পশ্চিমবঙ্গের ভোটে তারায় তারায় যুদ্ধ



মায়াবতী মৃন্ময়ী, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পশ্চিমবঙ্গের ভোটে তারায় তারায় যুদ্ধ

পশ্চিমবঙ্গের ভোটে তারায় তারায় যুদ্ধ

  • Font increase
  • Font Decrease

মোদি আর মমতার মতো রাজনৈতিক কাণ্ডারীদের অনুসরণ করে পশ্চিমবঙ্গের ভোটের মাঠে শুরু হয়েছে তারায় তারায় যুদ্ধ। চলমান ভোটে রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল এবং প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) একাধিক চলচ্চিত্র তারকাকে মনোনয়ন দিয়েছে। অতীতে এতোজন স্টার কখনোই নির্বাচনে অবতীর্ণ হননি পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে।

শুরুটা অবশ্য হয়েছিল উত্তর প্রদেশে ১৯৮৪ সালে অমিতাভ বচ্চনের হাত ধরে। বর্ষীয়ান নেতা বহুগুণাকে রেকর্ড সংখ্যক ভোটে হারিয়েছিলেন অমিতাভ। তিনি পেয়েছিলেন মোট প্রদত্ত ভোটের ৬৮.২১% (২,৯৭,৪৬১) আর বহুবার নির্বাচনে বিজয়ী বহুগুণা হেরেছিলেন ২৫.১৫% (১,০৯৬৬৬) ভোট পেয়ে।

ফিল্মি জগত থেকে রাজনীতিতে এসে অমিতাভের গড়া রেকর্ড ভাঙা সম্ভব না হলেও অনেক তারকাই রাজনীতিতে অংশগ্রহণের অনুপ্রেরণা লাভ করেছিলেন। রাজ বাব্বর, শত্রুঘ্ন সিনহা, গেবিন্দ এমন বহু নাম রূপালি পর্দা থেকে ভারতের রাজনীতির মাঠে যুক্ত হয়েছে। দক্ষিণ ভারতের ক্ষেত্রে তো রাজনীতিতে তারকাদের রমরমা।  সেখানে বহু রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসে ও যায় তারকাদের আকাশচুম্বী ইমেজের জোরে। 

ভারতের রাজনীতিতে তারকা ইস্যু সুনামি হয়ে ঢেউ তুলেছে পশ্চিমবঙ্গের চলমান বিধানসভা নির্বাচনে। ভোটের আগে আগে যোগ দিয়েই বহু তারকা পেয়েছেন নির্বাচনে লড়ার টিকেট। বলতে গেলে, ভোটে নামানোর জন্যেই তাদেরকে দলে আনা হয় তড়িঘড়ি করে।

মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল দলের টিকিটে জয়ী মিমি, নুসরাত জাহান, দেবরা দলটির কেন্দ্রীয় রাজনীতির সঙ্গে আগে থেকেই সম্পৃক্ত। নতুন করে রাজ্যের বাঁকুড়া থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার টিকিট পেয়েছেন নায়িকা সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। নায়ক সোহম চক্রবর্তী নির্বাচন করছেন চণ্ডীপুর থেকে। অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আসানসোল দক্ষিণে। পরিচালক রাজ চক্রবর্তী দাঁড়িয়েছেন ব্যারাকপুর থেকে। কীর্তনশিল্পী অদিতি মুন্সি নির্বাচন করছেন রাজারহাট-গোপালপুর আসনে। আলিপুরদুয়ারে প্রার্থী হয়েছেন টিভি অভিনেতা সৌরভ চক্রবর্তী। নায়িকা কৌশানী মুখোপাধ্যায়কে ঘাসফুলের প্রার্থী হিসাবে দেখা যাবে কৃষ্ণনগর উত্তরে। অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক প্রার্থী হয়েছেন উত্তরপাড়ার আসন থেকে। তৃণমূলে আরো যোগ দিয়েছেন অভিনেত্রী জুন মালিয়া, মানালি দে ও সুদেষ্ণা রায়।

