শোকের শহরে বীরের প্রত্যাবর্তন



ড. মাহফুজ পারভেজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা২৪.কম
আইয়ুব বাচ্চু, ছবি: সংগৃহীত

আইয়ুব বাচ্চু, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম থেকে: শনিবার (২০ অক্টোবর) চট্টগ্রামের অন্য নাম ‘শোকের শহর’। শেষ বারের মতো প্রিয় শহরে ফিরে আসেন এই সবুজ শহরের প্রিয়তম সন্তান। বীরের শোকাবহ প্রত্যাবর্তনের অভিঘাতে অতলান্ত বেদনা-মথিত শহরের প্রতিটি নাগরিক। শোকে মূহ্যমান প্রকৃতি ও পরিবেশ।

২০ অক্টোবর দিনটি সত্যিই তীব্র বেদনার। হাজার বছরের ঐতিহ্যময় জনপদ চট্টগ্রামের ইতিহাসে অমোচনীয় ব্যাথার কালো কালিতে লিপিবদ্ধ দিনটি। শোকের চাদর হয়ে শহর চট্টগ্রামে এমন দিন অনেকদিন আর আসেনি। বিশ্বজয়ী বীরের শোক জাগানিয়া এমন প্রত্যাবর্তনের কথা কেউ কল্পনা করেনি কখনোই। ব্যথিত জনসমুদ্রে শোক-উত্তাল দিনটি প্রিয়জন হারানোর বিচ্ছেদের ইতিকাহিনীর মতো এক ট্র্যাজিক উপাখ্যান যেন।

নগরের পথে পথে পুঞ্জিভূত মানুষের বুকভরা হাহাকার মাখানো এই দিনে দক্ষিণের সমুদ্রস্পর্শী-পতেঙ্গা থেকে ভেসে আসে দুখী মেঘের দল। সকাল থেকেই চট্টগ্রামের আকাশ মনভার-করা ব্যাথায় কাতর। ঝরঝরে হেমন্তের রোদমাখা দিনটিও ম্লান আর বিদীর্ণ হলো কফিনবাহী বিমানের আগমনে। তিনি এলেন তার প্রিয়তম শহরে শেষশয্যা গ্রহণের চির-অবকাশে। শোকস্তব্ধ পুরো শহর ভেঙে পড়লো বীর নায়কের প্রত্যাবর্তনের প্রতীক্ষায়। শোকমগ্ন বরণের ঢালি নিয়ে অপেক্ষমাণ জনতার রোদন যেন বাতাসকে ভারি করেছে অনেকটাই।

আদি চট্টগ্রামের হৃৎপিণ্ডর কাছে অবস্থিত পুরনো মহল্লা এনায়েত বাজারের রবিন নামের ছেলেটি সুর আর সঙ্গীতের ইন্দ্রজালে ভুবন বিজয় করে ফিরে আসছেন। তিনি আসছেন আর কখনোই না ফিরে যাবার প্রত্যয়ে। রবিন থেকে বাংলাদেশের আধুনিক রক গানের আইকনে পরিণত আইয়ুব বাচ্চু জন্ম নিয়েছেন এই শহরে; বার বার ফিরেও এসেছেন। আজ তিনি এলেন না ফেরার গান হয়ে।

তিনি এলেন তার প্রিয় শহরে; শহরের বনানী ও পাহাড়ের আচ্ছাদনে ঘেরা শ্যামলিম ভূগোলে। নদী কর্ণফূলী আর বঙ্গোপসাগরের ক্লান্তিবিহীন ঢেউয়ের কাছে। বাইশ মহল্লার কবরগাহের সারি সারি নিদ্রামগ্ন মানুষের মিছিলের ঠিকানায়; মায়ের শেষশয্যা পাশে।

কালো ব্যাজ আর পুষ্পিত স্তবক হাতে অগণিত ভক্তের গন্তব্য প্রিয় শিল্পীর সাণ্নিধ্যে এগিয়ে চলে দিনময়। এনায়েত বাজার, নানাবাড়ি, জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের দিকে তাদের গন্তব্য। জীবিত আইয়ুব বাচ্চুর মতোই প্রাণহীন আইযুব বাচ্চুকে অনুসরণ করছে মানবস্রোত। জীবনে বা মরণে মানুষের হৃদয়েই যেন চির ঠিকানা এই চিরায়ত শিল্পীর। সজিব আর প্রাণবন্ত তিনি জনরবের শিহরণে। জীবনে আর মরণেও সমান লোকপ্রিয়।

