দেশীয় সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র মাসুদ রানা। এই সিরিজের নতুন গল্প নিয়ে নতুন সিনেমা বানানোর উদ্যোগ নিয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। সিনেমার নাম হবে ‘চিতা’, এটি নির্মিত হচ্ছে ‘অপারেশন চিতা’ গল্প অবলম্বনে। আর সেখানেই ‘মাসুদ রানা’ হিসেবে হাজির হচ্ছেন ‘মোস্ট ওয়েলকাম’, ‘দিন দ্য ডে খ্যাত’ নায়ক অনন্ত জলিল।
গত ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত ‘চিতা’ ছবির মহরত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় একথা বলেন অনন্ত জলিল। যেখানে অনন্ত জলিলকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় যে, ‘চিতা’ ছবিতে তিনি থাকবেন। সঙ্গে আরও থাকবেন তার স্ত্রী বর্ষা।
কেন মাসুদ রানা হচ্ছেন, সে কথা জানালেন অনন্ত। তিনি বলেন, ‘মাসুদ রানা সিরিজে কাজ করা আমার নিজেরও স্বপ্ন ছিল। দেশে যখন থেকে কাজ করি, অনেকেই আমাকে বলতো বাংলার জেমস বন্ড! এই যে ‘চিতা’ ছবিতে আমি কাজ করছি, এটা কিন্তু সাংবাদিকরাও জানতেন না। অথচ জাজের ঘোষণার পর থেকে ফেসবুকে অনেকেই কমেন্ট করেছে, বাংলার জেমস বন্ড অনন্ত জলিল! এজন্য আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। প্রায় নাইন্টি ফাইভ পারসেন্ট কমেন্ট আমাকে নিয়ে করেছে।’
অনন্ত জলিল ও বর্ষা / ছবি : বার্তা২৪.কম
দেশের জনপ্রিয় এই নায়কের দাবী, বাংলাদেশের মানুষ তাকে জেমস বন্ড মনে করে! এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,‘বাংলাদেশের মানুষ আমাকে বাংলার জেমস বন্ড মনে করেন। ফেসবুকে কোনো ছবি পোস্ট করলে তার নীচে এমন মন্তব্য অনেকেই করেন।’
‘চিতা’ পরিচালনা করবেন কলকাতার নির্মাতা রাজীব বিশ্বাস। এতে অনন্ত জলিলের সঙ্গে থাকছেন বর্ষা। মহরতে তিনি বলেছেন, আমি খুব নার্ভাস। ভয় লাগছে। ‘খোঁজ-দ্য সার্চ’র (প্রথম ছবি) সময় যেমন লেগেছিল, আজও তেমন লাগছে। আমি জানি যে, এই ক্যারেক্টারের জন্য আমাকে অনেক কষ্ট করতে হবে। তবে সবার কথা শুনে মনে হচ্ছে, ছবিটা ভালো হবে। আর ভালো তো হতেই হবে। কারণ মাসুদ রানা, বাংলার জেমস বন্ড!
আগামী এপ্রিল-মে নাগাদ ‘চিতা’ ছবির শুটিং শুরু হবে। বাংলাদেশ ছাড়াও থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে ছবিটির শুটিং হওয়ার কথা আছে।
অনন্ত জলিল ও বর্ষা / ছবি : বার্তা২৪.কম
এর আগে কাজী আনোয়ার হোসেনের সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্র মাসুদ রানা সিরিজের ‘ধ্বংস পাহাড়’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছিল বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রযোজনায় ‘এমআর-৯ : ডু অর ডাই’। গেল বছর ২৫ আগস্ট মুক্তি পাওয়া সেই ছবিতে মাসুদ রানা চরিত্রে দেখা যায় এবিএম সুমনকে। এছাড়াও ওই ছবিতে হলিউড ও বলিউডের বেশ কয়েকজন তারকা অভিনয় করেছিলেন।
মাত্র দুই ঘন্টা আগে নিজের ফেসবুক পেইজে কিছু ছবি পোস্ট করেছেন ঢালিউডের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। এরইমধ্যে সেই পোস্টে এক লাখের বেশি মানুষ রিঅ্যাক্ট দিয়েছে। আর কমেন্ট বক্সে তো প্রশংসার ছড়াছড়ি।
