অনন্য, অন্যরকম সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

  • Font increase
  • Font Decrease

তিনি অপু? নাকি ফেলুদা? ভারতীয় বাংলা সিনেমায় মহানায়কের মুকুট হয়তো তার মাথায় ওঠেনি, তবে অনেক বোদ্ধার বিচারে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ভারতবর্ষের সেরা অভিনয়শিল্পীদেরই একজন।

অভিনেতা হিসেবে তিনি কিংবদন্তি। তবে আবৃত্তিশিল্পী হিসেবেও তার নাম অত্যন্ত সম্ভ্রমের সাথেই উচ্চারিত হয়। তিনি ছিলেন কবি এবং অনুবাদকও। যদি তাকে নিয়ে এক কথায় কিছু বলতে হয়, তাহলে তিনি ছিলেন অনন্য। ছিলেন অন্যরকম।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবনে গল্প কম বেশি সকলেরই জানা। কিন্তু সেই গল্পের মাঝেও হয়তো রয়ে গেছে কিছু অজানা। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা জেনে নেবো ‘ফেলুদা’র জানা-অজানা কিছু তথ্য-

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

প্রতি বছর ছেলে এবং মেয়ের জন্মদিনে একটি করে কবিতা লিখে উপহার দিতেন সৌমিত্র। নিয়ম ছিল আগের রাতে ঘুমের সময় তাঁদের বালিশের নীচে কবিতাটি রেখে আসতেন বাবা।

আকাশবাণীর একটি মাত্র পদের জন্য অন্য দাবিদারদের সঙ্গে তিনি এবং অনিল চট্টোপাধ্যায় পরীক্ষা দেন। অনিলবাবু প্রথম স্থান অধিকার করেন, সৌমিত্র দ্বিতীয়। কিন্তু ঠিক সেই সময় অনিল চট্টোপাধ্যায় বাংলা ছবিতে অভিনয়ের ডাক পান। ফলে তিনি চাকরিটি নেন না। বদলে চাকরিটি পান সৌমিত্র।

‘অপুর সংসার’ দিয়ে সিনেমায় যাত্রা শুরু হলেও, জীবনের প্রথম স্ক্রিনটেস্টে বাতিল হয়ে গিয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। ১৯৫৭ সালে কার্তিক চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত 'নীলাচলে মহাপ্রভু' ছবির জন্য স্ক্রিনটেস্ট দিয়েছিলেন তিনি। পরে সেই ছবিতে চৈতন্যদেবের ভূমিকায় অভিনয় করেন অসীম কুমার।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

কলেজ জীবনের শেষ বছর মঞ্চে শিশির ভাদুড়ির অভিনয় দেখেই এই শিল্পে আসার সিদ্ধান্ত নেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। শিশির ১৯৫৯ সালে মারা যাওয়ার আগে তার দলে ছোট চরিত্রে কাজও করে ফেলেছিলেন তিনি।

সিটি কলেজে পড়ার সময় সান্নিধ্যে আসেন সাহিত্যিক এবং অধ্যাপক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের। টেনিদার স্রষ্টা সৌমিত্রকে পরামর্শ দেন নাটকে অভিনয় করার। পরে সাক্ষাৎকারে সৌমিত্র বলেছিলেন, তার অভিনয় জীবনের পিছনে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের বড় ভূমিকার কথা।

১৯৫৮ সালে সত্যজিৎ রায়ের 'জলসাঘর' ছবির শুটিংয়ে পরিচালকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তার আগে মাত্র কয়েক বার দেখা হলেও কাজের সুযোগের বিষয়ে কোনও কথা হয়নি তাদের মধ্যে। 'জলসাঘর' ছবির সেটে সত্যজিৎ রায় তার সঙ্গে ছবি বিশ্বাসের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেন এই বলে, 'এই হল সৌমিত্র। আমার পরের ছবিতে ও অপু হচ্ছে।' গোটা ঘটনাটাই বিস্ময়ের মতো সৌমিত্রর সামনে আসে।

'চারুলতা' ছবিতে তার হাতের লেখার বেশ কয়েকটি শট থাকবে বলেছিলেন সত্যজিৎ রায়। কিন্তু নিজের হাতের লেখায় হবে না। ঊনবিংশ শতকের হাতের লেখার তিনটি স্যাম্পেল সৌমিত্রকে দেন সত্যজিৎ রায়। তিন মাস সেই হাতের লেখা অভ্যাস করেছিলেন তিনি। ছবির শুটিং শেষ হওয়ার পর আয়ত্ত করা হাতের লেখা ভুলে নিজের আসল হাতের লেখায় ফিরে আসতে তার আরও ছ'মাস লেগে যায়।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

