ঢাকার মডেলদের ন্যাচারাল ব্যাপারটা হারিয়ে যাচ্ছে



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
দেবলীনা বিশ্বাস /   পোশাক : নাজারা

দেবলীনা বিশ্বাস / পোশাক : নাজারা

  • Font increase
  • Font Decrease

কলকাতার প্রথমসারির মডেল দেবলীনা বিশ্বাস। অভিনয়েও রয়েছে তার ব্যস্ততা। সম্প্রতি ‘মিউজিক এন্ড ফ্যাশন ফিয়েস্তা’ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এসেছিলেন ঢাকায়। ফটোশুটের ফাঁকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বার্তা২৪.কমকে


এবার বাংলাদেশে আসলেন কোন উদ্দেশ্য নিয়ে?

এ নিয়ে চারবার বাংলাদেশে আসলাম। এর আগে বিভিন্ন ফ্যাশন রিলেটেড কাজ করতে এসেছিলাম। প্রথমবার এসেছিলাম ঢাকা ক্লাবে অনুষ্ঠিত ‘ঢাকা ফ্যাশন উইক’-এ অংশ নিতে। তাও অনেক বছর আগে। এবারও এসেছি একটি ফ্যাশন এন্ড অ্যাওয়ার্ড শোতে অংশ নিতে। আমি র‌্যাম্পে শো স্টপার হিসেবে হাটার পাশাপাশি সেরা মডেল হিসেবে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। এই কাজের ফাঁকে নাজারা নামের বিখ্যাত একটি ব্র্যান্ডের ব্রাইডাল ফটোশুট করেছি।


বাংলাদেশের সিনেমা নাটক দেখা হয়?


অনেক বেশি দেখা না হলেও কিছু কিছু দেখা হয়।

দেবলীনা বিশ্বাস/ পোশাক: অরসি

বাংলাদেশের কোন কোন তারকাকে চেনেন?


পরীমনিকে সবাই চেনে! আর জয়া আহসান তো আমাদের ওখানেই বেশি কাজ করেন। বিদ্যা সিনহা মিমকেও চিনি। তিনিও আমাদের ওখানে ভালো ভালো কাজ করেছেন। আমি জয়া আহসান আর মিমের সঙ্গে একটি ফ্যাশন ব্র্যান্ডের ফটোশুট করেছি। এছাড়া সিনিয়র নায়িকা মৌসুমী, শাবনূরসহ অসংখ্য মেধাবী অভিনেত্রী রয়েছেন ঢাকায়। আমি হয়ত সবাইকে চিনে উঠতে পারিনি। নুসরাত ফারিয়া রয়েছেন, তার কাজও ভালো লাগে।


বাংলাদেশ থেকে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন কখনো?


হ্যাঁ। কয়েক বছর আগে ঢাকার নির্মাতা রুমানি রুনির কাছ থেকে একটি সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলাম। আমার আসার সব পরিকল্পনাও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কলকাতায় কাজের ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় সেবার আর সিনেমাটি করা হয় নি।


বাংলাদেশে কাজের কোন পরিকল্পনা আছে কি?


অবশ্যই। কেন নয়? এ দেশে যতোবার এসেছি খুবই ভালোলাগা নিয়ে নিজের দেশে ফিরেছি। সবাই আন্তরিকতা নিয়ে আমার সঙ্গে মিশে যায়। সত্যি বলতে কলকাতাতে এটা খুব একটা পাই না! এখন মডেলিংয়ের চেয়ে এদেশে অভিনয় করতে বেশি আগ্রহী আমি।

২০১৪ থেকে মডেলিং করছি। দশটা বছর মডেলিংকেই প্রাধান্য দিয়েছি। এরমধ্যে কলকাতার অনেকগুলো সিরিয়ালের প্রধান নায়িকা চরিত্রের জন্য প্রস্তাব পেয়েও করিনি। এখন অভিনয়ে বেশি সময় দিতে চাই। এখনই বলতে চাই না, শিগগিরই নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব। পাশাপাশি মডেলিং করব।

দেবলীনা বিশ্বাস/ পোশাক: নাজারা

এখন ওটিটির কাজগুলো জনপ্রিয় হচ্ছে। কলকাতার ওয়েব সিরিজে বেশ বোল্ড দৃশ্য দেখা যায়। এমন দৃশ্য করতে আপনার আপত্তি আছে কি?


