ভালোবাসা ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে আটকে আছে : মম



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
মম / পোশাক : ট্রেন্ড মার্ট, গয়না : গয়নার মেলা, মেকাপ : শোভন মেকওভার, ছবি : নূর এ আলম

মম / পোশাক : ট্রেন্ড মার্ট, গয়না : গয়নার মেলা, মেকাপ : শোভন মেকওভার, ছবি : নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম। প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েই দর্শকের প্রশংসা কুড়ান। এরপর টিভি নাটক, চলচ্চিত্র ও সমসাময়িক প্ল্যাটফর্ম ওটিটিতেও দাপিয়ে কাজ করছেন সাবেক এই লাক্স সুপারস্টার। নতুন বছরের শুরুতে নানা বিষয়ে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে অকপটে কথা বললেন মম। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিদ রণ


খুব ফুরফুরে মেজাজে আছেন। এই মুহূর্তে কোথায় আপনি?


আসলেই মনটা খুব ভালো। আমি এখন সেন্ট মার্টিনে। মন ভালো না থাকার উপায় আছে বলুন? তাছাড়া দীর্ঘকাল পর এখানে বেড়াতে এলাম। এবার এসেছি বন্ধু-বান্ধব ও তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে। আর প্রথমবার এসেছিলাম আমার প্রথম সিনেমা ‘দ্বারুচিনি দ্বীপ’-এর শুটিং করতে। এরমধ্যে কক্সবাজারে কতোবার এসেছি তার হিসেব নেই। তবে সেন্ট মার্টিনে আর আসা হয়নি। সেই হিসেবে ১৭ বছর পর সেন্ট মার্টিন এলাম।


এতো বছর পর সেন্ট মার্টিন গেলেন। আগের থেকে কোন পরিবর্তন চোখে পড়ল?


হ্যা। নানা ধরনের পরিবর্তন চোখে পড়েছে। প্রথমবার যখন এসেছিলাম তখন যাতায়াতের ব্যবস্থা অতো ভালো ছিল না। ছোট্ট জাহাজে আসতে হতো। সেটা আবার বেশ দূরে নোঙর ফেলত। এরপর আমরা নৌকায় করে সেন্ট মার্টিন আসতাম। আর এখন সেই জায়গাটা বড় জাহাজ আর ফেরীর ব্যবস্থা হয়েছে। এজন্য দিনে দিনে এখানে পর্যটকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। তবে সেই সঙ্গে মন খারাপের কারণও ঘটেছে। জায়গাটা আগের মতো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নেই। আশেপাশে প্রচুর প্ল্যাস্টিকের বোতল, চিপসের প্যাকেটসহ ময়লা আবর্জনা। এগুলো শুধু সেন্ট মার্টিনের সৌন্দর্য্যই নষ্ট করেনি, পরিবেশের অনেক ক্ষতি করছে। পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা সমূদ্র সৈকত পেয়েছি আমরা। এখনো এখানের পানি কি চমৎকার নীল! সেই সম্পদের তো যথার্থ যত্নটা করতে হবে। এই সাক্ষাৎকারে কথাগুলো বলার কারণ হলো, দুজন মানুষও যদি বিষয়টি নিয়ে সচেতন হয় সেখানেই আমাদের সার্থকতা।

জাকিয়া বারী মম / পোশাক : ট্রেন্ড মার্ট, গয়না : গয়নার মেলা, মেকাপ : শোভন মেকওভার, ছবি : নূর এ আলম

অভিনয়ের প্রসঙ্গে আসি। সর্বশেষ কি কাজ করলেন?


একটি ঈদের একক নাটকের কাজ করেছি। এহসান বাপ্পীর পরিচালনায় নাটকটি এনটিভিতে প্রচার হবে। আসছে ঈদুল ফিতরের জন্য এর আগেও একটা কাজ করেছি।


ভালোবাসা দিবসে নতুন কোন কাজ আসছে?


