বাঁধনের বিচার চাই!



রুদ্র হক, বার্তা ২৪.কম
কান উৎসবে হাস্যোজ্বল বাঁধন

কান উৎসবে হাস্যোজ্বল বাঁধন

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী বাঁধন। রূপে-গুণে অনন্যা এ অভিনেত্রী শুরু থেকেই জয় করে নিয়েছেন মানুষের মন। আজ (২৮ অক্টোবর) তার জন্মদিন। ১৯৮৩ সালের এই দিনে পৃথিবীতে মানব জন্ম ঘটে তার।

বাবা সরকারি চাকুরে ছিলেন। মেয়েকে পড়িয়েছিলেন চিকিৎসাশাস্ত্রে। কিন্তু ২০০৬ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টারের মাধ্যমে জীবনে নতুন বাঁকের সূচনা হয় তার। সে বছর একই মঞ্চ থেকে উঠে আসে মম, বিন্দু ও বাঁধনের মতো গুণী তিন তারকা। অন্যদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের বাঁধনও ছোটপর্দায় বাসা বাঁধেন। একের পর এক নাটকে অভিনয় করে দর্শক হৃদয় জয় করেন আপন সৌন্দর্য ও অভিনয়গুণে।

খণ্ড নাটক ও ধারাবাহিকে নিয়মিত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। বাঁধনের গ্ল্যামার ও অভিনয় দেখে সকলেরই প্রশ্ন ছিল বড়পর্দায় কবে দেখা দেবেন বাঁধন? সতীর্থ মম ও বিন্দু সে প্রশ্নের উত্তরের কিছুটা নম্বর পেলেও প্রায় চার বছর অপেক্ষা করিয়ে বাঁধন অভিনয় করলেন মুশফিকুর রহমান গুলজার পরিচালিত ‘নিঝুম অরণ্যে’ চলচ্চিত্রে। চ্যানেল আইর প্রযোজনায় সজলের বিপরীতে বাঁধনের বড়পর্দায় অভিষেক খুব একটা সাদরে গ্রহণ করেনি দর্শক।



প্রায় দশবছর বিরতির পর সেই বাঁধনই বড়পর্দায় আসছেন ১২ নভেম্বর ২০২১-এ। যে চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে বাঁধন ইতিমধ্যেই জয় করেছেন বিশ্ব আসরে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব কান। এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড এ সেরা অভিনেত্রীও মনোনীত হয়েছেন তিনি। ‘রেহানা মরিয়ম নূর’- যে চলচ্চিত্রটি ভক্তদের কাছে নতুন করে ফিরিয়ে দিয়েছে প্রিয় বাঁধনকে। আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ পরিচালিত চলচ্চিত্রটিতে অভিনয়ের জন্য ক্রমাগত নিজেকে বদলেছেন তিনি। দীর্ঘদিন নিজেকে প্রস্তুত করেছেন। ভেঙেছেন, গড়েছেন। তারপর হাজির হয়েছেন ক্যামেরার সামনে। নিজেকে ফিরে পেতে এত সময় কেন লাগলো বাঁধনের?

দাম্পত্য জীবনের উত্থান-পতনই কি দায়ী এ জন্য? ২০১০ সালে বড়পর্দায় অভিষেকের পাশাপাশি মাশরুর সিদ্দিকী সনেটের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন বাঁধন। সে বছরেরই ৮ সেপ্টেম্বর তাদের মেয়ে সায়রার জন্ম হয়। কিন্তু সম্পর্কটি নিয়ে স্বস্তিতে ছিলেন না বাঁধন। চার বছর না যেতেই ২০১৪ সালে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। শুধু বিচ্ছেদেই শেষ হয়ে যায়নি বাঁধনের দাম্পত্যের গল্প। সন্তানের অধিকারের লড়াইয়ে নামতে হয় তাকে। দীর্ঘ সংগ্রামের পর সন্তানের অভিবাবকত্ব পান বাঁধন। যা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। তবে, বিজয়ী হন বাঁধনই। আদালত ইতিহাস বদলে বাঁধনের পক্ষে রায় দেন।