এখন ওটিটিতে সত্যি খুব ভালো কাজ হচ্ছে। আমিও করতে চাই। আর বোল্ড সিনের ব্যাপারে বলতে গেলে, আমাদের ওখানে কেউ এসবকে আলাদাভাবে দেখে না। ইটস ভেরি নরমাল, ভেরি কমন আমাদের ইন্ডিয়াতে। এখানে কেমন আমি জানি না। তবে আমি কাজ করতে গেলে এ ধরনের সিন একটু এড়িয়ে চলতেই পছন্দ করব।


পারিশ্রমিক, সামাজিক মর্যাদা, দর্শক গ্রহণযোগ্যতা- সব মিলিয়ে কলকাতার মডেলিং ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা কেমন?


দেখুন, মডেলিং একটি আলাদা জায়গা, অভিনয় আরেকটি জায়গা। আপনি কখনো আশা করবেন না যে, আপনি একজন মডেল হয়ে একজন অ্যাকট্রেসের সমান জনপ্রিয়তা পাবেন। ভারতে সন্ধ্যা সাতটার পর থেকে প্রত্যেক বাড়ির টিভিতে একের পর সিরিয়াল চলে। ফলে একটা-দুটো সিরিয়াল করে আপনি যতো মানুষের কাছে পৌঁছাবেন, সারাজীবন মডেলিং করেও তা পারবেন না।

যেহেতু একজন মডেলকে অনেক মানুষ চিনতেই পারে না, সেখানে একজন অভিনেত্রীর সমাজে যতোটা গ্রহণযোগ্যতা সেটি একজন মডেল পাবেন না এটাই স্বাভাবিক। পারিশ্রমিকের বেলাতেও একই কথা। অভিনয়শিল্পীদের চেয়ে মডেলদের পারিশ্রমিকও কম। তবে মডেলদের যতোটা পাওয়া উচিত অতোটাই পান। মুম্বাইয়ের মডেলদের সঙ্গে কলকাতার মডেলদের পারিশ্রমিকের অংক তুলনা করাটাও বোকামি। কারণ সেটি অনেক বড় ইন্ডাস্ট্রি, অনেক কম্পিটিশিন।

তবে আমাদের ওখানে মডেলরা খুব সচেতন তাদের জীবনযাপন, কাজ সবকিছু নিয়ে। প্রতিনিয়ত অনেক স্মার্ট মেয়েরা আসছে কাজ করতে। আমি এখন তাদের বিচারক হিসেবে কাজ করছি।


আপনি বলছিলেন, কলকাতার চেয়ে বাংলাদেশের মডেলদের মধ্যে সার্জারি, বোটক্স, ফিলার করার প্রবণতা বেশি...


কথাটা সরাসরি বলতে গেলে কেমন শোনাবে জানি না। এটা শুনলে হয়ত বাংলাদেশের মডেলরা আমার ওপর রেগে যাবেন। কিন্তু সত্যিটা তো সত্যিই। আমি যখন থেকে এখানে কাজ করছি তখন থেকেই বিষয়টি খেয়াল করেছি। ঢাকার প্রত্যেকটা মডেল তার চেহারা নিয়ে অনেক বেশি সচেতন। এতে করে ন্যাচারাল ব্যাপারটা হারিয়ে যাচ্ছে। দে আর অল বিকামিং প্ল্যাস্টিক লাইক অ্যা বিট। যেটা আমাদের ওখানের মডেলদের মধ্যে খুব একটা নেই। তারা লিপ জব, নোজ জব, ফিলার- এগুলো কিছুই করে না। শুধুমাত্র খাদ্যাভ্যাস আর শরীরচর্চার ওপর গুরুত্ব দেয়।

দেবলীনা বিশ্বাস/ পোশাক: নাজারা

এখন ইন্ডাস্ট্রিতে চর্চিত বিষয় সুপার ড্যাডি, সুগার মামি। কলকাতাতেও এসব কতোখানি দেখেন?


