সিনেমায় নিজস্ব বলার ভঙ্গি সৃষ্টি করাটাও একটা যুদ্ধ : আতিক



রুদ্র হক, বার্তা ২৪.কম
নুরুল আলম আতিক

নুরুল আলম আতিক

  • Font increase
  • Font Decrease

এগারো বছর পর বড়পর্দায় ফিরলেন নন্দিত নির্মাতা নুরুল আলম আতিক। বড়পর্দায় চলছে তার নির্মিত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’। ২০১০ সালের পর দীর্ঘ বিরতি নিয়ে বড়পর্দায় প্রত্যাবর্তন ও মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ নিয়ে বার্তা২৪ এর সাথে বিস্তারিত কথা বলেছেন তিনি।


এতদিন পর আপনি আবার বড় পর্দায় ফিরলেন। অনুভূতিটা জানতে চাই...

নুরুল আলম আতিকঃ আসলে এখন মনে হচ্ছে একটু দম নিতে পারছি। এইটকুনই। এই সংসারে আমি এতকাল ধরে আছি। এই যে ছবি দেখাতে পারছি এইটাই শুকরিয়া। একটা শ্বাসরুদ্ধকর সময় গিয়েছে এই ৫/৬ টা বছর। এই যে ছবি শেষ হচ্ছিল না। দেখাতে পারছিলাম না। এমন একটা হতাশাময় সময়ের শেষে আজকে মনে হয় একটু দম নিতে পারছি। মানুষকে আমন্ত্রণ জানাতে পারছি- যে ছবিগুলো সৃষ্টি হচ্ছিল সেগুলোর কাজ শেষ হচ্ছে। আপনারা দেখতে আসেন।

‘মানুষের বাগান’, ‘পেয়ারার সুবাস’সহ আপনার বেশ কিছু ছবির কাজ চলছে। সেখান থেকে ‘লাল মোরগের ঝুটি’ টা সবগুলোর আগে মুক্তি পেল। নির্মাণশৈলীর জায়গা থেকে এই ছবিটাকে কতটা এগিয়ে রাখবেন আপনি?

নুরুল আলম আতিকঃ এই প্রশ্নের জবাব আসলে সেরকম ভাবে দেওয়া মুশকিল। ৩ টা ছবির কাজ আসলে একসাথেই চলছিল। প্রথমে অবশ্য ‘লাল মোরগের ঝুটি’ দিয়েই শুরু করেছিলাম। তারপর ‘পেয়ারা সুবাস’ এবং তারপরে ‘মানুষের বাগান’। ‘মানুষের বাগান’টাও কমপ্লিট। আর ‘পেয়ারা সুবাস’-এর কাজও একেবারে শেষ পর্যায়ে।

আশা করি, খুব শীঘ্রই আমরা এই ছবিগুলোও দর্শককে দেখাতে পারবো, নির্মাণশৈলীর জায়গা থেকে আমার মনে হয়, দর্শকরাই বিচার করবেন। ৩টা ছবি তো আসলে আমার ৩ সন্তান।

তাই কাউকে আগে কাউকে পিছে আমি রাখতে পারবো না। দর্শকরাই এর বিচার করবেন। দর্শকরা যদি ‘লাল মোরগের ঝুটি’ ছবি দেখে, এর চিন্তাভাবনার সাথে নিজেদের কানেক্ট করতে পারে, তাহলেই তো ছবি সফল হবে।

তারপরও গল্পের গুরুত্বের জায়গা থেকে ‘লাল মোরগের ঝুটি’কে কতটা এগিয়ে রাখবেন?

নুরুল আলম আতিকঃ বাংলাদেশের ইতিহাসকে নিয়ে অডিও-ভিজ্যুয়ালে কাজ করাটা আসলে আমার কাছে একটা নৈতিক দায়িত্বের মাঝে পড়ে। এখন আমি ছবিটা বানাতে কতটা সফল হলাম, সেইটা আপনাদের এবং দর্শকের মতামতের উপর নির্ভর করে।


মানে, আপনি বলতে চাইছেন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে চলচ্চিত্র করাটা আপনার জন্য একটা দায়বদ্ধতা ছিল?

নুরুল আলম আতিকঃ
হ্যা, নিশ্চয়ই।

দর্শক-বিবেচনার ব্যাপারটা একপাশে রেখে আমরা জানতে চাচ্ছি যে, নির্মাতা হিসাবে আপনি মুক্তিযুদ্ধকে কোন দৃষ্টিকোণ থেকে দর্শকদের দেখাতে চেয়েছেন?

