জন্মদিন স্পেশাল

অমিতাভ সম্পর্কে জানার আছে অনেক



বৃষ্টি শেখ খাদিজা, নিউজরুম এডিটর
অমিতাভ বচ্চন

অমিতাভ বচ্চন

  • Font increase
  • Font Decrease

রূপালি পর্দা ও বাস্তবে অমিতাভ বচ্চনের রয়েছে বর্ণাঢ্য জীবন।

প্রতিদিনই ভক্তদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন বচ্চন পরিবারের কর্তা।

আজ ১১ অক্টোবর বিগ বি’র ৭৬তম জন্মদিন।

কিংবদন্তি এই অভিনেতা সম্পর্কে অনেক কিছুই পাঠকদের জানা।

তবে অজানা ব্যাপারও কম নয়।

অমিতাভের জানা-অজানা তথ্য নিয়ে বার্তা২৪-এর জন্মদিন স্পেশাল—


উচ্চতা
** বলিউডে অমিতাভ বচ্চনই সবচেয়ে লম্বা অভিনেতা। তার উচ্চতা ৬ ফুট ২ ইঞ্চি।

পদবি পরিবর্তন
** অমিতাভের পদবি ছিলো ‘শ্রীবাস্তব’। কিন্তু বাবা হরিবংশ রাই বচ্চন নামের শেষে `বচ্চন' ব্যবহার করায় তিনি আর তা বদলাননি।

নাম পরিবর্তন
** হরিবংশ রাই বচ্চন ছেলের নাম রাখতে চেয়েছিলেন ‘ইনকিলাব’। কিন্তু কবি সুমিত্রা নন্দন পান্তের পরামর্শে তিনি বেঝে নেন ‘অমিতাভ’।

রূপালি পর্দায় পছন্দের নাম
** রূপালি পর্দার জন্য ‘বিজয়’ নামটি বেশি পছন্দ করতেন বিগ বি। অন্তত ২০টি ছবিতে এই নামের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।

পড়াশোনা-চাকরি
** দিল্লি থেকে পড়াশোনা শেষ করে কলকাতার একটি শিপিং ফার্মের নির্বাহী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন অমিতাভ। এটাই ছিলো তার প্রথম চাকরি। তখন ৫০০ রুপি বেতন পেতেন তিনি।

বেতন
** চলচ্চিত্র জগতে পা রাখার আগে অমিতাভের সবশেষ চাকরির বেতন ছিলো ১৬৮০ রুপি।

প্রথম গাড়ি
** কলকাতায় চাকরি করার সময় একটি সেকেন্ডহ্যান্ড ফিয়েট গাড়ি কিনেছিলেন অমিতাভ।

 

বিশেষ কারণ
** সুনীল দত্ত পরিচালিত ও অভিনীত ‘রেশমা অউর শেরা’য় (১৯৭১) বিশেষ কারণে জায়গা পেয়েছিলেন অমিতাভ। সুনীলের স্ত্রী অভিনেত্রী নার্গিস ছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বান্ধবী। আর অমিতাভ ছিলেন ইন্দিরা গান্ধীর ছেলে রাজীব গান্ধীর বন্ধু। সেই সুবাদে অমিতাভকে সুযোগ দিতে নার্গিসকে চিঠি লেখেন ইন্দিরা।

বাংলা ছবির মধ্য দিয়ে রূপালি পদায় অভিষেক
** হিন্দি ছবির অভিনেতা হলেও অমিতাভের অভিষেক হয়েছিল বাংলা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে! ১৯৬৯ সালে মৃণাল সেনের বাংলা ছবি ‘ভুবন সোম’-এ ধারাবর্ণনা দিয়ে চলচ্চিত্রাঙ্গনে পা রাখেন তিনি। একইবছর হিন্দি ছবিতে অভিনয়ে অভিষেক হয় তার।

পারিশ্রমিক
** ‘সাত হিন্দুস্তানি’ ছবির মাধ্যমে ১৯৬৯ সালে অভিনয় জগতে পা রাখেন অমিতাভ। এতে কাজ করার বিনিময়ে পারিশ্রমিক হিসেবে তাকে দেওয়া হয়েছিলো এক হাজার রুপি।

