‘শনিবার বিকেল’র দাবিতে এক হলেন সংস্কৃতিকর্মীরা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
শনিবার বিকেল

শনিবার বিকেল

  • Font increase
  • Font Decrease

গত সাড়ে তিন বছর ধরে আটকে আছে জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সিনেমা ‘শনিবার বিকেল’। এটি মুক্তি চেয়ে ইতোমধ্যেই শোবিজ অঙ্গনে থেকে শুরু করে ভক্ত-দর্শকরাও নেমেছে রাজপথে। ফলে সিনেমাটির মুক্তি নিয়ে অনিশ্চিয়তা দেখা দেয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্র ও সাংস্কৃতি অঙ্গনের শতাধিক ব্যক্তি।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানান, ‘শনিবার বিকেল’ মুক্তিকে কেন্দ্র করে দেশের সব ধারার সংস্কৃতিক কর্মী এক হয়েছেন। বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ১৩০জন সংস্কৃতিকর্মী।

আজ মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, সিনেমা, নাটক, সংগীত, শিল্প, সংস্কৃতির এমন নানা ক্ষেত্রে, নানা সময় হাজির করা হচ্ছে বহুমুখী বাধা, যা আমাদের উদ্বিগ্ন করছে। এ উদ্বেগ আরও বাড়ে যখন দেখি, আমাদের বন্ধু সুহৃদ চলচ্চিত্রকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর চলচ্চিত্র ‘শনিবার বিকেল’ বিনা কারণে সাড়ে ৩ বছরের বেশি সময় সেন্সর বোর্ডে আটকে থাকে। সম্প্রতি আমরা জানতে পেরেছি আগামী ১৭ তারিখ এই বিষয়ে আপিল কমিটির একটি সভা আহ্বান করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষ ও সুধীজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমাদের মধ্যে অনেকেই ছবিটি দেখেছি এবং বুঝতে অপারগ হচ্ছি, কেন এই ছবিটির সঙ্গে এরকম আচরণ করা হচ্ছে। আমরা তাই ছবিটির নির্মাতার হতাশা ও মর্মবেদনা অনুভব করতে পারছি। সারা পৃথিবীতে যখন সেন্সরের ধারণাটি একটি বাতিলযোগ্য পুরানো ধ্যান-ধারণা হিসেবে আলোচিত হচ্ছে, ঠিক তখনই আমরা সেন্সর, দীর্ঘসূত্রিতা এবং অজানা কোনো কারণে সময়ের একজন খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকারের কাজ আটকে রেখেছে। এ দেশের নাগরিক ও শিল্পী সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা বলতে চাই, আমাদের প্রজ্ঞা ও বিবেচনায় এই দীর্ঘসূত্রিতা আমাদের ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ করে এবং সকল কর্তৃপক্ষের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

মুক্তির পক্ষ নিয়ে সেখানে বলা হয়, আমরা যেন ভুলে না যাই, ভাষাভিত্তিক জাগরণে বাংলা নামে যে দেশ ৫০ বছর আগে তৈরি করেছি, তার মৌল চেতনা যেকোনো কিছুকে আটকে দেওয়ার পরিপন্থী। উন্নয়নশীল বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে চলচ্চিত্রসহ যেকোনো শিল্প মাধ্যম যখন প্রতিনিয়ত অস্তিত্ব সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, সেখানে ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমাটি পৃথিবীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত ও পুরস্কৃত হচ্ছে। সিনেমাটির সঙ্গে নিজ দেশে এই অন্যায্য আচরণে মনে হয়, সম্ভবত আমরা এ দেশে ৩য় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে বাস করছি।

সিনেমাটি শর্তহীন মুক্তি দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আপনাদের বোধ ও প্রজ্ঞার ওপর আমরা এখনো বিশ্বাস, আস্থা হারাইনি। আমাদের কাজ রাজপথে সংগ্রাম করা নয়, বরং একটি প্রগতিশীল বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিল্প ও শিল্পীর ভূমিকাকে অব্যাহত রাখা। আমরা ‘শনিবার বিকেল’ এর নিঃশর্ত মুক্তি কামনা করি।

