সাহায্য দিয়ে শিল্পীকে বাঁচাতে পারবেন না : ইলিয়াস কাঞ্চন

  • বিনোদন রিপোর্ট, বার্তা ২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা

আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে সরগরম এফডিসি। বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান প্যানেলের বিপরীতে নতুন প্যানেল হিসেবে সভাপতি পদে অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক পদে নিপুন নির্বাচনে লড়বেন। এ উপলক্ষে রবিবার (৯ জানুয়ারি) নিরাপদ সড়ক চাই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, “অভিনয় শিল্পীদের দুঃস্থ শিল্পী বলা হয়, সাহায্য দিয়ে শিল্পীকে বাঁচাতে পারবেন না, ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচাতে পারবেন না। ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচাতে হলে কিছু কর্মসূচী হাতে নিতে হবে। সেগুলো তারা হয়তো সঠিকভাবে করতে পারেনি (মিশা-জায়েদ প্যানেল) বা তাদের মতো করে করেছে। একজন শিল্পী কিন্তু ঘরে বসে থেকে সাহায্য নেয়ার জন্য শিল্পী হয়নাই। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তারা তাদের প্রতিভা বিকশিত করতে এসেছে। চলচ্চিত্রকে বাঁচাতে হলে ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচাতে হবে। ইন্ডাস্ট্রি না বাঁচলে শিল্পী সমিতি দিয়ে কী হবে? যে পরিস্থিতে আমরা এসে পড়েছি আমরা যদি এক না হই তাহলে ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচাতে পারবো না।”

বিজ্ঞাপন

চলচ্চিত্র শিল্পকে বাঁচাতে হলে চলচ্চিত্র নির্মাণের বিকল্প নেই উল্লেখ করে ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, তিনি নির্বাচিত হলে সকলের মধ্যে ঐক্য ফিরিয়ে আনতে চান।

এর আগে ১৯৮৯-৯০ সালের নির্বাচনে সেক্রেটারি ছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন।

বিজ্ঞাপন

“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এক হাজার কোটি টাকা সিনেমা হল বিনির্মাণের জন্য দিয়েছেন। সে টাকা হল মালিকরা নেয়নি। সিনেম যদি না থাকে তারা হল ঝকঝকে করে কী করবে। তাই আমার মনে হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আরও এক হাজার কোটি টাকা চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য দিতেন তা হলে আমরা ট্যাক্সসহ দশবছরে আরও অনেক কোটি টাকা ফেরত দিতে পারতাম। এখন যে অনুদান দেয়া হয় তাতে শিল্প সম্মত চলচ্চিত্রকে অনুদান দেয়া হয়। কিন্তু বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের পাশে না দাঁড়ালে ইন্ডাস্ট্রি বাঁচবে না। আমি সেইসব প্রস্তাব নিয়ে সকলকে নিয়ে সবার ভালোবাসা নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেতে চাই। সকলের সহযোগিতা চাই।”

যোগ করেন ইলিয়াস কাঞ্চন।

চিত্রনায়িকা নিপুন বলেন, “চলচ্চিত্র এখন যে অবস্থানে এসেছে তাতে মনে হচ্ছে একটা ক্রান্তিলগ্নে এসে আমরা দাঁড়িয়েছি। আমি যে আজ নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি, আমি কিন্তু একা কিছু করিনি। আমার পাশে বসে আছেন চিত্রনায়ক রিয়াজ, সাইমন, নিরব, ইমন এরা সবাই একেকজন আমার সোলজার (সৈনিক)। তারাই আমাকে নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছে। আমরা যদি নির্বাচিত হই, তাহলে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এফডিসিতে আনবো। আমার মনে হয়, ওনাকে যদি এফডিসিতে আনা যায়, উনি যদি এফডিসির বর্তমান অবস্থা দেখেন তাহলে আমার মনে হয় চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরে আসতে দেরি নেই।”

Caption

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন অভিনেত্রী মুনমুন, অভিনেতা রিয়াজ, সাইমন সাদিক, প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরুসহ প্রমুখ।

গত দুই মেয়াদে শিল্পী সমিতির সভাপতি হিসেবে খল অভিনেতা মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে চিত্রনায়ক জায়েদ খান দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। আসছে শুক্রবার এফডিসিতে সমিতির বর্তমান সদস্যদের উপস্থিতিতে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বিদায়ী কমিটির বার্ষিক আয়-ব্যয়সহ নানা কাজের হিসাব তুলে ধরা হবে।

আসন্ন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অভিনেতা পীরজাদা হারুন। তার সঙ্গে থাকবেন বিএইচ নিশান ও বজলুর রাশীদ চৌধুরী। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের ভূমিকায় দেখা যাবে পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানকে। এই বোর্ডের সদস্য করা হয়েছে মোহাম্মদ হোসেন জেমী ও মোহাম্মদ হোসেনকে।