ন্যায়বিচার আদায়ের বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে বাঁধন হয়ে উঠেছেন এক অনন্য নারী। যিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা পেতে নেননি কখনোই। শুধু অভিনয়েই নয়, সামাজিক কর্মকাণ্ডে, যে কোন অন্যায়ের প্রতিবাদে বাঁধনকে মুখর হতে দেখা গেছে আপন দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই। এই সম্প্রতি পরীমণিকাণ্ডে যখন মিডিয়ার চেনা বন্ধু, স্বজন এবং সুশীল অভিনয়শিল্পী ও নির্মাতারা মুখে কুলুপ এঁটে বসেছিলেন, তখনও বাঁধন একটানা প্রতিবাদ জানিয়ে গেছেন-একজন নারী ও সহকর্মীর প্রতি অন্যায়ের বিরুদ্ধে।

নিজের জীবন থেকেই শিখেছেন বাঁধন। কন্যা সায়রাকে নিয়ে একাই পথ চলছেন দীর্ঘদিন। অভিনয়েও পড়েছে বিরতি। দীর্ঘ বিরতির পর ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ নিয়ে বাঁধন যখন ফিরছেন তখন ৩৭ বসন্ত পেরিয়ে গেছে।



কান জয় করে বাঁধন পা ফেলেছেন বলিউডে। বিশাল ভরদ্বাজ এর ‘খুফিয়া’ চলচ্চিত্রে বাঁধন অভিনয় করছেন। তবে, কেন্দ্রিয় চরিত্রে নয়, চলচ্চিত্রটির কেন্দ্রিয় চরিত্রে অভিনয় করছেন বলিউড হিরোইন টাবু। চলচ্চিত্রটিতে বাংলাদেশের একটি তরুনীর চরিত্রে অভিনয় করছেন বাঁধন। যদিও চরিত্রটি নিয়ে এর আগে অভিনয়ে অনাপত্তি জানিয়ে বলিউডে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বিদ্যা সিনহা মীম ও মেহজাবিন। কারণ বাংলাদেশকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে চিত্রনাট্যে।

সে চলচ্চিত্রটিকেই বলিউড পদার্পনে বেছে নিলেন বাঁধন। কিন্তু কেন? এর উত্তর দেননি কোথাও এই অভিনেত্রী। চিত্রনাট্য কি বদলেছেন নির্মাতা? নাকি বাঁধনের পরবর্তী প্রজন্মের দুই তারকা অভিনেত্রী মীম ও মেহজাবিন চরিত্রটির ভারিক্কি বা চিত্রনাট্যকেই ভুল বুঝেছেন? সেসব প্রশ্নের উত্তর তাদের কাছ থেকেই খুঁজে নিতে বললেন, বাঁধন। যদি সত্যিই বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়ে থাকে চলচ্চিত্রে, নিজের বিবেকের আদালতে কি বিচার পাবেন বাঁধন?



কিন্তু কান উৎসবের গৌরব কিংবা অ্যাপসায় সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন নিয়ে বিশ্ব আসরে যখন আলোচিত হয়ে উঠছেন, তখন কেন এই তাড়াহুড়ো সিদ্ধান্ত তা সময়ই বলে দেবে। চরিত্র নির্বাচনে বাঁধন কি ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন? সৃজিতের নির্মাণে ওয়েব ফিল্ম ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’-তেও খুব একটা দর্শকের বাহবা পাননি তিনি। কান বিজয়ী বাঁধনের জন্য গুণী নির্মাতা সৃজিতের এ কেমন ব্যার্থতা?

তবু, প্রিয় বাঁধন ফিরেছেন স্বগৌরবে। নিজেকে ফিরে পেয়েছেন নতুন করে, জীবন সংগ্রামে জয়ী হয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু ক্যারিয়ারের এই পনেরো বছর বড়পর্দায় তার অনুপস্থিতির জন্য বঞ্চিত ভক্তরা এখন বলতেই পারেন- ‘বাঁধনের বিচার চাই’। সে বিচার বাঁধনের আপন আদালতেই হোক। জয়ার মতো বিজয়ী হয়ে বাঁধন দুই বাংলায় নিজের অবস্থান শক্ত করে নিক। দারুণ সব চরিত্র নিয়ে হাজির হোক দর্শকের মাঝে- এমনই প্রত্যাশাই সকলের।



শুভ জন্মদিন বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে আলোকিত করা বাঁধন! বার্তা ২৪.কমের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা নিরন্তর...