গেরুয়া শিবির নামে পরিচিত বিজেপির পদ্মফুল নিয়েও লড়তে প্রস্তুত টালিউডের অনেক তারকা। এরই মধ্যে যোগ দিয়েছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ, হিরণ চট্টোপাধ্যায়, যশ দাশগুপ্ত, নায়িকা শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি ও পায়েল সরকার। নির্বাচনী খেলায় একেবারে শেষে এসে চমক দেখিয়েছেন ‘ফাটাকেষ্ট’খ্যাত মিঠুন চক্রবর্তী। দীর্ঘদিন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ হয়ে দায়িত্ব পালন করলেও এবারের নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে দলবদল করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন এ অভিনেতা।

বিশ্লেষকরা নির্বাচনে তারকা আধিপত্যের পেছনে দুটি কারণ খুঁজে পেয়েছেন। প্রথমত, শিল্পীরা তুলনামূলকভাবে রাজনীতির প্রতি অধিকতর আগ্রহী হচ্ছেন। দ্বিতীয়ত, দলগুলো উপদলীয় কোন্দল ও রাজনৈতিক দুর্বলতা আড়াল করে তারকাদের জৌলুশের ভরে নির্বাচনে বিজয়ী হতে চাচ্ছে।

কারণ যাই হোক, ভোটের মাঠে রূপালি পর্দার স্টাররা মাটি ও মানুষের সঙ্গে মিশে গেছেন। দিন-রাত অবিরাম কাজ করছেন। বিরামহীনভাবে জনসংযোগ করছেন। মানুষকে আপন করার যাবতীয় তৎপরতায় ব্যস্ত তারা।

তবে প্রচারের মাঠে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন তুলেছেন টালিউডের জনপ্রিয় নায়িকা সায়নী ঘোষ। কলকাতার বহুদূরের আসানসোলে মনোনয়ন পেয়ে সবচেয়ে আগে মাঠে গিয়ে হাজির হন তিনি। তারপর তারকা ইমেজকে নিমেষেই আটপৌরে বাঙালি ইমেজে পরিণত করে মিশে গেছেন আমজনতার সঙ্গে। ঘরে ঘরে যাচ্ছেন। নারী ও শিশুদের সঙ্গে মিশছেন। আসানসোলে শক্তভাবে বসে জয় নিশ্চিত করার পণ করে লড়ছেন তিনি। দলের স্লোগানের পাশাপাশি উচ্চারণ করছেন রবীন্দ্রনাথকে উদ্ধৃতি, ‘চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য, উচ্চ যেথা শির।'

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়া তারকাদের জয়ের আশা অপেক্ষাকৃত বেশি হলেও অতীতে অনেক তারকা ভোটে জিতলেও রাজনীতিতে স্থায়ী হয়েছেন কম জনই। শুধু নির্বাচনের মৌসুমে ভোটের খেলায় অংশ না নিয়ে রাজনীতিতে লেগে থাকলে অনেক তারকাই রাজনৈতিক তারকায় পরিণত হতে পারবেন।

   

আশেপাশের মানুষদের আগে সম্মান দিই: মৌটুসী বিশ্বাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আশেপাশের মানুষদের আগে সম্মান দিই: মৌটুসী বিশ্বাস

আশেপাশের মানুষদের আগে সম্মান দিই: মৌটুসী বিশ্বাস

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ মে দিবস। সারা বিশ্বের সঙ্গে আজ আমাদের দেশেও পালিত হচ্ছে শ্রমিকদের জন্য উৎসর্গ করা এই দিনটি। অধিকার আদায়ের উজ্জ্বল এই দিনটি নিয়ে শোবিজ তারকাদের কি ভাবনা? তা নিয়ে এই আয়োজন সাজিয়েছেন মাসিদ রণ