সাদাকালো ছবি
** রূপালি পর্দার তারকা অমিতাভ একটি সাদাকালো ছবিতে অভিনয় করেছেন। সেটি হলো তার প্রথম ছবি ‘সাত হিন্দুস্তানি’।

ছিলো না ঘর
** অমিতাভকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। শুরুতে মুম্বাইয়ে থাকার ঘর ছিলো না তার। সেই সময় মেরিন ড্রাইভ এলাকায় রাত কাটতো তার। অমিতাভের দুরবস্থায় পাশে ছিলেন সংগীত পরিচালক কল্যাণজি আনন্দজি।

ফ্লপের পর ফ্লপ
** ক্যারিয়ারের শুরুতে অমিতাভের পরপর ১২টি ছবি চলে যায় ফ্লপের খাতায়। তার প্রথম হিট ছবি ‘জঞ্জির’ (১৯৭৩)।

ধারাভাষ্য
** ১৯৭৭ সালে ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’ ছবির ধারাবর্ণনায় অমিতাভের কণ্ঠ ব্যবহার করেছিলেন কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়।

পছন্দ হয়নি অমিতাভের কণ্ঠ
** অল ইন্ডিয়া রেডিওতে সংবাদ পাঠক হিসেবে কাজ করতে চেয়েছিলেন অমিতাভ। সত্যজিৎ রায়ের ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতাও ছিলো তার। অথচ কণ্ঠটা পছন্দ হলো না রেডিও কর্তৃপক্ষের!

বাবার কাজ
** যশ চোপড়া পরিচালিত ‘সিলসিলা’ (১৯৮১) ছবিতে অমিতাভের গাওয়া ‘রঙ বারসে’ গানের কিছু কথা লিখেছিলেন হরিবংশ রাই বচ্চন। এছাড়া ‘অগ্নিপথ’ ছবিতে অমিতাভের আবৃত্তি করা কবিতাও তার বাবার লেখা।

 

গুরুতর আঘাত
** ১৯৮৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কুলি’র একটি অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে পেটে গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন অমিতাভ। এ কারণে দুই সপ্তাহ হাসপাতালে থাকতে হয়েছে তাকে।

অমিতাভের রোগবালাই
** অ্যাজমা রোগ আছে অমিতাভের। এছাড়া মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যাওয়ার বিরল রোগ মায়াসথেনিয়া গ্রেভিস রোগেও ভুগছেন তিনি।

কিছুদিনের বিরতি
** ১৯৯২ সালে কিছুদিনের জন্য রূপালি পর্দার আড়ালে চলে গিয়েছিলেন অমিতাভ। এরপর ১৯৯৭ সালে ‘মৃত্যুদাতা’র মধ্য দিয়ে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি।

ছিলো না কোনো কাজ
** ক্যারিয়ারের মধ্যবর্তী সময়ে হাতে কোনো কাজ ছিলো না অমিতাভের। তখন যশ চোপড়ার সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিলেন তিনি। তার প্রযোজিত ‘মোহাব্বাতে’ (২০০০) ছবির মাধ্যমে সেটি পূরণ হয়। এটি পরিচালনা করেন যশ চোপড়ার ছেলে আদিত্য চোপড়া।

লেখার দক্ষতা
** ডান-বাম দুই হাত দিয়েই সমানভাবে লিখতে পারেন সিনিয়র বচ্চন।

দ্বৈত চরিত্র
** মোট ১০টি ছবিতে দ্বৈত চরিত্রে হাজির হয়েছেন অমিতাভ। আর ‘মহান’ (১৯৮৩) ছবিতে তিনটি চরিত্রে দেখা গেছে তাকে।

৩০ ফুট ঝরনা থেকে লাফ
** ‘আকস’ (২০০১) ছবির জন্য বিশেষ কারিগরি সহায়তায় অভিনেতা মনোজ বাজপেয়িসহ ৩০ ফুট উঁচু ঝরনা থেকে লাফিয়ে পড়েন বিগ বি।

টানা শুটিং
** ২০০৬ সালে ‘শুটআউট অ্যাট লোখান্ডওয়ালা’য় টানা পাঁচ ঘণ্টায় ২৩টি দৃশ্যে অভিনয় করে ইউনিটের সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন অমিতাভ।