ভ্যালেন্টাইন ডে’র জন্যও একটা কাজ করার কথা রয়েছে। এখনো সিডিউল চূড়ান্ত হয়নি। তবে ভালোবাসা দিবসের কথা যেহেতু তুললেন, আমাদের এখনকার ভালোবাসার গল্প নিয়ে একটু কথা বলতে চাই। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন, আমাদের কাজগুলোতে ভালোবাসা ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে আটকে আছে! পরিণত বয়সের ভালোবাসার গল্প লেখাও হয় না, বানানোও হয় না। আমাদের এই গতানুগতিক চিন্তা থেকে বের হয়ে আসা উচিত। তাহলে ভালোবাসার গল্পে অনেক বৈচিত্র্য আসবে। শুধু তাই নয়, আমাদের দেশে অনেক পরিণত নারী অভিনয়শিল্পী রয়েছেন, যারা ভালো চরিত্রের অভাবে অভিনয় থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। কারণ ভালো স্ক্রিপ্ট না পাওয়াটা তাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। যারা পেশাদার শিল্পী তাদের টিকে থাকতে গেলে ভালো স্ক্রিপ্ট সবচেয়ে জরুরী। কিন্তু আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে সামগ্রিকভাবে ভালো স্ক্রিপ্টের অভাব। সেটি হয়ত এতোদিনে অনেকেই অনুধাবন করেছেন। এটা আসলে পৃষ্ঠপোষকতার ফসল। এক সময় যারা ভালো চিত্রনাট্য লিখতেন তারা এখন আর লিখছেন না। কারণ তারা কোন ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছেন না। ফলে আমরা নতুন আইডিয়া নিয়ে কোন গল্প হতে দেখছি না। এটা ধরনের একঘেয়ামিতা তৈরী করছে। ফলে এদিকেও আমাদের অতি দ্রুত নজর দেওয়া উচিত।


প্রায় দুই দশকের শোবিজে ক্যারিয়ার আপনার। ২০২৪-এ এসে ইন্ডাস্ট্রিকে কেমন মনে হচ্ছে?


২০০৬-এ যখন লাক্স সুপারস্টার প্রতিযোগীতা থেকে বের হয়ে কাজ শুরু করলাম, তখন টেলিভিশন স্টেশনগুলো অনেক পাওয়ারফুল ছিল। চ্যানেলের তদারকি থাকতো কাজ নিয়ে। প্রিভিউ কমিটি ছিল, কাজের মানের ওপর আলাদা জোর দেওয়া হতো। আর এখন তো টিভি নাটকও ইউটিউব চ্যানেলের ওপর নির্ভরশীল! এটা একটা বড় পরিবর্তন।

জাকিয়া বারী মম / মেকাপ : শোভন মেকওভার, ছবি : নূর এ আলম

এই পরিবর্তনটা ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক?


সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দৃশ্যপট বদলাবে, এটাই নিয়ম। কিন্তু এখন নাটকের নাম, গল্প কিংবা কাস্টিং যেহেতু ইউটিউব ভিউ-এর ওপর নির্ভরশীল ফলে সেই উদ্দেশ্যটাই শুধু পূরণ হচ্ছে। বাকী বিষয়গুলো কি হচ্ছে সেটা হয়ত কেউ ভাবছে না। এখন নাটকের দর্শকের টেস্ট লেবেল আগের চেয়ে অনেক ভিন্ন।
তবে সিনেমা নিয়ে আমি বেশ আশাবাদী। নানা ধরনের সিনেমা হচ্ছে। কুড়া পক্ষীর শূণ্যে ওড়া, নোনা জলের কাব্য, হাওয়া, সুড়ঙ্গ’র মতো ভালো ছবি তো আমরা দেখেছি। আবার পরাণ, প্রিয়তমার মতো ব্যাবসাসফল ছবিও হয়েছে।


ইতোপূর্বে ‘আলতাবানু’র মতো জীবনঘনিষ্ট সিনেমা যেমন করেছেন, ‘ছুঁয়ে দিলে মন’-এর মতো গ্ল্যামারাস ছবিও করেছেন। ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে ছবি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোন পরিবর্তন এসেছে কি?


না, তেমন কোন পরিবর্তন আসেনি। আমি শুরু থেকেই চেয়েছি নানা ধরনের ছবিতে কাজ করব। ছুঁয়ে দিলে মন’ রোমান্টিক ঘরানার ছবি, দর্শক খুব পছন্দ করেছে। আবার ‘আলতাবানু’র মতো গল্পনির্ভর ছবিও করেও প্রশংসা পেয়েছি। পলিটিক্যাল থ্রিলার ঘরানার ‘দহন’ করেছি, আবার ‘দারুচিনি দ্বীপ’-এর মতো সাহিত্যনির্ভর ছবিও করেছি। আমি এখনো একটি প্রপার গল্প, চরিত্র ও নির্দেশক পেলে ‘ছুঁয়ে দিলে মন’-এর মতো গ্ল্যামারাস ছবি করতে চাই।


গত বছর ওটিটিতে বেশ ব্যস্ত ছিলেন?


