তারেক মাসুদের কাছে খোলা চিঠি



প্রসূন রহমান, অতিথি লেখক
তারেক মাসুদ

তারেক মাসুদ

  • Font increase
  • Font Decrease

নন্দিত নির্মাতা তারেক মাসুদের ৬৫তম জন্মদিন আজ (৬ ডিসেম্বর)। স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে তিনি ছিলেন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এক পথিকৃৎ। ‘মাটির ময়না’ (২০০২) তার প্রথম ফিচার চলচ্চিত্র যার জন্য তিনি ২০০২-এর কান চলচ্চিত্র উৎসবে ডিরেক্টরস ফোর্টনাইটসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন এবং এটি প্রথম বাংলাদেশি বাংলা চলচ্চিত্র হিসেবে সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র ক্যাটাগরিতে একাডেমি পুরস্কারের জন্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

তারেক মাসুদের পরিচালিত প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সোনার বেড়ি (১৯৮৫)এবং সর্বশেষ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র রানওয়ে (২০১০)। এছাড়াও তিনি নির্মাণ করেছেন আদম সুরত, অন্তর্জাত্রা, মুক্তির গান প্রভৃতি। চলচ্চিত্রে তাঁর অবদানের জন্য ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে ভূষিত করে। তাঁর দীর্ঘদিনের নির্মাণসঙ্গী ‘সুতপার ঠিকানা’খ্যাত নির্মাতা প্রসূন রহমান। সহযোগি হিসেবে কাজ করেছেন  ‘নরসুন্দর’, ‘রানওয়ে’সহ বেশকিছু চলচ্চিত্রে। সর্বশেষ  ‘কাগজের ফুল’ চলচ্চিত্রের গবেষণা কাজে তারেক মাসুদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট এ চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের লোকেশন দেখে ফেরার পথে মানিকগঞ্জে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঘটে তারেক মাসুদের।
জন্মদিনে প্রিয় নির্মাতার কাছে বার্তা ২৪.কমের মাধ্যমে প্রসূন রহমান লিখেছেন খোলা চিঠি।

তারেক মাসুদ ও প্রসূন রহমান




প্রিয় তারেক ভাই,

বেঁচে থাকতে আপনি জন্মদিন পালন করতেন না কখনো। কিন্তু আপনাকে হারিয়ে ফেলার পর এবছরই প্রথম আপনার জন্মদিন উপলক্ষে কোনো অনুষ্ঠান নেই। কোনো উদযাপন হচ্ছেনা কোথাও। বেঁচে থাকলে এবছর আপনার ৬৫ বছর পূর্ণ হতো। কেমন হতো আপনার জীবনভাবনা এই সময়ে?

আপনার কোনো ফেসবুক প্রোফাইল ছিল না তখন। এখন কী থাকতো? সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যাওয়া ফোনকলের রেকর্ড কী শোনা হতো আপনার? এসব শুনে আপনারও কী মনে হতো, ডিসেম্বরের বৃষ্টি কী বিষাদের মতো ছড়িয়ে পড়ছে সবখানে?

কিংবা নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের পথে নামা? গত ১১ মাসে সড়কে প্রাণ হারিয়েছে ৭৩৭ জন শিক্ষার্থী। শুধু নভেম্বরেই গাড়ির চাকায় পিষ্ট হযেছে ৫৪ জন ছাত্র। এই প্যান্ডেমিকের কালেও সড়ক দুঘর্টনায় এ বছর প্রাণ হারিয়েছে সব মিলিয়ে ৫ হাজারের উপরে। মিশুক ভাইসহ আপনাকেও সড়ক দুর্ঘটনাতেই হারিয়েছি। তাই দূর্ঘটনার খবর শুনলেই বুকটা কেঁপে ওঠে। যে নৈরাশ্যজনক অবস্থা থেকে ‘স্বাভাবিক মৃত্যূর গ্যারান্টি চাই’ এর মতো বিদ্রুপাত্মক শ্লোগান তৈরী হয়েছিল, সে নৈরাশ্যের ঘের এখনো কাটেনি।