শহর ছাড়িয়ে উপশহর আর শহরতলী থেকেও দলে দলে আসছে তরুণ-তরুণী, ভক্ত-শ্রোতার দল। বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলো থেকে দলবদ্ধ হয়ে এসেছে বহুজন। ষোলশহর, নাসিরাবাদ, জিইসি মোড় পেরিয়ে দামপাড়া ওয়াশার মোড় থেকে জামিয়াতুল ফালাহ ময়দানে দেখা যাচ্ছে উপচানো ভিড়। পুরো চট্টগ্রাম শহরের এক ও অভিন্ন গন্তব্যের নাম আজ আইয়ুব বাচ্চু।

কেন এতোটা গভীরভাবে মানুষকে টেনে নিতে পারলেন তিনি? কি ছিল তার জাদু? দৃশ্যত উচ্চকণ্ঠ ও সুতীব্র যন্ত্রের আড়ালে রক অ্যান্ড রোল গানের মধুময়তা সচরাচর ধরা পরে না। মনে হয় প্রচণ্ড শব্দ নিনাদে হারিয়েছে সুর ও সঙ্গীতের সুষমা। আসলেই কি তাই? মোটেও নয়। তিনি তার গানে স্পর্শ করেছিলেন শাশ্বত মানব হৃদয়। পৌঁছে গিয়েছিলেন আনন্দ-বেদনা-আধ্যাত্মিকতার বাহন হয়ে মানবাত্মার চৌকাঠে।

‘আমার বহু বহু বিষণ্ন দিন আর রাত্রিগুলো কেটেছে তার গানের সঙ্গে। যখন মন ভালো না লাগে, বিষণ্নতার অন্ধ-অন্ধকার চেপে ধরে, তখন তার গান আলো ও হাওয়ার সন্ধান দেয়। প্রাণের ঊষর ভূমিতে জীবনের পরশ দিয়ে যায়’, লালখান বাজার মোড়ে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বললেন সাবিহা সানজিদা। তার ছলছল চোখ তাকিয়ে আছে অদূরের ঈদগাহ ময়দানে। জনস্রোত যেখানে শেষ আলিঙ্গন করছে প্রিয় শিল্পীকে।

সাবিহার সঙ্গে এসেছে অপূর্ব শামস। বাহুতে কালো কাপড়ের শোকচিহ্ন। হাতে তার একগুচ্ছ পুষ্পাঞ্জলী। ‘বাইরে থেকে আইয়ুব বাচ্চুর গান পুরোটা বোঝা যাবে না। তার গানের অনেক ভেতরে গেলে শুনতে পাই আমারই কথা। আমরা রাগ-ক্ষোভ-হতাশা-পাওয়া-না-পাওয়ার কথাগুলোই তিনি ব্যক্ত করেছেন। আমি আমার চেতনা ও আবেগের অব্যক্ত কথাগুলো বলার ভাষা পাই তার গানে’, জানালেন এই তরুণ।

সাবিহা বা শামসের মতো শত সহস্র তরুণের দখলে আজ চট্টগ্রামের পথগুলো। এভিনিউগুলো ভেসে যাচ্ছে তারুণ্যের পদভাবে। খানিক এগিয়ে ইস্পাহিন মোড়ে দেখা মেলে অভিন্ন জনস্রোত। একজন কফিনবন্দি মানুষ তার শারীরিক উপস্থিতির মতোই টেনে নিচ্ছেন জন মানুষের আগ্রহ ও হৃদয়ের অনেকটুকু। এমন মানবজনম অনেকেরই হয় না। আইয়ুব বাচ্চুর হয়েছে। ভালোবাসার আস্ত একটি সমুদ্র মানুষের মধ্যে ঢেলে দিয়ে মানুষের কাছ থেকে তিনি প্রতিদানে ফেরত পেয়েছেন ভালোবাসার অখণ্ড এক মহাসমুদ্র।

জানাজা শেষে চিরঘুমে তিনি চলে যাবেন মাটির সুগভীর বুকে। তার গান থেকে যাবে জাগ্রত বাংলাদেশে। বাংলা ও বাঙালির চিরকালীন সুরের আকাশে ধ্রুবতারা হয়ে তিনি রইবেন। ঢাকায়, চট্টগ্রামে, ফরেস্টহিলে, সমুদ্র উপকূলে, ক্যাম্পাসে ক্যম্পাসে একটি অদেখা পাখির গানে ও সুরে কল্লোলিত হবেন আইয়ুব বাচ্চু। মৃত্যু নামের বিদায় ও বিচ্ছেদকে অতিক্রম করে ছন্দ ও তানের ঝঙ্কারে তিনি বেঁচে থাকবেন আমাদেরই মাঝে।