দেখুন এই কালচারটা যেহেতু ওয়েস্টার্ন কান্ট্রি থেকে এসেছে ফলে তার প্রভাব সব জায়গাতেই কম বেশি আছে। আর ইন্ডিয়া যেহেতু বাংলাদেশ থেকে একটু হলেও প্রগ্রেসিভ, ফলে সেখানে একটু বেশি থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের ওখানে এই বিষয়টাকে আলাদা করে দেখা হয় না। সবাই ওখানে বন্ধুর মতো মেশে। বন্ধুর বয়স ছোট-বড় হতেই পারে। সবাই সবাইকে যার যার জায়গা থেকে সাহায্য করে। আমরা বিষয়টাকে এভাবে দেখি।


একজন নির্মাতা ও নায়কের নাম বলুন, যার সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা...


অবশ্যই প্রথমে সৃজিত মুখার্জির নাম বলতে চাই। তার সিনেমায় কাজ করার ইচ্ছে। আর অনেক আগে থেকেই ইন্টারভিউতে বলে আসছি, নায়ক দেবের সঙ্গে কাজ করতে চাই।

হাসপাতালে শেষ দেখায় সামিনাকে যা বলেছিলেন শাফিন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার যে অনুষ্ঠানে গাইতে গিয়ে আর ফিরলেন না শাফিন আহমেদ, সেই মঞ্চে সেদিন গেয়েছিলেন দেশের আরেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী। অনুষ্ঠানের চার দিনের মাথায় জানতে পারেন শাফিন আহমেদ চিরতরে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। শাফিন আহমেদের মৃত্যুর খবর অবিশ্বাস্য ছিল সামিনা চৌধুরীর কাছে। এই খবর সহ্য করাটাও ছিল ভীষণ কষ্টদায়ক।

যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সামিনা চৌধুরী জানালেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বামী ইজাজ খান স্বপনসহ গিয়েছিলেন শাফিন আহমেদকে দেখতে। হাসপাতালে তাদের থাকার অনুরোধ করেছিলেন বলেও জানালেন সামিনা চৌধুরী।

সামিনা বলেন, ‘‘তিন দিন আগে দেখে এলাম শাফিন ভাইকে। বারবার আমাকে আর স্বপনকে থাকতে বলছিলেন। স্বপনকে বললেন, ‘আমাকে ছেড়ে যেয়ো না প্লিজ! আমার সঙ্গে গল্প করো। আমার অনেক ব্যথা হচ্ছে কোমরে। স্বপন, তোমাকে কিছু বলব, বসো।’'

সামিনা আরও বলেন, ‘শাফিন ভাইকে পানি খাওয়াল স্বপন। তারপর তাকে ঘুমের ওষুধ দেওয়া হলো। শাফিন ভাইয়ের অবস্থা দেখে আমাদের চলে আসতে বললেন আয়োজকেরা। কী বলতে চেয়েছিলেন শাফিন ভাই, কে জানে। কোনো চাপা কষ্ট কি ছিল তার ভেতর? দেশের আরেকটি সম্পদ, আরেকটি মেধার বিয়োগ হলো। চোখে শুধু ভাসছে। তোমরা যেয়ো না প্লিজ...আমাকে আর পাবা না।’

;

ম্যানেজারের সঙ্গে প্রেম, ভাঙছে যীশুর ২০ বছরের সংসার?