ছবি / ফেসবুক
ছবিগুলো শেয়ার করে পরী ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আজ আমার মেয়ের দুই মাস হয়ে গেলো আলহামদুলিল্লাহ। এটা এক প্রজাপতির সংসার।’
আসমানি রঙের প্লেইন শাড়ি আর ছিমছাম সাজে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন পরী। তাকে আগের তুলনায় বেশ স্লিম লাগছে ছবিগুলোতে।
ছবি / ফেসবুক
পরীর কোল আলো করে রয়েছেন তার দুই মাসের কন্যা সন্তান (দত্তক) প্রিয়ম। যদিও তার মুখ এখনি দেখাতে চান না এই নায়িকা। মেয়ের মুখ ঢেকে রেখেছেন প্রজাপতির স্টিকার দিয়ে।
ছবি / ফেসবুক
বোনের দুই মাসের কেক কাটায় বড় ভাই না থাকলে হয়? বোন যেহেতু খুবই ছোট, কেক কাটার বয়স হয়নি, তাই বোনের দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন বড় ভাই পূণ্য। মনের মতো করে কেক কেটে মাকে খাইয়ে দিতেও ভোলেননি ছোট্ট পূন্য।
ছবি / ফেসবুক
দুই ভাই-বোনই মায়ের সঙ্গে মিলিয়ে পরেছে আসমানি রঙের পোশাক। পূণ্যকে আকাশি পাঞ্জাবীতে এতোটাই মানিয়েছে যে, পরীকে ছেড়ে বেশিরভাগ নেটিজেন পূণ্যর লুকের প্রশংসা করেছে কমেন্ট বক্সে।
ছবি / ফেসবুক
অভিনেতা শরীফুল রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বর্তমানে দুই সন্তানসহ কাছের মানুষদের নিয়ে ভালোই কাটছে পরীর দিনকাল।
ছবি / ফেসবুক
সর্বশেষ ‘রঙিলা কিতাব’ নামের একটি ওয়েব সিরিজে পরী কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন। এর পরিচালক ‘দেবী’ নির্মাতা অনম বিশ্বাস। হইচইতে মুক্তি পাবে সিরিজটি। যেখানে পরীমনিকে দেখা যাবে সুপ্তি নামের একটি মেয়ের চরিত্রে। এ ছাড়াও ওপার বাংলার সিনেমা ‘ফেলুবক্সী’তেও অভিনয় করছেন এই অভিনেত্রী। তার সহশিল্পী হিসেবে আছেন সোহম চক্রবর্তী ও মধুমিতা সরকার।
আমরাই বাংলাদেশে প্রথম মিউজিক্যাল ডুয়ো: রোমিও ব্রাদার্স
মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘রোমিও ব্রাদার্স' অরূপ ও নয়ন / ছবি: নূর এ আলম
বিনোদন
বেশিরভাগ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াকে অবসর বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করলেও কারও কারও জীবন বদলে দেয় এই মাধ্যম। তেমনি দুজন অরূপ আর নয়ন। বাংলাদেশের নেটিজেনরা অবশ্য তাদের ‘রোমিও ব্রাদার্স’ নামে চেনে। ফেসবুকে গানের ভিডিও দিয়ে খুব অল্প সময়ে পেয়েছেন পরিচিতি। বার্তা২৪.কমের সঙ্গে সম্প্রতি আড্ডায় বসেছিলেন এই দুই তরুণ শিল্পী। সঞ্চালনা করেছেন মাসিদ রণ‘রোমিও ব্রাদার্স' অরূপ ও নয়ন / ছবি: নূর এ আলম
নয়ন : শুরুটাই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। আমি অরূপের কাছে গীটার শিখতাম। একদিন গীটারের সঙ্গে গান গেয়ে সেই ভিডিও পোস্ট করলাম ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে। মানুষ বেশ পছন্দ করলো। সেই অনুপ্রেরণা থেকেই একের পর এক ভিডিও পোস্ট করতে লাগলাম। একটা সময় আমাদের পরিচিতি সোশ্যাল মিডিয়ার বাইরে চলে গেলো। ডাক পেতে থাকলাম দেশ-বিদেশের স্টেজ শোতে।
নয়ন / ছবি: নূর এ আলম
মাসিদ রণ : আপনারা দুজন তাহলে আপন ভাই নন?
