না ভারতীয় তরুণদের প্রিয় সবিতা ভাবী নয়, দেশের দর্শকনন্দিত অভিনেত্রী রুনা খান অভিনয় করছেন জীবনানন্দ দাসের সবিতা ভাবীর চরিত্রে। সম্প্রতি রুনা তার নতুন সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন। নাম ‘বক : দ্য সোল অব নেচার’ নামের সেই ছবিটি নির্মিত হয়েছে জীবনানন্দ দাশের কবিতা ‘আট বছর আগের একদিন’ অবলম্বনে। ছবিটির কাহিনী, সংলাপ ও চিত্রনাট্য করেছেন মাসুদ পথিক।
সিনেমায় গল্পের কেন্দ্রীয় একটি চরিত্র ‘সবিতা’। আর এ চরিত্রেই অভিনয় করছেন রুনা খান। তিনি জানান, গত জুলাই থেকেই বক সিনেমার শুটিং শুরু করেন তিনি। ২৬ আগস্ট তিনি এ সিনেমার কাজ শেষ করেছেন।
বিজ্ঞাপন
সিনেমাটি প্রসঙ্গে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী বলেন, ‘বক সিনেমার মূল দর্শন হচ্ছে প্রকৃতি ও জীবনের গল্প। সুরুজ দেওয়ান একজন বক শিকারি। তার স্ত্রী সবিতা। এ চরিত্রেই আমাকে দেখা যাবে। একটি পরিবারের মধ্য দিয়ে প্রকৃতি ও জীবন দর্শনের গল্প বলার চেষ্টা করছেন পরিচালক মাসুদ পথিক। গল্প বলতে গিয়ে এ সিনেমায় প্রকৃতির সৌন্দর্য, বীভৎসতা, দুর্যোগ যেমন উঠে এসেছে, ঠিক তেমনি উঠে এসেছে জীবনের সুন্দরতা, বীভৎসতা ও অসহায়ত্বের গল্প। পাশাপাশি সিনেমাটিতে জীবন দর্শন উঠে এসেছে। সব মিলিয়েই আসলে বক আমাদের প্রকৃতি ও জীবনের গল্পই বলার চেষ্টা করবে।’
এ সিনেমায় অভিনয়ের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে রুনা খান বলেন, ‘জীবনে প্রথম মেঘনার পারে লালপুর চানপুর চরে শুটিং করেছি। পুরো ইউনিটের অনেক কষ্ট হয়েছে কখনো রোদে, কখনো প্রবল বৃষ্টিতে শুটিং করতে। মাসুদ পথিকের ডেডিকেশনে আমি মুগ্ধ। যে কারণে বক সিনেমাটি নিয়েও ভীষণ আশাবাদী। আমার চরিত্রটি সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি ফুটিয়ে তুলতে।’
কনসার্ট করতে গিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনার মুখে পড়লেন বিশ্ববিখ্যাত পপতারকা শাকিরা। মঞ্চে পারফর্ম করার সময়, এক অনুরাগীর কাণ্ডে একেবারে হতবাক গায়িকা। তবে স্পষ্ট প্রতিবাদ করলেন মঞ্চ থেকেই। অনুরাগীকে স্পষ্টই জানালেন, নো মিনস নো!