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
যীশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা শর্মা দম্পতি

যীশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা শর্মা দম্পতি

  • Font increase
  • Font Decrease

টলিউড তারকা যীশু সেনগুপ্ত আর সাবেক অভিনেত্রী নীলাঞ্জনা শর্মার দুই দশকের দাম্পত্য জীবন। এত দিন তাদের সম্পর্ককে সবাই আদর্শ মেনে এসেছে। কিন্তু জীবনে কোনকিছুই যে স্থায়ী নয়, কিংবা আমরা বাইরে থেকে যা দেখি তার সবটাই যে সত্য নয় সে কথা আরও একবার হয়তো ঘটতে চলেছে! কয়েক দিন ধরে হঠাৎই টলিপাড়ায় আলোচনায় তাদের বিচ্ছেদের খবর।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তাদের সম্পর্ক আগের মতো নেই। নীলাঞ্জনার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টও সে ইঙ্গিতই দিয়েছে।

দুই কন্যাকে নিয়ে ‍সুখের সংসার ছিলো যিশুর

শিনাল সূর্তি নামের নারীর সঙ্গে নাকি সম্পর্কে জড়িয়েছেন যীশু। এটাই তাদের দাম্পত্য কলহের মূল কারণ। ইতিমধ্যেই নিজের নামের পাশ থেকে সেনগুপ্ত পদবি সরিয়ে ফেলেছেন নীলাঞ্জনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাবাকে আনফলো করে দিয়েছেন বড় মেয়ে সারাও।

এখন প্রশ্ন, সত্যিই কি তাহলে যীশু-নীলাঞ্জনার ২০ বছরের দাম্পত্য ভাঙনের পথেই এগোচ্ছে? যদিও এ বিষয়ে স্পিকটি নট যীশু সেনগুপ্ত। এই পরিস্থিতিতে নীলাঞ্জনার পক্ষে কথা বলেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী মহুয়া চট্টোপাধ্যায়। নীলাঞ্জনার সঙ্গে মহুয়ার বন্ধুত্ব বহুদিনের। প্রায় দিনই তাদের একসঙ্গে দেখা যায়। এদিকে এই কঠিন পরিস্থিতিতে নীলাঞ্জনার পাশেই দাঁড়ালেন মহুয়া চট্টোপাধ্যায়।

যীশু সেনগুপ্ত

মহুয়া নীলাঞ্জনার উদ্দেশে লিখেছেন, ‘তোমাকে দুর্দান্ত ও শক্তিশালী মানুষ বলেই জানি। খুব গর্ব হয় তোমার জন্য। সব সময়ই তোমার সঙ্গে রয়েছি নীলাঞ্জনা।’ পাল্টা মহুয়া চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন নীলাঞ্জনাও।

তবে শুধু মহুয়া চট্টোপাধ্যায় নন, নীলাঞ্জনার পাশে দাঁড়িয়েছেন তার অভিনেত্রী বন্ধু রাগেশ্বরীও। তিনিও নিজের ইনস্টাস্টোরিতে লিখেছেন, ‘একসময় জীবনে কঠিন সময়ে তুমি আমাকে হাত ধরে বাঁচিয়েছিলে, এবার আমার পালা। আজ আমার পালা।’

যীশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা শর্মা দম্পতি

ইতিমধ্যেই যীশু-নীলাঞ্জনা নাকি বিচ্ছেদের পথেই হাঁটছেন বলে খবর। টলিপাড়ায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, তারা নাকি বিচ্ছেদের বিষয়ে আইনি পরামর্শও নিচ্ছেন। শোনা যাচ্ছে, গুজরাটিকন্যা শিনাল সূর্তির সঙ্গেই নাকি বেশ কয়েক মাস ধরে তারা লিভ ইন সম্পর্কেও রয়েছেন। এমনকি ‘খাদান’ সিনেমার শুটিংয়ের জন্য কলকাতায় এসেও নাকি যীশু নিজের বাড়িতেও ওঠেননি।

