সূর্য দীঘল বাড়ির কাসু



মাজেদুল নয়ন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সূর্য দীঘল বাড়ির কাসু

সূর্য দীঘল বাড়ির কাসু

  • Font increase
  • Font Decrease

সূর্য দীঘল বাড়ির জয়গুনের কিশোর ছেলে হাসু স্টেশনে কুলির কাজ করে দিনে কয় পয়সা আয় করে। দুবার সংসার ভেঙে এখন ছেলে আর মেয়ে মায়মুনকে নিয়ে অপয়া এক ভিটায় পূর্ব পশ্চিমের ঘর বাঁধে জয়গুন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে দূর্ভিক্ষে যখন দেশজুড়ে আকাল আর ক্ষুধার কষ্ট নিজেকে আর সন্তানদের বাঁচিয়ে রাখতে লড়াই করে যাচ্ছেন জয়গুন। ট্রেনে ময়মনসিংহ থেকে কম দামে চাল কিনে এনে বিক্রি করেন। স্বচ্ছলতার আশায় অন্যের বাড়িতে কাজ করেন।

মেয়ে মায়মুন হাঁস পালে। জয়গুনের পর্দা নেই বলে সেই হাঁসের ডিম রাখতে রাজি হলেন না জুমার মসজিদের ইমাম। সন্তানের সামনে অবলীলায় মায়ের চরিত্র নিয়ে অভিযোগ তুললেন ইমাম, ফিরিয়ে দিলেন ডিম ৪ টি। আবু ইসহাক ১৯৫৫ সালে প্রকাশিত 'সূর্যদীঘল বাড়ি' উপন্যাসে পরের ঘটনাগুলো লেখেছেন এভাবে,

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/25/1537846492326.jpg

'হাসু রেগে ওঠে মনে মনে। একবার ইচ্ছে হয়- দেয় ছুঁড়ে ডিম কয়টা ইমামের মুখের ওপর। কিন্তু সাহস হয় না। ডিম ক'টা নিয়ে সে বেরিয়ে আসে।

কোষাটাকে সে জোরে বেয়ে নিয়ে যায়। আজ অনেকগুলো ট্রেন ও স্টিমার ফাঁকা গেল। দুটোর জাহাজ ধরা চাইই চাই। দুটো মোট পেলেও ছ'আনার কাজ হবে।

দুটোর জাহাজ আর বিকেল পাঁচটার ট্রেন ধরে সে আসে বাজারে। ডিম চারটে সে বিক্রি করেই ফেলবে। কেন দেবে সে মসজিদে? মা জিজ্ঞেস করলে বলে দেবে, জুম্মার ধরে দেয়া হয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/25/1537846375721.jpg

ডিম ক'টা সাত আনায় বেঁচে সে পাঁচ আনায় চারগাছা কাচের চুড়ি কেনে মায়মুনের জন্যে, আর নিজের কোমরে পয়সা বেঁধে রাখবার জালি কেনে একটা। বাকি দু'আনার এক আনায় কেনে একটা চরকি ও অন্য এক আনায় চারটে তিলের কদমা।

সন্ধ্যার দিকে সে কোষা ভিড়ায় একটা বাড়ির ঘটে। চারদিকে চেয়ে সে চুপিচুপি ডাকে-কাসু, অ- কাসু! 

বছর সাতেকের একটি ছোট্ট ছেলে লাফিয়ে লাফিয়ে এসে ওর গলা জড়িয়ে ধরে। হাসু ওকে কোলে তুলে নেয়। তারপর ওর মুখে একটা কদমা দিয়ে বলে-দ্যাখ, কেমুন মিষ্টু। এই চরকিডাও তোর লাইগ্যা আনছি। দ্যাখ, কেমুন সোন্দর ঘোরে। কাসু খুশি হয় খুব। হাসু বলে- যাবি তুই আমার লগে? মা তোর লাইগ্যা কত কান্দে দিন-রাইত!

-ক্যার মা?