ইলিয়াস কাঞ্চন একা একা বলতে বলতে হাঁপিয়ে গেছেন, তবু থামেননি। বড়দের কেউ আর এসব নিয়ে কথা বলেনা। এখন ছোটোরা বলার চেষ্টা করছে ২০১৮ সাল থেকে। কিন্তু ফিটনেসবিহীন গাড়ি আর লাইসেন্সবিহিন চালকের সংখ্যা একটুও কমছেনা।

ভাবছিলাম, বেঁচে থাকলে কী করতেন এই সময়টায়? কোন ছবি নির্মাণের কথা ভাবতেন? কোন বিষয়ে? কাদের জন্যে? কোথায়, কোন মাধ্যমে প্রদর্শিত হতো আপনার ছবি?

ওটিটি প্লাটফর্মগুলো কি ডাকতো আপনাকে? কীভাবে দেখতেন আপনি তাদের এই ‘ক্রাইম থ্রিলার’ নামের ক্রাইম নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি? কীভাবে নিতেন অপরাধ ও নৃশংসতাকে বিনোদনের মোড়কে পূণঃনির্মাণের নামে এই প্রযুক্তি নির্ভর সাংস্কৃতিক অনাচার?

প্রেক্ষাগৃহে আপনার সিনেমা মুক্তি পেতো না। তবু সিনেমা হল বাঁচানোর প্রয়োজনীয়তার কথা, মানুষের জীবনে সুস্থ বিনোদনের প্রয়োজনীয়তার কথা জানানোর চেষ্টা করেছেন অনেকভাবে।

২০১১ সালেও আপনি ২৫০টি হল ছিল দেখে গেছেন, এখন ঠিকভাবে ৫০টিও আর অবশিষ্ট নেই। কিন্তু সমিতি আছে অনেকগুলো।

আপনার নিকটতম বন্ধু ও সহকর্মীদের মধ্যে মোরশেদ ভাই হৃদযন্ত্রে বাইপাস সার্জারির ধকল কাটিয়ে উঠেছেন অনেকটাই। নতুন নির্মাণের কথা ভাবছেন নিশ্চয়ই। তানভির ভাই সক্রিয় আছেন ফিকশন-ননফিকশন দুই ধারাতেই। মুরাদ ভাই অসুস্থতা কাটিয়ে নতুন প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। আমরা বঞ্চিত হলাম আপনার নির্মাণ থেকে।

আপনার জেনে ভালো লাগবে, অনেক সৃজনশীল তরুণ প্রাণ আপনারই হেঁটে যাওয়া পথ ধরে এগিয়ে যাচ্ছে অনেকদুর। নিজেদের নির্মাণ নিয়ে অনেকেই পৌছে যাচ্ছে বিশ্ব দরবারের সম্মানজনক সব উৎসবে। সমীহ আদায় করছে নিজের দেশের জন্যে। দেশের হাতে গোণা কয়েকটি সিনেপ্লেক্সেও অন্যধারার ছবিগুলোই গুরুত্ব পাচ্ছে সবদিক থেকে।

আপনি বলতেন, একজন নির্মাতার পরিণত হয়ে উঠতে উঠতে যখন তার সবচাইতে সেরা কাজটি করবার সময় আসে ততদিনে তার বয়স হয়ে যায় ৫০। আর এই দেশে ৫০ পেরিয়ে যাওয়ার পরই শারীরিক সামর্থ্য ধীরে ধীরে কমে আসে আর দিন গুনতে হয় মৃত্যুর। কিন্তু আপনি তো ৫৪তেও পুর্ণোদ্যমে সক্রিয় ছিলেন, ছিলেন তারুণ্যে ভরপুর এক সতেজ প্রাণ। কালের দিনলিপিতে আপনাকে হারানো তাই দগদগে ক্ষত হয়ে রয়ে গেছে।