হ্যা। যেখানে ভালো গল্প, চরিত্র, নির্মাতা ও বাজেট পাব আমি সেখানেই কাজ করব। গত বছর কয়েকটি ভালো কাজ এসেছিল ওটিটির জন্য। তারমধ্যে ‘অগোচরা’, ‘সাড়ে ষোল’, ‘মারকিউলিস’ কাজগুলো দর্শক পছন্দ করেছে। এ বছরও একটি ওটিটির কাজ করেছি। দেশিয় একটি প্ল্যাটফর্মের জন্যই করেছি। কিন্তু এখন সব কাজই একটি প্রসেসের মধ্য দিয়ে যায়। ফলে এখনই কিছুই ফাঁস করতে পারব না। হয়তো শিগগিরই প্রযোজনা সংস্থা থেকেই আপনাদের জানানো হবে। আরও কয়েকটি ওটিটির কাজে কথাবার্তা চলছে।

জাকিয়া বারী মম / পোশাক : ট্রেন্ড মার্ট, গয়না : গয়নার মেলা, মেকাপ : শোভন মেকওভার, ছবি : নূর এ আলম

ইদানিং অভিনেত্রীদের মুখে ‘নারীকেন্দ্রিক গল্প’ বিষয়টি খুব ট্রেন্ডিং। কাজ বাছাইয়ে এটা আপনার কাছে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ?


(হেসে) এটা একটা মার্কেটিং টুল আসলে। তবে নারী একটি বিষয় বটে! আসলে গল্প গল্পই। তবে আমার কাছে মনে হয়, ওটিটিতেও পুরুষ চরিত্রের প্রাধান্যই বেশি। কিন্তু নারী যেহেতু সমাজের বড় একটি অংশজুড়ে, ফলে তাদের গল্প নিয়ে অনেক বেশি কাজ করার সুযোগ রয়েছে। সেটি অবশ্য নির্ভর করছে রাইটার, ডিরেক্টর ও প্রোডিউসারের ওপর। তারা কি ধরনের গল্প নিয়ে কাজ করবেন সেটা একান্তই তাদের চয়েস।

 


যে গুটিকয়েক গল্প নারীকে প্রাধান্য দিয়ে হচ্ছে সেটিও কতোটা নারীর মতো হয়ে উঠছে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিনেত্রী বন্যা মির্জা। আপনি কি বলবেন?


সেটা তো বটেই। আনফরচুনেটলি আমাদের দেশে এ পর্যন্ত যতোগুলো নারীপ্রধান কাজ আমরা দেখেছি তার সিংহভাগই একজন পুরুষের লেখা এবং পুরুষের নির্মাণ করা। একজন পুরুষ হয়ে নারীর সাইকোলজি কতোখানি বোঝা সম্ভব আমি ঠিক জানি না। বন্যা আপু ঠিকই বলেছেন যে, পুরুষের চোখেই আমরা এতোকাল নারীকে দেখে এসেছি। পুরুষতান্ত্রিক সোসাইটিতে এটাই ক্রমাগত হয়ে আসছে।

জাকিয়া বারী মম / মেকাপ : শোভন মেকওভার, ছবি : নূর এ আলম

এই পরিস্থিতিতে কি কখনো মনে হয়েছে নিজে কিছু গল্প লিখতে বা পরিচালনা করতে হবে? কারণ আপনার লেখাপড়া নাট্যকলায়, নিয়মিত পড়ার চর্চাও রয়েছে...


