আর বেশি দিনের অপেক্ষা নয়। খুব শিগগিরই বলিউডে পা রাখতে চলেছেন বলিউড বাদশার কন্যা। জ়োয়া আখতারের ‘দ্য আর্চিজ়’ সিরিজ়ের মাধ্যমে বলিউডে অভিনেত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন শাহরুখ খানের মেয়ে সুহানা খান।
তবে তার আগেই ঘটল বিপত্তি। নাচতে গিয়ে উল্টে পড়ে গেলেন তিনি। পায়ে চোট পেয়ে প্রায় কান্নাকাটিই জুড়লেন শাহরুখকন্যা। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন সেই ঘটনা।
বিজ্ঞাপন
সুপারস্টার বাবার মেয়ে হিসাবে নয়, নিজের দক্ষতায় বলিউডে প্রতিষ্ঠা পেতে চান সুহানা। তার জন্য কম পরিশ্রমও করছেন না তিনি। শরীরচর্চা থেকে শুরু করে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নেওয়া— কোনো কিছুতেই তমতি রাখছেন না শাহরুখকন্যা।
এমনকি ব্যালে প্রশিক্ষণ নেওয়াও শুরু করেছেন তিনি। ব্যালে অনেকটা পশ্চিমি দুনিয়ার শাস্ত্রীয় নাচের মতো। সেই নাচের প্রশিক্ষণ যে বেশ কঠিন, তা বোঝা গেছে একাধিক হলিউড ছবি দেখেই। কিন্তু নাছোড়বান্দা সুহানা, ওই নাচ শিখেই ছাড়বেন তিনি। যেমন বলা, তেমন কাজ! ব্যালে শেখা শুরু করলেন শাহরুখকন্যা। ওই নাচ করতে গিয়েই যত বিপত্তি।
বিজ্ঞাপন
নাচের স্টুডিওতেই উল্টে পড়লেন সুহানা। চোটও পেলেন পায়ে। স্টুডিওর মেঝেতে বসেই কান্নাকাটি জুড়লেন শাহরুখকন্যা। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে নিজের পায়ের ছবি পোস্টও করেন তিনি। সঙ্গে কান্নাকাটির ইমোজি। নাচ করতে গিয়ে পড়ে গিয়ে যে বেশ আঘাত পেয়েছেন তিনি, তা স্পষ্ট সেই ছবি থেকে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর সংস্কারকামী অভিনয়শিল্পীরা বলেছিলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় অভিনয়শিল্পী সংঘের যারা একটি নির্দিষ্ট শাসনকাঠামোর পক্ষে অবস্থান নিয়ে অশিল্পীসুলভ আচরণ করেছেন, তাদের সবাইকে পুরো জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে।
এর জন্য অভিনয়শিল্পী সংঘকে গতকাল পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন সংস্কারকামী শিল্পীরা। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে পদত্যাগের ঘোষণা না আসায় কার্যনির্বাহী পরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদের প্রতি অনাস্থার ঘোষণা দেন তারা। শুধু তাই নয়, সংস্কারকামী অভিনয়শিল্পীরা বলছেন, ‘আমরা আর আপনাদের নির্বাচিত অভিভাবক মানি না।’
গতকাল বিকেলে ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবরের ‘কথা বলতে চাই, কথা শুনতে চাই’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনা থেকে এই ঘোষণা দেন অর্ধশতাধিক সংস্কারকামী অভিনয়শিল্পী। সেখানেই এ বিষয়ে আলোচনা ও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সংস্কারকামী শিল্পীদের পক্ষে অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকারের দোসররা এই দেশে রয়ে গেছেন। তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে আমাদের ওপর চড়াও হচ্ছেন। মিডিয়া রাষ্ট্রের বাইরে কিছু না। মিডিয়াতেও এমন অনেক দোসর ছিলেন ও আছেন। নানাভাবে সুবিধা নিয়েছেন, নিজেদের জায়গা শক্ত করেছেন। তরুণরা যেভাবে মিডিয়াটাকে দেখতে চান, আমিও সেভাবেই মিডিয়াটাকে দেখতে চাই।’
অভিনেতা শরীফ সিরাজ জানান, অভিনয়শিল্পী সংঘের গঠনতন্ত্রের ৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের সদস্যপদ থাকার কথা নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আজ (মঙ্গলবার) রাত ১২টার পর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আপনাদের নির্বাচিত অভিভাবক হিসেবে মানবো না। আমাদের গঠনতন্ত্র আপনাদের বাতিলের খাতায় ফেলেছি। বাতিল মানুষের সঙ্গে আর কথা বলতে চাই না।’