মিশুক ভাইকে নিয়ে ওপারে কেমন আছেন জানিনা। ওপারে কে কেমন থাকে, কারো পক্ষে জানা সম্ভব হযনি কখনো। তবুও প্রত্যাশা, আপনারা ভালো আছেন।

আমাদের প্রজন্মকে যখন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস প্রায় ভুলিয়ে দেয়া হয়েছিল, তখন হঠাৎই আপনি আর ক্যাথরিন হাজির হয়েছিলেন- ‘মুক্তির গান’ নিয়ে। আমাদের স্বাধীনতা ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের কালে আপনাকে আরেকবার সালাম জানাই। জন্মদিনের শুভেচ্ছা নেবেন।

ইতি,
আপনার স্নেহধন্য
প্রসূন রহমান
৬ ডিসেম্বর, ২০২১

   

`পিংক’খ্যাত অনিরুদ্ধর নতুন ছবিতেও জয়া



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জয়া আহসান /  ছবি : ফেসবুক

জয়া আহসান / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

বলিউডের আলোচিত ছবি ‘পিংক’ এর নির্মাতা অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর ‘কড়ক সিং’ দিয়ে গেল বছর বলিউডে পা রাখেন বাংলার জনপ্রিয় চিত্রতারকা জয়া আহসান। এই নির্মাতার পরের ছবিতেও দেখা যাবে জয়াকে। তবে ছবিটি নির্মিত হবে বাংলা ভাষায়।

অনিরুদ্ধ রায় কলকাতার নির্মাতা। বলিউডে বেশকিছু ছবি নির্মাণ করে নিজের অবস্থান পোক্ত করেছেন। বাংলা ভাষাতেও তার বেশকিছু আলোচিত ছবি রয়েছে। সর্বশেষ এই নির্মাতা বাংলা ভাষায় নির্মাণ করেছিলেন ‘বুনোহাঁস’।

জয়া আহসান /  ছবি : ফেসবুক

সেই ছবির প্রায় দশ বছর পর নতুন বাংলা ছবি নির্মাণের ঘোষণা দিলেন। ছবির নাম ‘ডিয়ার মা’। যেখানে মূখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে জয়া আহসানকে। সেই সাথে ছবিতে রয়েছেন পশ্চিম বাংলার বেশ কজন গুণী মুখ। এরমধ্যে রয়েছেন চন্দন রায় সান্যাল, ধৃতিমান এবং শাশ্বত।

বলিউডে সফল নির্মাতার হঠাৎ টালিউডে ফেরার ইচ্ছে নিয়ে পশ্চিমবাংলার শীর্ষ দৈনিক আনন্দ বাজারকে অনিরুদ্ধ বলেন, “কিছু কিছু গল্প থাকে, যেগুলো নিজের ভাষায় বলতে ইচ্ছে করে। ‘ডিয়ার মা’ তেমনই একটা কাহিনি। হিন্দিতে ছবি করলেও, বাংলা সব সময়েই মনের কাছাকাছি ছিল। আমি আগামী দিনেও হিন্দি, বাংলা দুই ভাষাতেই কাজ করব।”

জয়া আহসান /  ছবি : ফেসবুক

সিনেমাটির বিষয়বস্তু নিয়ে নির্মাতা বলেন, “রক্তের সম্পর্কের চেয়েও ভালোবাসার সম্পর্ক বেশি জোরালো হয়। মেয়েকে বড় করার মধ্য দিয়ে মায়ের জীবনের একটা উত্তরণ হয়, সে পরিপূর্ণ হয়। আমরা কাছের মানুষের ওপর অধিকার বোধ জাহির করি। আসলে কারও ওপর অধিকার ফলানো যায় না। মানবিক সম্পর্কের সূক্ষ্ম কিছু মোচড় উঠে আসবে ‘ডিয়ার মা’ সিনেমায়।”