নুরুল আলম আতিকঃ মুক্তিযুদ্ধ আসলে বিচিত্র সম্ভাবনার জায়গা। অসংখ্য না জানা গল্প আছে যেগুলোকে আলোতে আনবার দরকার আছে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আগেও ছবি হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে। নির্মাতারা নিজেদের নতুন নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে মুক্তিযুদ্ধকে দেখাবেন।

‘লাল মোরগের ঝুটি’র গল্প আসলে আমার ছেলেবেলায় শোনা বিভিন্ন গল্পের নির্যাসে তৈরি। আর বহুবছর ধরে চলচ্চিত্রের কাজে জড়িত থাকার অভিজ্ঞতাও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। এছাড়া যেহেতু আমি এয়ারপোর্টের কাছাকাছি থাকি, তাই এয়ারপোর্টের ব্যাপারটা আমার মাথায় এসেছে। আমাদের সৈয়দপুর এয়ারপোর্টে অসংখ্য বাঙালিকে বন্দী করে তাদেরকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেবার যে অসৎ-উদ্দেশ্য ছিল, তাঁদের উপর করা অত্যাচার, তাঁদের দুঃখ-কষ্টের গল্প থেকেই আমি এই ছবিটা নির্মাণ করেছি। এই গল্পটা হয়তো মুক্তিযুদ্ধের সাথে দর্শকদের নতুনভাবে কানেক্ট করবে।

আমরা তো মুক্তিযুদ্ধের ছবি মানেই বুঝি গেরিলাযুদ্ধ কিংবা সমরাস্ত্রের ঝনঝনানি। আপনার এই ছবিতে তা নেই। এই ব্যাপারে আপনার মতামত কী?

নুরুল আলম আতিকঃ হ্যাঁ। সেইরকম ছবিও হচ্ছে, এবং হবে। যুদ্ধ মানে সম্মুখ সমর থাকবেই। কিন্তু এই ছবিতে আপনি দেখতে পাবেন যুদ্ধে যখন গণহত্যাকান্ডে একজন নিম্নবর্গের মানুষের চোখের সামনে তার পিতাকে হত্যা করা হয়, এবং তারপর বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে সেই মানুষটি ‘ফাইটব্যাক’ করে। দেখেন যুদ্ধে তো বহু সাধারণ মানুষ অংশ নিয়েছিল। অনেকের নাম হয়তো আমরা এখনও জানি না। এরকম সব জীবনের গল্প নিয়েই আমাদের ছবি।


চমৎকার। ‘লাল মোরগের ঝুটি’ নামটা কেন হলো তা যদি একটু ব্যাখ্যা করতেন?

নুরুল আলম আতিকঃ এইটা যদিও শহীদুল আলমের লেখা মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক গল্পের নাম। গল্পটার নাম থেকেই প্রথমে এই নামটা মাথায় আসে। তাছাড়া আমি ব্যক্তিগতভাবে যে ভাবনা থেকে এই নামটাই নিয়েছি তার গল্প আলাদা। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মোরগ-যুদ্ধ থেকে আমোদ-ফূর্তি করতো। এয়ারপোর্টের রানওয়েতে এরকম মোরগ-যুদ্ধের আয়োজন হতো। তো এটা আরেকটা কারণ। এটা আসলে রূপক-অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এখানে ‘লাল’ শব্দটা নতুন সূর্যকেও বোঝায়। নতুন দিনে নতুন সূর্যে যখন মোরগ ডাকে তখন তো তার মাথাটা উঁচু হয়। আর ‘ঝুটি’ তো উঁচু করা মাথার উপরেই থাকে।

বাঙালি তো আসলে যোদ্ধা জাতি নয়। এই দেশের উর্বর মাটি আর চমৎকার আবহাওয়া তো বাঙালিকে একটু অলসই করে দিয়েছে। বাঙালির হয়তো জমি জিরাত বিষয়ক মামলামকদ্দমা আর ঝগড়াঝাটির অভিজ্ঞতা ছিল। রাজনৈতিকভাবে তো এর আগে তেমন বেশি সচেতন বাঙালি ছিল না। কিন্তু সেই জাতিরই খেটে-খাওয়া মানুষেরাই তো জাতিসত্তা রক্ষার জন্য ৭ মার্চের ভাষণ শুনে সুসংহত আর্মির বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হলো। এইসব ব্যাপার মাথায় রেখেই এই নামকরণ করা হয়েছে।

আর সবার মতো আমাদেরও প্রশ্ন, সিনেমাটা আসলে সাদাকালো কেন?