এদিন শাকিরার পরনে ছিল মিনি স্কার্ট এবং এক মাথা খোলা চুল। মঞ্চে নতুন গান ‘সলটেরা’র সঙ্গে নাচছেন শাকিরা। হঠাৎ শাকিরা খেয়াল করলেন এক অনুরাগী মঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে তার পোশাকের নিচে ক্যামেরা ধরে ছবি তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন। অনুরাগীর এমন কাণ্ড দেখে একেবারে হতবাক শাকিরা। সঙ্গে সঙ্গে গান থামিয়ে রীতিমতো মেজাজ হারিয়ে স্টেজ থেকে নেমে এলেন।
তবে নামার আগে অনুরাগীকে স্পষ্ট জানালেন, এই ধরনের আচরণ একেবারেই ঠিক নয়। শাকিরার এই ভিডিওই এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
শাকিরার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটায় সোশ্যালে নিন্দার ঝড় বইছে। নেটিজেনদের একাংশ মনে করছেন, এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত। গ্রেপ্তার হওয়া উচিত অভিযুক্ত। অনেকের আবার মত, নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর হওয়া উচিত ছিল।
ঢালিউডের মেধাবী অভিনেতা শরিফুল রাজ আর আলোচিত অভিনেত্রী পরীমণির সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। তাদের সম্পর্কের আদ্যোপান্ত জানেন ভক্তরা।
যারা সিনেমার খবর সেভাবে রাখেন না তারাও জানেন এই জুটির সম্পর্কের তিক্ততার কথা। কারণ বিচ্ছেদের সময় এক কথায় ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়েছিলেন রাজ-পরী।
দুজনের পথ অনেক আগেই চলে গেছে দু’দিকে। তারা হেঁটেছেন বিচ্ছেদের পথে। সেই বিচ্ছেদেরও এক বছর পূর্ণ হলো সদ্য। তারপরও কি রাজকে ভুলতে পারছেন না পরী? যদি ভুলেই যেতেন তাহলে এখনো কারণে অকারণে কেন তুলে আনেন রাজের নাম? অভিনেতার প্রতি টান মনে রয়ে গেছেন বলেই কি এখনো অভিসম্পাত ঝরে নায়িকার বক্তব্যে? কেন রাজকে একদম ঝেড়ে ফেলেতে পারেন না পরী? এমন প্রশ্ন কিন্তু অনেকের মনেই রয়েছে।
ঠিক তেমনি আচরণ দেখা গেলো অভিনেত্রীর গতকালকের এক ফেসবুক পোস্টেও। নায়িকা তার বিচ্ছেদের এক বছরপূর্তী উদযাপন করলেন? কথাটা শুনে কেউ ভড়কে যাবেন না। সুন্দর ছবি দিয়ে বিচ্ছেদবার্ষিকী পূর্ণ করার পোস্টকে উদযাপন ছাড়া কি-ই বা বলা যায়? হতে পারে সেটা নায়িকার দুঃখবিলাশ!
যাইহোক, কালকের পোস্টের রাজকে তার জীবনের ভুল মানুষ আখ্যা দিয়ে পরী লিখেছেন, ‘আজ থেকে এক বছর আগে আমার জীবনের সেই ভুল মানুষকে (রাজকে) ছেড়ে দিয়েছিলাম। এক বুক হাহাকার, হতাশা আর বুকের মধ্যে জাপটে ধরে ছিলো আমার ছোট্ট বাচ্চা ছেলেটা! কিন্তু দেখো, আজ আমরা একটু একটু করে নিজেদের মতন ভালো থাকতে শিখে গেছি। আজ আর সেই ভুল মানুষের কোন অস্তিত্ব নেই আমাদের কারোর জীবনে। না সেটা আমার বা আমার ছেলের! শুকরিয়া। আমারা ভালো আছি। হ্যাপি ডিভোর্স অ্যানিভার্সারি পরী!’