প্রিয় আইয়ুব বাচ্চু, বাংলাদেশের এবি, আমাদের চট্টগ্রামের রবিন, সবাইকে কাঁদিয়ে ঠিকই উড়াল দিলেন আকাশে, সুরের চিরন্তন পাখি হয়ে।

   

কানে গিয়ে আন্তর্জাতিক সিনেমায় সুযোগ পেলেন ভাবনা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা /  ছবি : ফেসবুক

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ `কান চলচ্চিত্র উৎসব'-এ প্রথমবার অংশ নিয়ে বর্তমানে বেশ আলোচনায় রয়েছেন অভিনেত্রী ভাবনা। নিত্য নতুন পোশাক পরে ছবি দিচ্ছেন, তা নিয়ে মেতে উঠছে নেটিজেনরা।

তবে ভাবনার এবারের কানযাত্রা শুধুমাত্র ফ্যাশনের মধ্যেই আটকে নেই। বিশ্ব চলচ্চিত্রে নিজেকে দেখতে চান, এমন ইচ্ছা থেকেই নিজ উদ্যোগে তার এই উৎসবে যাওয়া। এমন দারুণ একটি জায়গায় গিয়ে তিনি ঘোষণা দিলেন নিজের ৭ম সিনেমার।

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা /  ছবি : ফেসবুক

মালয়েশিয়া বংশোদ্ভূত বাংলাদেশি নির্মাতা  জাফর ফিরোজের ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ছবির নাম ‘জেনুবিয়া’।

পরিচালক জাফর ফিরোজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক সম্পন্ন করে ১২ বছর আগে মালয়েশিয়া যান। বর্তমানে সেখানে পিএইচডি করছেন। এর আগে ‘রিবর্ণ’ নামের একটি চায়নিজ চলচ্চিত্রের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। এবারই প্রথম ভাবনাকে মূল চরিত্রে রেখে পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন ফিরোজ। ছবিটি বাংলা, ইংরেজি ও চায়নিজ ভাষায় তৈরি এবং মুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে।

আর এই ছবির নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে আছেন কিয়াও লি, যিনি একজন ব্রিটিশ চায়নিজ প্রযোজক। একই সঙ্গে তিনি ইউনেসকো ফিল্ম সিটির সঙ্গেও যুক্ত আছেন।

‘জেনুবিয়া’ ছবির প্রথম পোস্টার

কান থেকে ভাবনা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘‘অভিনয়শিল্পী হিসেবে আমার চাওয়া থাকে প্রতিনিয়ত নিজেকে নতুন চরিত্রে দেখার। ‘জেনুবিয়া’র চরিত্রটি ঠিক তেমনি, যা নিয়ে গর্ব করা যায়। এখনই বিস্তারিত বলতে পারছি না। কিন্তুগল্পটা শোনার পর মনে হয়েছে, সত্যি অসাধারন। যেদিন ছবিটা সবাই দেখবেন সেদিন বুঝতে পারবেন আমি কেন এই কথাগুলো বললাম।’

প্রথমবার একা কানে যাওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে ভাবনা বলেন, ‘আমি একা এসেছি বলে প্রথমদিকে বেশ নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু আস্তে আস্তে ভয়কে জয় করতে শিখেছি। আমার সঙ্গে কান উৎসবে আসার পর যা কিছু ঘটছে, সবই কল্পনাতীত।’

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা /  ছবি : ফেসবুক

‘জেনুবিয়া’ ছবিটি নিয়ে নির্মাতা গণমাধ্যমকে বললেন, ‘‘এ বছরের নভেম্বরে মালয়েশিয়াতে আমরা একটি চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করছি। তারই মার্কেটিংয়ের জন্য কান উৎসবে যাই। শুনলাম, বাংলাদেশ থেকে ভাবনা এসেছেন সেখানে। তার সঙ্গে যোগাযোগ করে গল্প শোনাই। তিনি রাজি হয়ে যান। আমরাও সিদ্ধান্ত নিলাম একসঙ্গে কাজটি করবো। আগামী তিন মাসের মধ্যে ছবির কাজ শুরু করতে চাই। পুরো শুটিং মালয়েশিয়াতেই হবে। অন্যান্য অভিনয়শিল্পীও এরমধ্যে চূড়ান্ত করা হবে।’