নুরুল আলম আতিকঃ
আপনি সিনেমাটা দেখে যদি রঙের অভাব বোধ করেন তবে আমাকে জানাবেন। তখন না হয় রঙিন আরেকটা ভার্সন বানাবো!

না আমার কাছে কালারটা চমৎকার লেগেছে। সাদা-কালো'র বাইরে আসলে আমি সিনেমাটা ভাবতে পারি নাই।

নুরুল আলম আতিকঃ
দেখেন, চারদিকে রঙেরই বাহার। তবে সাদাকালোর মাঝেই তো সব রঙ লুকিয়ে আছে তাই না? যেহেতু আমরা অতীত দিনের গল্প বলছি তাই সাদা-কালো রঙটাই এখানো সবচেয়ে উপযুক্ত।

মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে গ্র্যান্ড ন্যারেটিভের চলচ্চিত্রের আকাঙ্খা আমাদের সবসময়ই ছিল এবং আছে। বাংলাদেশে তো অনেক মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক চলচ্চিত্র হয়েছে, আপনিও নির্মাণ করলেন। তো চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করে আপনি কতটুকু সন্তুষ্ট?

নুরুল আলম আতিকঃ আমার জীবদ্দশায় যে আমি ছবিটা মানুষকে দেখিয়ে যেতে পারতেছি এইটাই আমার সন্তুষ্টি। গ্র্যান্ড ন্যারেটিভের কথা যা বললেন, তা তো চলছেই। একেকজন একেক দৃষ্টিকোণ থেকে মুক্তিযুদ্ধকে ফুটিয়ে তুলছে। এবং এই ব্যাপারটা এরকমভাবে চলতেই থাকবে। আর যুদ্ধের সিনেমা বানানোটাও তো যুদ্ধের চেয়ে কম কিছু নয়। সিনেমায় নিজস্ব বলার ভঙ্গি সৃষ্টি করাটাও যুদ্ধ। এই ছবিগুলোতে প্রশ্ন জাগবে।

কেন হাতে লেখা ব্যানার মানুষের হাতে? আমরা তো অতীতকে বিসর্জন দিয়ে ভবিষ্যতে যেতে পারবো না। অতীতের সাথে বর্তমানের সম্পর্কটাই ভবিষ্যতকে নির্দেষ করবে। সেই জন্যই মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গটা জরুরি আমাদের জন্য। নতুন প্রজন্ম যদি অতীতকে ‘রিড’ করতে পারেন, তবেই তারা ভবিষ্যতকে ‘রাইট’ করতে পারবেন।


দর্শকদের জন্য কী বলবেন?

নুরুল আলম আতিকঃ দর্শকদের আমন্ত্রণ রইলো। আপনারা হলে আসুন। দেখুন ছবিটা। এই ছবির যে সাউন্ড-সিস্টেম আর আলো-আঁধারের খেলা, এইটা হলে বসে দেখার জন্য। হলে বসে দেখলে আপনাদের বিরল অভিজ্ঞতা হবে। আপনারা আসুন।

অসংখ্য ধন্যবাদ আতিক ভাই।

নুরুল আলম আতিকঃ আপনাকেও ধন্যবাদ।


ছবি কৃতজ্ঞতা: শরীফ খিয়াম আহমেদ ঈয়ন ও পাণ্ডলিপি কারখানা
অনুলিখন: অসীম নন্দন

   

অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন দেব



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন কলকাতার চলচ্চিত্রের সুপারস্টার ও সংসদ সদস্য দেব। নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ার জন্য মালদা থেকে রানীনগরে যাওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, দেবকে বহন করা হেলিকপ্টারটিতে আগুন ধরে যায়। মালদা হেলিপ্যাড থেকে উড্ডয়নের পরপরই আগুন ধরে গেলে পাইলট হেলিকপ্টারটিকে জরুরি অবতরণ করেন। এ ঘটনায় হেলিকপ্টারে থাকা দেব অক্ষত ছিলেন। দুর্ঘটনার পর তিনি সড়কপথে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হন।

সুপারস্টার ও সংসদ সদস্য দেব

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দেবের দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনে দেবের খোঁজখবর নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে দেব বলেন, ‘এটা স্বাভাবিক, কিছুটা ট্রমায় আছি আমি। এই অশান্তি, ধোঁয়া ও গন্ধ আমার ওপর মানসিক প্রভাব ফেলেছে।’