দীর্ঘ এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন নাট্য নির্দেশক ও চলচ্চিত্র পরিচালক নাসির উদ্দিন ইউসুফ, সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, রাইসুল ইসলাম আসাদ, সারা যাকের, আফজাল হোসেন, তারিক আনাম খান, শহীদুজ্জামান সেলিম, থিয়েটার ব্যক্তিত্ব সৈয়দ জামিল আহমেদ, পরিচালক সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী, ক্যাথরিন মাসুদ, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সহ সভাপতি ছটকু আহমেদ, পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম, চিত্রশিল্পী ঢালী আল মামুন, শামীম আখতার, মুনিরা মোরশেদ মুন্নী, মুনেম ওয়াসিফ, ঔপন্যাসিক ও সাংবাদিক আনিসুল হক, অভিনয় শিল্পী ফজলুর রহমান বাবু, জাহিদ হাসান, তৌকীর আহমেদ, প্রযোজক সৈয়দ গাউসুল আলম, পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম, চলচ্চিত্রকার জাহিদুর রহিম অঞ্জন, পরিচালক নুরুল আলম আতিক, সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ত্রপা মজুমদার, পরিচালক স্থপতি এনামূল করিম নির্ঝর, পরিচালক গোলাম রাব্বানী বিপ্লব, পিপলু আর খান, অমিতাভ রেজা চৌধুরী, আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ, কামার আহমেদ সাইমন, সারা আফরীন, রুবাইয়াত হোসেন, শিহাব শাহীন, জসিম আহমেদ, গোলাম হায়দার কিসলু, সাংবাদিক নূর সাফা জুলহাজ, প্রযোজক মুশফিকুর রহমান, থিয়েটার প্র‍্যাক্টিশনার মহসিনা আখতার, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহীন সুমন, অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম, অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান, অভিনয় শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী, জয়া আহসান, অপি করিম, ইন্তেখাব দিনার, সংগীত শিল্পী আনুশে আনাদিল, শিবু কুমার শীল, পরিচালক ওয়াহিদ তারেক, মেজবাউর রহমান সুমন, মাসুদ হাসান উজ্জ্বল, কচি খন্দকার, চিত্রগ্রাহক কামরুল হাসান খসরু, চলচ্চিত্রকার এন রাশেদ চৌধুরী, শর্টফিল্ম ফোরামের সভাপতি জহিরুল ইসলাম কচি, শর্টফিল্ম ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুর রহমান, ডকল্যাব বাংলাদেশের তারেক আহমেদ, সৈয়দ ইমরান হোসেন কিরমানি, চিত্রগ্রাহক গোলাম মাওলা নবীর, শেখ রাজিবুল ইসলাম, বরকত হোসেন পলাশ, তাহসিন রহমান, সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার রিপন নাথ, অভিনয় শিল্পী জাকিয়া বারী মম, নুসরাত ইমরোজ তিশা, আজমেরী হক বাঁধন, সুষমা সরকার, ইরেশ যাকের, পরিচালক আশুতোষ সুজন, শরাফ আহমেদ জীবন, আশফাক নিপুণ, রেদওয়ান রনি, ইফতেখার আহমেদ ফাহমি, তানিম নুর, মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ, মাহমুদুল ইসলাম, হুমায়ারা বিলকিস, কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়, আদনান আল রাজীব, আবু শাহেদ ইমন, বিজন ইমতিয়াজ, আরিফুর রহমান, রায়হান রাফী, নুহাশ হুমায়ূন, সৈয়দ শাওকী, সালেহ সোবহান অনিম, অনম বিশ্বাস, ইশতিয়াক আহমেদ রুমেল, গোলাম কিবরিয়া ফারুকী, মিলন ভট্টাচার্য, দিলশাদ শিমুল, আফজাল হোসেন মুন্না, মুসাফির সৈয়দ, গোলাম মুক্তাদির শান, ইমরাউল রাফাত, ইমেল হক, আর বি প্রীতম, তানিম পারভেজ, মাবরুর রশীদ বান্নাহ, আতিক জামান, জয়ন্ত রোজারিও, পল্লব বিশ্বাস, পিকলু চৌধুরী, নিয়ামুল মুক্তা, শহিদ উন নবী, হাসান মোরশেদ, এবি রোকন, রুবায়েত মাহমুদ, মাজেদুল হক রানা, সেতু আরিফ, আরিক আনাম খান, কাজল আরেফিন অমি, সামিউর রহমান, মমিন বিশ্বাস, নাজমুল নবীন, ফাহাদ খান, আব্দুল্লাহ মুক্তাদির, মাহমুদুল হাসান আদনান, চলচ্চিত্র সংগঠক বেলায়েত হোসেন মামুন, প্রযোজক সরদার সানিয়াত হোসেন, এশা ইউসুফ, মীম রশিদ, সংঘীত শিল্পী ও পরিচালক আহমেদ হাসান সানি, আর্ট ডিরেক্টর শিহাব নুরুন নবী, তারেক বাবলু, শহীদুল ইসলাম, কস্টিউম ডিজাইনার ফারজানা সান এবং ইদিলা ফরিদ তুরিন।