সিনেমায় যাত্রা শুরুর পরে দীর্ঘদিন মঞ্চকে সময় দিতে পারেননি তিনি। 'অপুর সংসার' ছবির প্রায় ২০ বছর পর ১৯৭৮ সালে আবার মঞ্চে ফেরেন তিনি। নিজের নির্দেশনায় মঞ্চস্থ করেন 'নাম জীবন' নাটকটি।

সত্যজিৎ রায় যখন 'গুপী গাইন বাঘা বাইন' বানানোর সিদ্ধান্ত নেন, সৌমিত্র ভেবেছিলেন, গুপীর চরিত্রে তাকেই নির্বাচন করবেন পরিচালক। কিন্তু তা হয়নি। শেষমেশ নিজেই বলেন সে কথা। মাণিকবাবু বলেন, গুপীর চরিত্রে যে গ্রাম্যতা আছে, পর্দায় সৌমিত্রর চেহারায় তা দেখা যাবে না। পরে অভিনেতা বলেছিলেন, তপেন চট্টোপাধ্যায়কে দেখে তার মনে হয়েছিল, সত্যিই গুপীর জন্য তিনি বেমানান ছিলেন। তপেনবাবুই ছিলেন আদর্শ।

জীবনে একটি মাত্র ছবি পরিচালনা করেন। নাম 'স্ত্রী কা পত্র'। ১৯৮৬ সালের এই হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এবং ঊষা গঙ্গোপাধ্যায়।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

২০০১ সালে 'দেখা' ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ড পান তিনি। কিন্তু তিনি মনে করেছিলেন, বহু আগেই তার জাতীয় পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল। তাই প্রতিবাদ হিসেবে তিনি সেই পুরস্কার নিতে চাননি। জীবনে কখনও জাতীয় পুরস্কারও পাননি তিনি। অথচ ফ্রান্সের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান লিজিয়ঁ দ্য'ন্যর পেয়েছেন এই অভিনেতা।

নিজের পত্রিকার নামকরণ করার জন্য সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অনুরোধ করেছিলেন সত্যজিৎ রায়ের কাছে। মাণিকবাবু সেই পত্রিকার নাম রাখেন 'এক্ষণ'। শুধু তাই নয়, তিনি সেই পত্রিকার প্রচ্ছদও এঁকে দিয়েছিলেন। সৌমিত্রর সেই পত্রিকায় সত্যজিৎ রায়ের বেশ কয়েকটি চিত্রনাট্যও ছাপা হয়।

   

‘হীরামান্ডি’তে বানশালীর ভাগ্নি শারমিন, অন্তর্জালে সমালোচনার ঝড়!



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘হীরামন্ডি’র সেটে ভাগ্নি শারমিনকে দৃশ্য বুঝিয়ে দিচ্ছেন নির্মাতা সঞ্জয় লীলা বানশালী

‘হীরামন্ডি’র সেটে ভাগ্নি শারমিনকে দৃশ্য বুঝিয়ে দিচ্ছেন নির্মাতা সঞ্জয় লীলা বানশালী

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ১ মে নেটফ্লিক্সের কাঙ্খিত ওয়েব সিরিজ ‘হীরামন্ডি’ মুক্তির পর থেকেই অন্তর্জাল জুড়ে টানা আলোচনায় রয়েছে এটি। তবে প্রশংসার পাশাপাশি দিন দিন একটি সমালোচনাও বাড়ছে।

ভাগ্নিকে নিজের প্রথম ওটিটি প্রজেক্টে নেওয়ায় স্বজনপোষণের অপবাদ জুঁটল বলিউডের প্রখ্যাত নির্মাতা সঞ্জয় লীলা বানশালীর কপালে!

‘হীরামন্ডি’র আলমজেব চরিত্রে শারমিন সেহগাল

‘হীরামন্ডি’ ওয়েব সিরিজে আলমজেব চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে শারমিন সেহগালকে। তিনি বড় পর্দার পরিচিত মুখ নন। তবে অভিনেত্রী হিসাবে এখনও জনপ্রিয় না হয়ে ওঠা শার্মিন শৈশব থেকেই বলিউডের সঙ্গে যুক্ত।

শারমিনের মা বেলা সেহগাল হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের সম্পাদক। আর তার সঞ্জয় লীলা বানশালী। মামার প্রযোজিত ‘মালাল’ ছবির মাধ্যমেই কয়েক বছর আগে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়েছিল শারমিনের। তবে সে ছবি সেভাবে সফল হয়নি। তাই সে সময় শারমিন কারও নজরে আসেননি। কিন্তু এবার ‘হীরামন্ডি’র মতো বিশাল প্রজেক্টে তাকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে নেওয়ায় তা সহজেই সবার নজরে পড়েছে। আর তাতেই উড়ে এল কটাক্ষ।

