রিয় নায়িকা খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
২০২৩-এ তিনি নিজ উদ্যোগে শুরু করেন বিউটি কনটেস্ট ‘মিস এভারগ্রীণ বাংলাদেশ সিজন ১’। দারুণ প্রশংসা কুড়ায় সেই শোটি। এ ধরনের আরও নানা পরিকল্পনা সামনে বাস্তবায়ন করার আগেই তাকে চলে যেতে হলো প্রিয় ফ্যাশন আঙ্গিনা ছেলে! সাজুর মৃত্যুতে ফ্যাশন অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
গত মঙ্গলবার গভীর রাতে আবার সাইফ আলী খানের বাসার বাইরে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নিয়ে গিয়েছিল মুম্বাই পুলিশ। হামলার ঘটনাটি ‘রিক্রিয়েট’ করেছে বলে জানা গেছে। গতকাল বুধবারও পুলিশের একটা দল সাইফের অ্যাপার্টমেন্টে গেছে। দুই দিনের তদন্তে একটা প্রাথমিক প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে মুম্বাই পুলিশের একটা দল অভিযুক্ত শরিফুল ইসলামকে সাইফ-কারিনার অ্যাপার্টমেন্ট সদগুরু শরণের ৫০০ মিটার দূরে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে ৫ মিনিট থাকার পর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নিয়ে পুলিশ বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনে ফিরে এসেছিল। পুলিশ জানায়, সাইফের ওপর হামলাকারী বাথরুমের জানালা দিয়ে তার বাসায় ঢুকেছিলেন। আর সাইফের ওপর হামলার পর অভিযুক্ত ব্যক্তি সেই পথ ধরে পালিয়ে গিয়েছিল। সাইফ-কারিনার ছোট ছেলে জাহাঙ্গীরের ঘর থেকে পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তির একটা শীত টুপি উদ্ধার করেছে। টুপিতে পাওয়া চুল ডিএনএ পরীক্ষার জন্য মুম্বাইয়ের স্কুল অব মেডিসিনে পাঠানো হয়েছিল।
অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে ডিএনএ রিপোর্ট ম্যাচ করেছে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে। এর পাশাপাশি হামলাকারীর জামায় লেগে থাকা রক্তের দাগ সাইফের কি না, তা পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
সাইফের অ্যাপার্টমেন্টের যে ঘরে ঘটনাটি ঘটেছিল, সেখান থেকে ১৯টি ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আর ফিঙ্গারপ্রিন্টগুলো অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে মিলে গেছে। সাইফ-কারিনার আবাসনের দুজন নিরাপত্তারক্ষী ঘুমিয়ে ছিলেন। আর এই বিলাসবহুল আবাসনের মূল ফটক ও গলিতে সিসিটিভি না থাকার সুযোগ নিয়েছিলেন হামলাকারী। কোনো রকম আওয়াজ যাতে না হয়, তাই পায়ের স্যান্ডেল খুলে ফেলেছিলেন তিনি। মুঠোফোন বন্ধ রেখেছিলেন।
জানা গেছে, বাসায় ফিরে সাইফ গৃহকর্মী এলিয়ামা ফিলিপের সঙ্গে দেখা করে তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কারণ, সাইফকে হামলাকারীর হাত থেকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তিনি।
গতকাল বুধবার সকালে সাইফের বাসায় কিছু পুলিশ কর্মকর্তা গিয়েছিলেন। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী সাইফের বয়ান নিতে গিয়েছিল পুলিশ। এই মামলার জন্য সাইফের বয়ান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু পুলিশ সাইফের বয়ানের বিষয়টি এখন পর্যন্ত প্রকাশ করেনি সংবাদমাধ্যমের কাছে। সাইফের পিআর জানান, অভিনেতার বক্তব্য এখনো নেওয়া হয়নি। এদিকে জানা গেছে, সাইফ-কারিনার নিরাপত্তা সংস্থা বদলানো হচ্ছে।
গতকাল বলিউড অভিনেতা রণিত রায় সাইফের বাসায় গিয়েছিলেন। খবর যে সাইফ-কারিনার নিরাপত্তার দায়িত্ব এখন রণিত রায়ের সংস্থাকে দেওয়া হচ্ছে। আগামীকাল শুক্রবার শরিফুলকে বান্দ্রা আদালতে পেশ করা হবে।