‘শনিবার বিকেল’র দাবিতে এক হলেন সংস্কৃতিকর্মীরা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
শনিবার বিকেল

শনিবার বিকেল

  • Font increase
  • Font Decrease

গত সাড়ে তিন বছর ধরে আটকে আছে জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সিনেমা ‘শনিবার বিকেল’। এটি মুক্তি চেয়ে ইতোমধ্যেই শোবিজ অঙ্গনে থেকে শুরু করে ভক্ত-দর্শকরাও নেমেছে রাজপথে। ফলে সিনেমাটির মুক্তি নিয়ে অনিশ্চিয়তা দেখা দেয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্র ও সাংস্কৃতি অঙ্গনের শতাধিক ব্যক্তি।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানান, ‘শনিবার বিকেল’ মুক্তিকে কেন্দ্র করে দেশের সব ধারার সংস্কৃতিক কর্মী এক হয়েছেন। বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ১৩০জন সংস্কৃতিকর্মী।

আজ মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, সিনেমা, নাটক, সংগীত, শিল্প, সংস্কৃতির এমন নানা ক্ষেত্রে, নানা সময় হাজির করা হচ্ছে বহুমুখী বাধা, যা আমাদের উদ্বিগ্ন করছে। এ উদ্বেগ আরও বাড়ে যখন দেখি, আমাদের বন্ধু সুহৃদ চলচ্চিত্রকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর চলচ্চিত্র ‘শনিবার বিকেল’ বিনা কারণে সাড়ে ৩ বছরের বেশি সময় সেন্সর বোর্ডে আটকে থাকে। সম্প্রতি আমরা জানতে পেরেছি আগামী ১৭ তারিখ এই বিষয়ে আপিল কমিটির একটি সভা আহ্বান করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষ ও সুধীজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমাদের মধ্যে অনেকেই ছবিটি দেখেছি এবং বুঝতে অপারগ হচ্ছি, কেন এই ছবিটির সঙ্গে এরকম আচরণ করা হচ্ছে। আমরা তাই ছবিটির নির্মাতার হতাশা ও মর্মবেদনা অনুভব করতে পারছি। সারা পৃথিবীতে যখন সেন্সরের ধারণাটি একটি বাতিলযোগ্য পুরানো ধ্যান-ধারণা হিসেবে আলোচিত হচ্ছে, ঠিক তখনই আমরা সেন্সর, দীর্ঘসূত্রিতা এবং অজানা কোনো কারণে সময়ের একজন খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকারের কাজ আটকে রেখেছে। এ দেশের নাগরিক ও শিল্পী সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা বলতে চাই, আমাদের প্রজ্ঞা ও বিবেচনায় এই দীর্ঘসূত্রিতা আমাদের ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ করে এবং সকল কর্তৃপক্ষের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

মুক্তির পক্ষ নিয়ে সেখানে বলা হয়, আমরা যেন ভুলে না যাই, ভাষাভিত্তিক জাগরণে বাংলা নামে যে দেশ ৫০ বছর আগে তৈরি করেছি, তার মৌল চেতনা যেকোনো কিছুকে আটকে দেওয়ার পরিপন্থী। উন্নয়নশীল বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে চলচ্চিত্রসহ যেকোনো শিল্প মাধ্যম যখন প্রতিনিয়ত অস্তিত্ব সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, সেখানে ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমাটি পৃথিবীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত ও পুরস্কৃত হচ্ছে। সিনেমাটির সঙ্গে নিজ দেশে এই অন্যায্য আচরণে মনে হয়, সম্ভবত আমরা এ দেশে ৩য় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে বাস করছি।

সিনেমাটি শর্তহীন মুক্তি দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আপনাদের বোধ ও প্রজ্ঞার ওপর আমরা এখনো বিশ্বাস, আস্থা হারাইনি। আমাদের কাজ রাজপথে সংগ্রাম করা নয়, বরং একটি প্রগতিশীল বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিল্প ও শিল্পীর ভূমিকাকে অব্যাহত রাখা। আমরা ‘শনিবার বিকেল’ এর নিঃশর্ত মুক্তি কামনা করি।