প্রসঙ্গত, যীশু এ মুহূর্তে বলিউড, টলিউড ও দক্ষিণি ইন্ডাস্ট্রিতে অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা। কাজের সূত্রে মুম্বাইয়ে বেশির ভাগ সময় থাকতে হয় তাকে।

২০০৪ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন যীশু-নীলাঞ্জনা। খ্যাতির শিখরে পৌঁছানোর বহু আগেই থেকেই যীশু সেনগুপ্তের সঙ্গে আলাপ নীলাঞ্জনার। যখন তারা বিয়ে করেন, তখন যীশু টেলিভিশনের একজন উঠতি অভিনেতা। নীলাঞ্জনা শর্মাও অভিনয় করতেন। তিনি জনপ্রিয় অভিনেত্রী অঞ্জনা ভৌমিকের মেয়ে। তবে বিয়ের পর সংসারেই মন দেন নীলাঞ্জনা। দুই মেয়ে সারা ও জারাকে নিয়ে ছিল তাদের সংসার।

যীশু সেনগুপ্ত

তথ্যসূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা

;

বায়োপিকের টিজারে টিমোথি যেন অবিকল বব ডিলান!



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
বব ডিলানের বায়োপিকে টিমোথি শ্যালামে ও এলে ফ্যানিং

বব ডিলানের বায়োপিকে টিমোথি শ্যালামে ও এলে ফ্যানিং

  • Font increase
  • Font Decrease

টিমোথি শ্যালামেকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। অভিনয়গুণে অল্প দিনের মধ্যেই দর্শকের মনে শক্ত অবস্থান করে নিয়েছেন কম বয়সী এই হলিউড অভিনেতা। তার অভিনীত ‘ডুন’ ও ‘ওঙ্কা’ সিনেমা দুটি ব্যাপক আলোচিত হয়েছে।

জীবন্ত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী বব ডিলানের বায়োপিক ‘আ কমপ্লিট আননোন’-এর মূখ্য চরিত্রেও দেখা যাবে টিমোথি শ্যালামেকে। প্রকাশ পেয়েছে ছবিটির টিজার। ‘আ কমপ্লিট আননোন’-ও যে বিশ্বজয় করতে চলেছে, তা টিজার দেখেই নিশ্চিত সিনেপ্রেমীরা।

বব ডিলানের বায়োপিকে টিমোথি শ্যালামে

টিজারে ‘আ হার্ড রেইন’স আ-গনা ফল’ গানের কিছু অংশ গাইতে শোনা গেছে টিমোথিকে। মেকআপ, পোশাক আর চুলের স্টাইলে টিমোথি যেন অবিকল বব ডিলান! ছবিটি পরিচালনা করেছেন ‘ওয়াক দ্য লাইন’, ‘ফোর্ড ভার্সেস ফেরারি’, ‘লোগান’ খ্যাত পরিচালক জেমস ম্যানগোল্ড।

টিজারের শুরুতে টিমোথিকে ম্যানহাটনের রাস্তায় হাঁটতে দেখা যায়। এ সময়ে অ্যামেরিকান গায়ন পিট সিগার বব ডিলানের গান প্রথম শোনার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। পিট সিগারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন এডওয়ার্ড নরটন। টিজারে ম্যানহাটনে ডিলানের কিছু প্রিয় স্থান দেখানো হয়েছে। তার মাঝে আছে ক্যাফে হোয়া এবং হোটেল চেলসা। টিজারে ডিলান, হোয়ান বাইজ এবং সিলভি রুশোর ত্রিভুজ প্রেমের ইঙ্গিতও দেয়া হয়েছে।

বব ডিলানের বায়োপিক ‘আ কমপ্লিট আননোন’-এর দুটি দৃশ্যের কোলাজ

১৯৫৯ সালে ক্যারিয়ার শুরুর পর গানের দুনিয়ায় নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন বব ডিলান। ৮১ বছরের জীবনে অনেক কীর্তি গড়েছেন তিনি। সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারও পেয়েছেন এই গীতিকবি। নন্দিত এই গায়ক, গীতিকারের জীবনের প্রথম দিকের ঘটনাবলি তুলে ধরা হবে সিনেমাটিতে।