অরূপ : না, আমরা আপন ভাই নই। তবে পারিবারিকসূত্রে আমাদের যোগাযোগ। সমবয়সী না হলেও আমরা আসলে বন্ধু। গানের জন্য সেই বন্ধুত্ব আরও গাঢ় হয়ে এখন আমরা ভাইয়ের মতোই। তাই যখন গান প্রকাশের কথা চিন্তা করলাম, তখন ‘রোমিও ব্রাদার্স’ নামেই শুরু করি।
অরূপ / ছবি: নূর এ আলম
মাসিদ রণ : কোন চিন্তা থেকে প্রথম গানের ভিডিও আপলোড করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়?
অরূপ : এর পেছনে আমাদের একেবারেই কোন চিন্তা-ভাবনা কিংবা পরিকল্পনা ছিলো না। মূলত, আমার বন্ধুরা সবসময় বলতো, ‘তুই এতো ভালো গান করিস, সেগুলো ফেসবুকে কেন পোস্ট করিস না? বড় বড় শিল্পীরাও তো গান গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে!’ তাদের কথাগুলোই এক সময় আমাকে উৎসাহী করে গানের ভিডিও বানাতে। কিন্তু একা সবটা সামলাতে পারবো বলে মনে হচ্ছিল না। এক পর্যায়ে নয়ন ভাইয়াও আমাকে এই ব্যাপারে সাহায্য করবে বললেন। এরপর থেকেই একসঙ্গেই আমরা ভিডিও আডলোড করলাম।
‘রোমিও ব্রাদার্স'-এর সঙ্গে আড্ডায় মাসিদ রণ / ছবি: নূর এ আলম
মাসিদ রণ : কোন ভিডিওটি ‘রোডিও ব্রাদার্স’-এর টার্নিং পয়েন্ট?
অরূপ : মাদার্স ডে’তে একটা ভিডিও করেছিলাম। যে ভিডিওর মাধ্যমে আমরা মা আর সন্তানের সম্পর্কের ইমোশনকে প্রকাশ করতে চেয়েছিলাম। গানটি ছিলো জনপ্রিয় রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘বড় আশা করে এসেছি গো কাছে ডেকে লও’। ভিডিওটিতে দেখা যায়, আমি মায়ের পায়ে আলতা পরিয়ে দিচ্ছি আর নয়ন ভাইয়া পাশে গীটার বাজাচ্ছেন। এই ভিডিওটি দর্শক দারুণ পছন্দ করে। এরপর থেকেই আমাদের প্রায় সব ভিডিওই দর্শকের ভালো সাড়া পায়।
‘রোমিও ব্রাদার্স' অরূপ ও নয়ন / ছবি: নূর এ আলম
মাসিদ রণ : সঙ্গীতাঙ্গনে আপনাদের যাত্রা একেবারেই অল্প দিন। দুজনই তরুণ, ভবিষ্যতেও কী গান নিয়েই থাকতে চান? নাকি অন্য কোন পেশায় ভালো সুযোগ পেলে গান ছেড়ে দেবেন?
নয়ন : না না, একদমই গান ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছা নেই। অনেকে এটা ভাবতে পারেন যে সহজে আমরা পরিচিতি পেয়েছি, হয়তো টাইম পাস হিসেবে গানের ভিডিও করছি। একটা সময় হয়তো অন্য কাজ করবো।
বিষয়টি আসলে তেমন হয়। আমরা দর্শকের সামনে অল্পদিন হাজির হলেও আমাদের চর্চা কিন্তু ছোটবেলা থেকেই। যেমন, আমি সঙ্গীত পরিবারেই বেড়ে উঠেছি। আমার পরিবারের অনেকেই কাওয়ালি গানের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। আমি সেগুলো শুনে শুনেই বড় হয়েছি। একটা সময় নিজেই গানগুলো নিজের মধ্যে আত্মস্থ করেছি। তেমনি অরূপও ছোটবেলা থেকেই রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ও সেমি ক্ল্যাসিক্যাল গানের চর্চা করে আসছে। ফলে গানের প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও ডেডিকেশন অন্য পর্যায়ে। আমরা যেখানে যেভাবেই থাকি না কেন গানটা আমাদের সঙ্গে রয়েই যাবে।
‘রোমিও ব্রাদার্স' অরূপ ও নয়ন / ছবি: নূর এ আলম
মাসিদ রণ : গান নিয়ে আপনারা কি স্বপ্ন দেখেন?