ছবিতে নাম চরিত্রটি করছেন জয়া আহসান। এ বিষয়ে তিনি বলেন,“এই গল্পটা আগে কখনো বলা হয়নি। তাই এটা পর্দায় বলা খুব জরুরি ছিল। এ ধরনের চরিত্রও আমি আগে করিনি। টোনিদা (অনিরুদ্ধ) সংবেদনশীল ভাবে গল্প বলেন, যেটা আমার খুব ভালো লাগে।”

জয়া আহসান /  ছবি : ফেসবুক

জানা যায় মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হবে শুটিং। এই মুহূর্তে কলকাতায় চলছে ওয়ার্কশপ।

;

তৃতীয় সপ্তাহে এসে ‘ওমর’ আর ‘লিপস্টিক’-এর চমক



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘ওমর’ ও ‘লিটস্টিক’ সিনেমার পোস্টার

‘ওমর’ ও ‘লিটস্টিক’ সিনেমার পোস্টার

  • Font increase
  • Font Decrease

সাম্প্রতিক সময়ের সর্বোচ্চ সংখ্যক ছবি মুক্তি পেয়েছে গত রোজার ঈদে। একসঙ্গে ১১টি ছবি এসেছে বড় পর্দায়। এর মধ্যে প্রথম দুই সপ্তাহে অনুমিত দাপট দেখা গেছে শাকিব খান অভিনীত ‘রাজকুমার’র। হিমেল আশরাফ পরিচালিত ছবিটি ১২৬টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল। এছাড়া মাল্টিপ্লেক্স থেকে শুরু করে সিঙ্গেল স্ক্রিনেও ভালো ব্যবসা করেছে।

সাধারণত ঈদের ছবির হল তালিকা দুই সপ্তাহ পর আপডেট হয়। তাই শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) শুরু হচ্ছে ছবিগুলোর নতুন সপ্তাহ। আর এই তৃতীয় সপ্তাহে এসে চমক দেখিয়েছে দুটি ছবি। এগুলো হলো ‘লিপস্টিক’ ও ‘ওমর’। এর মধ্যে মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ নির্মিত ও শরিফুল রাজ অভিনীত ‘ওমর’ ঈদে মুক্তি পেয়েছিল ২১টি প্রেক্ষাগৃহে। নতুন সপ্তাহে এটি চলবে ২৬টি হলে। যেটা নিঃসন্দেহে চমৎকার অগ্রগতি।

তবে বড় চমক দেখালো ঈদের ‘বঞ্চিত’ সিনেমা ‘লিপস্টিক’। এই ছবির টিম আশা করেছিল, ‘রাজকুমার’র পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হল তারা পাবে। কিন্তু আদতে ছবিটি মাত্র ৭টি হল পেয়েছিল। এটাকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলেও অভিযোগ করেছিলেন ছবির সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, ভালো গল্পের মানসম্মত সিনেমা হওয়া সত্ত্বেও ছবিটিকে হল-বঞ্চিত করা হয়েছে।

তৃতীয় সপ্তাহে ‘লিপস্টিক’ সিনেমার হল লিস্ট

সেই আক্ষেপই যেন বাস্তব হলো। তৃতীয় সপ্তাহে অর্থাৎ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থেকে দেশজুড়ে ৩১টি সিনেমা হলে চলবে আদর আজাদ ও পূজা চেরী অভিনীত ‘লিপস্টিক’। যা প্রথম সপ্তাহের চেয়ে চার গুণেরও বেশি! সহজেই আঁচ করা যায়, হল মালিকেরা ছবিটির মধ্যে সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন। তবে সেই সম্ভাবনা বাস্তবে ইতিবাচক ফল বয়ে আনে কিনা, তা জানা যাবে সপ্তাহের শেষে।

