ফেরি করে টি-শার্ট বিক্রেতা রাসেল ভালোবাসে জবাকে। দু’জনের একই বস্তিতে বসবাস। জবার জীবনের একমাত্র স্বপ্ন সিনেমার নায়িকা হওয়া। রাসেলের স্বপ্ন হলো জবার স্বপ্ন পূরণ করা।
গল্পের শুরুটা এখানে, তবে শেষটা বড় বিস্ময়ের। রাসেল ও জবা মুখোমুখি হয় কঠিন বাস্তবতার। এমনই এক গল্প নিয়ে সিএমভি’র ব্যানারে নির্মিত হলো ঈদের নাটক ‘স্বপ্নের নায়িকা’। এর প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন তৌসিফ মাহবুব ও পায়েল। রাসেল আজমের রচনায় নাটকটি নির্মাণ করেছেন রাফাত মজুমদার রিংকু।
বিজ্ঞাপন
নাটকটির প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু বলেন, ‘এই গল্পটি আসলে বাস্তব ঘটনারই একটা প্রতিচ্ছবি। মিডিয়ায় এমন ঘটনা প্রায় ঘটে। নায়িকা বানানোর কথা বলে প্রতারণার শিকার হন অনেকে। এই নাটকটির মাধ্যমে তেমনই একটি ঘটনা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমরা। এরমধ্যে রয়েছে অসাধারণ একটা প্রেমের গল্পও।’
জানা গেছে, ‘স্বপ্নের নায়িকা’সহ এক ডজন বিশেষ নাটক নির্মাণ করেছে সিএমভি। ঈদের সাতদিনের আয়োজনে নাটকগুলো পর্যায়ক্রমে উন্মুক্ত হবে প্রতিষ্ঠানটির ইউটিউব চ্যানেলে।
দেশের আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে এখন তেমন একটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব দেখা যায় না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষে কাজ করার গুঞ্জন এখনো রয়েছে তাকে নিয়ে। এর মধ্যে আলোচনায় এলো তার বিয়ের খবর।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর আলোচিত ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির বিয়ের খবর চাউর হয় চারপাশে। গত সপ্তাহের বুধবার সারা দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আফ্রিদির বিয়ের খবর চর্চিত হয়েছে। পরে সংবাদমাধ্যমে খবর আসে, টিকটকার রাইসাকে সত্যি সত্যিই বিয়ে করেছেন আফ্রিদি।
কিন্তু সেই খবরের তিন দিন পর জানা গেলো নতুন তথ্য। তৌহিদ আফ্রিদি আসলে টিকটকার রাইসাকে বিয়ে করেননি। এ তথ্য রাইসা নিজেই জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেছেন যে তিনি অনেক আগেই বিবাহিত। ফলে আফ্রিদির সঙ্গে তার বিয়ে কেন হবে?
তবে এই ধোয়াশা তিনি আবার নিজেই কাটিয়ে দিয়েছেন। টিকটকার রাইসা বেশকিছু ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, রাইসা নয়, রামিশা আল রিসাকে বিয়ে করেছেন তৌহিদ আফ্রিদি।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, যমজ বোন হওয়ায় এবং কাছাকাছি চেহারা হওয়ায় সবাই রাইসাকে আফ্রিদির স্ত্রী ভেবে নিউজ করছে। কিন্তু রাইসা আফ্রিদিও স্ত্রী নয়, তিনি তার শালিকা!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৌহিদ আফ্রিদির এক ঘনিষ্ট বন্ধু গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আফ্রিদির বিয়ের খবরে আমি খুবই খুশি হয়েছি। আমার সঙ্গে আফ্রিদির কথা হয়েছে। ব্যস্ততার কারণে আমি বিয়েতে যেতে পারিনি। তবে আমি আমার বন্ধুকে শুভকামনা জানিয়েছি। বলেছি, তোর জীবনটা সুন্দর হোক। ভালো থাকিস।’ কথায় কথায় তৌহিদ আফ্রিদির ওই বন্ধু জানান, এখন পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নিলেও সুবিধাজনক সময় দেখে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। কাবিনের অনুষ্ঠানে দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