-তোর মা। আমার মা।

-হুঁ, মিছা কথা।

-না বলদ, সত্যই।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/25/1537846400017.jpg

মা-র কথা শুনে কাসু যেন কেমন হয়ে যায়। ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকে। তার চোখ টলটল করে। কাসু কি কিছু বুঝে উঠতে পারে না। সে জানে, তার মা মরে গেছে। বাপ তো সেই কথাই বলে সবসময়।

-যাইমু তোমার মা-র কাছে-কাসু বলে।

-আমার মা যে তোরও মা অয়, বলদ।'

উপন্যাস কিংসা পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালে মসিহউদ্দিন শাকের ও শেখ নিয়ামত আলী পরিচালিত ছবিটিতেও এই সময় ঘটনাস্থলে হাজির হন করিম বকশ। কাসুকে কোল থেকে নামিয়ে যাওয়ার সময় হাসু বাকি তিনটে কদমাও দিয়ে যায়। করিম বকশ হাসুকে খেড়িয়ে ছোট কাসুর ওপর রাগ ঝাড়েন। কান্না আসে হাসুর। 'কাসু যে তারই ভাই। এক মা-র পেটের ভাই। হোক না বাপ ভিন্ন।'কিন্তু মা তো একজনই।'

শুধু উপন্যাস হিসেবে নয়, চলচ্চিত্র হিসেবেও খ্যাতি লাভ করেছে 'সূর্য দীঘল বাড়ি।' পুরো সিনেমায় প্রত্যেকটি চরিত্রের নিখুঁত অভিনয় দেখে কখনোই অভিনয় মনে হবে না। ডলি জহুর, আনোয়ার, রওশন জামিল, সৈয়দ হাসান ইমাম সকলেই যেন ওই চরিত্রেই নিজেদের সৃষ্টি করেছেন। আর ৭ বছরের কাসুর চরিত্রে সজীবের অভিনয় সত্যিই ছিল অনবদ্য। মায়াবী চেহারা আর সরলতায় ভরা তার দৃষ্টি সূর্যদীঘল বাড়ির দর্শকদের মনে গেঁথে থাকে দীর্ঘকাল। মুখে কদমা ঢুকিয়ে যখন কামড় দেয় সেই দৃশ্যের চিত্রায়ন যেন অসাধারণ এক বাস্তবতার শিল্প।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/25/1537846417025.jpg

সূর্যদীঘল বাড়ি গ্রামীণ প্রান্তিক দরিদ্র শ্রেণীর জীবনের পটভূমির উপর রচয়িত। যেখানে রয়েছে নারীর পদে পদে বাঁধা, নিদারুণ অভাব, কুসংস্কার, বাল্য বিবাহ, শিক্ষার অভাব। সেই পটভূমিতে নির্মিত ছবির সাদা কালো ফ্রেমেও যখন হাফ প্যান্ট পড়ে খালি পায়ে কাসু ছুটে চলে- এ দৃশ্য যেন সত্যিই অযত্নে বেড়ে ওঠা এক শৈশব। অথচ মা জয়গুনের, ভাই হাসু আর বোন মায়মুনের অতি আদরের এই কাসু। জয়গুনকে খেঁদিয়ে দিলেও সেই সময় ৩ বছরের ছেলে কাসুকে নিজের কাছে রেখে দেয় করিম বকশ।

একসময় মায়ের কাছে যেতে চায় কাসু। বিশেষ করে যখন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ে, মায়ের স্নেহ আর সেবায় সেরে ওঠে সে। আদরের ছেলে কাসুকে সুস্থ করে তুলতে সতীন থাকলেও করিম বকশের ঘরে ওঠেন জয়গুন। কাসুকে সুস্থ করে তুলতে ডাক্তার আনার জন্যে মায়মুনের হাঁস দুটো বিক্রি করে দিতে এক মুহূর্তও ভাবেনি জয়গুন।

চলচ্চিত্রে মায়ের আদরের কাসু যখন ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে বা মায়ের বাড়ি যাওয়ার জন্যে আবদার করতে থাকে, তার আকুঁতি যেন দর্শকের হৃদয়কেও নিংড়িয়ে দিয়ে যায়।