একমাত্র অভিনেতা
** অমিতাভ ভারতের একমাত্র অভিনেতা যিনি নিজের ছবির রিমেকেও অভিনয় করেছেন। সত্তর দশকের মাঝামাঝি মুক্তি পাওয়া ধ্রুপদী ছবি ‘শোলে’র রিমেক হয় ২০০৭ সালে। এর নাম ছিল ‘রাম গোপাল ভার্মা কি আগ’। এতে অবশ্য খলচরিত্রে বড় পর্দায় এসেছেন তিনি।

সর্বাধিক মনোনয়ন
** বলিউড তারকাদের মধ্যে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে সেরা অভিনেতা বিভাগে সর্বাধিক ৪১বার মনোনয়ন পেয়েছেন অমিতাভ।

বেসামরিক সম্মাননা
** ভারত সরকারের কাছ থেকে বেসামরিক সম্মাননা হিসেবে ১৯৮৪ সালে পদ্মশ্রী, ২০০১ সালে পদ্মভূষণ ও ২০১৫ সালে পদ্মবিভূষণ খেতাব পান অমিতাভ।

অমিতাভ প্রথম
** এশিয়ার প্রথম অভিনেতা হিসেবে অমিতাভের মোমের মূর্তি স্থান পায় লন্ডনের বিখ্যাত মাদাম তুসো মিউজিয়ামে।

বাড়ির মূল্য
** অমিতাভ বচ্চনের দুই বাড়ি ‘জলসা’ ও ‘প্রতীক্ষা’র মূল্য ২০০ কোটি রুপি। ‘জলসা’ অমিতাভকে উপহার দিয়েছিলেন ‘শোলে’র পরিচালক রমেশ সিপ্পি।

আরামপ্রিয়
** অমিতাভ আরামপ্রিয় মানুষ। তার বাড়ির মেঝের জন্য ইতালি থেকে মার্বেল পাথর আনা হয়। বাথরুমের ফিটিংস এসেছে ফ্রান্স ও জার্মানি থেকে।

নামি-দামি ব্র্যান্ডের স্যুট
** স্যুট পরা পছন্দ করেন অমিতাভ। এক্ষেত্রে তার প্রিয় ব্র্যান্ড গাবানা। প্রতিষ্ঠানটি ৩০ বছর ধরে তার স্যুট তৈরি করে আসছে। পছন্দের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে ফ্র্যাটেলি রসেটিটি ব্র্যান্ড। স্যুট বানানোর জন্য ইতালি থেকে স্যুটের কাপড়, ফ্রান্স থেকে সুতা ও ইংল্যান্ড থেকে বোতাম আনান তিনি।

বিলাসবহুল গাড়ি
** ১১টি বিলাসবহুল গাড়ি আছে অমিতাভের। পরিচালক বিধু বিনোদ চোপড়া ‘একলব্য: দ্য রয়েল গার্ড’ (২০০৭) ছবিতে অভিনয়ের পারিশ্রমিক হিসেবে তাকে একটি রোলস রয়েস ফ্যান্টম উপহার দেন। তবে তার পছন্দের গাড়ি লেক্সাস। কারণ এটি বুলেটপ্রুফ।

ঘড়ির নেশা
** ঘড়ির প্রতি বেশ আগ্রহ রয়েছে বিগ বি’র। এজন্য প্রতিটি উৎসব ও অনুষ্ঠানে একটি করে ঘড়ি কেনেন তিনি।

অমিতাভের শখ
** কলম সংগ্রহ করা অমিতাভের শখ। তার কাছে আছে হাজারের বেশি কলম। চমকপ্রদ তথ্য হলো, জার্মানির মম ব্লা কোম্পানি প্রতি বছর অমিতাভের জন্মদিনে তাকে একটি করে কলম উপহার দেয়।

পছন্দের জায়গা
** যুক্তরাজ্যের লন্ডন ও সুইজারল্যান্ডে বেড়াতে ভালো লাগে অমিতাভ বচ্চনের।