নয়ন : খেয়াল করলে দেখবেন, আমাদের উপমহাদেশে গানের অনেক জুটি রয়েছে। যেমন শংকর-জয়কিশান, নাদিম-শ্রাবন, লক্ষীকান্ত-পেয়ারেলাল, কল্যান জি-আনন্দ জি, আনন্দ-মিলিন্দ, শিব-হরি, যাতিন-লালিত, শংকর-এহসান-লয়, বিশাল-শেখর, সেলিম-সুলেমান, সাজিদ-ওয়াজিদ, মিট ব্রস, সচিন-জিগার, অজয়-অতুল, সচিত-পরম্পরা, নিজামি ব্রাদার্স, নুরানস সিস্টার্সসহ আরও অনেক জুটি। এসব জুটির কাজগুলো কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন ফ্লেভারের হয় যা মানুষকে খুব কানেক্ট করে। আমরাও যেভাবে কাজ করতে চাই যাতে মানুষের মনে আমাদের গানের আলাদা জায়গা তৈরী হয়।
অরূপ : ইনফ্যাক্ট আমাদের পরিচিতি এভাবে হয়েছে যে, আমরাই বাংলাদেশে প্রথম মিউজিক্যাল ডুয়ো, ‘রোমিও ব্রাদার্স’।
নয়ন / ছবি: নূর এ আলম
নয়ন : হ্যাঁ। আসলে প্রথমে তো আমরা দুজনই গান করতাম। তাই স্টেজ শোতেও প্রথমে দুজনেই যেতাম। কিন্তু বড় স্টেজ শোতে দুজনে গান করে আর বাজিয়ে মাতানো সম্ভব না। তাই আমরা ‘রোমিও ব্রাদার্স’ নামে ব্যান্ড গড়ে তুলি। সব মিলিয়ে আমাদের ব্যান্ড মেম্বার ৬ জন।
অনেকে মনে করেন আমাদের একজন হয়তো ভোকাল, অন্যজন সাইড ভোকাল। কিন্তু বিষয়টা আসলে তা নয়। আমরা দুজনই মেইন ভোকাল, যে গানে যার গলা দরকার সে লিড করে। বাকী চারজন মেম্বার আসলে ফিক্সড না, কয়েকজনের মধ্যে যে যখন ফ্রি থাকেন তাকে তখন নেওয়া হয়।
অরূপ / ছবি: নূর এ আলম
মাসিদ রণ : বাংলায় একটা কথা রয়েছে, ‘আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারি’। আপনারা দেখতে দারুণ সুদর্শন। এই বিষয়টি কি দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছে?
অরূপ : রূপের মধ্যেই তো সবকিছু পাওয়া যায় না। হতে পারে প্রথমে হয়তো আমাদের বাইরের লুকটা কাউকে আকৃষ্ট করেছে, কিন্তু দিনশেষে গানের কোয়ালিটি না থাকলে কিন্তু কোন দর্শকই বেশিক্ষণ আমাদের গান শুনবে না। ফলে আমি মনে করি ভেতর ও বাইরের সৌন্দর্য মিলিয়েই আমরা। যেভাবে যাচ্ছে না যাক না! সমস্যা তো নেই (হাহাহা)।
নয়ন : আমারও তাই মনে হয়। সৌন্দর্য হয়তো জনপ্রিয়তা পাওয়ার রাস্তাকে খানিকটা সহজ করে, কিন্তু গুণ থাকাটা আবশ্যক। নয়তো সেই জনপ্রিয়তা ধরে রাখা সম্ভব না। একটা উদাহরণ দিই, আমরা সম্প্রতি কলকাতা ট্যুরে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের দারুণ কিছু শো হয়েছে। গান আর কবিতার মেলবন্ধনে আমরা দর্শকের কাছে প্রেজেন্ট করেছি। শুধু তাই