অভিনেতা সোহেল মন্ডল বলেন, কার্যনির্বাহী পরিষদের কাছ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে অভিনয়শিল্পী সংঘের সংস্কার নিয়ে আলোচনা করবেন তারা।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কয়েকজন বয়োজ্যেষ্ঠ শিল্পীর ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা রয়েছে। বিষয়টিকে সামনে এনে অভিনয়শিল্পী সংঘের সদস্য, অভিনয়শিল্পী নাজিয়া হক অর্ষা বলেন, ‘আমাদের বয়োজ্যেষ্ঠ শিল্পীরা নানান রকম কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ায় আমাদেরও কটু কথা হজম করতে হয়েছে। আমরা কেন হজম করব? আমি তো কোনো দলভিত্তিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ছিলাম না। আমি ন্যায়কে ন্যায় ও অন্যায়কে অন্যায় বলার সাহস রাখি। আমি কারও অন্যায়ের বোঝা কেন বহন করব?’
অর্ষার ভাষ্য, ‘এই প্রশ্নগুলো যখন আমার কাছে এসেছে, তখন আমার মনে হয়েছে, সিনিয়রদের কাছে কথা বলা দরকার। ইনডোরে একসঙ্গে বসতে চেয়েছি। আমরা কাদা ছোড়াছুড়ি করতে চাইনি। আমাদের আজ এই পর্যন্ত আসতে হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক। এটা প্রত্যাশা করি না।’
শ্যামল মাওলা বলেন, ‘আমরা আপনাদের বিপরীত পক্ষ নই। আপনাদের উন্নয়নের জন্যই কথা বলছি। আমরা কীভাবে এই পেশাকে আরও আধুনিক করা যায়, আরও কীভাবে আন্তর্জাতিক মানের হওয়া যায়, সেসব দিক নিয়ে কথা বলতে পারি না? এসব কথা বলার জন্য এই পক্ষ, ওই পক্ষ বলার কিছু নেই। আমরা একই পরিবার, একই ছাতার নিচে আসতে চাই।’
সংস্কারকামী শিল্পীদের আলাদা কোনো সংগঠন করার পরিকল্পনা নেই। অভিনয়শিল্পী সংঘেই থাকবেন তারা। তবে ইতিবাচক সংস্কারের মাধ্যমে সংগঠনটিকে আরও সদস্যবান্ধব করার প্রস্তাব দেন তারা। সংস্কারের প্রস্তাবগুলো লিখিতভাবে তুলে ধরেন অভিনয়শিল্পী মোস্তাফিজুর নূর ইমরান। অভিনয়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে পেশা হিসেবে স্বীকৃতির পদক্ষেপ নেওয়া, নতুন করে শিল্পীদের নাম নিবন্ধনসহ ২২টির মতো প্রস্তাব দেন তারা।
আলোচনার শুরুতে লিখিত বক্তব্যে অভিনয়শিল্পী খায়রুল বাসার বলেন, ‘পেশাদার হওয়া শিখতে হবে আমাদের, আমাদের অরাজনৈতিক হতে শিখতে হবে। একটি শিল্পী সংগঠন কখনো রাজনৈতিক পুতুল হতে পারে না। অভিনয়শিল্পীদেরও অনেক ধরনের সংকট আছে। তাঁদের স্বার্থ, মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করা তখনই সম্ভব হবে, যখন পর্দার সব অভিনয়শিল্পী একটিমাত্র সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত হবেন। আর তখনই পুরো সিস্টেম পুনর্গঠন করা সম্ভব।’
ইতিবাচক সংস্কার নিয়ে ধারণা দিয়ে খায়রুল বাসার বলেন, ‘এত দিন যারা ছিলেন, তারা কেউ থাকবেন না, একে বাদ দাও, ওর সঙ্গে কাজ করব না’-এমন নয়।’
বিভাজনের পথ ছেড়ে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দেন খায়রুল বাসার। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে সব অভিনয়শিল্পীকে এক হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। আর ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল গেমের’ মধ্যে শিল্পীদের পেঁচিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না। প্রজন্মের পর প্রজন্ম তাহলে অভিনয়কে একটি সম্মানজনক ও নিরাপদ পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে পারবে নিশ্চিন্তে।’