একটি গল্প মাথায় ভাবা আর সেটিকে স্ক্রিপ্ট আকারে দাঁড় করানো সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। ফলে আমি ঠিক সিওর না যে উন্নত মানের কিছু লেখার দক্ষতা আমার রয়েছে কি না। এজন্য এতোদিন লেখা হয়নি। তবে কখনো যদি কনফিডেন্স পাই তাহলে হয়ত লিখব।

হাসপাতালে শেষ দেখায় সামিনাকে যা বলেছিলেন শাফিন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার যে অনুষ্ঠানে গাইতে গিয়ে আর ফিরলেন না শাফিন আহমেদ, সেই মঞ্চে সেদিন গেয়েছিলেন দেশের আরেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী। অনুষ্ঠানের চার দিনের মাথায় জানতে পারেন শাফিন আহমেদ চিরতরে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। শাফিন আহমেদের মৃত্যুর খবর অবিশ্বাস্য ছিল সামিনা চৌধুরীর কাছে। এই খবর সহ্য করাটাও ছিল ভীষণ কষ্টদায়ক।

যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সামিনা চৌধুরী জানালেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বামী ইজাজ খান স্বপনসহ গিয়েছিলেন শাফিন আহমেদকে দেখতে। হাসপাতালে তাদের থাকার অনুরোধ করেছিলেন বলেও জানালেন সামিনা চৌধুরী।

সামিনা বলেন, ‘‘তিন দিন আগে দেখে এলাম শাফিন ভাইকে। বারবার আমাকে আর স্বপনকে থাকতে বলছিলেন। স্বপনকে বললেন, ‘আমাকে ছেড়ে যেয়ো না প্লিজ! আমার সঙ্গে গল্প করো। আমার অনেক ব্যথা হচ্ছে কোমরে। স্বপন, তোমাকে কিছু বলব, বসো।’'

সামিনা আরও বলেন, ‘শাফিন ভাইকে পানি খাওয়াল স্বপন। তারপর তাকে ঘুমের ওষুধ দেওয়া হলো। শাফিন ভাইয়ের অবস্থা দেখে আমাদের চলে আসতে বললেন আয়োজকেরা। কী বলতে চেয়েছিলেন শাফিন ভাই, কে জানে। কোনো চাপা কষ্ট কি ছিল তার ভেতর? দেশের আরেকটি সম্পদ, আরেকটি মেধার বিয়োগ হলো। চোখে শুধু ভাসছে। তোমরা যেয়ো না প্লিজ...আমাকে আর পাবা না।’

;

ম্যানেজারের সঙ্গে প্রেম, ভাঙছে যীশুর ২০ বছরের সংসার?



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
যীশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা শর্মা দম্পতি

যীশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা শর্মা দম্পতি

  • Font increase
  • Font Decrease

টলিউড তারকা যীশু সেনগুপ্ত আর সাবেক অভিনেত্রী নীলাঞ্জনা শর্মার দুই দশকের দাম্পত্য জীবন। এত দিন তাদের সম্পর্ককে সবাই আদর্শ মেনে এসেছে। কিন্তু জীবনে কোনকিছুই যে স্থায়ী নয়, কিংবা আমরা বাইরে থেকে যা দেখি তার সবটাই যে সত্য নয় সে কথা আরও একবার হয়তো ঘটতে চলেছে! কয়েক দিন ধরে হঠাৎই টলিপাড়ায় আলোচনায় তাদের বিচ্ছেদের খবর।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তাদের সম্পর্ক আগের মতো নেই। নীলাঞ্জনার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টও সে ইঙ্গিতই দিয়েছে।

দুই কন্যাকে নিয়ে ‍সুখের সংসার ছিলো যিশুর

শিনাল সূর্তি নামের নারীর সঙ্গে নাকি সম্পর্কে জড়িয়েছেন যীশু। এটাই তাদের দাম্পত্য কলহের মূল কারণ। ইতিমধ্যেই নিজের নামের পাশ থেকে সেনগুপ্ত পদবি সরিয়ে ফেলেছেন নীলাঞ্জনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাবাকে আনফলো করে দিয়েছেন বড় মেয়ে সারাও।

এখন প্রশ্ন, সত্যিই কি তাহলে যীশু-নীলাঞ্জনার ২০ বছরের দাম্পত্য ভাঙনের পথেই এগোচ্ছে? যদিও এ বিষয়ে স্পিকটি নট যীশু সেনগুপ্ত। এই পরিস্থিতিতে নীলাঞ্জনার পক্ষে কথা বলেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী মহুয়া চট্টোপাধ্যায়। নীলাঞ্জনার সঙ্গে মহুয়ার বন্ধুত্ব বহুদিনের। প্রায় দিনই তাদের একসঙ্গে দেখা যায়। এদিকে এই কঠিন পরিস্থিতিতে নীলাঞ্জনার পাশেই দাঁড়ালেন মহুয়া চট্টোপাধ্যায়।