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা /  ছবি : ফেসবুক

ভাবনাকে কাস্ট করা নিয়ে নির্মাতা বলেন, ‘কানে দেখা হয়েছে বলেই হুট করে তাকে সাইন করানো হয়নি। গল্পের সঙ্গে মানানসই এমন কয়েকজন আমাদের তালিকায় ছিলেন। তারমধ্যে ভাবনাও একজন। যখন শুনলাম ভাবনা কান উৎসবে আসছেন, তখন ভাবলাম, হোয়াই নট তার সঙ্গে বসি। এরপর তো ব্যাটে বলে মিলেই গেল! আমার ছবিতে চরিত্রটি যেভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, তাতে ভাবনার সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, তিনি খুব সুন্দরভাবে তা উপস্থাপন করতে পারবেন। তার আত্মবিশ্বাসও আমাদের অনেক বেশি আশ্বস্ত করেছে।’

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা /  ছবি : ফেসবুক
;

বেবি বাম্প আগলে দীপিকা, রণবীরের হাত ধরা মুহূর্ত ভাইরাল



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বেবি বাম্প আগলে দীপিকা, রণবীরের হাত ধরা মুহূর্ত ভাইরাল

বেবি বাম্প আগলে দীপিকা, রণবীরের হাত ধরা মুহূর্ত ভাইরাল

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারেত লোকসভা নির্বাচন চলছে। মহারাষ্ট্রে পঞ্চম দফা নির্বাচনে, বলিউডের অনেক তারকা তাদের ভোটকেন্দ্রে গেছেন ভোট দিতে।


ভোট দেওয়ার প্রমাণ হিসাবে তাদের হাতের কালিও তুলে ধরেছেন। তাদের মধ্যে ছিলেন নতুন মা-বাবা দীপিকা পাডুকোন এবং রণবীর সিংও। এসময় হবু মায়ের বেবি বাম্প দেখা গেছে ।


দীপিকা এবং রণবীর ভোটকেন্দ্রে যাওয়া মন কেড়েছে ভক্তদের। তাদের একসঙ্গে হেঁটে যেতে দেখে মুগ্ধ সবাই।

রণবীর, সব পরিস্থিতিতে দীপিকার হাত ধরে আগলে রাখেন। তিনি তাঁকে বুথেও নিয়ে যান। ভোট দিতে যাওয়ার সময় দু’জনেই সাদা শার্ট এবং নীল রঙের ডেনিম পরেন।

এখানেই দীপিকার প্রথমবার বেবি বাম্প দেখা গেল। ক্যামেরার সামনে হাসতে হাসতে তাদের পোজ দিতেও দেখা যায়।

;

সব গান সুপারহিট হতে হয় না: কনা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
দিলশাদ নাহার কনা /  ছবি : ফেসবুক

দিলশাদ নাহার কনা / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র, অডিও, জিঙ্গেল এবং ভয়েস ওভার ইন্ডাস্ট্রিতে দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন দিলশাদ নাহার কনা। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারসহ নানা সম্মাননা। তার ঝুলিতে তথাকথিত সুপারহিট গানের সংখ্যাও কম নয়। দুই-তিন ঘণ্টার স্টেজ শো আরামসে নিজের গান গেয়ে মাতিয়ে রাখতে পারেন এই শিল্পী। মা দিবসে এসেছে তার নতুন গান। সমসাময়িক বিষয়ে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিদ রণ


কেমন আছেন?


আলহামদুলিল্লাহ বলতেই হবে। সবমিলিয়ে সৃষ্টিকর্তা ভালো রেখেছেন। এই তো বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম বিদেশে। দারুণ সময় কাটিয়েছি। দেশে ফিরে কক্সবাজারে একটি শো করতে গিয়েছিলাম। আসার পথে শরীরটা খারাপ হতে শুরু করে। এরপর বেশ কদিন ধরে শরীরটা একটু খারাপ। শিল্পীদের কণ্ঠ বসে গেলে তো মুশকিল। তারমধ্যেও বেশ কয়েকটি গানে কণ্ঠ দিতে হয়েছে।

দিলশাদ নাহার কনা /  ছবি : ফেসবুক

মা দিবসে ‘মা’ শিরোনামের একটি গান প্রকাশ করেছেন। সেটি নিয়ে জানতে চাই...


কদিন আগে চলে যাওয়া বিশ্ব মা দিবসে এই গানটির একটি মিউজিক ভিডিও কনা তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেছি। ‘আমি বুড়ো হয়ে গেলেও / মা’র কোলে গিয়ে শোবো / মা কপালে রাখবে হাত / সব ক্লান্তিগুলো ধোবো...’- এমন কথার গানটির গীতিকার ও সুরকার কিংবদন্তিতূল্য প্রিন্স মাহমুদ।


এই গানটিরতে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?