   

শাকিব খানের জন্য বার বার হোচট খাচ্ছেন পূজা চেরী!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পূজা চেরী (ইনসেটে : শাকিব খান) / ছবি : ফেসবুক

পূজা চেরী (ইনসেটে : শাকিব খান) / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সঙ্গে কোন নায়িকা সিনেমা করলে তার প্রত্যাশার জায়গাটি থাকে আকাশচুম্বি। গ্ল্যামার গার্ল পূজা চেরী বেশ অবাক করে দিয়েই শাকিব খানের নায়িকা হন ‘গলুই’ সিনেমায়। কারণ শাকিব খান আর তার বয়সের ব্যবধান অনেক বেশি।

তারপরও হয়তো পূজা স্বপ্ন দেখেছিলেন, ‘গলুই’ তার ক্যারিয়ারের আগের সব ছবিকে ছাড়িয়ে যাবে। তার আগামীর পথ হবে মসৃন। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। পূজার ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে হিট তার প্রথম সিনেমা ‘পোড়ামন ২’। ‘গলুই’ সিনেমাটি একেবারে ফ্লপ তা কিন্তু নয়। তবে এই ছবি তার ক্যারিয়ারে যতোটা ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে, এরচেয়ে ঢের নেতিবাচকতা এনে দিয়েছে।

পূজা চেরী / ছবি : ফেসবুক

এই ছবির সময় থেকেই শাকিব খানের সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায়। মূলত এই গুঞ্জনের পর থেকেই পূজার ক্লিন ইমেজ ব্যাহত হয়। পরবর্তীতে তা তার ক্যারিয়ারে ব্যাপকভাবে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে। মোটকথা, শাকিব খানের সঙ্গে তার নাম জড়ানোর পরই তাকে হোচট খেতে হয়।

সেই শাকিব খানের জন্য আবারও হোচট খেলেন পূজা। শাকিব খানের প্রযোজনায় ‘মায়া’ সিনেমায় নায়িকা হওয়ার কথা ছিল পূজার। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে, এই ছবিতে পূজাকে আর রাখা হচ্ছে না। তার জায়গায় শাকিব খানের সুপারহিট সিনেমা ‘প্রিয়তমা’র নায়িকা ইধিকা পালকে বেছে নেয়া হয়েছে। 

‘গলুই’ সিনেমায় শাকিব খান ও পূজা চেরী

এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন পূজা। তিনি বলেন, ‘আমরা আসলে গল্পটা দেখে অভিনয় করি। “মায়া”র গল্পও ভালো। তবে ব্যাটে-বলে মেলেনি। সামনে হয়তো হবে।’

তবে নায়িকার উত্তরে যে আসল ঘটনাটি উঠে আসেনি, কথা শুনেই বুঝে নিয়েছেন নেটিজেনরা!

পূজা চেরী / ছবি : ফেসবুক
;

আমরা আবেগপ্রবণ, তারা পেশাদার : পরীমনি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পরীমনি /  ছবি : ফেসবুক

পরীমনি / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি নানা ভূমিকায় দর্শকের মন জয় করেছেন। তিনি মডেল, অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী হিসেবে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।

এবার নতুন এক ভূমিকায় দেখা গেলো এই নায়িকাকে। ‘কোচ’ হিসেবে কাজ করলেন সম্প্রতি। না, কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা খেলার মাঠে কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেননি তিনি। পরী যেহেতু সিনেমার মানুষ, তাই সিনেমা জগতের মানুষের সামনেই কোচের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।

প্রথমবার কলকাতার ছবিতে কাজ করলেন পরীমনি। দেবরাজ সিনহা পরিচালিত ‘ফেলুবকশী’ নামে সেই সিনেমার শুটিং গত সোমবার শেষ করেছেন তিনি।

‘ফেলুবকশী’ সিনেমায় পরীমনির লুক /  ছবি : ফেসবুক

কাজটি করে দারুণ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন পরীমনি, ‘একটা সময় আমার মনেই হয়নি আমি অন্য পরিবেশে, অন্য দেশের শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করছি। পরিচালক থেকে শুরু করে সহশিল্পী সোহম দাদা, মধুমিতাসহ সবাইকে আমার দেশীয় সহশিল্পীদের মতোই মনে হয়েছে। কাজ, কাজের ফাঁকে আড্ডা, খুনসুটি-দারুণ সময় কেটেছে।’

পরী জানান, খুনসুটি করতে গিয়ে একে অপরকে পচিয়েছেনও তারা। বলেন, ‘‘আমি এসব বলে পুরো সেট হাসিয়েছি যে, তোমরা যখন সংলাপ দাও, উচ্চারণ ভুলভাল মনে হয়। বাংলাটা শুনতে কেমন যেন লাগে। দেখ, আমরা কত সুন্দর করে বাংলা উচ্চারণ করি। আমাদের দেশের বরিশালের প্রচলিত সংলাপ ‘ডাইলে লবণ দেছো, না দেবা?’ এই বলে ওখানকার এক সহশিল্পী আমাকেও পচিয়েছে। হা হা হা...।’’