১০ দিনের জন্য ১০ কোটি
** একবার একটি বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ১০ দিন শুটিংর জন্য অমিতাভকে ১০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক দিয়েছে।

ভালোবাসার শুরু
** পুনের ফিল্ম ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে অমিতাভ ও জয়া ভাদুড়ির প্রথম দেখা হয়েছিলো। তারাই একমাত্র দম্পতি, যারা একসঙ্গে ৩০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। বিয়ের পর জয়া ভাদুড়ি হয়ে যান জয়া বচ্চন। তাদের মেয়ে শ্বেতা নন্দা ও ছেলে অভিষেক বচ্চন। অমিতাভ-জয়ার পুত্রবধূ সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও নাতনি আরাধ্য বচ্চন।

   

জামদানির পর কানে ভাবনার দেশিয় বেনারসির জৌলুস



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
কানে সাফিয়া সাথীর বেনারসির পোশাকে ভাবনা

কানে সাফিয়া সাথীর বেনারসির পোশাকে ভাবনা

  • Font increase
  • Font Decrease

মেধাবী অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনার কান চলচ্চিত্র উৎসবের যাত্রা এখন বেশ আলোচনায়। তার কানের পোশাক-আশাক দেখে বোঝাই যাচ্ছে, বেশ সময় নিয়ে আটঘাট বেঁধেই ভূমধ্যসাগরের পাড়ে হাজির হয়েছেন।

কানে সাফিয়া সাথীর ডিজাইন করা বেনারসির পোশাকে ভাবনা

তাইতো তার প্রতিদিনের ছবি নিয়ে নেটিজেনদের আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে। প্রথম দুদিন পাশ্চাত্যের গাউন বেছে নিলেও তৃতীয় দিন থেকে এই তারকা হাজির হচ্ছেন দেশি পোশাকে।

কাক খুব ভালোবাসেন। কাকের অনেক ছবি এঁকেছেন। এবার সেই ‘কাক’ পোশাকে ধারণ করে কানের রেড কার্পেটে ভাবনা

নিয়ন গ্রীণ জামদানির সঙ্গে ঢাকার ঐতিহ্য রিকশা পেইন্টের মোটিফে ডিজাইন করা ব্লাউজ পরে বেশ চর্চিত হয়েছেন তিনি। এবার নতুন আরও কিছু ছবি পোস্ট করলেন ভাবনা। এগুলো তার কানের চতুর্থ দিনের লুক।

রিকশা পেইন্টের মোটিফে ডিজাইন করা ব্লাউজ পরে বেশ চর্চিত হয়েছেন ভাবনা

আর এদিনও তিনি বেছে নিলেন দেশিয় কাপড়। জামদানির পর বেনারসির জৌলুসে তাক লাগালেন ভাবনা। তবে দেশি ফেব্রিক বেছে নিলেও তিনি বেনারসি শাড়িতে নিজেকে জড়াননি। বর্তমান সময়ের অন্যতম চাহিদাসম্পন্ন ডিজাইনার সাফিয়া সাথীর নকশা করা কাতানের ভিন্নধর্মী গাউনে ধরা দিয়েছেন গ্ল্যামার গার্ল ভাবনা।

কান চলচ্চিত্র উৎসব প্রাঙ্গনে ভাবনা

মেরুণ কাতানে সোনালি জরির কাজ করা। বোঝাই যাচ্ছে বিয়ের বেনারসি কেটে পোশাকটি ডিজাইন করা হয়েছে। লম্বা টেলওয়ালা গাউনটির এক পাশে স্লিট করা। একপাশে অফ সোল্ডার, অণ্যপাশে ফুল হাতা। সঙ্গে কন্ট্রাস্ট সবুজ ঝোলানো দুল। সবমিলিয়ে নায়িকাকে অণ্য দিনের তুলনায় বেশি গর্জিয়াস লাগছে।

কানে সাফিয়া সাথীর ডিজাইন করা বেনারসির লম্বা টেলওয়ালা গাউনে ভাবনা

ছবি দেখে মনে হচ্ছে, কানের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করছেন ভাবনা। প্রতিদিন দারুণসব সিনেমার প্রিমিয়ার শো উপভোগ করছেন। যখন যেমন ইভেন্টে অংশ নিচ্ছেন তখন তেমনি পোশাকে ধরা দিচ্ছেন। এই যেমন খেতে বের হবার সময় পরেছেন অ্যানিমেল প্রিন্টের স্লিভলেস টপ। সঙ্গে নিয়েছেন মেরুণ রঙের ব্র্যান্ডের হাতব্যাগ।

কান চলচ্চিত্র উৎসব প্রাঙ্গনে ভাবনা

;

সদস্যপদ বাতিল : নিজের খোঁড়া গর্তে পড়ছেন নিপুণ?