 
 
   

অভিনেত্রী তিশার কণ্ঠে গান



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। শোবিজে তার পথচলার শুরুটা হয়েছিল বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা ‘নতুন কুঁড়ি’র মাধ্যমে। সেই সময় শিশুশিল্পী হিসেবে গান করতেন তিনি। এরপর অভিনয়-মডেলিংয়েও পদচারণা।

এবার আবারও গানে ফিরলেন এই অভিনেত্রী।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে নিজের কণ্ঠে নতুন গান আসার খবর দেন তিশা।

জানা যায়, ‘অটোবায়োগ্রাফি’ শিরোনামে গানটির কথা লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ এবং সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন পাভেল আরিন।

সম্প্রতি একটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ওয়েব ফিল্ম ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’। তিশার কণ্ঠে এই গানটি মূলত এই ফিল্মের টাইটেল সং। তবে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ‘স্ট্রিমিং অ্যান তিশা’ ব্যান্ডের হয়ে তিশার গায়কীতে নজরুলগীতি ‘এই শিকল পরা ছল’ গানটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল।


‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ সিনেমাটি তিশা-ফারুকী দম্পতির জন্য অনেকগুলো ‘প্রথম’র সমন্বয়।

তিশার ভাষ্যমতে, ‘সন্তান হওয়ার পর আমার প্রথম কাজ। একজন লেখিকা হিসেবে আমার প্রথম লেখা। মেয়ে ইলহামের প্রথম মিউজিক ভিডিও, একজন ডিরেক্টর ফারুকীর প্রথম অভিনয়। এক কথায় এই ফিল্মে অনেক কিছুই প্রথমবার ঘটেছে আমাদের। আর যেকোনো প্রথম বিষয় মানুষের জীবনে অনেক স্পেশাল।

সিনেমাটিতে ফারুকী-তিশা ছাড়াও অভিনয় করেছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল, ইরেশ যাকের, শরাফ আহমেদ জীবন, ডলি জহুরসহ অনেকে।

;

প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার ৫০ তম ছবি ‘অযোগ্য’



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সফল জুটি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। নব্বই দশক থেকে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলা ছবির দর্শকের মনোরঞ্জন করে চলেছেন এই জুটি। একটা সময় যখন বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি যখন ধুঁকছে সেই সময় ব্যাক বোনের মতো কাজ করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টপাধ্যায়। সফর সঙ্গী ছিলেন টলি কুইন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তবে মাঝে অনেকটা সময় তারা একসঙ্গে কাজ করেননি।