শারমিন সেহগাল

অনেকেই দাবি করেছেন, কেবলমাত্র তারকা পরিচালকের ভাগ্নি হওয়ার সুবাদে এই চরিত্রে কাস্ট করা উচিত হয়নি শারমিনকে। কেউ আবার শারমিনকে বলেছেন ‘ভাবলেশহীন’। সমস্যা রয়েছে তার বাচন ভঙ্গিতেও। কেউ কেউ তো প্রশ্ন তুলেছেন বানশালীর জহুরি চোখকে। নেতিবাচক মন্তব্যে ভরে যাচ্ছে শারমিনের ইনস্টাগ্রাম। শেষে কমেন্ট বক্স বন্ধ করে দিতে বাধ্য হযেছেন অভিনেত্রী।

একাদশ শ্রেণিতে পড়াকালীন থিয়েটার করতে শুরু করেন শারমিন। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য নিউ ইয়র্কে চলে যান তিনি। সেখানে গিয়ে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নেন। কানাঘুষো শোনা যায়, ছোটবেলা থেকেই সঞ্জয়ের সঙ্গে ছবির সেটে উপস্থিত থাকতেন শারমিন। সঞ্জয় যখন ‘দেবদাস’ ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত, তখন ছবির সেটে গিয়েছিলেন শারমিন। ছোট থেকে অভিনয়ের পরিবেশে বেড়ে ওঠায় নিজেও একদিন অভিনয় করবেন বলেই স্বপ্ন দেখা শুরু করেন।

‘হীরামন্ডি’ সিরিজের প্রধান চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেছেন মনিষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহা, রিচা চাড্ডা, অদিতি রাও হায়দারী, সানজিদা ও শারমিন সেহগাল
;

পদ্মশ্রী পাওয়ায় বন্যাকে সংবর্ধনা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রখ্যাত রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ভারতের বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী পুরস্কার পাওয়ায় ঢাকায় সংবর্ধনা দিয়েছে রাবেয়া খাতুন ফাউন্ডেশন।

এ উপলক্ষ্যে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের ক্রিস্টাল বলরুমে রবিবার (৫ মে) সন্ধ্যায় বসে সুধীজনদের মেলা। এদিন চ্যানেল আইয়ের পক্ষ থেকে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ফরিদুর রেজা সাগর ও শাইখ সিরাজ।

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, ফরিদুর রেজা সাগরের মতো গুণী ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন

রাবেয়া খাতুন ফাউন্ডেশনের সভাপতি শিশুসাহিত্যিক আমীরুল ইসলাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পক্ষ থেকে গোলাম কুদ্দুছ, জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি ড. মুহাম্মদ সামাদ ও কবি তারিক সুজাত, মাত্রা পরিবারসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গ বন্যাকে শুভেচ্ছা জানান।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, মাহফুজ আনাম, সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ, সৌমিত্র শেখর, কবি কামাল চৌধুরী, শাহীন সামাদ, রফিকুল আলম, আবিদা সুলতানা, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজহার খান, ইফ্ফাত আরা দেওয়ান, দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য শিল্পী কলাকুশলীসহ দেশের খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গ।

বন্যাকে উত্তরীয় পরিয়ে দিচ্ছেন রন্ধনশিল্পী কেকা ফেরদৌসী

বক্তারা তাদের বক্তব্যে রেজওয়ানা চৌধুরীর এই অর্জনকে বাংলাদেশের অর্জন বলে অভিহিত করেন। বন্যাকে আশীর্বাদ করেন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ সহ খ্যাতিমানেরা। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বক্তব্য রাখতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে যান।

চলতি বছর সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে পদ্ম পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণা করেছিল মোদি সরকার। যার মধ্যে পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপকের তালিকায় ছিলেন বাংলাদেশের রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। গেল ২২ এপ্রিল ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী পুরস্কার গ্রহণ করেন বন্যা।

সংবর্ধনা গ্রহণ করছেন বন্যা

 

;

পুরোনো পোজ রি-ক্রিয়েট করলো ‘ব্ল্যাক’



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘ব্ল্যাক’ ব্যান্ডের একাল-সেকাল

‘ব্ল্যাক’ ব্যান্ডের একাল-সেকাল

  • Font increase
  • Font Decrease

নতুন শতাব্দীর সফলতম ব্যান্ড ‘ব্ল্যাক’। প্রথম অ্যালবাম দিয়েই নিজস্ব ছাপ রাখতে সক্ষম হয় বাংলা গানের দলটি। এরপর নতুন নতুন গান আর কনসার্টে মাতিয়ে রেখেছিল সে সময়ের তরুণদের। একটা সময় পর ভাঙন ধরে এই ব্যান্ডেও। তবুও ভক্তদের আকাক্সক্ষা ছিল আবারো প্রিয় ব্যান্ডের সবাইকে আবারও একসঙ্গে দেখার।