এ আয়োজনে মনোজ প্রামাণিক, ইমতিয়াজ বর্ষণ, হাসনাত রিপন, এলিনা শাম্মী, শারমিন আঁখি, আবদুল্লাহ আল সেন্টুসহ অনেকে বক্তব্য দেন। সাবেরী আলম, এ কে আজাদ সেতুসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। আয়োজনটি সঞ্চালনা করেন সোহেল মন্ডল।
জনপ্রিয় অভিনেত্রী হোমায়রা হিমুর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। গত ৯ সেপ্টেম্বর উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই সাব্বির হোসেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদার আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন। এতে আসামি করা হয়েছে হিমুর ‘বয়ফ্রেন্ড’ জিয়াউদ্দিন রুফিকে।
চার্জশিটে বলা হয়, হোমায়রা হিমু থাকতেন রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ১০ নম্বর সেক্টরে। দুই দশকের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ছিল নানান চড়াই-উৎরাই। বিয়ে করলেও সংসার ঠিকঠাক করা হয়ে ওঠেনি। একপর্যায়ে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। হিমুর ঘনিষ্ঠজন, কথিত প্রেমিক বা বয়ফ্রেন্ড ছিলেন মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফি (৩৬) নামের এক ব্যক্তি। আত্মহত্যার ছয় মাস আগে থেকে হিমুর বাসায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল তার। এমনকি ওই বাসায় মাঝে মধ্যে রাত্রিযাপনও করতেন তিনি।
সম্পর্কের একপর্যায়ে হিমু তার বয়ফ্রেন্ড রুফির মোবাইল ফোন নম্বর ও বিগো আইডি ব্লক করে দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। রুফি ভিকটিম হিমুকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেন। পরে রাগে ও অভিমানে গত বছরের ২ নভেম্বর হিমু বাথরুমে ঢুকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এ ঘটনায় ২ নভেম্বর রাতেই হিমুকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তার মামা নাহিদ আক্তার বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই সাব্বির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ভিকটিম হোমায়রা হিমুকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় তার বয়ফ্রেন্ড জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছি। তদন্তে আসামির বিরুদ্ধে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় দণ্ডিবিধির ৩০৬ ধারায় এ চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরের মেয়ে হোমায়রা হিমু মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা রাখেন। ২০০৬ সালে টেলিভিশন নাটক ‘ছায়াবীথি’তে প্রথম অভিনয় করেন। তারপর ‘বাড়ি বাড়ি সারি সারি’, ‘হাউজফুল’, ‘গুলশান এভিনিউ’সহ অনেক জনপ্রিয় নাটক উপহার দিয়েছেন তিনি।
ছোটপর্দার পাশাপাশি হিমু নাম লিখিয়েছেন চলচ্চিত্রেও। ২০১১ সালে ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ সিনেমার মাধ্যমে এই ভূবনে তার অভিষেক হয়। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এ চলচ্চিত্রে ‘অরু’ চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ প্রশংসা কুড়ান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ৫ নভেম্বর। নির্বাচনে নির্ধারণ হবে কে হচ্ছে বিশ্বের প্রভাবশালী দেশটির প্রেসিডেন্ট। নির্বাচনের আগে মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী কমালা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি বিতর্ক অনুষ্ঠানে মুখোমুখি হয়েছেন।