অযোগ্য’র পোস্টার

কিন্তু, ২০১৬-তে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়ের ‘প্রাক্তন’ মুভির হাত ধরে বাংলা ছবির দর্শক ফুরে পেয়েছে সেই পুরনো জুটির নস্ট্যালজিয়া। এরপর কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দৃষ্টিকোন’-এ আরও একবার দর্শকের মনোরঞ্জন করেছেন টলিপাড়ার ফেমাস জুটি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। দেখতে দেখতে ৪৯ টি ছবিতে জুটি হয়ে কাজ করে ফেলেছেন তারা। এ বছরের শারদীয়া উৎসবেই বাঙালি দর্শককে সুখবর শোনালেন প্রসেনজিৎ। ৫০ তম ছবিতে জুটি বাঁধতে চলেছেন তারা।

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত

এরইমধ্যে ছবিটির কাজ শেষ হয়েছে। জনপ্রিয় নির্মাতা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত ধরেই ৫০ তম সিনেমা নিয়ে ফিরছে পুরনো এই জুটি। এতোদিন জানা যায়নি সেই ছবির নাম। অবশেষে আজ সন্ধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবির নাম জানালেন সিনেমা সংশ্লিষ্টরা।

ঋতুপর্ণা তার ফেসবুকে লেখেন, ‘ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এটাই প্রথম, যেখানে একটি জুটি তাদের ৫০ তম সিনেমা নিয়ে হাজির হচ্ছে। সেই সিনেমার নাম অযোগ্য। আজ আমরা ছবির অফিসিয়াল লোগো প্রকাশ করলাম। কৌশিক গাঙ্গুলী পরিচালিত সিনেমাটি শিগগিরই সিনেমা হলে আসবে।’

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় 

প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করবেন লিলি চক্রবর্তী, অম্বরিশ ভট্টাচার্য্য প্রমুখ। গান তৈরী করবেন শিলাজিৎ, অনুপম রায়, ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। ছবিটি প্রযোজনা করছেন নিশপাল সিং।

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত

আনন্দে আত্মহারা হয়ে প্রসেনজিৎ বলেন, ‘আমি আর ঋতুপর্ণা ৫০ তম সিনেমায় জুটি বাঁধছি। এখনও খুব মানুষের কাছে এই খবর পৌঁছয়নি। আমার মনে হয় ভারতবর্ষ বা গোটা পৃথিবীতে কোনও নায়ক-নায়িকা একসঙ্গে ৫০ টা ছবিতে অভিনয় করেছে। শুধুমাত্র আপনাদের ভালোবাসা আর আশীর্বাদের জন্যই এই পথচলাটা সফল হয়েছে।’

;

দেশের প্রেক্ষাগৃহেও কী সফল হবে ‘অ্যানিমেল’?



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
অ্যানিমেল সিনেমায় রণবীর কাপুর

অ্যানিমেল সিনেমায় রণবীর কাপুর

  • Font increase
  • Font Decrease

শাহরুখ খানের জাওয়ান ভারতের সঙ্গে একই দিনে বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়ায় বেশ সাড়া ফেলে। সেই ধারবাহিকতায় সালমানের খানের টাইগার থ্রি একই দিনে এ দেশে মুক্তি দিতে গিয়ে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশি প্রযোজনা সংস্থা। এবার রণবীর কাপুরের অ্যানিমেল আনতেও ব্যর্থ হয়েছে।

এরইমধ্যে অ্যানিমেলের অসংখ্য রিভিউ, পাইরেসি কপি দেখে ফেলেছে বাংলাদেশি দর্শক। তারপরও ছবিটি ব্যবসাসফল হওয়ায় হাল ছাড়েনি অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট নামের প্রযোজনা সংস্থাটি। তারা অবশেষে আগামী ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার বাংলাদেশের ৪৮টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দিচ্ছে অ্যানিমেল। ভারতে মুক্তির এক সপ্তাহ পর বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়া ছবিটি দর্শক হলে গিয়ে কতোটা দেখবে সে প্রশ্ন রয়েই যায়!