তথ্যসূত্র : এনডিটিভি

বব ডিলানের বায়োপিকে টিমোথি শ্যালামে

;

শাফিন আহমেদের কিছু বিরল ছবি আর অজানা কথা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
মা ফিরোজা বেগমের সঙ্গে শাফিন আহমেদ ও হামিন আহমেদ (২০১০) / ছবি : আবেগ রহমান

মা ফিরোজা বেগমের সঙ্গে শাফিন আহমেদ ও হামিন আহমেদ (২০১০) / ছবি : আবেগ রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার সেন্টারা হাসপাতালে গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী শাফিন আহমেদ।

তার মৃত্যুর শোকের আঁচ এখনো পাওয়া যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যে যেভাবে পারছেন প্রিয় শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।

শাফিনকে পেলে এভাবেই মধ্যমণি করে রাখতেন শিল্পীসমাজ। ছবিতে শাফিনের পাশে আসিফ আকবর, শওকত আলী ইমন, শহিদুল্লাহ ফরায়েজী, ফুয়াদ নাসের বাবু, লাবুসহ গানের মানুষরা
 

অনেকেই জানেন না শাফিন আহমেদের জন্ম কলকাতায়। আর তারা তিন ভাই- তাহসিন, হামিন ও শাফিন। বাবা কমল দাশগুপ্ত, মা ফিরোজা বেগম। দুজনেই সংগীতাঙ্গনের কিংবদন্তি। তবে অনেকেই জানেন না, ছেলেবেলায় শাফিন আহমেদের নাম ছিল মনোজিৎ দাশগুপ্ত!

১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ১৯৬৭ সালের দিকে গোটা পরিবারসহ পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন তারা। এরপর ভর্তি হন স্কুলে। সেসময়ই পরিবর্তন করা হয় তার নাম। মনোজিৎ দাশগুপ্ত থেকে তিনি হয়ে যান শাফিন আহমেদ।

কিশোর বেলায় মাকে ঘিরে তিন ভাই তাহসিন, হামিন ও শাফিনের হাসিমুখ

নাম পরিবর্তন নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে শাফিন জানিয়েছিলেন, ‘ভারতবর্ষ যখন স্বাধীন হলো, তখন হিন্দু-মুসলিমের মাঝে যে দূরত্ব বা বিবাদ, সেই সময়ে তা প্রবল ছিল। সেখান থেকেই কিন্তু দুটো দেশের জন্ম- ভারত ও পাকিস্তানের। সেজন্য ভারতে থাকাকালীন একজন ভারতীয় নাগরিক হিসেবে হিন্দু পরিচিতিটা যে রকম প্রয়োজন ছিল, একই রকমভাবে যখন পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসলাম তখন দেখা গেল মুসলিম পরিচয়টা খুব জরুরি ছিল। কারণ আমরা স্কুলে ভর্তি হতে পারছিলাম না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বাসার ব্যাপারটা ছিল কি, বাবা খুবই প্রগ্রেসিভ একজন মানুষ ছিলেন। ধর্ম নিয়ে তার মধ্যে সে রকম কোনো চিন্তা-ভাবনা ছিল না। উনি গানের জগতের মানুষ, গান নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। আমরা ছোটকাল থেকে বড় হয়েছি আসলে ইসলাম ধর্মকে ঘিরেই। মায়ের কাছ থেকেই এই প্রভাব এসেছে। ইসলাম ধর্মের চর্চাটা বাসায় ছিল। এ ব্যাপারে আব্বার কোনো মন্তব্য ছিল না। উনার কোনো দৃষ্টিভঙ্গি কখনোই তিনি চাপিয়ে দিতে চাননি।’