বিতর্ক অনুষ্ঠানের মাঝেই ইনস্ট্রাগ্রামে পোস্ট দিয়ে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা হ্যারিসকে সমর্থনের ঘোষণা দিয়েছেন জনপ্রিয় মার্কিন পপ তারকা টেলর সুইফট। কমলাকে ভোট দেবেন বলেও জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে এবিসি নিউজের আয়োজনে আসন্ন নির্বাচনের দুই মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি বিতর্কে অংশ নেন।
বিতর্কে অনুষ্ঠানে কমলাকে টেলর সুইফটেরে সমর্থনের বিষয় ট্রাম্পের নজরে আনলে তিনি মন্তব্য করেছেন ‘এ বিষয়ে আমার জানা নেই’।
এর পরই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় টেলর কমলাকে সমর্থনের কথা জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দেন বলে বিবিসির বুধবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
কমলা নিয়ে গবেষণা করেছেন জানিয়ে টেলর সুইফট লিখেছেন, ‘আমি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা হ্যারিস এবং তার রানিং মেট টিম ওয়ালজকে আমার ভোট দেব। আমি কমলা হ্যারিসকে ভোট দেব, কারণ তিনি অধিকারের জন্য লড়াই করেন। আমি বিশ্বাস করি তাদের চ্যাম্পিয়ন করার জন্য একজন যোদ্ধার প্রয়োজন।’
সুইফট হ্যারিসকে ‘অটল-হাতে, প্রতিভাধর’ নেতা বলে অভিহিত করেছেন। লিখেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আমরা এই দেশে আরও অনেক কিছু অর্জন করতে পারি, যদি আমরা বিশৃঙ্খলা না করে শান্ত হয়ে চলি।’
২০২০ সালের নির্বাচনে টেলর সমর্থন জানিয়েছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। ওই বছর একটি তথ্যচিত্রে ট্রাম্পের সমালোচনাও করেছিলেন তিনি।
আগামী ৫ নভেম্বর হতে যাওয়া এবারের নির্বাচন নিয়ে গত মাসে টেলরকে জড়িয়ে এক বির্তকের সৃষ্টি করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ট্রাম্প তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে টেলর সুইফটের ছবি পোস্ট করেন। এতে তাঁকে নির্বাচনে ট্রাম্পকে ভোট দিতে আহ্বান জানাতে দেখা যায়।
সুইফটের অনেক ভক্ত এবং কয়েকটি নজরদারি গ্রুপ তখন জানায়, ট্রাম্প যেসব ছবি পোস্ট করেছেন সেগুলোর বেশির ভাগই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি। সুইফও একই মন্তব্য করেন।
‘তওবা তওবা’ গানে বলিউডের জনপ্রিয় নায়ক ভিকি কৌশলের সঙ্গে সম্প্রতি মেতে উঠেছিলো সোশ্যাল মিডিয়া। ভাইরাল এই গানের পাঞ্জাবী গায়ক করণ আউজলা। ক্যারিয়ারের এমন সুসময়ে বাজে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেন এই শিল্পী!
কনসার্ট চলাকালীন জুতা নিক্ষেপ করে আঘাত করা হয়েছে ‘তওবা তওবা’খ্যাত গায়ক করণ আউজলা দিকে। সম্প্রতি লন্ডনে একটি লাইভ কনসার্ট চলাকালীন সময় এমন অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন এই গায়ক।
জানা গেছে, কনসার্ট চলাকালীন করণ আউজলা যখন সেটের মাঝখানে ছিলেন তখন দর্শকসারিতে থাকা একজন তার দিকে জুতা ছুড়ে মারে এবং তার মুখে আঘাত করে। যেই ভিডিও এখন সোশ্যাল হ্যান্ডেলে ভাইরাল।
তবে অপ্রত্যাশিত এই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিবাদ জানান করণ। ভিডিওতে দেখা যায় গায়ক বলছেন, ‘থামুন! কে ছিলেন? আমি আপনাকে মঞ্চে আসতে বলছি। এখনই ওয়ান টু ওয়ান করি।’
গায়ক এই অসম্মানজনক ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘আপনি যে আমাকে জুতা দিয়ে আঘাত করেছেন, আমি কি এত খারাপ গান গাইছি।’
এমনকি করণ আউজলা পারফরম্যান্স বন্ধ করার পরামর্শ দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে ইভেন্টের নিরাপত্তারক্ষীরা আক্রমণকারীকে তৎক্ষণাৎ অনুষ্ঠানস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ায় গায়ক আবার পারফর্ম করা শুরু করেন।