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তার

জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তার

  • Font increase
  • Font Decrease

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করেছিলেন নিপুণ আক্তার। গণমাধ্যমে শিল্পী সমিতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন নিপুণ। এবার একই কারণে সদস্যপদ হারাতে পারেন নিপুণ।

নিপুণের সদস্যপদ কেন বাতিল হবে না, জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান কমিটি। বৃহস্পতিবার সমিতির কার্যকরী সভা শেষে এমনটা জানিয়েছেন সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব।

নিপুণ আক্তার

গত বুধবার ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন নিপুণ। তাই এ বিষয়ে সমিতির পদক্ষেপ কী হতে পারে তা নিয়ে বৈঠক করেন সদস্যরা।

বৈঠক শেষে ডি এ তায়েব বলেন, ‘রিট করা নিয়ে আমরা এখনো ভাবছি না। আমাদের কাছে নোটিশ এলে আইনিভাবে তা মোকাবিলা করা হবে।’

এর একদিন আগে সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে ‘অশিক্ষিত’সহ নানা কুরুচিপূর্ণ ভাষায় নিপুণ গালাগালি করেন বলেন জানান ডি এ তায়েব। তিনি বলেন, ‘নিপুণ আক্তার গণমাধ্যমে সমিতির সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে যা বলেছেন, তা কুরুচিপূর্ণ, মানহানিকর। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কমিটির সবাই। তার সদস্যপদ কেন বাতিল হবে না, জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হবে। ৭ দিনের মধ্যে যদি তিনি উত্তর না দেন অথবা উত্তর যথোপযুক্ত মনে না হয়, তাহলে তার সদস্যপদ বাতিল করা হবে।’

মিশা সওদাগর ও ডিপজল

বৃহস্পতিবার সমিতির সভার আগে মিশা-ডিপজল প্যানেলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণের সময় সদস্যপদ ফিরে পাওয়া ১০৩ শিল্পী। এ সময় নির্বাচন বাতিল চেয়ে রিট করা নিপুণকে নিয়ে কথা বলেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডিপজল। তিনি বলেন, ‘আজকে যাকে (নিপুণ) নিয়ে কথা হচ্ছে, সে তো তার বাপকেই অস্বীকার করছে। রক্তে সমস্যা না থাকলে এটা হওয়ার কথা না। যাকে (ডিপজল) দিয়ে সবাই তার মুখ চিনল, তাকেই সে ভুলে যায়। সে কি আমাদের সঙ্গে টেস্ট খেলতে চায়? আসো খেলো। কিন্তু আমরা চাই ভদ্রতা ও নম্রতা। চলচ্চিত্র কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সেদিকেই কাজ করব।’

;

দক্ষিণি ছবিতে নগ্ন এই জনপ্রিয় বাঙালি অভিনেতা!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ঋষভ বসু / ছবি : ইন্সটাগ্রাম

ঋষভ বসু / ছবি : ইন্সটাগ্রাম

  • Font increase
  • Font Decrease

কলকাতার অভিনেতা ঋষভ বসু বাংলাদেশেও পরিচিত ওটিটির কল্যাণে। তার অভিনীত ‘শ্রীকান্ত’, ‘ভটভটি’, ‘মহাভারত মার্ডারস’ ইত্যাদি কাজগুলো আলোচিত হয়েছে। এবার টালিউড থেকে দক্ষিণি সিনেমায় দেখা গেল তরুণ এই অভিনেতাকে। তেলেগু ছবি ‘দক্ষিণা’র ট্রেলারে ঋষভকে নগ্ন দেখে চমকে গেছেন তাঁর ভক্ত-অনুসারীরা। 