যীশু সেনগুপ্ত

মহুয়া নীলাঞ্জনার উদ্দেশে লিখেছেন, ‘তোমাকে দুর্দান্ত ও শক্তিশালী মানুষ বলেই জানি। খুব গর্ব হয় তোমার জন্য। সব সময়ই তোমার সঙ্গে রয়েছি নীলাঞ্জনা।’ পাল্টা মহুয়া চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন নীলাঞ্জনাও।

তবে শুধু মহুয়া চট্টোপাধ্যায় নন, নীলাঞ্জনার পাশে দাঁড়িয়েছেন তার অভিনেত্রী বন্ধু রাগেশ্বরীও। তিনিও নিজের ইনস্টাস্টোরিতে লিখেছেন, ‘একসময় জীবনে কঠিন সময়ে তুমি আমাকে হাত ধরে বাঁচিয়েছিলে, এবার আমার পালা। আজ আমার পালা।’

যীশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা শর্মা দম্পতি

ইতিমধ্যেই যীশু-নীলাঞ্জনা নাকি বিচ্ছেদের পথেই হাঁটছেন বলে খবর। টলিপাড়ায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, তারা নাকি বিচ্ছেদের বিষয়ে আইনি পরামর্শও নিচ্ছেন। শোনা যাচ্ছে, গুজরাটিকন্যা শিনাল সূর্তির সঙ্গেই নাকি বেশ কয়েক মাস ধরে তারা লিভ ইন সম্পর্কেও রয়েছেন। এমনকি ‘খাদান’ সিনেমার শুটিংয়ের জন্য কলকাতায় এসেও নাকি যীশু নিজের বাড়িতেও ওঠেননি।

প্রসঙ্গত, যীশু এ মুহূর্তে বলিউড, টলিউড ও দক্ষিণি ইন্ডাস্ট্রিতে অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা। কাজের সূত্রে মুম্বাইয়ে বেশির ভাগ সময় থাকতে হয় তাকে।

২০০৪ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন যীশু-নীলাঞ্জনা। খ্যাতির শিখরে পৌঁছানোর বহু আগেই থেকেই যীশু সেনগুপ্তের সঙ্গে আলাপ নীলাঞ্জনার। যখন তারা বিয়ে করেন, তখন যীশু টেলিভিশনের একজন উঠতি অভিনেতা। নীলাঞ্জনা শর্মাও অভিনয় করতেন। তিনি জনপ্রিয় অভিনেত্রী অঞ্জনা ভৌমিকের মেয়ে। তবে বিয়ের পর সংসারেই মন দেন নীলাঞ্জনা। দুই মেয়ে সারা ও জারাকে নিয়ে ছিল তাদের সংসার।

যীশু সেনগুপ্ত

তথ্যসূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা

;

বায়োপিকের টিজারে টিমোথি যেন অবিকল বব ডিলান!



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
বব ডিলানের বায়োপিকে টিমোথি শ্যালামে ও এলে ফ্যানিং

বব ডিলানের বায়োপিকে টিমোথি শ্যালামে ও এলে ফ্যানিং

  • Font increase
  • Font Decrease

টিমোথি শ্যালামেকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। অভিনয়গুণে অল্প দিনের মধ্যেই দর্শকের মনে শক্ত অবস্থান করে নিয়েছেন কম বয়সী এই হলিউড অভিনেতা। তার অভিনীত ‘ডুন’ ও ‘ওঙ্কা’ সিনেমা দুটি ব্যাপক আলোচিত হয়েছে।

জীবন্ত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী বব ডিলানের বায়োপিক ‘আ কমপ্লিট আননোন’-এর মূখ্য চরিত্রেও দেখা যাবে টিমোথি শ্যালামেকে। প্রকাশ পেয়েছে ছবিটির টিজার। ‘আ কমপ্লিট আননোন’-ও যে বিশ্বজয় করতে চলেছে, তা টিজার দেখেই নিশ্চিত সিনেপ্রেমীরা।

বব ডিলানের বায়োপিকে টিমোথি শ্যালামে

টিজারে ‘আ হার্ড রেইন’স আ-গনা ফল’ গানের কিছু অংশ গাইতে শোনা গেছে টিমোথিকে। মেকআপ, পোশাক আর চুলের স্টাইলে টিমোথি যেন অবিকল বব ডিলান! ছবিটি পরিচালনা করেছেন ‘ওয়াক দ্য লাইন’, ‘ফোর্ড ভার্সেস ফেরারি’, ‘লোগান’ খ্যাত পরিচালক জেমস ম্যানগোল্ড।