ছবিটি ২০১২ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ফিরোজা বেগমের স্বামী ও শাফিনের বাবা কমল দাশগুপ্ত’র ১০০ তম জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠানে তোলা। ফ্রেমবন্দী হয়েছিলেন দেশের চার প্রখ্যাত শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন, সুবীর নন্দী, ফিরোজা বেগম ও শাফিন আহমেদ। একে একে সবাই চলে গেছেন, রয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন (তিনিও বেশ অসুস্থ)। 

শাফিন আহমেদের ডাক নাম ছিল মুনা। পরিবারের অনেকে এ নামেই ডাকে। এ ছাড়া সংগীতাঙ্গনের অনেকে যারা আমাকে ছোটবেলা থেকে চেনে, তখনও এমন তারকাখ্যাতি পাইনি, বয়স ১৭-১৮ হবে; সেই সময়ে যারা চিনতেন তারাও মুনা নামটিই আগে বলেন।

কিংবদন্তি সুরকার কমল দাশগুপ্ত ও প্রখ্যাত নজরুল সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগমের সন্তান শাফিন। যেন সুরের চামচ মুখে জন্মেছিলেন তিনি। বাবার কাছে উচ্চাঙ্গসংগীত আর তবলা, মায়ের কাছে নজরুলসংগীত শিখেছেন। ৯ বছর বয়সে নজরুলের শিশুতোষ গান ‘প্রজাপতি প্রজাপতি’ রেকর্ড করেছেন শাফিন।

কৈশোরে বিটলসসহ বহু ওয়েস্টার্ন অ্যালবাম হাতের নাগালে পেয়েছেন। ইংরেজি গানে মুগ্ধতা জমে; বাড়িতে ড্রামস ও গিটার বাজাতেন। মা-বাবা নাখোশ হননি; বরং আশকারাই দিয়েছেন।

মায়ের সঙ্গে হামিন ও শাফিন

শাফিন আহমেদের মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে প্রখ্যাত গীতিকার ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদ বলেছেন, ‘ওনার কণ্ঠটা একদমই আলাদা। অত্যন্ত সুরে গান করেন। একই সঙ্গে বেজ বাজিয়ে গান করা ভীষণ কঠিন কাজ। এটিই তাকে আলাদা করেছে।’

প্রিন্স মাহমুদের লেখা ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘কী করে সব ভুলে যাই’সহ ১০ টির মতো গান গেয়েছেন শাফিন। মাইলসের বাইরে শাফিনের বেশির ভাগ জনপ্রিয় একক গানের কথা ও সুর করেছেন তিনি।

১৯৭৯ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড মাইলস। চার দশকের ক্যারিয়ারে ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা অন্তরে’, ‘ফিরে এলে না’, ‘হ্যালো ঢাকা’সহ বহু হিট গান উপহার দিয়েছেন শাফিন।

কনসার্টে রীতিমতো ঝড় তুলতেন রক তারকা শাফিন

কনসার্টে রীতিমতো ঝড় তুলতেন রক তারকা শাফিন। গান আর গিটারের তালে শ্রোতাদের হৃদয়ে উন্মাদনা ছড়িয়েছেন। প্রাণশক্তিই তাকে সমসাময়িকদের চেয়ে আলাদা করেছে বলে মনে করেন আরেক ব্যান্ড তারকা মাকসুদ হক।

নব্বইয়ের দশকে কলকাতায় মাইলসের কনসার্টে শ্রোতাদের ঢল নামত। কলকাতার শিল্পীরাও শাফিন আহমেদকে শ্রদ্ধার আসনে বসিয়েছেন। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে কলকাতায় গায়ক অনুপম রায় বলেছেন, মাইলসে শাফিনের গান শুনেই বেড়ে উঠেছেন তিনি। ব্যান্ডটির ভক্ত তিনি। কলকাতার ক্যাকটাস ব্যান্ডের সিধুসহ আরও অনেকেই শাফিনের গানের প্রতি ভালোবাসার কথা জানিয়েছেন।

ব্যান্ড মাইলস-এর সদস্যরা

;