ঢাকায় চিরচেনা ক্লাসি শর্মিলা, বিচারকাজ করেই ফিরবেন ঘরে

  • মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার মঞ্চে শর্মিলা ঠাকুর /  ছবি : নূর এ আলম

ঢাকার মঞ্চে শর্মিলা ঠাকুর / ছবি : নূর এ আলম

শর্মিলা ঠাকুরকে নতুন করে পরিচয় করানোর কিছু নেই। সিনেমাপ্রেমী মাত্রই এই ডাগর চোখ আর টোল পড়া মুখের হাসির মেয়েটির ভক্ত। আজও জৌলুশ কমেনি একরত্তি। কফি উইথ করণ-এর মতো তারুণ্যনির্ভর শোতে ডাক পান এখনো। বিনোদনের লেটেস্ট মাধ্যম ওটিটিতেও ‘গুলমোহর’-এর মতো সিনেমা দিয়ে দর্শক মাতালেন সদ্য। এখনো পাচ্ছেন হাটুর বয়সী নায়িকাদের অভিনয়যুদ্ধে হারিয়ে বাঘা বাঘা পুরস্কার।

সেই কিংবদন্তি শর্মিলা ঠাকুর এখন ঢাকায়। রবীন্দ্রনাথের বংশধর, পতৌদি নবাব পরিবারের বধূ- সবটা মিলিয়ে চিরচেনা ক্লাসি শর্মিলাই যেন ধরা দিলেন আজ শাহবাগ জাদুঘর মিলনায়তনে।

বিজ্ঞাপন
ঢাকার মঞ্চে শর্মিলা ঠাকুর /  ছবি : নূর এ আলম

পরনে অফ হোয়াইট শাড়িতে নিজের ক্লাস মেইনটেইন করেছেন। আবার আয়োজনের উদ্বোধক তিনি, একটু তো গ্ল্যামার চাই। তাই শাড়িতে রেখেছেন খানিক জরির কাজ। শীত যাতে কাবু না করে ফেলে, তাইতো গায়ে আলতো করে জড়িয়ে নিয়েছেন একখানি পাতলা পাশমিনা চাদর।

দ্বাবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন করতে এসে শর্মিলা কথা বললেন ইংরেজিতেই। তার যুক্তি, এটা আন্তর্জাতিক উৎসব, আর ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাষা। তাই সবার বোঝার সুবিধার্থে ইংরেজিকেই বেছে নিয়েছেন। তবে উৎসব আয়োজক আহমেদ মুজতবা জামালের অনুরোধে বাংলাও বললেন খানিক।

বিজ্ঞাপন

 

ঢাকার মঞ্চে শর্মিলা ঠাকুর /  ছবি : নূর এ আলম

শর্মিলার ভাষায়, ‘আমি বাঙালি, আমি যে বাংলা বলতে পারি তা সবাই জানে। তাই আজ আর বাংলা বলব না।’

শর্মিলা আরও বলেন, ‘আমি খুবই খুশি এতো সুন্দর আয়োজনে ফাইনালি আসতে পেরেছি। আমার আসলে আরও একদিন আগে আসার কথা ছিল। কিন্তু মুম্বাইতে অসম্ভব ঠাণ্ডা পড়ায় ফ্লাইট ক্যানসেল হয়ে যায়। ভেবেছিলাম এ যাত্রায় আর আসা হবে না। কিন্তু আয়োজকরা ঠিকই ব্যবস্থা করেন। আমাকে দুটি সিটওয়ালা বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের স্পেশ্যাল বিমানে আনা হয়েছে। এটা এক ধরনের অ্যাডভেঞ্চার ছিল। এসে ভীষণ ভালো লাগছে।’

ঢাকার মঞ্চে শর্মিলা ঠাকুর /  ছবি : নূর এ আলম

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের নাচের পারফর্ম দেখে শর্মিলা বলেন, ‘আমার কাছে নাচটা খুব ভালো লাগলো। নাচের মাধ্যমে একেবারে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের শুরু থেকে শেষ অবধি একটা জার্নি দেখানো হয়েছে। তাতে জানতে পারলাম, এদেশে ১৯৫৭ সালে চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু। আর আমার চলচ্চিত্রযাত্রা শুরু ‘‘অপুর সংসার’’ দিয়ে। সেটিও প্রায় একই সময়ে। তার মানে আমার আর বাংলাদেশের চলচ্চিত্রজীবন একই বয়সী। বাংলাদেশের পুরনো দিনের সিনেমার গানগুলো শুনে খুব ভালো লাগলো। কি মিষ্টি কিছু গান!’

ঢাকার মঞ্চে শর্মিলা ঠাকুর /  ছবি : নূর এ আলম

অবশেষে শর্মিলা জানান, তিনি এই আয়োজন শুধুই উদ্বোধন করতে আসেননি। এশিয়া চলচ্চিত্র বিভাগের বিচার কাজ করে তবেই ঘরে ফিরবেন। অর্থাৎ এই কাজ করার জন্য তাকে এক সপ্তাহের বেশি সময় ঢাকাতেই থাকতে হবে।

ঢাকার মঞ্চে শর্মিলা ঠাকুর /  ছবি : নূর এ আলম