দীর্ঘ এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন নাট্য নির্দেশক ও চলচ্চিত্র পরিচালক নাসির উদ্দিন ইউসুফ, সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, রাইসুল ইসলাম আসাদ, সারা যাকের, আফজাল হোসেন, তারিক আনাম খান, শহীদুজ্জামান সেলিম, থিয়েটার ব্যক্তিত্ব সৈয়দ জামিল আহমেদ, পরিচালক সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী, ক্যাথরিন মাসুদ, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সহ সভাপতি ছটকু আহমেদ, পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম, চিত্রশিল্পী ঢালী আল মামুন, শামীম আখতার, মুনিরা মোরশেদ মুন্নী, মুনেম ওয়াসিফ, ঔপন্যাসিক ও সাংবাদিক আনিসুল হক, অভিনয় শিল্পী ফজলুর রহমান বাবু, জাহিদ হাসান, তৌকীর আহমেদ, প্রযোজক সৈয়দ গাউসুল আলম, পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম, চলচ্চিত্রকার জাহিদুর রহিম অঞ্জন, পরিচালক নুরুল আলম আতিক, সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ত্রপা মজুমদার, পরিচালক স্থপতি এনামূল করিম নির্ঝর, পরিচালক গোলাম রাব্বানী বিপ্লব, পিপলু আর খান, অমিতাভ রেজা চৌধুরী, আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ, কামার আহমেদ সাইমন, সারা আফরীন, রুবাইয়াত হোসেন, শিহাব শাহীন, জসিম আহমেদ, গোলাম হায়দার কিসলু, সাংবাদিক নূর সাফা জুলহাজ, প্রযোজক মুশফিকুর রহমান, থিয়েটার প্র‍্যাক্টিশনার মহসিনা আখতার, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহীন সুমন, অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম, অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান, অভিনয় শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী, জয়া আহসান, অপি করিম, ইন্তেখাব দিনার, সংগীত শিল্পী আনুশে আনাদিল, শিবু কুমার শীল, পরিচালক ওয়াহিদ তারেক, মেজবাউর রহমান সুমন, মাসুদ হাসান উজ্জ্বল, কচি খন্দকার, চিত্রগ্রাহক কামরুল হাসান খসরু, চলচ্চিত্রকার এন রাশেদ চৌধুরী, শর্টফিল্ম ফোরামের সভাপতি জহিরুল ইসলাম কচি, শর্টফিল্ম ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুর রহমান, ডকল্যাব বাংলাদেশের তারেক আহমেদ, সৈয়দ ইমরান হোসেন কিরমানি, চিত্রগ্রাহক গোলাম মাওলা নবীর, শেখ রাজিবুল ইসলাম, বরকত হোসেন পলাশ, তাহসিন রহমান, সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার রিপন নাথ, অভিনয় শিল্পী জাকিয়া বারী মম, নুসরাত ইমরোজ তিশা, আজমেরী হক বাঁধন, সুষমা সরকার, ইরেশ যাকের, পরিচালক আশুতোষ সুজন, শরাফ আহমেদ জীবন, আশফাক নিপুণ, রেদওয়ান রনি, ইফতেখার আহমেদ ফাহমি, তানিম নুর, মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ, মাহমুদুল ইসলাম, হুমায়ারা বিলকিস, কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়, আদনান আল রাজীব, আবু শাহেদ ইমন, বিজন ইমতিয়াজ, আরিফুর রহমান, রায়হান রাফী, নুহাশ হুমায়ূন, সৈয়দ শাওকী, সালেহ সোবহান অনিম, অনম বিশ্বাস, ইশতিয়াক আহমেদ রুমেল, গোলাম কিবরিয়া ফারুকী, মিলন ভট্টাচার্য, দিলশাদ শিমুল, আফজাল হোসেন মুন্না, মুসাফির সৈয়দ, গোলাম মুক্তাদির শান, ইমরাউল রাফাত, ইমেল হক, আর বি প্রীতম, তানিম পারভেজ, মাবরুর রশীদ বান্নাহ, আতিক জামান, জয়ন্ত রোজারিও, পল্লব বিশ্বাস, পিকলু চৌধুরী, নিয়ামুল মুক্তা, শহিদ উন নবী, হাসান মোরশেদ, এবি রোকন, রুবায়েত মাহমুদ, মাজেদুল হক রানা, সেতু আরিফ, আরিক আনাম খান, কাজল আরেফিন অমি, সামিউর রহমান, মমিন বিশ্বাস, নাজমুল নবীন, ফাহাদ খান, আব্দুল্লাহ মুক্তাদির, মাহমুদুল হাসান আদনান, চলচ্চিত্র সংগঠক বেলায়েত হোসেন মামুন, প্রযোজক সরদার সানিয়াত হোসেন, এশা ইউসুফ, মীম রশিদ, সংঘীত শিল্পী ও পরিচালক আহমেদ হাসান সানি, আর্ট ডিরেক্টর শিহাব নুরুন নবী, তারেক বাবলু, শহীদুল ইসলাম, কস্টিউম ডিজাইনার ফারজানা সান এবং ইদিলা ফরিদ তুরিন।