স্ট্যাটাসের গোড়ার দিকে পরী অবশ্য লিখেছেন আরেকটি প্রসঙ্গে। তার ভাষ্য, ‘আজ এখন যখন আমি আমার দিকে দেখি, আমি দেখতে পাই একজন পরিপূর্ণ সুখী মানুষকে। এই জীবনে কষ্ট থাকুক। সেটা কেবল বড় হওয়ার কষ্ট। আমি সেই কষ্টটা আনন্দ নিয়েই করতে চাই। কিন্তু অন্যের ছেড়ে যাওয়ার কষ্ট পেতে দেবো না আর নিজেকে আমি। এই তো কেমন হাসতে খেলতে ওদের নিয়ে জীবন উদযাপন করছি। আমার মানিকজোড়, একদিন আমরা সত্যি ঐ আকাশ ছোঁব দেখিস।’
আজ ছোটপর্দার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভানের জন্মদিন। তাকে অজস্র মানুষ জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাফা কবিরের শুভেচ্ছাবার্তাটি বেশ অণ্যরকম।
কারণ সাফা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে জোভানের স্বভাবের নতুন একটি দিক তুলে ধরলেন সবার সামনে।
অনেকেই জানেন, জোভান আর সাফা শুধুমাত্র নাটকের সহকর্মী নয়। তাদের অভিনয় ক্যারিয়ার প্রায় একইসঙ্গে শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, ব্যক্তিজীবনে তারা অনেক আগে থেকেই খুব ভালো বন্ধু। তাদের বন্ধুদের একটা গ্রুপই রয়েছে যারা সবাই শোবিজ তারকা। সেই গ্রপে আরও রয়েছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ, অভিনেত্রী মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া, অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব, সৈয়দ জামান শাওন ও তামিম মৃধা। সেই বন্ধুত্ব পারিবারিক পর্যায়ে গড়িয়েছে এতোদিনে। তাইতো এই তারকারা একে অন্যের ব্যক্তিগত বিশেষ মুহূর্তে পাশে থাকেন সব সময়।
তাই সাফা তার বন্ধু জোভানকে যেভাবে চেনেন, ভক্ত কিংবা শুধুমাত্র সহকর্মীরা সেভাবে তাকে চিনবেন না এটাই স্বাভাবিক।
এজন্যই জোভানের স্বভাবের গোমর ফাঁস করে সাফা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমার চেনাজানা মানুষের মধ্যে সবচেয়ে মজার মানুষ জোভানকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। একসঙ্গে অভিনয় করতে করতে একটা পর্যায়ে আমরা বন্ধু হয়ে উঠি। তুমি আমার জীবনে যে আনন্দ, হাস্যরস আর ইতিবাচক শক্তি সঞ্চার করেছো তার জন্য আমি চির কৃতজ্ঞ। আরও অনেক বছর এমন হাসিমাখা মুখ আর দারুণ অভিনয় দিয়ে আমাদের পৃথিবীকে সুন্দর করে রাখ। আরও দারুণ দারুণ কাজ কর।’
জোভানকে বেশিরভাগ নাটকে রোমান্টিক নায়কের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়। নিজেকে ভেঙে করুণ রসের কিছু সিরিয়াস চরিত্রেও দারুণ অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু নাটকের কমেডি অভিনেতার তালিকা করলে জোভানের নাম আসবে না।
তাছাড়া তিনি ইন্টারভিউ দিতে গেলেও বেশ ভেবে চিন্তে সিরিয়াসলি প্রশ্নের উত্তর দেন। ফলে জোভানকে দর্শক বেশ সিরিয়াস মানুষ হিসেবেই জানেন। কিন্তু সেই মানুষটিই যে বাস্তবে তার কাছের বন্ধুদের সঙ্গে একেবারেই অন্যরকম হয়ে যান সেটা সাফার পোস্ট না দেখলে অনেকে জানতেই পারতেন না। জোভানের অনেক ভক্ত তো বিষয়টি জানতে পেরে বেশ অবাকই হয়েছেন!
একটা সময় ঢালিউডের প্রায় সবটাই নির্ভরশীল ছিলো বিএফডিসির উপর। প্রতিটি ফ্লোরে আলাদা আলাদা ছবির শুটিং, ডাবিং ফ্লোরে ডাবিং, ঝরণা স্পটে গানের দৃশ্য, সমিতিগুলোর অফিসে তারকাদের গল্প আড্ডায় মেতে থাকতো এফডিসি।
এই পরিবেশ নিজের চোখে দেখেছেন ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাসও। কারণ ২০০৫ সাল থেকে নিয়মিত বড় পর্দায় কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তার দিনের বেশিরভাগ সময় কাটতো এই এফডিসিতেই। যার কারণে এফডিসির প্রতি এ নায়িকার আলাদা ভালোলাগা রয়েছে। তবে এখন এফডিসি একেবারেই নীরব। নেই কোন শুটিং, দেখা যায় না তারকাদেরও। শুধু তাই নয়, এফডিসিকেন্দ্রীক তারকাদের মধ্যেও নেই আগের মতো আন্তরিকতা, ভালোবাসার সম্পর্ক। কিছুদিন পর পরই আলোচনায় আসে বিভিন্ন তারকারা কোন্দলের খবর!