মৌটুসী বিশ্বাস

সমালোচকপ্রিয় অভিনেত্রী

বিশেষ দিবস ধরে আমি তা পালন করা বা তা নিয়ে কিছু প্রত্যাশা করি না। তবে হ্যাঁ, একটি দিন যদি ভালোবাসার জন্য আলাদা করে বরাদ্দ থাকে, একটি দিন যদি শ্রমজীবী মানুষের জন্য থাকে, বা বাবা-মায়ের জন্য থাকে তাতে দোষের কিছু নেই। বরং অন্তত ওই দিনে তারা অনেকের কাছে স্পেশ্যাল হয়ে ওঠেন।

কিন্তু আমি সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব সারা বছরই পালন করার চর্চার মধ্যে থাকি।

আমার বাবা মারা যাবার পর থেকে আমি কৃষকদের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করছি। এছাড়া বাসার হেল্পিং হ্যান্ড, ড্রাইভারসহ নানা পেশার মানুষের সঙ্গে আমার ওঠাবসা করতে হয় রোজ। তার মানে তারা আমার নিত্যদিনের সঙ্গী। অথচ আমি খুব কম মানুষকেই দেখি যারা তার আশেপাশের এসব মানুষের কাজকে সম্মান করেন। কাজকে ছোট করে দেখলে কিন্তু যে কাজটি করছেন তাকে কোনভাবেই সম্মান করা যায় না। আমি সচেতনভাবে চেষ্টা করি তাদের সেই সম্মানটা দিতে। কারণ আমি অনুধাবন করেছি যে, প্রতিটি কাজই জীবন সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য সমান জরুরি।


আর একটা কথা, খুব ছোটবেলা থেকেই কোন রিকশা বা ক্যাবে চড়লে তার পারিশ্রমিক মিটিয়ে দেবার পর ধন্যবাদ বলি, এটা আমার অভ্যাস। কারণ সবাই মিলেই তো সমাজে আমাদের সহাবস্থান। প্রত্যেকে প্রত্যেকের কাজটি করছেন বলেই সমাজ একটি ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে পারছে। নয়ত সমাজে বাস করাই কষ্টসাধ্য হতো।

সমাজ যাদের নিচু স্তরে ফেলে রেখেছে আমরা যদি তাদেরকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে সম্মান করি, তাদের কাজের রিঅ্যাওয়ার্ড দিই তাহলে তারাও কিন্তু তাদের কাজের প্রতি আপনাতেই অনেক বেশি আন্তরিক হন। এটা আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। ফলে আমাদের এই চর্চাটা করা উচিত।

;

১০০ মিলিয়নের মাইলফলকে কনার 'তুই কি আমার হবি রে'



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সঙ্গীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা

সঙ্গীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা

  • Font increase
  • Font Decrease

রাতের সব তারা আছে দিনের গভীরে/ বুকের মাঝে মন যেখানে, রাখবো তোকে সেখানে/ তুই কি আমার হবি রে’-‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্রের এই গানটি জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনাকে এনে দেয় কাঙ্ক্ষিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এই গানের জন্য মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারও নিজের ঝুলিতে পুরেছিলেন কনা। এবার এই জনপ্রিয় গানটি কনার ক্যারিয়ারে যোগ করলো নতুন সাফল্যের পালক।

 তুই কি আমার হবি রে গানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে বাবা মায়ের সঙ্গে উচ্ছ্বসিত কনা

 আজই ইউটিউবে ১০০ মিলিয়ন ভিউয়ের মাইলফলক স্পর্শ করেছে।

২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর এই গানটি মাছরাঙা টিভি অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায়। গানটি অন্তর্জালে প্রকাশের ১৬০৮ দিনের মাথায় ১০০ মিলিয়ন ভিউয়ের অনন্য অর্জনকে বিশেষভাবে দেখছে ‘বিশ্বসুন্দরী’ সিনেমার টিম।