 
 

বঙ্গরত্ন সম্মাননা পেলেন সংগীত শিল্পী স্বপ্নীল সজীব



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা ২৪.কম
বঙ্গরত্ন সম্মাননা পেলেন সংগীত শিল্পী স্বপ্নীল সজীব

বঙ্গরত্ন সম্মাননা পেলেন সংগীত শিল্পী স্বপ্নীল সজীব

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের জনপ্রিয় রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী স্বপ্নীল সজীব। রবীন্দ্র সংগীতের প্রচারণায় ঘুরে বেড়ান দেশ বিদেশ। একজন তরুণ রবীন্দ্রসংগীত-শিল্পী হিসেবেই স্বপ্নীল সজীবের যাত্রা হয়েছিল।

কিন্তু সময়ের ধারাবাহিকতায় এ তরুণ কণ্ঠশিল্পী বর্তমানে রবীন্দ্রসংগীতের পাশাপাশি সব ধরনের গান গেয়ে শ্রোতা দর্শককে মুগ্ধ করে চলেছেন। শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও স্বপ্নীল সজীব গান গেয়ে বাংলাদেশি শ্রোতা দর্শককে মুগ্ধ করছেন প্রতিনিয়ত।

সম্প্রতি প্রভাষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সেমিনারে। সেমিনার শেষে কলকাতায় যোগ দিয়েছিলেন ভারতের ২০তম প্রগতি বাঙলা উৎসবে। সেখানে দেওয়া হয় তাকে সম্মাননা। প্রগতি বাঙলা সেরা বাঙালি ও বঙ্গরত্ন সম্মাননা। রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে কাজ করায় তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেল এবং ডাঃ অরিজিতের হাত থেকে তিনি সম্মাননা গ্রহণ করেন। সম্মাননা পেয়ে স্বপ্নীল সজীব বলেন, সম্মাননা সব সময়ই অনেক বেশি অনুপ্ররেণা জোগায় আমাকে। সম্মাননা আমাকে কাজের প্রতি আরও বেশি সাহস জোগায়। ভারতের বাঙালি উৎসবে আমাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। পরবর্তী কাজের প্রতি আমাকে দায়বদ্ধতা বাড়িয়ে দিলো।ধন্যবাদ ভারতের বিখ্যাত প্রগতি বাঙলা উৎসব কে আমাকে সেরা বাঙালী এবং বঙ্গরত্ন সম্মাননা প্রদান করবার জন্য,এটা আমার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অর্জন, ধন্যবাদ প্রগতি বাঙলা আমার প্রানের ও শ্রদ্ধেয় বিবি রাসেল আপা এবং ডাঃ অরিজিত কে আমাকে আমন্ত্রণ ও এত বড় সম্মাননা দেবার জন্য"।

উল্লেখ্য, স্বপ্নীল সজীব নিয়মিত রবীন্দ্র সংগীত চর্চা করেন। বিভিন্ন ভারত ও বাংলাদেশের বাংলা ভাষীদের কাছে জনপ্রিয় রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী তিনি। ইতিমধ্যেই পেয়েছেন অনেক সম্মাননা। মুক্তির অপেক্ষায় আছে তার প্লেব্যাক করা কয়েকটি চলচ্চিত্রের গান যেগুলো শীগ্রই মুক্তি পাবে ভারত এবং বাংলাদেশে।