একজন শিল্পীর গাওয়া সব গান সুপারহিট হতে হয় না। সব গান শ্রোতার মুখে মুখে থাকবে সেটাও আমি মনে করি না। একজন শিল্পী তার রূচি অনুযায়ি এমন কিছু গানও করবেন যা বিশেষ শ্রেণীর শ্রোতার জন্য, আবার এমন গানও করবেন যা সবাই সমানতালে শুনবে। এমনও গান গাইতে হবে যা একজন শ্রোতা তার বিশেষ অনুভূতির সময় সঙ্গী হিসেবে নেবে। তেমনি একটি গান ‘মা’। যারা গানটি শুনেছেন তারা তাদের ভালোলাগার কথা আমাকে জানিয়েছেন। তবে এটি এমন গান নয় যে অলিতে গলিতে বাজবে। এ ধরনের গান শ্রোতার একান্ত অনুভূতির সঙ্গী হবে বলেই আমার বিশ্বাস।

দিলশাদ নাহার কনা /  ছবি : ফেসবুক

প্রতিটি গান তৈরীর নেপথ্যে দারুণ সব গল্প থাকে। এই গানের পেছনে তেমন কোন গল্প আছে?


এই গানটি আসলে দুই বছর আগে ইমরান (জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল) গেয়েছিলেন। শোনার পর আমার ভীষণ ভালোলাগে। সেকথা প্রিন্স মাহমুদ জানতে পেরে বলেন, তুইও একবার গাইতে পারিস গানটা। তার কথামতোই আমি গানটি গেয়েছি। এরপর তো এবারের মা দিবসে আমার ইউটিউব চ্যানেলে সেটি প্রকাশ করি।


সম্প্রতি একটি অ্যাওয়ার্ড পেলেন...


হ্যাঁ। সম্প্রতি ২০২২ সালের সেরা প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি প্রবর্তিত প্রথম পুরস্কারটি পেয়েছি। আমি খুব আনন্দিত, কারণ এটি এসেছে চলচ্চিত্রের পরিচালকদের বিবেচনায়। ‘অপারেশন সুন্দরবন’ সিনেমার ‘তার হাওয়াতে’ গানের জন্য এই অর্জন। গানটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

পরিচালক সমিতির অ্যাওয়ার্ড হাতে কনা /  ছবি : ফেসবুক

বর্তমানে ব্যস্ততা কি নিয়ে?


একাধিক পণ্যের জিঙ্গেল নিয়ে ব্যস্ততা যাচ্ছে। সম্প্রতি আপন জুয়েলার্সের বিজ্ঞাপনে কণ্ঠ দিয়েছি। আজ গাইবো ফ্যাশন হাউজ দেশাল-এর বিজ্ঞাপনচিত্রের জন্য একটি গান। দুটি বিজ্ঞাপনই দর্শক নন্দিত হবে বলে আমার ধারনা।

;

ডিপজলকে দায়িত্ব থেকে বিরত থাকার নির্দেশ হাইকোর্টের



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নিপুণ ও ডিপজল

নিপুণ ও ডিপজল

  • Font increase
  • Font Decrease

সাম্প্রতিক সময়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নিয়ে মিশা-ডিপজল প্যানেল ও নিপুণের মধ্যকার বিবাদে নতুন মোড় নিয়েছে।

নির্বাচনের এক মাস যেতে না যেতেই নতুন কমিটির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন নিপুণ। কেন তিনি এ কাজ করলেন এ নিয়ে তাকে মিশা-ডিপজল প্যানেলের একাধিক সদস্য কটাক্ষ করেছেন।

নিপুণও ছেড়ে কথা বলেননি। তিনি বরাবরই বলে এসেছেন যা হবে আইনের আওতায় হবে।

গত ১৯ এপ্রিল সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ভোট হয়। ২৩ এপ্রিল ঘোষিত ফলাফলে সভাপতি নির্বাচিত হন মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজল। ডিপজলের চেয়ে ১৭ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হন নিপুণ।

নিপুণ ও ডিপজল

তিনি এবারের নির্বাচনে অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন। এই অভিযোগে তিনি নির্বাচনী আপিল বোর্ডের কাছে আবেদন করেছিলেন। অবশেষে নিপুণের অভিযোগের দিকে আমল দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে (২০২৪-২৬) অনিয়মের অভিযোগ ঢাকার সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) কর্তৃপক্ষকে অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখতে অন্তর্র্বতীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রুলসহ এ আদেশ দেন।

;