এর আগে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, যীশু সেনগুপ্তকে দেখা গেছে দক্ষিণি ছবিতে। এবার একই পথে হাঁটলেন ঋষভ। পরিচালক ওশো তুলসীরামের ডার্ক থ্রিলার ‘দক্ষিণা’ সিনেমার হাত ধরেই তেলেগু ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখলেন তিনি।

ঋষভ বসু / ছবি : ইন্সটাগ্রাম

ট্রেলারেই ইঙ্গিত মিলল যে বাঙালি অভিনেতাকে এখানে নেতিবাচক চরিত্রে দেখা যাবে। একের পর এক মেয়ে খুন করে এক সাইকো কিলার। সেই চরিত্রেই ঋষভ বসু।

প্রথমবার দক্ষিণি ছবিতে পা রেখেই আলোচনায় এই বাঙালি অভিনেতা। চিত্রনাট্যের প্রয়োজনেই ক্যামেরার সামনে নগ্ন হলেন তিনি। ট্রেলারে এক হাড় হিম করা দৃশ্যে ঋষভকে দেখা গেল একেবারে নগ্ন অবস্থায়।

অভিনেতার অবশ্য পর্দায় নগ্নতা নিয়ে কোনো ছুতমার্গ নেই! তাঁর কথায়, ‘এই ছবিতে নগ্নতা প্রযুক্তির সাহায্যে দেখানো হয়েছে। তাই খুব একটা অস্বস্তি হয়নি। তবে চরিত্রের প্রয়োজনে যদি আমাকে নগ্ন হতে হয়, সেটা নিয়ে কোনো ছুতমার্গ নেই।’

ঋষভ বসু / ছবি : ইন্সটাগ্রাম

‘মহাভারত মার্ডারস’-এ ধূসর চরিত্রে ঋষভের অভিনয় দেখেই নাকি ডার্ক থ্রিলার ‘দক্ষিণা’ সিনেমার জন্য তাঁকে বেছে নিয়েছিলেন পরিচালক।

;

কানে ‘গডফাদার’ স্রষ্টাকে ১১ মিনিটের করতালি সম্মাননা!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
লালগালিচায় হেঁটে লুমিয়েরের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে টুপি নাড়ছেন ফ্রান্সিস ফোর্ড

লালগালিচায় হেঁটে লুমিয়েরের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে টুপি নাড়ছেন ফ্রান্সিস ফোর্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

৮৫ বছরের একজন মানুষের জন্য কী আকাক্সক্ষা সবার! হবেই বা না কেন? সর্বকালের সেরা চলচ্চিত্র পরিচালকদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা অন্যতম। তিনি ‘গডফাদার’ ট্রিলজির কিংবদন্তি পরিচালক। তাকে নিয়ে আগ্রহ না থাকাটাই যেন অস্বাভাবিক!

কান চলচ্চিত্র উৎসবের প্রাণকেন্দ্র পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরের সামনের সড়ক বিভাজক ঢেকে গিয়েছিল জনস্রোতে। তরুণ-তরুণী, বুড়ো-বুড়ি সবার দৃষ্টি তার দিকে। লালগালিচায় হেঁটে লুমিয়েরের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে এক হাতে টুপি নেড়ে সবার অভিবাদনে সাড়া দেন তিনি। তার অন্য হাতে ছড়ি। তাকে একনজর দেখতে দোতলার প্রেস রুমের ব্যালকনির এক কোণে লেগে গেলো জটলা। প্রেস রুমের বাইরে লবিতে গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরের একপাশের দরজায় মোবাইল ফোন তাক করে রেখেছেন অনেকে। তিনি সুবিশাল লুমিয়েরে ঢোকার পর টানা ৪ মিনিট মুহূর্মুহু করতালিতে সম্মান জানানো হয়।

তরুণ-তরুণী, বুড়ো-বুড়ি সবার দৃষ্টি পরিচালক ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার দিকে