পরীমনি /  ছবি : ফেসবুক

পরীমনি আরও বলেন, ‘‘ওখানকার অনেক মানুষের আদি বাড়ি বাংলাদেশের বরিশাল ও ফরিদপুরে। তাই আমি তাদের সামনে ভাষা শেখানোর কোচ-এর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েঠি। ওদের বরিশাইল্লা ভাষা শিখিয়েছি। যেমন, ‘ও মোনু, এম্মি আইয়ো’। শেখানোর পর যখন এই বাক্য ওদের মুখে শুনি, হাসতে হাসতে মরি।’’

কাজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে পরী বলেন, ‘যে কোনো নতুন ছবি, নতুন গল্প, নতুন চরিত্র, নতুন জায়গা, নতুন সহশিল্পী কিংবা নতুন পরিবেশে একধরনের আনন্দ নিয়েই কাজ শুরু হয়। তবে সেই কাজ ঠিকঠাক শেষ করতে পারলে আনন্দ আরও দ্বিগুণ হয়। নতুন জায়গা হলেও আমরা একই ভাষাভাষীর। শুধু মাঝখানে একটা কাঁটাতারের দেয়াল। ফলে পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সময় লাগেনি। প্রায় ১৪ দিন কাজ করলাম, পার্থক্য শুধু একটা জায়গায়, আমরা বেশি আবেগপ্রবণ, তারা বেশি পেশাদার।’

পরীমনি /  ছবি : ফেসবুক
;

গভীর রাতে কোন অভিনেতাকে হুমকি দিলেন তানজিন তিশা!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
তানজিন তিশা / ছবি : ফেসবুক

তানজিন তিশা / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

গেল বছর টেলিভিশনের অভিনেতা মুশফিক ফারহানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কারণে খবরে এসেছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা। এ নিয়ে জল কম ঘোলা হয়নি।

তবে শেষ কয়েক মাস বিষয়টি ছিল আলোচনার বাইরে। আবারও সেই গুঞ্জন নিজেই উসকে দিলেন তিশা!

নাটকের দৃশ্যে মুশফিক ফারহান ও তানজিন তিশা / ছবি : ফেসবুক

গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে হঠাৎ এক ফেসবুক স্টাটাস দেন তিশা। তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি যদি চাই আমাদের অঙ্গনের একজন ক্রিমিনালের গল্প শেয়ার করতে পারি। শুধু তা-ই নয়, আমার সেই সাহস যেমন আছে, তেমনি আমার কাছে যাবতীয় প্রমাণও আছে। মনে রাখবে, আমি তোমাকে সবার কাছ থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছি, তোমার খারাপ কাজ কাউকে জানতে দিইনি। একজন জনপ্রিয় অভিনেতা হওয়ার আগে সবচেয়ে জরুরি যে বিষয় তা হচ্ছে, একজন ভালো মানুষ হওয়া এবং বিশ্বস্ত মানুষ হওয়া।’

তানজিন তিশা / ছবি : ফেসবুক

পোস্টটি নিয়ে যখন আলোচনা শুরু হয়, তখন সেটি তিনি সরিয়ে নেন। আজ বুধবার সকাল থেকে তানজিন তিশার সেই পোস্টটি দেখা যাচ্ছে না। তবে সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিন শট ঠিকই ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তানজিন তিশার লেখায় পরিষ্কার, তিনি তার কোন সহশিল্পীর কথা বলেছেন, যার সঙ্গে তার সম্পর্কটা ব্যক্তিগত। নাটকসংশ্লিষ্ট কেউ কেউ বলছেন, তানজিন তিশা তার অভিনয়শিল্পী প্রেমিককে সবার সামনে ভয়ভীতি দেখাতে এমন পোস্ট গভীর রাতে দিয়েছেন। এরপর তাদের বোঝাপড়া হয়তো ঠিক হয়েছে, তাই পোস্ট সরিয়ে নিয়েছেন।

তানজিন তিশা / ছবি : ফেসবুক

এর আগেও একাধিকবার প্রেমের সম্পর্কের কারণেও খবরের শিরোনামে এসেছেন তানজিন তিশা। এর মধ্যে দেশের জনপ্রিয় গায়ক ও সংগীত পরিচালক হাবিব ওয়াহিদের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি ছিল ওপেন সিক্রেট। তিশা যখন অভিনয়ে ব্যস্ত হতে শুরু করলেন, তখন হাবিব ওয়াহিদের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করেন বলে সে সময় সংবাদ শিরোনাম হয়েছিল।