সেই প্রবল প্রত্যাশার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে আসছে ‘ব্ল্যাক’। সদস্যরা আবারও এক হলেন। গাইবেন একসঙ্গে আগামী ১০ মে, ‘রক অ্যান্ড রিদম ৪.০’ শীর্ষক কনসার্টে। এরইমধ্যে কনসার্টটি ঘিরে বিপুল উন্মাদনা তৈরি হয়েছে।

সেই সুবাদেই দুই দশক আগের এক স্মৃতির পুনরাবৃত্তি ঘটালেন তাহসান-জন-জাহানরা। ওই সময়ে ধারণ করা তাদের যে ছবিটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায় অন্তর্জালে, সেই ছবিটি রি-ক্রিয়েট করলেন তারা। একই আঙ্গিকে পোজ দিয়েছেন তাহসান, জন, জাহান, টনি ও মিরাজ।

 ‘ব্ল্যাক’-এর পুরোনো সেই ছবি

জানা যায়, পুরনো সেই ছবিটি ২০০৩ সালের দিকে তোলা। সময়ের আবর্তনে ছবিটির আসল রূপ প্রায় হারিয়ে গেছে। ধূসর, ক্ষয়ধরা এক প্রিন্ট পাওয়া যায় অন্তর্জালে। সেই ছবিরই এক নতুন ঝকঝকে প্রিন্ট যেন উপহার দিলেন ‘ব্ল্যাক’-এর সদস্যরা।

দুই দশক পর ‘ব্ল্যাক’ সদস্যদের একসঙ্গে দেখে উচ্ছ্বাসে ভাসছেন ভক্তরা। এমনকি ব্যান্ড মিউজিকের অনেক শিল্পীও সেই দলে শামিল হচ্ছেন। পুনরায় তাদের পারফরম্যান্স উপভোগের জন্য মুখিয়ে আছেন তারা।

পুরোনো পোজ রি-ক্রিয়েট করলো ‘ব্ল্যাক’

উল্লেখ্য, ১০ মে রাজধানীর আইসিসিবি এক্সপো জোনে অনুষ্ঠিত হবে এই কনসার্ট। এতে ‘ব্ল্যাক’ পুনর্মিলনের পাশাপাশি পারফর্ম করবে ‘ক্রিপটিক ফেইট’, ‘রিকল’, ‘ওল্ড স্কুল’ ব্যান্ডগুলো। এছাড়া সলো পরিবেশনায় থাকছেন অনি হাসান, পপআই, ফারুক ভাই প্রজেক্ট।

;

‘অমিতাভ বচ্চনের পরেই আমি’ বললেন কঙ্গনা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
কঙ্গনা রানৌত ও অমিতাভ বচ্চন

কঙ্গনা রানৌত ও অমিতাভ বচ্চন

  • Font increase
  • Font Decrease

বলিউডের আলোচিত-সামালোচিত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানৌত এবার লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন। বর্তমানে নির্বাচনী প্রচার নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। একটি জনসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে আর কঙ্গনা দাবি করেন, বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের পরে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছেন তিনি।

কঙ্গনার সেই বক্তব্য এখন নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। এ ভিডিওতে কঙ্গনা আরও বলেন, ‘পুরো দেশবাসী অবাক! কারণ আমি যখন রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ, নয়া দিল্লি অথবা মণিপুরে যাই তখন প্রচণ্ড ভালোবাসা ও সম্মান পাই। আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, অমিতাভ বচ্চনের পরে যদি এই ইন্ডাস্ট্রির কেউ ভালোবাসা এবং সম্মান পেয়ে থাকেন, তবে সেটা আমি পেয়েছি।’

একই বছরে সেরা অভিনেতা ও সেরা অভিনেত্রীর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন কঙ্গনা রানৌত ও অমিতাভ বচ্চন

কঙ্গনা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘তেজাস’। গত বছরের ২৭ অক্টোবর মুক্তি পায় এটি। ৭০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা মুখ থুবড়ে পড়ে। বক্স অফিসে আয় করে মাত্র সাড়ে ৫ কোটি রুপি। মুক্তির অপেক্ষায় আছে ‘ইমার্জেন্সি’ এবং নাম ঠিক না হওয়া একটি ছবি। ‘ইমার্জেন্সি’ সিনেমায় ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করছেন কঙ্গনা। এটি পরিচালনাও করছেন তিনি। আগামী ১৪ জুন এটি মুক্তির কথা রয়েছে।

;