টিজারের শুরুতে টিমোথিকে ম্যানহাটনের রাস্তায় হাঁটতে দেখা যায়। এ সময়ে অ্যামেরিকান গায়ন পিট সিগার বব ডিলানের গান প্রথম শোনার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। পিট সিগারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন এডওয়ার্ড নরটন। টিজারে ম্যানহাটনে ডিলানের কিছু প্রিয় স্থান দেখানো হয়েছে। তার মাঝে আছে ক্যাফে হোয়া এবং হোটেল চেলসা। টিজারে ডিলান, হোয়ান বাইজ এবং সিলভি রুশোর ত্রিভুজ প্রেমের ইঙ্গিতও দেয়া হয়েছে।

বব ডিলানের বায়োপিক ‘আ কমপ্লিট আননোন’-এর দুটি দৃশ্যের কোলাজ

১৯৫৯ সালে ক্যারিয়ার শুরুর পর গানের দুনিয়ায় নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন বব ডিলান। ৮১ বছরের জীবনে অনেক কীর্তি গড়েছেন তিনি। সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারও পেয়েছেন এই গীতিকবি। নন্দিত এই গায়ক, গীতিকারের জীবনের প্রথম দিকের ঘটনাবলি তুলে ধরা হবে সিনেমাটিতে।

তথ্যসূত্র : এনডিটিভি

বব ডিলানের বায়োপিকে টিমোথি শ্যালামে

;

শাফিন আহমেদের কিছু বিরল ছবি আর অজানা কথা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
মা ফিরোজা বেগমের সঙ্গে শাফিন আহমেদ ও হামিন আহমেদ (২০১০) / ছবি : আবেগ রহমান

মা ফিরোজা বেগমের সঙ্গে শাফিন আহমেদ ও হামিন আহমেদ (২০১০) / ছবি : আবেগ রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার সেন্টারা হাসপাতালে গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী শাফিন আহমেদ।

তার মৃত্যুর শোকের আঁচ এখনো পাওয়া যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যে যেভাবে পারছেন প্রিয় শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।

শাফিনকে পেলে এভাবেই মধ্যমণি করে রাখতেন শিল্পীসমাজ। ছবিতে শাফিনের পাশে আসিফ আকবর, শওকত আলী ইমন, শহিদুল্লাহ ফরায়েজী, ফুয়াদ নাসের বাবু, লাবুসহ গানের মানুষরা
 

অনেকেই জানেন না শাফিন আহমেদের জন্ম কলকাতায়। আর তারা তিন ভাই- তাহসিন, হামিন ও শাফিন। বাবা কমল দাশগুপ্ত, মা ফিরোজা বেগম। দুজনেই সংগীতাঙ্গনের কিংবদন্তি। তবে অনেকেই জানেন না, ছেলেবেলায় শাফিন আহমেদের নাম ছিল মনোজিৎ দাশগুপ্ত!

১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ১৯৬৭ সালের দিকে গোটা পরিবারসহ পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন তারা। এরপর ভর্তি হন স্কুলে। সেসময়ই পরিবর্তন করা হয় তার নাম। মনোজিৎ দাশগুপ্ত থেকে তিনি হয়ে যান শাফিন আহমেদ।