 
অ্যানিমেল সিনেমায় রণবীর কাপুর ও রাশমিকা মান্দানা

ইতোমধ্যে ছবিটি আনকাট সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কাট অ্যান্ড কাট এন্টারটেইনমেন্টের অনন্য মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদেশের দর্শক প্রায় ৩০ মিনিট বাদ দিয়ে আরব দেশগুলোতে যে ভার্সন মুক্তি পেয়েছে সেটুকু দেখতে পারবেন। 

বোর্ডের সদস্য কাজী হায়াৎ জানিয়েছেন, ছবিতে কোনো আপত্তিকর দৃশ্য নেই। এটি মুক্তি পেলে সমাজে কোনো প্রভাব পড়বে না।

এরইমধ্যে বাংলাদেশে মুক্তির জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চলতি মাসের প্রথম দিনেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গা পরিচালিত সিনেমা ‘অ্যানিমেল’। মাত্র পাঁচ দিনেই ভারতীয় বক্স অফিসে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে রণবীর কাপুর অভিনীত সিনেমাটি। বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসেও বাজিমাত করছে এটি। বিদেশেও এরইমধ্যে শত কোটি টাকার বেশি আয় করেছে অ্যানিমেল।

অ্যানিমেল সিনেমায় অনিল কাপুর, ববি দেওয়াল ও রাশমিকা মান্দানা

ফিল্ম বাণিজ্য বিশ্লেষক রমেশ টুইটারে লিখেছেন, ‘পাঁচ দিনে, অ্যানিমেল বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে প্রায় সাড়ে ৪০০ কোটি আয় করেছে।’

অন্য একটি টুইটে, উত্তর আমেরিকায় অ্যানিমালের বক্স অফিস আয়ের বিবরণ শেয়ার করে রমেশ লিখেছেন, ‘অ্যানিমেল ৪.৫ মিলিয়ন (আনুমানিক ৩৭.৪ কোটি) আয় করেছে এবং এখনও কিছু অঞ্চলের গণনা চলছে। ৫ মিলিয়নের বড় মাইলফলকের দিকে দৌড়াচ্ছে এটি।’

অ্যানিমেল সিনেমায় রণবীর কাপুর ও রাশমিকা মান্দানা

এরইমধ্যে অ্যানিমেল রণবীর কাপুরের ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ আয়ের সিনেমা হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিচ্ছে। সিনেমাটি মুক্তির আগেই ধারণা করা হচ্ছিল, এটি রণবীরের ক্যারিয়ারসেরা সিনেমা হতে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত রণবীরের সবচেয়ে বড় হিট হলো ‘সঞ্জু’, যেটি ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৬০০ কোটি রুপি আয় করেছে। কিন্তু ‘অ্যানিমেল’ তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় উদ্বোধনী আয়ের রেকর্ড গড়ে নিয়েছে।

‘অ্যানিমেল’-এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন রণবীর কাপুর। সিনেমায় আরও রয়েছেন রাশ্মিকা মান্দানা, তৃপ্তি দিমরী, অনিল কাপুর ও ববি দেওয়াল।

;

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মাতিয়ে গেলেন সালমান খান



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব উন্বোধনে আমন্ত্রিত অতিথিরা

কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব উন্বোধনে আমন্ত্রিত অতিথিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

গতকাল ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৯তম আসর। এদিন বিকেলে কলকাতা শহরের নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বর্ণাঢ্য আয়োজনে হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠান ঘিরে রীতিমত তারার হাট বসেছিল। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বানার্জীর আমন্ত্রণে বলিউড ভাইজান সালমান খান থেকে শুরু করে অনিল কাপুর, মহেশ ভাট, শত্রুঘ্ন সিনহা, সোনাক্ষী সিনহাসহ কলকাতা সিনেমার সব তারকা মুখদের দেখা গেছে। ২৯তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের থিম সংটি গেয়েছেন অরিজিৎ সিং! যে গানে তাল মেলাতে দেখা গেছে সালমান-মমতাদেরও!