আদর আজাদ হল বাড়ার আভাস দিয়ে ক’দিন আগেই বলেছেন, “ঈদের আগে বলেছিলাম, আমাদের ‘লিপস্টিক’ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হল পাবে। এটা বলেছিলাম আমাদের কনটেন্টের জোরে। একটু দেরিতে হলেও কথা কিন্তু সত্য। দর্শকের আগ্রহ, হল মালিকদের চাহিদা, সিনেমাটির ইতিবাচক আলোচনা এবং সাংবাদিক ভাই-বোনদের সহযোগিতায় ২৬ এপ্রিল থেকে ছবিটির হলসংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যাচ্ছে। বলেছিলাম, আমাদের কনটেন্টের দম আছে। আসলেই আছে। যারা যারা এখনও দেখতে পারেননি, দেখার পর এটাই বলবেন, শিওর।”

দুই সিনেমার হলসংখ্যা বাড়ার ফলে ঈদের অন্য ছবিগুলোর হল কমেছে, তা সহজেই আঁচ করা যায়। যেমন মিশুক মনি নির্মিত ‘দেয়ালের দেশ’ ঈদের দিন থেকে চলছিল ১৩টি প্রেক্ষাগৃহে। তৃতীয় সপ্তাহে এর দুটি হল কমে গেছে।

তৃতীয় সপ্তাহে ‘ওমর’ সিনেমার হল লিস্ট

এর বাইরে ‘রাজকুমার’ টিম এখনও তৃতীয় সপ্তাহের হললিস্ট প্রকাশ করেনি। তবে ছবিটি স্টার সিনেপ্লেক্সে দ্বিতীয় সপ্তাহেও ব্যবসার দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।

এই ঈদে মুক্তি পাওয়া অন্য ছবিগুলো হলো গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘কাজল রেখা’, কামরুজ্জামান রোমানের ‘মোনা: জ্বীন ২’, জাহিদ হোসেন পরিচালিত ‘সোনার চর’, ফুয়াদ চৌধুরীর ‘মেঘনা কন্যা’, জসিম উদ্দিন জাকিরের ‘মায়া: দ্য লাভ’, কাজী হায়াত পরিচালিত ‘গ্রিন কার্ড’ ও ছটকু আহমেদের ‘আহারে জীবন’। এর মধ্যে ‘জ্বীন ২’ ছাড়া কোনও ছবি তেমন সাড়া পায়নি।

;

সেন্সর বোর্ডের ওপর ক্ষুব্ধ রায়হান রাফী



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘অমীমাংসিত’ সিনেমার পোস্টার ও রায়হান রাফী

‘অমীমাংসিত’ সিনেমার পোস্টার ও রায়হান রাফী

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ক’বছর ধরে প্রেক্ষাগৃহ আর ওটিটি, দুই মাধ্যমেই সফলতা পেয়েছেন তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফী। সেই নির্মাতাই প্রথমবার আটকা পড়লেন সেন্সর বোর্ডের জালে। আটকে গেলো তার ওয়েব সিনেমা ‘অমীমাংসিত’।

২৪ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে চূড়ান্ত রায় জানানো হলো, ছবিটি দর্শকদের সামনে প্রদর্শনযোগ্য নয়। তবে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের সুযোগ রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ‘অমীমাংসিত’ নির্মাতা রায়হান রাফী। সেন্সর বোর্ডের এমন সিদ্ধান্তের বিপরীতে তার ভাষ্য, ‘বিষয়টি এমন হলো, আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে! এখানে কোনও খুন হয় না, কোনও গুম হয় না, কোনও ধর্ষণ হয় না।’

রাফীর ভাষায়, ‘সিনেমা বাস্তবের সাথে মিলে গেছে, তাই এটা মুক্তি দেওয়া যাবে না! সিনেমা হতে হবে অবাস্তব! বিষয়টা তাহলে এমন, কোনও সিনেমায় কোনও সাংবাদিক দম্পতি খুন হতে পারবে না? কাল্পনিক কাহিনি উল্লেখ করার পরেও যদি কোনও ঘটনার সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে ব্যাপারটা এমন, ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাই না টাইপ।’