কবে কাবিন হয়েছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে আফ্রিদির বন্ধু বলেন, ‘সবকিছু আমার বলে দেওয়াটা আসলে ঠিক হবে না। বিয়ের বিষয়ে বিস্তারিত আফ্রিদি তার সময়মতো সবাইকে জানাবে।’
এদিকে কয়েক দিন ধরে আবার ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির সঙ্গে মডেল ও চিত্রনায়িকা দীঘির প্রেমের সম্পর্ক চাউর হচ্ছিল। এ নিয়ে দীঘিও তার অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। এর মধ্যে গতকাল সকাল থেকে শোনা যাচ্ছিল, বিয়ে করেছেন তৌহিদ আফ্রিদি! তবে দীঘিকে নয়, অন্য কেউ। তবে আফ্রিদি বিয়ে নিয়ে কোনো কথা বলেননি। এমনকি তার কাছের কেউই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো ছবি পোস্ট করেননি।
রিসার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা শোনা গেলেও অবশ্য তা বিয়ের আগ পর্যন্ত স্বীকার করেননি আফ্রিদি। এ ব্যাপারে গতকাল আফ্রিদির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও উত্তর পাওয়া যায়নি।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকা যেন বাংলাদেশ ও ফরাসি সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দু। চিত্রকলা, নাটক ও সিনেমা প্রদর্শনী ছাড়াও দুই দেশের মেলবন্ধন ঘটে নানামাত্রিক সংগীতায়োজনের মাধ্যমে।
সেই ধারাবাহিকতায় এবার পিয়ানো বাজিয়ে শোনাবেন ফরাসি সংগীতশিল্পী কিম বারবিয়ের। আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার গণমাধ্যম মুখপাত্র মামুন অর রশিদ জানান, আজ (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় তাদের ক্যাফেতে বসবে এই পিয়ানোর আসর। যেটা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকছে।
প্যারিসে জন্ম হলেও কিম বারবিয়ের বেড়ে উঠেছেন ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলে আর আফ্রিকায়, পরবর্তীকালে শিক্ষাগ্রহণ করেছেন লন্ডনে।
লন্ডনে তার শিক্ষাগ্রহণ মারিয়া কারসিওর সঙ্গে (যিনি ছিলেন আর্থার স্নাবেলের একজন ছাত্রী), আরও সঙ্গ পেয়েছেন লিও ফ্রেইশের, গিওর্গি করতাগ, ফেরেঙ্ক রাদোস এবং প্যারিসের সিএনএসএম-এর পিয়েরে-লোহন্দ এইমান্দ ও নিকোলাস অ্যাঞ্জেলিসের।
কিম বারবিয়ের ইতোমধ্যে বিভিন্ন অর্কেস্ট্রার সঙ্গে বিশ্ববিখ্যাত সব ভেন্যুতে তার একক পরিবেশনার জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বার্লিনের ফিলহার্মোনিতে বার্লিন সিম্ফোনি অর্কেস্ট্রা এবং কনজারথাউস অর্কেস্ট্রা, স্পেনের ভ্যালেন্সিয়ায় পেলেউ দ্য লা মুসিকাতে ভ্যালেন্সিয়া অর্কেস্ট্রা।
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকা কর্তৃপক্ষ মনে করে, কিমের এবারের পরিবেশনা বহুমুখী সুরের মূর্ছনায় জোরালো ও সূক্ষ্ম বৈপরীত্যে আলো ও আঁধারির মাঝের ব্যবধান মূর্ত করে তুলবে শ্রোতাদের সামনে।
ঈদ ছাড়া বড় বাজেটের ছবি মুক্তি পায় না এমন মিথ ভাঙতে আগামীকাল (১৫ নভেম্বর) মুক্তি পাচ্ছে দেশের শীর্ষ নায়ক শাকিব খানের ছবি ‘দরদ’। মুক্তির দুদিন আগে থেকেই ছাড়া হয়েছে ছবিটির অগ্রিম টিকেট।
রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনে এখনো সিনেমার বাজারে স্থবির অবস্থা বিরাজ করছে। এমন সময়ে বড় বাজেটে ‘দরদ’ মুক্তির সিদ্ধান্তকে সাহসী সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন স্টার সিনেপ্লেক্স কতৃপক্ষ। তারা জানান, ‘দরদ’-এর অগ্রিম টিকিট বিক্রি অনেক ভালো। এ কারণে দৈনিক ২২টি শো থাকলেও এখন আরও চারটি শো বাড়ানো হয়েছে। সীমান্ত সম্ভারে দুটি শো এবং বসুন্ধরা শাখায় দুটি শো বাড়ানো হয়েছে! রেসপন্স ভালো হলে শো আরও বাড়বে। ‘দরদ’ হিট হওয়া দরকার, তাহলে আরও ছবি আসবে।
সিনেপ্লেক্সের পাশাপাশি কেরানীগঞ্জের লায়ন সিনেমাস, নারায়ণগঞ্জের সিনেস্কোপেও ছাড়া হয়েছে অগ্রিম টিকিট। তারা জানান, ওপেনিং ডে’র রেসপন্স সন্তোষজনক। বিষয়টি ফেসবুকে পোস্টেও জানায় কর্তৃপক্ষ। সিনেস্কোপ বলছে, ঈদ ছাড়া অগ্রিম টিকিটে এতো রেসপন্স আশাই ছিল না।
স্টার সিনেপ্লেক্সের ওয়েব সাইটে গিয়ে দেখা গেছে, ‘দরদ’ মুক্তির প্রথম দিনের টিকেটের বেশীর ভাগ বিক্রি হয়ে গেছে। বিশেষ করে বিকেল এবং সন্ধ্যার শো’য়ের বসুন্ধরা শাখার সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে! তবে সকাল ও দুপুরের টিকিট ৬০ শতাংশের মতো বিক্রি হয়েছে।
ছবিটি পরিচালনা করছেন অনন্য মামুন। বাংলাদেশের পাশাপাশি একযোগে আরও ২২টি দেশে মুক্তি পাচ্ছে ‘দরদ’। তিনি বলেন, দেশে ৮৩ হলে মুক্তি দেয়া হচ্ছে ‘দরদ’। সেই সঙ্গে বিশ্বের ২২টি দেশে একযোগে মুক্তি পাচ্ছে। আমার আত্মবিশ্বাস আছে দর্শক ‘দরদ’ দেখলে খারাপ বলতে পারবেন না।
সম্প্রতি ‘দরদ’-এর গান ও ট্রেলার প্রকাশিত হয়েছে, যা অনলাইনে সিনেপ্রেমীদের মুগ্ধ করে। এ কারণে অধিকাংশ দর্শকই ‘দরদ’ দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। রোম্যান্টিক থ্রিলার ধাঁচের ছবি ‘দরদ’-এ শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাল চৌহান। এছাড়াও রয়েছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পায়েল সরকার, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, রাজেশ শর্মা, রাহুল দেব ও বাংলাদেশের এলিনা শাম্মী, ইমতু রাতিশ, রিও, সাফা মারওয়া, আমির সিরাজী েএবং জেসিয়া ইসলাম (অতিথি শিল্পী)।
হলিউডের সাড়া জাগানো সিনেমা ‘গ্ল্যাডিয়েটর’-এর স্মৃতি সিনেমাপ্রেমীদের মনে জ্বলজ্বল করছে এখনো। মহাকাব্যিক গল্পের এই সিনেমার কথা ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। ২০০০ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি যেমন বক্স অফিসে সাফল্য পেয়েছিল, তেমনি অর্জন করেছে তুমুল প্রশংসা আর মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার।
৪৬০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করে ছবিটি। অস্কারে ১২টি মনোনয়ন পায় এবং সেরা চলচ্চিত্রসহ পাঁচটি অস্কার জয় করে। দুই যুগ পর পর্দায় আসছে এই সিনেমার দ্বিতীয় কিস্তি ‘গ্ল্যাডিয়েটর ২’, এ কথা এরইমধ্যে অনেকেই জেনে গেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ছবিটি আগামী ২২ নভেম্বর নিজ দেশে মুক্তি পাবে।
বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য চমকপ্রদ খবর হলো, যুক্তরাষ্ট্রের আগে তারা ছবিটি দেখার সুযোগ পাবেন। বাংলাদেশের মাল্টিপ্লেক্সে ছবিটি মুক্তি পাবে ১৫ নভেম্বর!
