তাহসান-মিমের ‘হ্যালো বেবি’
আশফাকের মা তার জন্য পাত্রীর দেখছে। পাত্রীর ব্যাপারে আশফাকের মা পুরোপুরি পজিটিভ। শুধু একটাই চাওয়া, মেয়ে যেন তার লাইফস্টাইলের সাথে মানিয়ে নিতে পারে।
অন্যদিকে পাত্রী রিতুর আশফাককে পছন্দ হয়। কিন্তু তার কাছে ছেলের বয়স বেশি মনে হয়। একদিন তারা একটি রেস্টুরেন্ট দেখা করে, আলাপচারিতায় বোঝা যায় তাদের দুজনের মধ্যে অদ্ভুত মিল। কিছুদিন পরই ধুমধাম করে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে থেকেই তারা ডিসিশন নিয়েছিলো পাঁচ বছর আগে কোন বাঁচ্চা নিবে না।
বিয়ের কিছুদিন পরে আশফাকের কাজিন পলাশ ও তার স্ত্রী এবং দুই বাচ্চা তাদের বাসায় আসে। দুই বাচ্চার দুষ্টুমিতে অতিষ্ট হয়ে উঠে আশফাক-রিতু। কি করবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না, কিছু বলতে পারছে না তাদের।
রিতু একদিন মুখ খুলে বলেই ফেলে পলাশের স্ত্রীকে বাচ্চাদের শাসন করার জন্য। এই কথা শুনে পলাশের স্ত্রী কষ্ট পায়। পরে তারা চলে যায়।
অনেক দিন পর স্বস্তি পায় আশফাক-রিতু। কিন্তু অন্যদিকে তারা বাচ্চাগুলোকে মিসও করতে থাকে। দুজনেরই একই রকম অনুভূতি হতে থাকে। বাচ্চা নেয়ার ইচ্ছে হয় দুজনেরই। এভাবেই দিন কাটতে থাকে তাদের।
ভবিষ্যতে যে আসবে তার জন্য নানান ধরনের প্রস্তুতি চলে তাদের। আশফাক অনেক সুন্দর সুন্দর খেলনা, জামা-কাপড়, জুতা কিনে রাখে। রিতুও সুন্দর কিছু বেবিদের ছবি দিয়ে ঘর সাজিয়ে রাখে।
রেগুলার চেকআপ এর জন্য একদিন আশফাক ও রিতু ডাক্তারের কাছে গেলে জানতে পারে, তাদের কোনদিন সন্তান হবে না। অনেক ডাক্তার, অনেক ট্রিটমেন্ট করানোর পরও রেজাল্ট মেলে না।
একদিন আশফাক ও রিতু টিভিতে দেখে ডাস্টবিনে একটি জীবন্ত বাচ্চা পড়ে থাকার সংবাদ। সংবাদটি দেখে বাচ্চাটির প্রতি মায়া হয় তাদের । আশফাক ও রিতু সিদ্ধান্ত নেয় এই পরিচয়হীন বাচ্চাটিকে নিজেদের সন্তান হিসেবে পরিচিত করবে।
এমনই এক গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘হ্যালো বেবি’। নাটকটি পরিচালনা করেছেন কাজল আরেফিন অমি।
এতে অভিনয় করেছেন তাহসান খান ও বিদ্যা সিনহা মিম। ২০২১ সালের প্রথম দিনে একটি ইউটিউব চ্যানেলে অবমুক্ত হবে নাটকটি।