নির্মাতা রায়হান রাফী

এই নির্মাতার প্রশ্ন, ‘তাহলে কি সিনেমায় কোনও মেয়ে গুম হয়ে খুন হলে তা কুমিল্লার তনুর সাথে মেলানো হবে? সিনেমায় কোনও কিশোরের লাশ নদীতে পাওয়া গেলে তার সাথে নারায়ণগঞ্জের ত্বকী হত্যাকাণ্ডকে মেলানো হবে?’

নির্মাতার দাবি, ‘অমীমাংসিত’ সিনেমায় কোনও বাস্তব ঘটনার কিছুই প্রমাণ করা হয়নি। রাফী বলেন, ‘সিনেমায় কোনও খুন দেখানো যাবে না, কোনও ধর্ষণ দেখানো যাবে না, কোনও অপহরণ দেখানো যাবে না, কোনও গুম দেখানো যাবে না। আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে। এখানে কোনও খুন হয় না, কোনও গুম হয় না, কোনও ধর্ষণ হয় না। এভাবেই হাত পা বেঁধে সাঁতার কাটতে হবে আমাদের দেশের সিনেমাকে।’

২৪ এপ্রিল সেন্সর বোর্ডের উপপরিচালক মো. মঈনউদ্দীন স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয় ‘অমীমাংসিত’ ছাড়পত্র না দেওয়ার পেছনের চারটি উল্লেখযোগ্য কারণ। সেগুলো হলো-

১. চলচ্চিত্রটিতে নৃশংস খুনের দৃশ্য রয়েছে।
২. কাল্পনিক কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপের বিষয়বস্তু বাস্তবতার সঙ্গে মিল রয়েছে।
৩. এ ধরনের কাহিনি বাস্তবে ঘটেছে এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।
৪. চলচ্চিত্রটির কাহিনি/বিষয়বস্তু বিচারাধীন মামলার সঙ্গে মিল থাকায় ভুল বার্তা দিতে পারে এবং তদন্তে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।

ছবিটির মুখ্য চরিত্রে আছেন তানজিকা আমিন

এছাড়া সেন্সর বোর্ডের সদস্যগণ আরও মতামত দেন যে ‘দ্য কোড ফর সেন্সরশিপ অব ফিল্মস ইন বাংলাদেশ, ১৯৮৫-এর ১-এর ও, ঠ, ঠওও দফায় বর্ণিত উপাদানসমূহ চলচ্চিত্রটিতে বিদ্যমান থাকায় এটি জনসাধারণের মধ্যে প্রদর্শন উপযোগী নয়। তাই বাংলাদেশ সেন্সরশিপ আইনের বিধি ১৬(৫) মোতাবেক উক্ত চলচ্চিত্রের সেন্সর আবেদনপত্র নির্দেশক্রমে অগ্রাহ্য করা হলো।

তবে, এই সিদ্ধান্ত-পত্র প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে ছবিটি প্রদর্শনের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য সরকার বরাবর আপিল আবেদন করার সুযোগ রয়েছে প্রযোজক-পরিচালকদের। ফজলুল হক ইনস্টিটিউট অব মিডিয়া স্টাডিজের পক্ষে ছবিটির প্রযোজক শহিদুল আলম সাচ্চু। এটি ইমপ্রেস টেলিফিল্মের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিন-এর জন্য নির্মিত। ছবিটির মুখ্য চরিত্রে আছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ ও তানজিকা আমিন।

;

সিনেমা মুক্তির দিনই জেনডায়ার বিয়ের গুঞ্জন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সিনেমা প্রকাশের দিনই জেন্ডায়ার বিয়ের গুঞ্জন