নয়, সেখানে মিরচি মিউজিক অ্যাওয়ার্ডের মতো সম্মানজনক অনুষ্ঠানে আমরা অনেক গুণী শিল্পীর সান্নিধ্য পেয়েছি। তাদের কেউ কেউ আমাদের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে পোষণ করেছেন। তারা কিন্তু এর আগে আমাদেরকে চিনতেন না। এখন তারা যদি দেখতেন যে এরা শুধু দেখতে সুন্দর, গানে তেমন জোর নেই তাহলে কিন্তু কখনোই একসঙ্গে কাজ করতে চাইতেন না।
‘রোমিও ব্রাদার্স' অরূপ ও নয়ন / ছবি: নূর এ আলম
অরূপ : আপনি খুব একটা ভুল শুনেছেন তা বলবো না। এটা সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদ যে আমরা অল্প সময়ে নিজেদের একটা জায়গা করতে পেরেছি। ফলে আমরা যতোটুকু পারিশ্রমিক পেলে পরিশ্রম সার্থক হবে বলে মনে করি সেটা সবাই আমাদের দিচ্ছেন।
নয়ন : আসলে পারফরমেন্সের কোয়ালিটি আর দর্শকের চাহিদার ওপরেই তো পারিশ্রমিক হওয়া উচিত। আমরা অনেক কষ্ট করে সময় দিয়ে এক একটি পারফরমেন্স রেডি করি।
অরূপ : তাছাড়া আমাদের পারফরমেন্সগুলো কিন্তু ইউনিক। আমরা একই ধাচের গান করি না। দেখা গেল একমঞ্চে রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের গান থেকে শুরু করে ফোক, সেমি ক্ল্যাসিক্যাল, সুফি, কাওয়ালি, গজল, ফ্রেন্স, ইংরেজি- সব ধরনের গান নিয়ে হাজির হই।
নয়ন : এতো ধরনের গান করতে কিন্তু আলাদা আলাদা ইন্সট্রুমেন্ট লাগে। তার জন্য দক্ষ যন্ত্রশিল্পী আমাদের সঙ্গে নিতে হয়। যেমন সরোদ, এটা আমাদের দেশে খুব একটা কেউ বাজায় না। যখন কোন শোতে একজন সরোদশিল্পী দরকার পড়ে তখন কিন্তু বাইরে থেকেও আনতে হয়। ফলে তাদের একটা ভালো পারিশ্রমিক দিতে হয়। সবমিলিয়ে আমরা পারিশ্রমিকটা ঠিক করি।
‘রোমিও ব্রাদার্স' অরূপ ও নয়ন / ছবি: নূর এ আলম
মাসিদ রণ : সোশ্যাল মিডিয়া আপনাদের ক্যারিয়ার দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আবার এই প্ল্যাটফর্মে নিত্যদিন শিল্পীদের অনেক নেতিবাচক মন্তব্য কিংবা ট্রলের শিকার হতে হয়। আপনারা বিষয়টি কিভাবে দেখেন?
অরূপ ও নয়ন : সোশ্যাল মিডিয়া এখন পর্যন্ত আমাদের শুধু ভালোবাসাই দিয়েছে। কোন ট্রল কিংবা নেতিবাচক কিছুর মুখোমুখি হইনি। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়া না থাকলে হয়তো আমরা নিজেদের জায়গা এতো দ্রুত করতে পারতাম না। এমনকি আমরা আমাদের চাহিদা বুঝে যেভাবে পারিশ্রমিক নিচ্ছি সেটাও হয়তো সম্ভব হতো না!
সুনয়নাকে বিয়ে করছেন দুবাইয়ের বিখ্যাত ইউটিউবার খালিদ!