এভাবেই নেচে গেয়ে মঞ্চ মাতান সালমান, সোনাক্ষীরা

এদিন অল ব্ল্যাক লুকে উপস্থিত হন সালমান খান। সংবর্ধনা পর্ব শেষে উৎসবের অফিশিয়াল থিম সং চালানো হয় স্ক্রিনে। সঞ্চালক জুন মালিয়ার অনুরোধ, ‘ভাই (সালমান) এই গানে আপনি খুব মাথা নাড়ছিলেন, যদি একটু? বলা মাত্রই উঠে দাঁড়ালেন সালমান। ভাইজান নাচবেন আর দিদি নাচবেন না তা কী হয়? সটান মমতার দিকে হাত বাড়ালেন সালমান। রাজি নন দিদি, কিন্তু নাছোড়বান্দা বলিউডের ভাইজান। অবশেষে তার জেদের সামনে হার মানলেন মমতা। ওমনি করতালিতে ভরে উঠল পুরো স্টেডিয়াম।

সালমানের সঙ্গে পূজা ব্যানার্জি ও শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি

এদিন উদ্বোধনী বক্তৃতায় সালমানকে কলকাতায় স্বাগত জানালেন বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানান জীবনের প্রথমবার ভাইজানের সঙ্গে তার দেখা হল। সৌরভ বলেন, ‘একটু আগে সালমানের সঙ্গে আমার সেটা নিয়েই কথা হচ্ছিল, কেন জানি না তবে আমাদের কোনওদিন মুখোমুখি দেখা হয়নি।’

অনিল কাপুরের সঙ্গে শ্রাবন্তী ও ঋতুপর্ণা

‘নায়ক’ অনিল কাপুর বাংলার সঙ্গে তার ফিল্মি ক্যারিয়ারের আত্মিক যোগের কথা শোনালেন। পাশাপাশি কুর্নিশ জানালেন মহানয়াক উত্তম কুমারসহ বাংলার বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বদের। উত্তম কুমারের ছবি দিয়েই এবার শুরু হচ্ছে চলচ্চিত্র উৎসবের পথচলা। ফোকাস কান্ট্রি হিসেবে দেখা গেছে স্পেন এবং অস্ট্রেলিয়ার নাম।

সালমানের সঙ্গে সেলফিতে ইমন চক্রবর্তী ও কৌশানী মুখার্জি

এ বছর উৎসবের অভ্যর্থনা কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন মেগাস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।

আড্ডায় দেব, কোয়েল, প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণা ও অরিন্দম শীল

তিনিসহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কিংবদন্তী সাবিত্রী চ্যাটার্জি, মাধবী মুখার্জি, লিলি চক্রবর্তী, রঞ্জিত মল্লিক থেকে শুরু করে প্রখ্যাত অভিনেতা চিরঞ্জিত, সব্যসাচী চক্রবর্তী, অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, কোয়েল মল্লিক, শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি, নুসরাত জাহান, চূর্ণি গাঙ্গুলি, জুন মালিয়া, কৌষানী মুখার্জি, সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, চিত্রনায়ক দেব, সোহম, নির্মাতা গৌতম ঘোষ, সৃজিত মুখার্জি, কৌশিক গাঙ্গুলি, রাজ চক্রবর্তী, সংগীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তীসহ কলকাতার সিনেমার একঝাঁক প্রথমসারির তারকা।

সালমানের সঙ্গে ঋতুপর্ণা

এই আসরে একমাত্র বাংলাদেশি সিনেমা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে সৈয়দা নিগার বানু নির্মিত ‘নোনা পানি’। উৎসবে এশিয়া সিলেক্ট (নেটপ্যাক অ্যাওয়ার্ড) বিভাগে নির্বাচিত হয়েছে। এতে অভিনয় করেছেন বিলকিস বানু, রাকিবুল হক রিপন, জয়িতা মহলনাবিশ, রুবল লোদী, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, বীণা মজুমদার, সুকান্ত সরকার প্রমূখ।

;