মাতৃস্নেহে জয়ে মায়ের কোলে ফিরে আসে কাসু। যে ঘরে এক বেলার খাবার জোগাড় করাই কষ্টসাধ্য সেখানে আরো একটি নতুন মুখ! তবে এরপরও কাসুর জন্যে বাকিতে দুধ আনতে বাঁধে না মা জয়গুনে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/25/1537846434111.jpg

কাসুর বেড়ে ওঠা নিয়ে আবু ইসহাক লিখেছেন,

জয়গুনকে ছেড়ে দেয়ার পর কাসুকে নিয়ে করিম বকশ বিব্রত হয়েছিল। একদিন করিম বকশের এক নিঃসন্তান বোন এসে কাসুকে নিয়ে যাওয়ায় সে নিশ্চিত হয়।

কাসু ফুপুর বাড়িতে এক রকম ভালই ছিল।

কিছুদিন আগে ফুপু মারা যাওয়ার পর করিম বকশ তাকে নিজের বাড়ি নিয়ে এসেছে। কিন্তু এ বাড়ির ঝগড়াটে আবহাওয়ায় এসে কয়েক দিনেই সে মন-মরা হয়ে গেছে। এখানে আদর করে কেউ কোলে নেয় না তাকে। ডাকেও না কেউ। এখানে কারো মুখেই হাসি নেই। তাই ওর নিজের হাসিও কোথায় মিলিয়ে গেছে! কারো মুখের দিকে চেয়েই সে ভরসা পায় না। শুধু একজনকেই তার পছন্দ হয়েছে। সে হাসু। তার এখানে আসবার পর সে তিনদিন এসেছে। কিছুদিন ধরে তারও দেখা নেই। 

কাসুর মধ্যে ধীরে ধীরে মায়ের প্রতি টান বাড়তে থাকে। সেটা বুঝতে পারে করিম বকশ। তার ভাবনায়, 'ছেঁড়াটা ভারি ফেরেববাজ।'

বাংলা সাহিত্যের এক অনবদ্য সৃষ্টি সূর্যদীঘল বাড়ি। আর চলচ্চিত্রেও যা অনুকরণীয়। আর সেই ঘটনায় কাসু চরিত্রটি যে কারো মনকে যেমন তৃপ্ত করে আবার হাহাকারে ভরিয়ে তোলে।

   

ভাঙা হাতে কানের লাল গালিচায় ঐশ্বরিয়ার কালো যাদু



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন

অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্সের দক্ষিণ উপকূলীয় শহর কানে বসেছে চলচ্চিত্র দুনিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসর ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব।’ ৭৭তম জমকালো এই আসরে ইতোমধ্যে নজরকাড়া লুকে ভিড় জমাচ্ছেন দেশি-বিদেশি সব তারকা। এবার ভাঙা হাতে কানের লাল গালিচায় কালো যাদু দেখালেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) কান চলচ্চিত্র উৎসবের দ্বিতীয় দিনে লাল গালিচায় সম্মোহনী জাদু চালালেন বলিউডের রাই সুন্দরী। পঞ্চাশের গণ্ডি পেরোনো ঐশ্বর্যর রূপর ছটায় ঝলমলিয়ে উঠল কান। বরাবরের মতো এবারের আসরেও আবেদনময়ী লুকে রূপের দ্যুতি ছড়িয়েছেন সাবেক এই বিশ্বসুন্দরী।

কানের লাল গালিচায় ঐশ্বরিয়ার কালো যাদু

রেড কার্পেটে অভিনেত্রী হেঁটেছেন ফাল্গুনি-শেন পিককের কালো-সোনালি গাউন পরে। গাউনের লম্বা টেইল নজর কেড়েছে সবার।