মালদা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পিটিআইকে জানিয়েছেন, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই আগুন লেগেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে হেলিকপ্টারে ধোঁয়া দেখতে পাওয়ার ঘটনায় স্বভাবতই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দেবের মতো একজন বড় তারকা ও সংসদ সদস্যের নিরাপত্তায় আদৌ কোনো ঘাটতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে ওড়ার আগে হেলিকপ্টারটির যথাযথ পরীক্ষা করা হয়েছিল কি না, তা নিয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে। হেলিকপ্টার সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।

শেষ মুহূর্তের নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত নায়ক দেব

জানা গেছে, ৭ মে মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর কেন্দ্রে লোকসভা ভোট। তার আগে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচার। সেই প্রচারে অংশ নিতেই আজ ঘাটালের তৃণমূল সংসদ সদস্য দেব মালদহে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে মুর্শিদাবাদে যাওয়ার পথেই ঘটল বড়সড় বিপত্তি।

;

জমি বুঝে পেল অভিনয়শিল্পী সংঘ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কাগজপত্র বুঝে নিচ্ছে অভিনয়শিল্পী সংঘ

কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কাগজপত্র বুঝে নিচ্ছে অভিনয়শিল্পী সংঘ

  • Font increase
  • Font Decrease

ছোট পর্দার শিল্পীদের সংগঠন ‘অভিনয়শিল্পী সংঘ’ ঢাকার আফতাবনগরে ৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ জমি বরাদ্দ পেয়েছিল। সেই জায়গা গতকাল শুক্রবার বুঝে পেল সংগঠনটি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম।

তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্য এটা অনেক বড় আশার কথা। কারণ, নিজেদের একটা জায়গা করা প্রথম কোনো শিল্পীদের সংগঠন এটি। আমাদের এই সাংস্কৃতিক সংগঠন যে স্বপ্ন দেখেছিল, সেই যাত্রায় পথচলা শুরু হচ্ছে। আমি বলব, শিল্পীদের আজ গর্বের দিন। আনন্দের দিন। আমরা এখন নিজেদের মতো করে সব পরিকল্পনা করতে পারব। যা শিল্পীদের সমাজে আরও বেশি ভূমিকা রাখতে সহায়তা করবে।’

ঈদের পর ২০ এপ্রিল সাভারে বৈশাখী উৎসব ২০২৪ ও সাধারণ সভা ও আনন্দ সম্মিলনের আয়োজন করে অভিনয়শিল্পী সংঘ। সেদিনই তারা বরাদ্দ পাওয়া জমির কথা সহকর্মীদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে। হল রুম, সেমিনার, লাইব্রেরি, ওল্ড হোম, প্রজেকশন হলরুমসহ অভিনয়শিল্পীদের প্রয়োজনীয় সব উপকরণ এই ভবনে রাখতে চায় সংগঠনটি।

আহসান হাবীব নাসিম বলেন, ‘আমাদের অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে অনেকেই বয়স্ক। এমন ১০-১৫ জন সব সময়ই থাকেন। দেখা যায়, শেষ বয়সে তারা একা থাকেন। কারও অর্থনৈতিক কষ্ট না থাকলেও একাকিত্বে ভোগেন। তাদের থাকার জন্য আমরা এখানে আলাদা ব্যবস্থা করব। যেন শেষ সময়টা সবাই ভালোভাবে কাটাতে পারেন। অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে বন্ধনটা যেন সব সময় থাকে। সেই বন্ডিংটা তৈরি করার ইচ্ছা রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিয়মিত সেমিনার ও কর্মশালার ব্যবস্থা করা হবে। তরুণ অভিনয়শিল্পীদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করে যাওয়ার সুযোগ ত্বরান্বিত হবে। তবে এটাকে আমরা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করব না।’

;

বলিউডের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’খ্যাত শাকিবের সঙ্গে একই ছবিতে বাঁধন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আজমেরী হক বাঁধন ও শাকিব আইয়ুব

আজমেরী হক বাঁধন ও শাকিব আইয়ুব

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের বাইরে কলকাতার ওয়েব প্ল্যাটফর্ম হইচইতে প্রথম কাজ করেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। কলকাতার জনপ্রিয় নির্মাতা সৃজিত মুখার্জির সিরিজ ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’তে কাজ করেন তিনি।

এরপর তো গত বছরই নেটফ্লিক্সের হিন্দি ওয়েব ফিল্ম ‘খুফিয়া’তে অভিনয় করে বলিউডে অভিষেক হয় এই তারকার। বিশাল ভারদ্বাজের এই সিনেমাটিতে বাঁধনের অভিনয় দারুণ প্রশংসা কুড়ায়।