;

সালমানের বাড়িতে গুলি করা আসামি পুলিশি হেফাজতে আত্মহত্যা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সালমান খান /  ছবি : ফেসবুক

সালমান খান / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

বলিউড তারকা সালমান খানের বাড়িতে গুলি করার ঘটনায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে মারা গেছেন। অনুজ থাপন (৩২) নামের ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি মুম্বাই পুলিশের।

মুম্বাই পুলিশ আজ বুধবার জানায়, বিছানার চাদর দিয়ে শৌচাগারে গলায় ফাঁস নিয়েছিলেন অনুজ থাপন। সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু উল্লেখ করে এ ঘটনায় দক্ষিণ মুম্বাইয়ের আজাদ ময়দান থানায় প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

সালমান খান /  ছবি : ফেসবুক

গত ১৪ এপ্রিল মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় সালমান খানের বাড়ি গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্ট নিশানা করে একাধিক গুলির ঘটনা ঘটে। এরপর ভিকি গুপ্ত ও সাগর পাল নামে অভিযুক্ত দুই বন্দুকধারীকে গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। দুই বন্দুকধারীকে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে পাঞ্জাব থেকে অনুজ থাপন ও সোনু সুভাষ নামের আরও দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর থেকে তারা পুলিশি হেফাজতে ছিলেন।

মুম্বাইয়ের ক্রাইম ব্রাঞ্চ এর ধারণা এটি শুধুমাত্র ভয় দেখানো কোন হামলা নয়। এর পেছনে দেশবিরোধী সন্ত্রাসীদের হাত রয়েছে। তাদের ধারণা লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং-কে বাইরে থেকে অস্ত্র ও তহবিল দিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে। আর এই হামলা একটি দেশদ্রোহী পদক্ষেপ। বিষ্ণোই গ্যাং ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইতে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। এর মধ্যে সন্ত্রাস এবং চাঁদাবাজি মুখ্য।

সালমান খান /  ছবি : ফেসবুক

বর্তমানে মামলায় অভিযুক্ত শ্যুটারদের সরবরাহ করা অস্ত্রের উৎস সম্পর্কেও পুলিশ তদন্ত করছে। বিষ্ণোইয়ের অপরাধমূলক নেটওয়ার্কের পরিসরের প্রেক্ষিতে সন্দেহ করা হচ্ছে নানারকম সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ডই তাদের মূল উদ্দেশ্য। কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে যে গ্যাংটি বিদেশে থাকা দেশবিরোধী সহায়তা পেয়েছিল কিনা। বিশেষ করে অস্ত্র সরবরাহ এবং আর্থিক সমর্থন।

 

সালমানের বাড়িতে হামলার পরই ফেইসবুক পোস্টের মাধ্যমে দায় স্বীকার করেন আনমোল বিষ্ণোই। জেল হেফাজতে থাকা লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ছোটভাই সে। তদন্তের মাধ্যমে সন্দেহভাজন ভিকি গুপ্তা (২৪), সাগর পাল ( ২১) এবং অনুজ থাপান (৩২)-কে গ্রেফতার করা হয়। তাদের ৮ মে অবধি রিমান্ডে রাখা হবে। ভিকি আর সাগর আগে ধরা পড়ে। তারপরই একের পর এক তথ্য পাচ্ছে পুলিশ। পুলিশকে জানিয়েছেন, জেলবন্দী গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোই তাদের এ কাজের জন্য নিযুক্ত করেছিলেন।

সালমান খান /  ছবি : ফেসবুক

আনমোল চেয়েছিলেন ১৯৯৮ সালে যোধপুরের কাছে মথানিয়ার বাবড়ে কৃষ্ণকায় হরিণ শিকারের জন্য সালমানকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে। দুই অভিযুক্ত পুলিশকে জানিয়েছেন, সালমানকে শুধু ভয় দেখানোর কথা তাদের বলা হয়েছিল। এই অভিনেতাকে হত্যার নির্দেশ তাদের দেওয়া হয়নি। এই কাজে তাদের ১ লাখ টাকা অগ্রিমসহ মোট ৫ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এমনকি রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে যাওয়ার লোভও দেখানো হয় তাদের।

;