;

টালিউডের এনটি ওয়ান স্টুডিওতে অগ্নিকাণ্ড



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কলকাতায় আবারও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৯ মার্চ) ভোর পাঁচটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত আগুন লাগে। দাউদাউ আগুনের গ্রাসে এরই মধ্যে পুড়েছে টালিগঞ্জের এনটি ওয়ান স্টুডিওর একাংশ।

স্থানীয়রা জানান, সকালে তারা প্রথমে স্টুডিওর একাংশে আগুন দেখতে পান। পরে ফায়ার সার্ভিস আসতে আসতে মুহূর্তের মধ্যে আগুন বিধ্বংসী আকার ধারণ করে। এই আগুনের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। টলিপাড়ার একাধিক সিরিয়ালের শুটিং হতো এই স্টুডিওতে। ভোর হওয়ায় দুর্ঘটনার সময় স্টুডিওতে কোনো কাজ চলছিল না।

যেহেতু স্টুডিওর একাংশে আগুন লেগেছে তা কতক্ষণে নিয়ন্ত্রণে আসবে সেটা যেমন ফায়ার সার্ভিসের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ, একইসঙ্গে সেই আগুন যাতে স্টুডিওর অন্য জায়গায় না ছড়িয়ে পড়ে সেই বিষয়েও নজর রাখা হচ্ছে। যেহেতু সেট তৈরির অজস্র জিনিস সেখানে মজুত রয়েছে, যার বেশিরভাগই দাহ্য বস্তু দিয়ে তৈরি।

তাতে আগুন আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে। আগুনের উৎসস্থল খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। কীভাবে আগুন লাগল তা এখনও জানা যায়নি। ধোঁয়ায় তিনজন বয়স্ক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক দেবব্রত মজুমদারের দাবি।

;

কুড়িগ্রামে ২৫ হাজার দর্শক মাতালেন আঁখি আলমগীর



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা ২৪.কম
কুড়িগ্রামে ২৫ হাজার দর্শক মাতালেন আঁখি আলমগীর

কুড়িগ্রামে ২৫ হাজার দর্শক মাতালেন আঁখি আলমগীর

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আঁখি আলমগীর। গানের পাখি আঁখি এবার এক শো’তে ২৫ হাজার দর্শক মাতালেন। গত শনিবার (১৮ মার্চ) উত্তরবঙ্গের কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে এই উল্লেখযোগ্য দর্শকদের সামনে মঞ্চ মাতালেন শ্রোতাপ্রিয় ও সুন্দরী সঙ্গীতশিল্পী আঁখি আলমগীর। তার সঙ্গে ছিলেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ফেরদৌস।

আঁখি জানান, কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলা বণিক সমিতির ৫০ বছর পূর্তি ও নতুন কমিটির অভিষেক উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আর সেই অনুষ্ঠানেই পারফর্ম করেন তিনি ও ফেরদৌস। উপজেলার ডিএম একাডেমি ফুটবল মাঠে ওই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। পুরো অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন টেলিভিশন উপস্থাপিকা মার্জান সুমি।

জানা যায়, এই অনুষ্ঠান উপভোগ ও প্রিয় তারকাদের দেখতে মাঠে ভিড় জমায় হাজার হাজার শ্রোতা-দর্শক। এমনকি অনেকে জায়গা না পেয়ে গাছের ডালে, ভবনের ছাঁদে উঠেও দেখেন অনুষ্ঠানটি। ৫০ বছর পূর্তির ওই অনুষ্ঠানের প্রথম পর্যায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কুড়িগ্রাম জেলার সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য একে এম মোস্তাফিজুর রহমান, পৌর মেয়র মোহাম্মদ হোসেন ফাকু, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা জামান।