আজমেরী হক বাঁধন /  ছবি : ফেসবুক

এবার ভারতের তৃতীয় কাজে দেখা যাবে বাঁধনকে। গতকাল পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের অ্যান্থোলজি সিনেমা ‘ফেয়ার অ্যান্ড আগলি’তে অভিনয় করবেন বাঁধন।

প্রতিবেদনে আরও জানা গেছে, সিনেমাটিতে অভিনয়ের ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছেন বাঁধন। শুটিংয়ের জন্য ভারতে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন তিনি। এই অ্যান্থোলজি সিনেমায় আরও থাকছেন শাকিব আইয়ুব। যাকে ‘ফারজি’ ও ‘ব্রহ্মাস্ত্র’র মতো বড় বলিউড প্রজেক্টে দেখা গেছে।

শাকিব আইয়ুব / ছবি : ইনস্টাগ্রাম

অ্যান্থোলজি সিনেমাটিতে থাকছে পাঁচটি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা। এসব সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, দেবপ্রসাদ হালদার, পার্নো মিত্র, কৌশিক সেন প্রমুখ। জানা গেছে, এর মধ্যেই অ্যান্থোলজি সিনেমাটির কয়েকটি সিনেমার শুটিং হয়ে গেছে।

এ ছাড়া গত মাসেই বাঁধন শেষ করেছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের ‘মাস্টার’ সিনেমার কাজ। বাঁধন অভিনীত আরেক সিনেমা ‘এশা মার্ডার’ পবিত্র ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়ার কথা।

;

বিচ্ছেদের পথে ব্রিটনি স্পিয়ার্স-স্যাম আসগারি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
স্বামী স্যাম আসগারির সাথে ব্রিটনি স্পিয়ার্স

স্বামী স্যাম আসগারির সাথে ব্রিটনি স্পিয়ার্স

  • Font increase
  • Font Decrease

৬ বছরের সম্পর্ক। ধুমধাম করে বিয়ে করেন ২০২২ সালের জুন মাসে। কেটেছিল মাত্র ১ বছর, তারপরই দু’জন জীবনের ভিন্ন পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিলেন। কথা হচ্ছে হলিউডের তারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স এবং স্বামী স্যাম আসগারিকে নিয়ে। সম্প্রতি এই দম্পতি তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ নিশ্চিত করেছেন।

৯ মাস আগে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে বিচ্ছেদের জন্য আপিল করেছিলেন স্যাম। কেন তিনি প্রথম বিবাহবার্ষিকীর মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরেই বিচ্ছেদ চাইলেন- তা নিয়ে দুজনের কেউই মুখ খোলেন নি। তবে গণমাধ্যমে এই নিয়ে নানান প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে। ব্রিটনির বিরুদ্ধে তার সম্ভাব্য অভিযোগ শুনে সবার চোখ চড়কগাছ হয়ে যাবার উপক্রম।

গুঞ্জন রয়েছে স্যামের অভিযোগ ছিল, পরকিয়ায় লিপ্ত হয়েছেন ব্রিটনি। তাও কিনা তাদেরই একজন গৃহকর্মীর সাথে! দুজনের অন্তরঙ্গ দৃশ্যের প্রমাণ স্বরূপ সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে স্যামের কাছে। এমনকি রিপোর্টে অভিযোগ রয়েছে, আলাদা হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে এই দম্পতির মধ্যে হাতাহাতিও হয়েছে।


আগের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্যামকে ক্ষতিপূরণ দিবে ব্রিটনি- এমন তথ্য সামনে এসেছিল। এখন জানা গেছে ভিন্ন তথ্য, স্যামকে কোন খরচ দিতে হবে না ব্রিটনির। ব্রিটনির আইনী পক্ষ থেকে জানা গেছে, বিচ্ছেদ ফলাফল জানা গেলেও কাগজপত্রের অফিশিয়াল কাজ এখনো শেষ হয়নি। সব নথিপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে, বিচারকের স্বাক্ষরের অপেক্ষায় রয়েছে সেসব। কাগজ হাতে এলেই বিচ্ছেদ হবে দম্পতির।

এর সাথেই তথ্য মিলেছে, ব্রিটনি স্পিয়ার্স বাবার সাথে পুরনো আইনি বিরোধ মিটিয়ে নিয়েছেন। এমনকি ব্রিটনি স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন যে, তিনি মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে আর ফিরে আসবেন না।

গতমাসে ব্রিটনি স্যামের সাথে তার সম্পর্কের কথা মনে করে স্মৃতিচারণ করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট শেয়ার করার এক মাস পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের এই খবর প্রকাশিত হয়।

তথ্যসূত্রঃ টাইমস অব ইন্ডিয়া

;