১৯৭৪ সালে ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার ‘অ্যাপোক্যালিপস নাউ’ ছবিটি কানে স্বর্ণপাম জয় করেছিল। ৫০ বছর আগের সেই জয় নিয়ে সে সময় বিতর্কও ছিল, কারণ উৎসবটিতে প্রদর্শনের সময় ছবিটির কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি! ১৯৭৯ সালে কাপলো পরিচালিত ‘দ্য কনভারসেশন’ ছবিটিও স্বর্ণপাম জিতেছে। ১৯৯৬ সালে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে বিচারকদের প্রধান ছিলেন তিনি।

কানে ৪৫ বছর পর ‘মেগালোপলিস’ নিয়ে উৎসবের মূল প্রতিযোগিতায় ফিরলেন ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা। গতকাল (১৬ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়েছে। কল্পবিজ্ঞানধর্মী বড় ক্যানভাসের ছবি ‘মেগালোপোলিস’ নিজের ওয়াইন বিক্রি থেকে প্রাপ্ত ১২ কোটি ডলার খরচ করে কয়েক দশক সময় নিয়ে বানিয়েছেন তিনি। এর মাধ্যমে ১৩ বছর পর তার নতুন ছবি এলো।

কানে ৪৫ বছর পর ‘মেগালোপলিস’ নিয়ে উৎসবের মূল প্রতিযোগিতায় ফিরলেন ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা

২ ঘণ্টা ২০ মিনিটের ছবিটির প্রদর্শনী শেষ হতেই টানা ৭ মিনিট দাঁড়িয়ে করতালিতে অভিবাদন জানিয়েছেন দর্শক ও অতিথিরা। তখন অভিনেতা অ্যাডাম ড্রাইভার ও জিয়ানকার্লো এসপোসিতোকে জড়িয়ে ধরেন ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা। আবেগপ্রবণ কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার কেমন লাগছে তা বলে বোঝানো যাবে না।’

এরপর দর্শক সারিতে থাকা নিজের পরিবারের সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা। তবে তিনি বলেন, ‘তারাই একমাত্র নয়, ছবিটির অসাধারণ অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই আমার পরিবার। যেমন স্থপতি চেজার কাতিলিনা (মেগালোপোলিস ছবির প্রধান চরিত্র) বলেছেন, আমরা সবাই এক পরিবার। তোমরা সবাই আমার কাজিন। আমরা এক। আমরা মানব পরিবার। আমাদের পুরো পরিবার, দিনের শেষে এই সুন্দর বাড়ি ও পৃথিবীর প্রতি আমাদের সবারই আনুগত্য থাকা দরকার। এটাই আমার চাওয়া। শিশুরাই আমাদের কাছ থেকে এমন সুন্দর পৃথিবীর উত্তরাধিকারী হতে চলেছে। সুন্দর পৃথিবীতে যেকোনো ভাষায় আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শব্দ হলো ‘এসপারেনচা’। অর্থাৎ আশা। এটাই আমি উৎসর্গ করছি।’

‘মেগালোপলিস’-এর পুরো টিম হাজির হয়েছেন কান চলচ্চিত্র উৎসবে

এবারের মূল প্রতিযোগিতায় রয়েছে ২২টি চলচ্চিত্র। এরমধ্যে পল শ্রেডারের ‘ও কানাডা’র অভিনেতা রিচার্ড গেয়ার ‘মেগালোপলিস’-এর প্রিমিয়ার দেখেছেন। অস্কারজয়ী ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার সামনের সারিতে বসেন তিনি। নির্মাতার গালে চুম্বনের পর তাকে অভিনন্দন জানান এই তারকা।

‘মেগালোপলিস’-এর গল্পে দেখা যায়, একটি দুর্ঘটনায় নিউ ইয়র্ক সিটি ধ্বংস হওয়ার পর টেকসই ইউটোপিয়া হিসেবে শহর পুনর্র্নিমাণের জন্য কাজ শুরু করে চেজার। কিন্তু তাকে চ্যালেঞ্জ করে দুর্নীতিগ্রস্ত মেয়র ফ্র্যাঙ্কলিন সিসেরো। তার মেয়ে জুলিয়াকে ভালোবেসে ফেলে চেজার। মেয়েটি তাকে লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করে যায়।

‘মেগালোপলিস’ সিনেমার দৃশ্যে হলিউড অভিনেতা অ্যাডাম ড্রাইভার
;