অ্যাকশন আর আবেগের মিশেলে নির্মিত ‘গ্ল্যাডিয়েটর’কে এই শতকের অন্যতম সেরা সিনেমার একটি মনে করা হয়। ২৪ বছর পর আসছে সেই ছবির সিক্যুয়েল ‘গ্ল্যাডিয়েটর ২’। প্রথম কিস্তিতে রাসেল ক্রো, জোয়াকিন ফিনিক্সের মতো অভিনেতাদের দেখা গিয়েছিল। এবার প্রধান চরিত্রে পরিচালক রিডলি স্কট আস্থা রেখেছেন এ সময়ের আলোচিত ব্রিটিশ অভিনেতা পল মেসক্যালের ওপর। এ ছাড়া আছেন পেড্রো প্যাসক্যাল, ডেনজেল ওয়াশিংটনের মতো অভিনয়শিল্পীরা।
মেসক্যাল অভিনয় করেছেন ‘লুসিয়াস ভেরাস’ চরিত্রে। এই ভেরাস হলেন লুসিলার ছেলে ও কমোডাসের ভাগনে। ছবির গল্প ভেরাসকে নিয়েই। ১৫ বছর লাপাত্তা থাকার পর সে হাজির হয়, জড়িয়ে যায় গ্ল্যাডিয়েটরিয়াল লড়াইয়ের নৃশংস জগতে।
এ বছরের ৯ জুলাই এর ট্রেলার প্রকাশিত হয়েছে। তিন মিনিটের ট্রেলারে রোমান সাম্রাজ্যের সময়কে সিনেমাটিক কায়দায় উপস্থাপন করা হয়েছে। রোমের কলোসিয়ামে জলযুদ্ধ ও হাজার হাজার দর্শনার্থীর সামনে গন্ডারের সঙ্গে লড়াই করতে দেখা গেছে ব্রিটিশ অভিনেতা পল মেসকালকে। সেই সঙ্গে গ্ল্যাডিয়েটরের পুরনো ইতিহাসও নতুন আঙ্গিকে সামনে আসার ইঙ্গিত দেখা গেছে। প্রকাশ্যে আসার মাত্র এক দিনেই ট্রেলারের ভিউ ছাড়িয়েছে এক কোটি ১৬ লাখ।
গত ২৪ বছর ‘গ্ল্যাডিয়েটর’-এর সিকুয়েল নিয়ে বেশ কয়েকবার আলাপ শোনা গেছে। তবে ‘গ্ল্যাডিয়েটর ২’-এর বিষয়টি নিশ্চিত হয় বছর তিনেক আগে। গত বছরের জানুয়ারিতে জানা যায়, প্রধান চরিত্রে দেখা যাবে পল মেসক্যালকে। তরুণ এই অভিনেতা বিবিসি ও হুলুর মিনি সিরিজ ‘নরমাল পিপল’ দিয়ে পরিচিতি পান তিনি। সে সময় তাকে এমন বড় বাজেটের সিনেমায় নেওয়ায় অবাক হয়েছিলেন অনেকেই।
তবে ট্রেলারে তার পারফরম্যান্স দেখে অনেকেই বলতে বাধ্য হয়েছেন যে নির্মাতার পছন্দ ভুল হয়নি। গত বছরের মে মাসে ছবিটির শুটিং শুরু হয় মরক্কোয়। এ ছাড়া ছবিটির শুটিং হয়েছে মালটা ও যুক্তরাজ্যে। ৩১০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত ছবিটির সাফল্য কি আগের ছবিকে ছাড়িয়ে যাবে! সেটা দেখার জন্যই এখন অপেক্ষা সবার।