সংগ্রামী মায়ের চরিত্রে পরীমণি
ঢালিউড সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমণি। দীর্ঘদিন লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন থেকে দূরে ছিলেন এই লাস্যময়ী নায়িকা। মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে অবশেষে পরীমণি চেনা ছন্দে ফিরছেন নতুন সিনেমা দিয়ে।
দেশের শীর্ষ অডিও-ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি-সিরিজ-এর ‘ডোডোর গল্প—Story of Dodo’ নামের সিনেমা দিয়ে দুই বছরের বিরতি পেরিয়ে শুটিংয়ে নামছেন তিনি। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে সিনেমাটির শুটিং শুরু হবে।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) পরীমণির জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। আগেরদিন সামাজিক মাধ্যমে এ কথা জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কেন গুরুত্বপূর্ণ— ভেঙে বলেননি। নিজের ফেসবুকে পরীমণি লেখেন, কালকের (রোববার) দিনটা আমার জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন!
মূলত ‘ডোডোর গল্প’র জন্যই দিনটি তার কাছে স্পেশাল। এদিন রাতে সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে সে কথা নিজেই জানিয়েছেন পরী। সিনেমাটির কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংলাপ, পরিচালনা করছেন কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা রেজা ঘটক।
পরীমণির বিপরীতে সিনেমাটিতে কে অভিনয় করবেন তা অচিরেই জানানো হবে। সিনেমাটি ২০২১-২২ অর্থবছরের ৬০ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পেয়েছে। এর প্রযোজক নাজমুল হক ভূঁইয়া (খালেদ)।
‘ডোডোর গল্প’ সিনেমায় কাজল চৌধুরীর চরিত্রে অভিনয় করছেন পরীমণি। নতুন সিনেমা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেক সুন্দর একটি গল্পে কাজ করতে যাচ্ছি। এই দিনটি আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন আমার নিঃশ্বাসের সঙ্গে মিশে আছে। এ অঙ্গনের মানুষেরা আমার আরেকটি পরিবার। সেটা ছাড়া দীর্ঘ দুটি বছর থাকতে হয়েছে। এ সময়টা আমার পরিবারকে ভীষণ মিস করেছি।
অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ। এই গল্পের জন্য চার মাসের অপেক্ষা এবং চরিত্রের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা। প্রতিটি দিন চরিত্র এবং স্ক্রিপ্ট নিয়ে ভেবেছি। যার কারণে ‘ডোডোর গল্প’ আমার কাছে অনেক বেশি স্পেশাল। কারণ, অনেকগুলো গল্পের মধ্যে এটি অনেক ভেবে চিন্তে নির্বাচিত করেছি। আশা করি, আমার দর্শকদের জন্য ভালো কিছু অপেক্ষা করছে। —যোগ করলেন পরীমণি।
সিনেমার গল্প নিয়ে নির্মাতা রেজা ঘটক বলেন, সিনেমাতে একজন মায়ের সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষিকে তুলে ধরতে চাই। সিনেমাটিতে প্রোটাগনিস্ট কাজল চৌধুরীর প্রায় বিশ বছরের একটি জার্নি দেখা যাবে। এতে ৮৭ জন শিল্পী কাজ করছেন এবং ২৫টির বেশি লোকেশনে এর দৃশ্য ধারণ হবে। আগামী ৫ অক্টোবর সিনেমাটির শুটিং শুরু হবে।
সিনেমাটির প্রযোজক এবং জি সিরিজ-এর কর্নধার নাজমুল হক ভূঁইয়া (খালেদ) বলেন, সিনেমায় একজন আত্মনির্ভর সংগ্রামী মায়ের বিশ বছরের সংগ্রামকে চিত্রায়িত করা হবে। যেখানে কাজল চৌধুরীর নিরন্তর অনুসন্ধানে প্রায় বিশ বছর পর তার হারানো ছেলেকে খুঁজে পাবে।
সিনেমাটির নির্বাহী প্রযোজক খাদেমুল জাহান বলেন, একটানা কাজ শেষ করে চলতি বছরের শেষের দিকে সিনেমাট মুক্তি দেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে।
সিনেমার চুক্তিবদ্ধ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা আমিরুল হক চৌধুরী, খায়রুল আলম সবুজ, শংকর শাওজাল, আহসান হাবিব নাসিম, নেওয়াজ, মনিরা মিঠু ও নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী প্রমুখ।