জায়েদের বিরুদ্ধে ভোট কেনা ও নির্বাচনে প্রভাব সৃষ্টির প্রমাণ দিলেন নিপুণ

  • রুদ্র হক, বার্তা ২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংবাদ সম্মেলন

সংবাদ সম্মেলন

শিল্পী সমিতির নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে নিপুণ দাবি জানালেন সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী জায়েদ খানের পদ স্থগিত করে পুননির্বাচনের।

সংবাদ সম্মেলনে প্রজেক্টরে নির্বাচনের দিন চিত্রনায়িকা মুনমুনের সাথে জায়েদ খানের একটি ভিডিও প্রকাশ করে তাতে ভোট কেনার প্রমাণ হিসেবে দাবি করে নিপুণ বলেন, যে জায়গায় দাঁড়িয়ে ভোট কেনা হচ্ছিল ওই জায়গায় নির্বাচন কমিশন দাঁড়াতে নিষেধ করেছিল। সেখানে জায়েদ খানের মেক আপ ম্যানের ব্যাগে টাকা ছিল। জায়েদ খানের দুই পকেটেও টাকা ছিল।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে নিজেকে সাক্ষি বলে দাবি করেন অভিনয়শিল্পী জাদু আজাদ। 


এছাড়াও প্রজেক্টরে জায়েদ খানের সাথে অজ্ঞাত এক পুলিশ কর্মকর্তার কথপোকথন পড়ে শোনান নিপুণ। তাতে জায়েদ খান ভোট প্রদান কক্ষ থেকে রিয়াজকে সরানোর কথা বলতে দেখা যায়। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তা রিয়াজকে সরালে সমস্যা হবে জানিয়ে, অন্য পন্থা অবলম্বনের অনুরোধ জানান। এ ছাড়াও বেশ কিছু কথপোকথনে পুলিশের সাথে নির্বাচনের প্রভাব সৃষ্টিতে প্রশাসনের সাথে যোগসাজশের অভিযোগ আনেন নিপুণ।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, সংবাদ সম্মেলনে আসার আগে বনানী থানায় নিজের জীবনের নিরপত্তাহীনতার জন্য একটি জিডি ও কথপোকথনগুলো পুলিশের আইজিপির কাছে অভিযোগ আকারে দিয়ে এসেছেন।


পীরজাদা হারুণ, এমডি এবং জায়েদ খান একটা গ্যাং

নিপুণ অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন, এফডিসির এমডি ও  পক্ষের হয়ে কাজ করেছেন। তিনি বলেন, “নির্বাচনে ১৮ সংগঠনকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এফডিসির এমডিকে বার বার বলা হয়েছে। অথচ তিনি বলেছেন তাকে, জানানো হয়নি। আসলে জানানো হয়েছে। প্রশাসন বলেছে পীরজাদা হারুন যদি বলেন ঢুকতে দেয়া হবে।

নিপুণ প্রশ্ন রাখেন, “পীরজাদা হারুন সাহেব কেন আপনি এমনটা করেছেন? কি স্বার্থ ছিল আপনার?”

নিপূনের অভিযোগ, আরেক পক্ষ চায়নি ১৮ সংগঠন নির্বাচনে আসুক। পীরজাদা হারুন এক পক্ষের কথা শুনেছেন। জায়েদ খানের বিরুদ্ধে ভোট কেনার তথ্য নিয়েও তিনি দু’বার অভিযোগ করেন হারুনের কাছে।

“ভোট কেনাবেচায় আমি আপনার কাছে দু’বার গিয়েছি। নিয়ম কানুন কি শুধু কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের জন্য? জায়েদ খান যে টাকা দিচ্ছে, ভিডিওটাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। পীরজাদা এখন পর্যন্ত কেন পদক্ষেপ নিচ্ছে না?  আসলে পীরজাদা হারুণ, এমডি এবং জায়েদ খান একটা গ্যাং।”


কী আছে ওই চেয়ারে?

নির্বাচনে হারলেও নিপুণ থেমে থাকবেন না জানান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এফডিসিতে এনে ‘জায়েদ চক্র’ ভাঙার জন্য লড়ে যাবেন বলে জানান। নিপুণ বলেন, “আমি পুরো বাংলাদেশ থেকে যে ভোট এনেছি, তা জায়েদ চক্র কখনো করতে পারেনি।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি এফডিসিতে পা ফেলেন! এই চক্রকে না ভাঙলে চলচ্চিত্রের উন্নতি হবে না।” জায়েদ খানের উদ্দেশ্যে নিপুণ নির্বাচনের নানা নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ করে জায়েদ খানের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন ‘কী আছে ওই চেয়ারে?’


শুধু সাধারণ সম্পাদকের পদের জন্য পুননির্বাচন দাবি

নির্বাচনে নিপুণের প্যানেল থেকে সভাপতি পদে জয় লাভ করেছেন ইলিয়াস কাঞ্চনসহ দশজন প্রার্থী। তাই নিপুণ চান না পুরো নির্বাচন পুনরায় হোক। জায়েদ খানের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে তার পদটি স্থগিত করে এ পদে পুনরায় নির্বাচন করতে চান নিপুণ। “আমি জায়েদ খানের সাথে আবারও লড়তে চাই।”

এ জন্য প্রয়োজনে উচ্চ আদালতে যাবেন বলেও জানান নিপুণ। সভায় চিত্রনায়ক রিয়াজ ও ইলিয়াস কাঞ্চন নিপুণের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।