মেয়ে আরাধ্যার হাত ধরেই ফ্রান্সে হাজির হয়েছেন বচ্চন বধূ। প্লাস্টার জড়ানো হাতে তাকে মুম্বই এয়ারপোর্টে দেখে চমকে গিয়েছিলেন অনেকেই। রেড কার্পেটেও প্লাস্টার হাতেই দেখা মিলল তার।

ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ২০০২ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভারী সোনার গয়নাসহ নীতা লুল্লা শাড়িতে প্রথম হাঁটেন রেড কার্পেটে। সেই বছরই তার ছবি দেবদাস সেখানে প্রিমিয়ার হয়েছিল। তিনি অভিনেতা শাহরুখ খান এবং পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালির সঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন। এরপর থেকে প্রায় প্রতি বছরই উৎসবে হাজির থেকেছেন এই অভিনেত্রী। ল’রিয়াল প্যারিসের অন্যতম ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে রেড কার্পেট রেখেছেন মাতিয়ে।

;

মিশা-ডিপজল প্যানেলকে সংবর্ধনা জানালেন নিপুণ সমর্থিত শিল্পীরা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মিশা-ডিপজল প্যানেলকে সংবর্ধনা জানালেন নিপুণ সমর্থিত শিল্পীরা

মিশা-ডিপজল প্যানেলকে সংবর্ধনা জানালেন নিপুণ সমর্থিত শিল্পীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনে জয়ী মিশা-ডিপজল প্যানেলকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন নিপুণ সমর্থিত ১০৩ জন শিল্পী।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে নতুন এই কমিটিকে বরণ করে নেন তারা। এ সময় শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিপুল উৎসাহ–উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গত ১৯ এপ্রিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

সহ-সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডিএ তায়েব, সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দফতর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন এবং কোষাধ্যক্ষ পদে কমল।

কার্যনির্বাহী সদস্যরা হলেন সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রত্না কবির, চুন্নু রিয়ানা পারভিন পলি ও সনি রহমান।

;

হাতে চোট নিয়ে মেয়ের সঙ্গে কানের পথে ঐশ্বরিয়া



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হাতে প্লাস্টার নিয়ে বিমানবন্দরে ঐশ্বরিয়া রাই

হাতে প্লাস্টার নিয়ে বিমানবন্দরে ঐশ্বরিয়া রাই

  • Font increase
  • Font Decrease

কান চলচ্চিত্র উৎসব মানেই যেন বলিউড সুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই। এ বছরও সাবেক বিশ্ব সুন্দরী রেড কার্পেটে হাঁটার জন্য প্রস্তুত। বুধবার সন্ধ্যায় মেয়ে আরাধ্যা বচ্চনকে নিয়ে বিমানবন্দরে কানের উদ্দেশে রওনা দিতে দেখা যায় তাকে। তবে ভক্তদের চমকে দিয়েছে চোট পাওয়া তার ডান হাত। তাতে করা হয়েছে প্লাস্টার। এত বড় একটি উৎসবের আগে এ কী হয়ে গেল ঐশ্বরিয়ার!

পাপারাজ্জি অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মেয়ে আরাধ্যাকে নিয়ে গাড়ি থেকে নামছেন ঐশ্বরিয়া। অভিনেত্রীর ডান হাতে প্লাস্টার করা। তবে বাম হাতে কিন্তু ধরে ছিলেন আরাধ্যারই হাত। কালো পোশাকের সঙ্গে ছিল হাঁটু সমান লম্বা একটা নীল রঙের কোট। আর আরাধ্যাকে দেখা গেল নীল রঙের হুডি ও কালো প্যান্টে। মায়ের কানযাত্রার সঙ্গী সে!