সিয়াম পরীমণি

তারকা সঙ্গীতশিল্পী কনা বলেন, ‘বাংলা সিনেমার গানের একটি ঐতিহ্য আছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে অনেকে বলেন, আগের মত ভালো গান হয়না; হলেও জনপ্রিয় হয়না। তবে ‘তুই কি আমার হবি রে’ গানটির তুমুল জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে, ভালো গান এখনো হচ্ছে এবং শ্রোতারা  ভালো গানের কদর করতে কখনো ভোলেন না। ইউটিউবে বাংলা সিনেমার গানের মধ্যে খুব বেশি গান ১০০ মিলিয়নের মাইলফলক পার করেনি। সে জায়গা থেকে ‘তুই কি আমার হবি রে’ গানের এই সাফল্য আমাকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। শ্রোতা-দর্শকদের উদ্দেশ্যে ‘বিশ্বসুন্দরী’ টিমের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই’।

কনা

সান মিউজিক এন্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড প্রযোজিত, চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত, সিয়াম আহমেদ-পরীমনি অভিনীত ‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্রটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর। রুম্মান রশীদ খান-এর লেখা চলচ্চিত্র ‘বিশ্বসুন্দরী’ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ২০২০ সালের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ মোট ৮টি পুরস্কার পায়; যার মধ্যে সংগীত বিভাগে একচেটিয়া রাজত্ব করে ‘তুই কি আমার হবি রে’ গানটি। এই গানের জন্য শ্রেষ্ঠ গীতিকার কবির বকুল, শ্রেষ্ঠ সুরকার ও শ্রেষ্ঠ গায়ক ইমরান মাহমুদুল, শ্রেষ্ঠ গায়িকা দিলশাদ নাহার কনা এবং শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালকের পুরস্কার পান প্রয়াত সুমন রহমান। গানটির চিত্রগ্রহণে ছিলেন খায়ের খন্দকার।

;

পুুরুষ ও নারী শিল্পীর সমান পারিশ্রমিক হোক: রুনা খান



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
রুনা খান

রুনা খান

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ মে দিবস। প্রতি বছরের মতো আজও দেশে পালিত হচ্ছে শ্রমিকদের জন্য উৎসর্গ করা এই দিনটি। অধিকার আদায়ের উজ্জ্বল এই দিনটি নিয়ে শোবিজ তারকাদের কি ভাবনা? তা নিয়ে এই আয়োজন সাজিয়েছেন মাসিদ রণ।

রুনা খান

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী

আমার দেশের প্রেক্ষাপটেই কথা বলতে চাই। শ্রমিক দিবসে আমার দুটি প্রত্যাশা। একটি জেনারেল প্রত্যাশা। সেটি হলো প্রতিটি শ্রেণী পেশার মানুষ যেন তার পরিশ্রমের মূল্যটুকু ঠিকঠাক মতো পায়, সময়মতো পায়। আমার অভিনয়শিল্পী, আমরাও অনেক সময় পারিশ্রমিকটা ঠিকমতো সময়ে পাই না বা যা প্রাপ্য সেটি পাই না। তবে আমি বিশেষ করে দিনমজুরদের কথা বলছি। তাদের যেন সময়মতো সবাই মূল্যটা বুঝিয়ে দেন।


আর আমি যেহেতু অভিনয়শিল্পী, তাই শোবিজ নিয়ে একটা প্রত্যাশার কথা বলতে চাই। সেটি হলো- এতো বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারের যে অভিজ্ঞতা তাতে দেখেছি সমপরিমাণ জনপ্রিয় পুরুষ শিল্পী আর নারী শিল্পী- কখনোই সমান পারিশ্রমিক পান না। অথচ ডেডিকেশনের জায়গা বলুন, সততার জায়গা বলুন, পরিশ্রমের জায়গা কিংবা মেধার জায়গা- সবটাই তো নারী আর পুরুষ শিল্পীর সমান। তাহলে কেন তারা সমান পারিশ্রমিক পাবেন না? একই নাটকের কথা বাদই দিলাম, যেখানে নারীকেন্দ্রিক গল্প রয়েছে সেখানে অভিনেত্রীরা যে পারিশ্রমিক পান, তারচেয়ে একটি সাধারন প্রেমের নাটকে অভিনেতারা অনেক বেশি পারিশ্রমিক পান। তাই চাইব- একদিন এই বৈষম্য আর থাকবে না আমাদের বিনোদন অঙ্গনে।