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
খালিদ আল আমেরি ও সুনয়না
বিনোদন
দুবাইয়ের জনপ্রিয় ইউটিউবার খালিদ আল আমেরি বিয়ে করতে যাচ্ছেন ভারতের তামিল সিনেমার অভিনেত্রী সুনয়নাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের বিয়ের খবর নিয়ে এমনই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। তাই এ মুহূর্তে নেটপাড়ায় টক অব দ্য টপিকে পরিণত হয়েছে নতুন এ জুটি।
গত ২৫ জুন বাগদান সারেন ইউটিউবার খালিদ। বাগদানের পর এ বিষয়ে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ছবিও শেয়ার করেন তিনি। যে ছবিতে খালিদ ও তার হবু স্ত্রীর বাগদানের আংটি স্পষ্ট দেখা যায় দুজনের অনামিকা আঙুলে। এরপর থেকেই খালিদের ভক্তরা জানার অপেক্ষায় ছিলেন কাকে বিয়ে করতে চলেছেন এ ইউটিউবার। ভক্তদের সে জানার আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে একটি গুঞ্জন।
সুনয়না
সম্প্রতি গুঞ্জন উঠেছে, খালিদ তার প্রথম স্ত্রী দুবাইয়ের ইউটিউবার সালমা মোহাম্মদকে চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি ডিভোর্স দেয়ার পর ভারতীয় অভিনেত্রীকে বিয়ে করতে চলেছেন।
খালিদের সঙ্গে সুনয়নার নাম জড়ানোর কারণও রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করে দেখা যায়, সম্প্রতি খালিদ বাগদানের যে ছবিটি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন ঠিক সে রকমই একটি ছবি চলতি বছরের ৫ জুন ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন সুনয়না। আর সে পোস্টে লাইকও দিয়েছেন খালিদ।
তাছাড়া দুবাইয়ের এ ইউটিউবারের অনেক বন্ধু-বান্ধব আছে ভারতের চেন্নাইয়ে। সম্প্রতি বন্ধুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেন্নাইয়েও এসেছিলেন তিনি। তাই নেটিজেনরা মনে করছেন, চেন্নাইয়ের বন্ধু সার্কেল থেকেই আলাপ খালিদ ও সুনয়নার।
খালিদ আল আমেরি
তবে সত্যিই তামিল সিনেমার অভিনেত্রী সুনয়নার সাথে দুবাইয়ের ইউটিউবার খালিদের বিয়ে হচ্ছে কি না তা এখনও বলা যাচ্ছে না। কারণ এ বিষয়ে এখনও কোনো স্পষ্ট মন্তব্য করেননি সুনয়না ও খালিদ।
ঊনবিংশ শতাব্দীর গল্পে নির্মিত নাটক ‘হাজত’ প্রচারে আসার পর বেশ প্রশংসা কুড়াচ্ছে। ভিকি জাহেদ পরিচালিত এই নাটকটি এখন পর্যন্ত দেখেছেন সতেরো লাখেরও বেশি দর্শক। এতে অভিনয় করেছেন তৌসিফ মাহবুব, রওনক হাসানের মতো গুণী শিল্পীরা।
নাটকটি দেখে ইউটিউবে কেউ মন্তব্য করেছেন, ‘বিংশ শতাব্দীতে এসে ঊনবিংশ শতাব্দীর স্বাদ! অসাধারণ, অসাধারণ, অসাধারণ ছিল।’ আবার কেউ কেউ লিখেছেন, ‘রাফসান হক! আবারো পুনর্জন্মের গন্ধ পাচ্ছি।’
গল্প এবং অভিনয় নিয়ে প্রশংসা করেছেন অনেকেই। বেশিরভাগ দর্শক আবার চাইছে নাটকটির দ্বিতীয় পর্ব।
তৌসিফ মাহবুব বলেন, ‘এই কাজটা করার শুরু থেকেই একটা গুড ফিল কাজ করছিল। মনে হয়েছিল ভালো কিছু একটা হবে। যদিও এতে কোনো নায়িকা নেই, রওনক ভাই, অপু ভাই ছিলেন। ভিকি ভাই বরাবরের মতোই অসাধারণ। অনেকেই গল্পের শেষের একটা ডায়লগ নিয়ে বলছে, ইকবাল হক নাকি রাফসান হকের বাবা। এই প্রসঙ্গে আমার কিছু না বলাই ভালো। পরিচালকই বলুক।’
‘রেডরাম’ ওয়েব কনটেন্টের জন্য গত বছর ডেইলি স্টার ওটিটি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন নির্মাতা ভিকি জাহেদ
অন্যদিকে নির্মাতা ভিকি জাহেদ বলেন, ‘দর্শক পছন্দ করেছেন, ভালো ভালো রিভিউ দিচ্ছেন। বেশিরভাগ দর্শকই দেখলাম দ্বিতীয় পর্ব চাইছে। অনেকে এটাকে আবার পুনর্জন্ম সিরিজের সঙ্গে মেলাচ্ছেন। এটা ভালো লাগছে। এমনটাই চেয়েছিলাম।’
আকবর হায়দার মুন্নার প্রযোজনায় ‘হাজত’ নাটকটি দেখা যাচ্ছে ক্লাব ইলেভেন এন্টারটেইনমেন্ট ইউটিউব চ্যানেলে।