অপু বিশ্বাসও এক সময়ের সিনেমার টানা ব্যস্ততায় মুখরিত ছিলেন। বর্তমান সময়ে তিনিও সেভাবে নেই সিনেমার ব্যস্ততায়। তার ব্যস্ততা এখন ব্র্যান্ডের ফটোশুট ও নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে। তবে এত ব্যস্ততার মধ্যেও অপু মিস করেন এফডিসির শুরুর দিকের সময়।
খানিকটা হতাশা নিয়ে গণমাধ্যমে এ বিষয়ে কথা বলেছেন অপু বিশ্বাস। তার ভাষ্য, ‘আমরা যারা অভিনয় করি, সবার জন্য এফডিসি হচ্ছে একটি পবিত্র স্থান। বিশেষ করে এ জায়গা থেকেই আমার জন্ম; কিন্তু আমার কাছে মনে হচ্ছে জায়গাটি আর আগের মতো নেই। এখন এটি হয়ে গেছে ব্যক্তি রেষারেষির জায়গা। তাই ২০১৬ সালের পর থেকে সেভাবে আর যাওয়া হয় না। এর কারণ সেখানে আমার ব্যক্তিজীবন নিয়ে আলোচনা করে, আমার জীবন বিষাদময় করে তোলে, যা নিয়ে আমি খুবই ব্যথিত হই। এরপর আর সেখানে যেতে ইচ্ছা করেনি। আমাকে নিয়ে যে আলোচনা, তা এখনো চলমান। তাই দেশের সিনেমার এ আঁতুরঘরের এমন পরিণতি আমাকে সবসময়ই ব্যথিত করে। কারণ এখান থেকেই আমার অভিনয় জীবনের শুরু। আমি এ জায়গাটির প্রতিটি কোনা চিনি। কিন্তু সেই জায়গায় এখন সিনেমার চেয়ে মানুষের ব্যক্তিজীবন নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। তাই আগের মতো আর সেখানে যাওয়া হয় না।’
অপু আরও জানান, এটি একটি শিল্পচর্চার স্থান। এখান থেকে দেশের অভিনয়ের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়। তাই এ জায়গাটি সুন্দর হওয়া জরুরি।
এদিকে প্রযোজক হিসেবে নাম লিখিয়েছেন অপু বিশ্বাস। ভবিষ্যতে পরিচালক হিসেবে তাকে দেখা যাবে কি না জানতে চাইলে এই নায়িকা বলেন, ‘নির্মাতা পরিচয়ে কখনোই আত্মপ্রকাশ করার ইচ্ছা নেই। আমি একজন শিল্পী। আমার প্রথম পরিচয় এটাই। আজকে দেশ ও দেশের বাইরে আমার যত ভক্ত রয়েছেন, সবাই আমাকে এ পরিচয়েই চেনেন। তাই নির্মাতা হওয়ার স্বপ্ন আমি কখনো দেখি না। কারণ এটি খুবই দায়িত্বশীল একটি কাজ। তাই শুধু অভিনয় নিয়েই থাকতে চাই।’
‘কাল সকালে’ সিনেমা দিয়ে বড়পর্দায় অভিষেক অপুর। এতে তিনি অভিনয় করেন ‘বাসন্তী’ চরিত্রে। খ্যাতিমান নির্মাতা আমজাদ হোসেনের এ সিনেমা দিয়ে তিনি জানান দেন দীর্ঘ সময়ের জন্যই ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছেন। এরপর আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০০৭ সাল থেকে সিনেমায় ব্যস্ততা বাড়তে থাকে অপুর।
অপু বিশ্বাস অভিনীত সবশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘ছায়াবৃক্ষ’। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন অভিনেতা নিরব হোসেন। পরিচালনায় ছিলেন বন্ধন বিশ্বাস। বাংলাদেশ সরকারের অনুদানের এ সিনেমায় চা শ্রমিকদের জীবন সংগ্রামের গল্প তুলে ধরা হয়।