সিনেমা প্রকাশের দিনই জেন্ডায়ার বিয়ের গুঞ্জন

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তি পাচ্ছে জেন্ডায়ার বহুপ্রতিক্ষীত সিনেমা চ্যালেঞ্জার্স। এই সিনেমায় দক্ষ টেনিস খেলোয়াড়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জেনডায়া। বিশ্বব্যাপী জেন্ডায়া অভিনীত চ্যালেঞ্জার্স সিনেমা প্রকাশ পাচ্ছে ২৬ এপ্রিল। যদিও অস্ট্রেলিয়ার সিডনি এক মাস আগেই প্রকাশ করা হয়েছে। জেন্ডায়ার সাথে অভিনয় করেছেন জস ও'কনেল এবং মাইক ফেইস্ট৷ তবে একই দিনে টম হল্যান্ড ও জেন্ডায়ার বিয়ের গুঞ্জন আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে৷


গত বছর ১৫ সেপ্টেম্বর চ্যালেঞ্জার্স সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার ছিল৷ কিন্তু স্যাগ আফ্রার নির্দেশনায় অভিনেতা এবং লেখকদের ধর্মঘটের কারণে সিনেমা প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। তারিখ পেছাতে পেছাতে অবশেষে ২৬ এপ্রিল আনা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাই প্রকাশ করে হচ্ছে এই তারিখেই। তবে এইদিনেই গুঞ্জন এলো দীর্ঘদিনের প্রেমিক টম হল্যান্ডের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন এই তারকা।

ইন্টারনেটে হরহামেশাই একসাথে দেখা যায় টম-জেন্ডায়াকে। এছাড়া মার্ভেল সিনেমেটিভ ইউনিভার্সে পিটার পার্কারের প্রিয় বন্ধু নার্ড চরিত্রে অভিনয় করা জ্যাকবও তাদের খুব ভালো বন্ধু। ৩ জনকে শ্যুটিং এর বাইরেও দেখা যায় একত্রে সুন্দর সময় কাটাতে এবং মজা করতে।


২০১৬ সালে স্পাইডারম্যান ও হোমকামিং সিনেমায় একসাথে অভিনয় করেন দুই তারকা। এই সিনেমার সেটেই তাদের প্রথম দেখা হয়। সেখান থেকে ভালো লাগার শুরু হয় বলে ধারণা করা হয়। শ্যুটিং শুরু হওয়ার কিছুদিন পরই তাদের প্রেমের গুঞ্জন আসতে থাকে।

যদিও কোনো তারকাই এই নিয়ে কিছু বলেননি। সম্পর্কের কথা স্বীকারও করেন নি। অথবা এসব গুঞ্জন-এমন দাবিও কেউ কখনো তোলেননি৷ বরাবরই তাদের সম্পর্ক নিয়ে গোপনীয়তা বজায় রেখেছেন টম-জেন্ডায়া জুটি৷

সম্প্রতি তাদের ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা যায়, সম্পর্ককে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনায় আছেন তারা। খুব শিগগিরই নাকি তারা বিয়ে করার ঘোষণা দেবেন।


টম-জেন্ডায়া স্বীকার না করলেও তাদের প্রেমের সম্পর্ক থাকার সন্দেহ অনেক আগে থেকেই ছিল ভক্তদের মনে। ২০২১ সালে তাদের একত্রে দেখা যায়৷ সিনেমার শ্যুটিং এর বাইরেও টমের গাড়িতে দু'জন অভিনেতাকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ক্যামেরাবন্দী করেন সাংবাদিকরা।

সেই থেকেই নেটিজেনদের সন্দেহ আরও জোরদার হয়। এমনিতেও এই জুটিকে বেশ পছন্দ করেন ভক্তরা। টম-জেন্ডায়াকে সেরা স্পাইডারম্যান ও এমজে জুটি হিসেবে বিবেচনাও করেন অনেকে। তাই পছন্দের এই যুগলের। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার গুঞ্জনে আপ্লুত হতে দেখা যায় অনেক ভক্তকে।

;