নাগেশ্বরী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবিউল হাসান বলেন, বণিক সমিতির ৫০ বছর পূর্তি ও নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আর এই অনুষ্ঠানে প্রায় ২৫ হাজার শ্রোতা-দর্শক উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশবন্ধু গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট শিল্পপতি গোলাম মোস্তফা। অনুষ্ঠানটির সার্বিক সহযোগিতায় ছিল প্রতিষ্ঠানটি।

প্রায় সিকি লক্ষ দর্শক-শ্রোতার সামনে মঞ্চ মাতানো আঁখি আলমগীর তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বিপুল দর্শক- শ্রোতার মাঝে লাইভ পারফরমেন্স করার মজাই আলাদা। ওখানকার অডিয়েন্স দারুণ ছিল। খুব ভালো লেগেছে গানে গানে তাদেরকে সুরের মূর্ছনায় মাতিয়ে দিতে।

;

চিত্রনায়ক শাকিবের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে ডিবি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকাই সিনেমার তারকা অভিনেতা শাকিব খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ ছবির প্রযোজক রহমত উল্ল্যাহ। তার এই অভিযোগের খবর প্রকাশ্যে আসার তিন দিন পর ডিবিতে লিখত অভিযোগ দায়ের করেছেন শাকিব খান।

রোববার (১৯ মার্চ) শাকিব খান ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে এই অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, অভিনেতা শাকিব খান একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন। তিনি আমাকে ফোন করে যোগাযোগ করেছিলেন।

তিনি ফোনে বলেন, ডিবি পুলিশ অনেক চাঞ্চল্যকর ঘটনা তদন্ত করে, তার একটি ব্যক্তিগত অভিযোগ রয়েছে সেটি তিনি আমাদের জানাতে চান। এরপর একটি লিখিত অভিযোগসহ ডিবি কার্যালয়ে আসেন নায়ক শাকিব।

ডিবি প্রধান হারুন বলেন, আবেদনে শাকিব দাবি করেছেন- রহমত উল্ল্যাহ কোনও প্রযোজক না। রহমত উল্ল্যাহ প্রযোজক না হয়েও মিথ্যা পরিচয় দিয়ে তার বিরুদ্ধে আজেবাজে, মিথ্যা ও প্রপাগান্ডা ছড়িয়েছেন। আমি বলেছি, আপনি লিখিত আবেদন দিয়ে যান, আমরা সেটা খতিয়ে দেখব, তদন্ত করে দেখবো। তদন্তে নায়ক শাকিবের করা লিখিত অভিযোগের সত্যতা মিললে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এর আগে, শনিবার রাতে গুলশান থানায় গিয়েছিলেন শাকিব খান। তবে পুলিশ মামলাটি নেয়নি। মামলাটি আদালতে করার পরামর্শ দেওয়া হয় তাকে।

তার আগে প্রযোজক খোরশেদ আলম বলেন, বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় রহমত উল্লাহ ও শাকিব খানকে নিয়ে বসেছিলাম আমরা। সেখানে দুই পক্ষেরই বক্তব্য শুনেছি। কথা বলে যা বুঝতে পারছি, বিষয়টি সহসাই সমাধান হচ্ছে না।

খোরশেদ আলম আরও বলেন, দুই পক্ষেরই অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে আমাদের আবারও বসতে হবে। তবেই বিষয়টি সমাধান হতে পারে।

তার আগে, বুধবার (১৫ মার্চ) বিকেলে সশরীরে এফডিসিতে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতি বরাবর শাকিবের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান প্রযোজক রহমত উল্লাহ।

অভিযোগপত্রে নির্মিতব্য ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ (২০১৭) সিনেমায় অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস, ধর্ষণ (NSW Police reference no: E 62494959) এবং পেশাগত অবহেলার মাধ্যমে চলচ্চিত্রটির ক্ষতি সাধন, চলচ্চিত্রের শুটিং সম্পন্ন করতে অথবা লগ্নিকৃত অর্থ ফিরিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় নিরুপায় হয়ে অভিযোগ করেছেন বলে উল্লেখ করেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এ বাঙালি প্রযোজক।

এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ায় নারী ধর্ষণ করার মতো অভিযোগ তোলা হয় শাকিব খানের বিরুদ্ধে।

;