বিমান বন্দরে ঢোকার আগে ঐশ্বর্য কয়েক সেকেন্ডের জন্য সংবাদমাধ্যমের দিকে তাকিয়ে হাত নাড়েন এবং তারপরে চলে যান কানের উদ্দেশে উড়ে যেতে।


রাই-সুন্দরীর হাতের প্লাস্টার কপালে ভাঁজ ফেলেছে তাঁর ভক্তদের। একজন লিখেছেন, ‘এভাবে চোট পাওয়া হাতে কানে হাঁটবে, ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন।’ আরেক ভক্ত মন্তব্য করেছেন, ‘আশা করি তিনি ভালো আছেন। সবচেয়ে লাবণ্যময়ী নায়িকা ঐশ্বর্য। কান উৎসবে ওকে দেখার জন্য আর তর সইছে না। অনেক ভালোবাসি’।

ঐশ্বর্য রাই ২০০২ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভারী সোনার গয়না সহ নীতা লুল্লা শাড়িতে প্রথম হাঁটেন রেড কার্পেটে। সেই বছরই তাঁর ছবি দেবদাস এখানেই প্রিমিয়ার হয়েছিল। তিনি অভিনেতা শাহরুখ খান এবং পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালির সঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন। এরপর থেকে প্রায় প্রতি বছরই উৎসবে হাজির থেকেছেন এই অভিনেত্রী। ল'রিয়াল প্যারিসের অন্যতম ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসাবে রেড কার্পেট মাতিয়ে রেখেছেন।

ঐশ্বরিয়া ছাড়াও কান চলচ্চিত্র উৎসবে এই বছর দেখা যাবে অদিতি রাও হায়দারি, শোবিতা ধুলিপালা ও কিয়ারা আদভানিকে।

;

হলিউডের ব্লকবাস্টার ফ্র্যাঞ্চাইজিতে টাবু



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
টাবু /  ছবি : ইন্সটাগ্রাম

টাবু / ছবি : ইন্সটাগ্রাম

  • Font increase
  • Font Decrease

ডেনিস ভিলেনিউভ পরিচালিত ব্লকবাস্টার হলিউড ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘ডুন’-এর প্রিকুয়েল সিরিজ ‘ডুন : প্রোফেসি’তে অভিনয় করতে যাচ্ছেন বলিউডের টাইমলেস বিউটি টাবু।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ভ্যারাইটির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টাবু এই সিরিজে সিস্টার ফ্রান্সেসকার ভূমিকায় অভিনয় করবেন। যে চরিত্রকে ভ্যারাইটি ‘শক্তিশালী, ‘বুদ্ধিমান’ এবং ‘আকর্ষণীয়’ চরিত্র হিসাবে বর্ণনা করেছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ রেখে যাওয়ার মতো চরিত্র এটি।

টাবু /  ছবি : ইন্সটাগ্রাম

এইবিও ম্যাক্সের সিরিজ ‘ডুন : প্রোফেসি।’ এটি ব্রায়ান হারবার্ট এবং কেভিন জে অ্যান্ডারসনের ‘সিস্টারহুড অফ ডুন’ উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এর আগে সিরিজটির নাম ছিল ‘ডুন : দ্য সিস্টারহুড।’

এর আগেও আন্তর্জাতিক ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে টাবুর। তিনি ‘দ্য নেমশেক’, ‘লাইফ অব পাই’ এবং বিবিসি মিনি সিরিজ ‘অ্যা সুইটেবল বয়’তে অভিনয় করেছিলেন।

‘ডুন : প্রোফেসি’র প্রিমিয়ারের তারিখ এখনও ঘোষণা করেননি নির্মাতারা। এই সিরিজে আরও আছেন এমিলি ওয়াটসন, অলিভিয়া উইলিয়ামস, মার্ক স্ট্রন, সারাহ-সোফি বসনিনা এবং শ্যালম ব্রুন-ফ্র্যাঙ্কলিন।

টাবু /  ছবি : ইন্সটাগ্রাম

টাবু অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা ছিল ‘ক্রু’। তিন নারী বিমানবালার গল্প নিয়ে তৈরী এই হিন্দি সিনেমা বক্সঅফিসে দারুণ সফলতা পেয়েছে। এতে আরও অভিনয় করেছেন কারিনা কাপুর খান, কৃতি শ্যানন, কপিল শর্মা প্রমুখ।

তথ্যসূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

;