;

সালমান খানের বাড়িতে হামলার সাথে দেশদ্রোহীতার সূত্রতা!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিছুদিন আগেই সালমান খানের বাড়িতে গুলিবর্ষণ এর ঘটনা ঘটে। কেউ আহত না হলেও বাড়ির সকলের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে যায়। সেই থেকেই পুলিশি পাহারায় ঘেরাও করা হয় সালমান খানের বাড়ি। পুলিশের ১৫টি টিমের তদন্তের কাজ চলতে থাকে পুরোদমে। সম্প্রতি সালমান খানের বাড়ির বাইরে গুলি চালানোর ঘটনা তদন্তে পুলিশ নতুন মন্তব্য করেছে।

মুম্বাইয়ের ক্রাইম ব্রাঞ্চ এর ধারণা এটি শুধুমাত্র ভয় দেখানো কোন হামলা নয়। এর পেছনে দেশবিরোধী সন্ত্রাসীদের হাত রয়েছে। তাদের ধারণা লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং-কে বাইরে থেকে অস্ত্র ও তহবিল দিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে। আর এই হামলা একটি দেশদ্রোহী পদক্ষেপ। বিষ্ণোই গ্যাং ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইতে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। এর মধ্যে সন্ত্রাস এবং চাঁদাবাজি মুখ্য।

বর্তমানে মামলায় অভিযুক্ত শ্যুটারদের সরবরাহ করা অস্ত্রের উৎস সম্পর্কেও পুলিশ তদন্ত করছে। বিষ্ণোইয়ের অপরাধমূলক নেটওয়ার্কের পরিসরের প্রেক্ষিতে সন্দেহ করা হচ্ছে নানারকম সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ডই তাদের মূল উদ্দেশ্য। কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে যে গ্যাংটি বিদেশে থাকা দেশবিরোধী সহায়তা পেয়েছিল কিনা। বিশেষ করে অস্ত্র সরবরাহ এবং আর্থিক সমর্থন।

সালমানের বাড়িতে হামলার পরই ফেইসবুক পোস্টের মাধ্যমে দায় স্বীকার করেন আনমোল বিষ্ণোই। জেল হেফাজতে থাকা লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ছোটভাই সে। তদন্তের মাধ্যমে সন্দেহভাজন ভিকি গুপ্তা (২৪), সাগর পাল ( ২১) এবং অনুজ থাপান (৩২)-কে গ্রেফতার করা হয়। তাদের ৮ মে অবধি রিমান্ডে রাখা হবে। ভিকি আর সাগর আগে ধরা পড়ে। তারপরই একের পর এক তথ্য পাচ্ছে পুলিশ। পুলিশকে জানিয়েছেন, জেলবন্দী গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোই তাদের এ কাজের জন্য নিযুক্ত করেছিলেন।

আনমোল চেয়েছিলেন ১৯৯৮ সালে যোধপুরের কাছে মথানিয়ার বাবড়ে কৃষ্ণকায় হরিণ শিকারের জন্য সালমানকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে। দুই অভিযুক্ত পুলিশকে জানিয়েছেন, সালমানকে শুধু ভয় দেখানোর কথা তাদের বলা হয়েছিল। এই অভিনেতাকে হত্যার নির্দেশ তাদের দেওয়া হয়নি। এই কাজে তাদের ১ লাখ টাকা অগ্রিমসহ মোট ৫ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এমনকি রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে যাওয়ার লোভও দেখানো হয় তাদের।

তথ্যসূত্রঃ টাইমস অব ইন্ডিয়া

;