কিশোর বেলায় মাকে ঘিরে তিন ভাই তাহসিন, হামিন ও শাফিনের হাসিমুখ

নাম পরিবর্তন নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে শাফিন জানিয়েছিলেন, ‘ভারতবর্ষ যখন স্বাধীন হলো, তখন হিন্দু-মুসলিমের মাঝে যে দূরত্ব বা বিবাদ, সেই সময়ে তা প্রবল ছিল। সেখান থেকেই কিন্তু দুটো দেশের জন্ম- ভারত ও পাকিস্তানের। সেজন্য ভারতে থাকাকালীন একজন ভারতীয় নাগরিক হিসেবে হিন্দু পরিচিতিটা যে রকম প্রয়োজন ছিল, একই রকমভাবে যখন পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসলাম তখন দেখা গেল মুসলিম পরিচয়টা খুব জরুরি ছিল। কারণ আমরা স্কুলে ভর্তি হতে পারছিলাম না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বাসার ব্যাপারটা ছিল কি, বাবা খুবই প্রগ্রেসিভ একজন মানুষ ছিলেন। ধর্ম নিয়ে তার মধ্যে সে রকম কোনো চিন্তা-ভাবনা ছিল না। উনি গানের জগতের মানুষ, গান নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। আমরা ছোটকাল থেকে বড় হয়েছি আসলে ইসলাম ধর্মকে ঘিরেই। মায়ের কাছ থেকেই এই প্রভাব এসেছে। ইসলাম ধর্মের চর্চাটা বাসায় ছিল। এ ব্যাপারে আব্বার কোনো মন্তব্য ছিল না। উনার কোনো দৃষ্টিভঙ্গি কখনোই তিনি চাপিয়ে দিতে চাননি।’

ছবিটি ২০১২ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ফিরোজা বেগমের স্বামী ও শাফিনের বাবা কমল দাশগুপ্ত’র ১০০ তম জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠানে তোলা। ফ্রেমবন্দী হয়েছিলেন দেশের চার প্রখ্যাত শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন, সুবীর নন্দী, ফিরোজা বেগম ও শাফিন আহমেদ। একে একে সবাই চলে গেছেন, রয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন (তিনিও বেশ অসুস্থ)। 

শাফিন আহমেদের ডাক নাম ছিল মুনা। পরিবারের অনেকে এ নামেই ডাকে। এ ছাড়া সংগীতাঙ্গনের অনেকে যারা আমাকে ছোটবেলা থেকে চেনে, তখনও এমন তারকাখ্যাতি পাইনি, বয়স ১৭-১৮ হবে; সেই সময়ে যারা চিনতেন তারাও মুনা নামটিই আগে বলেন।

কিংবদন্তি সুরকার কমল দাশগুপ্ত ও প্রখ্যাত নজরুল সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগমের সন্তান শাফিন। যেন সুরের চামচ মুখে জন্মেছিলেন তিনি। বাবার কাছে উচ্চাঙ্গসংগীত আর তবলা, মায়ের কাছে নজরুলসংগীত শিখেছেন। ৯ বছর বয়সে নজরুলের শিশুতোষ গান ‘প্রজাপতি প্রজাপতি’ রেকর্ড করেছেন শাফিন।

কৈশোরে বিটলসসহ বহু ওয়েস্টার্ন অ্যালবাম হাতের নাগালে পেয়েছেন। ইংরেজি গানে মুগ্ধতা জমে; বাড়িতে ড্রামস ও গিটার বাজাতেন। মা-বাবা নাখোশ হননি; বরং আশকারাই দিয়েছেন।

মায়ের সঙ্গে হামিন ও শাফিন

শাফিন আহমেদের মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে প্রখ্যাত গীতিকার ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদ বলেছেন, ‘ওনার কণ্ঠটা একদমই আলাদা। অত্যন্ত সুরে গান করেন। একই সঙ্গে বেজ বাজিয়ে গান করা ভীষণ কঠিন কাজ। এটিই তাকে আলাদা করেছে।’

প্রিন্স মাহমুদের লেখা ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘কী করে সব ভুলে যাই’সহ ১০ টির মতো গান গেয়েছেন শাফিন। মাইলসের বাইরে শাফিনের বেশির ভাগ জনপ্রিয় একক গানের কথা ও সুর করেছেন তিনি।

১৯৭৯ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড মাইলস। চার দশকের ক্যারিয়ারে ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা অন্তরে’, ‘ফিরে এলে না’, ‘হ্যালো ঢাকা’সহ বহু হিট গান উপহার দিয়েছেন শাফিন।

কনসার্টে রীতিমতো ঝড় তুলতেন রক তারকা শাফিন

কনসার্টে রীতিমতো ঝড় তুলতেন রক তারকা শাফিন। গান আর গিটারের তালে শ্রোতাদের হৃদয়ে উন্মাদনা ছড়িয়েছেন। প্রাণশক্তিই তাকে সমসাময়িকদের চেয়ে আলাদা করেছে বলে মনে করেন আরেক ব্যান্ড তারকা মাকসুদ হক।

নব্বইয়ের দশকে কলকাতায় মাইলসের কনসার্টে শ্রোতাদের ঢল নামত। কলকাতার শিল্পীরাও শাফিন আহমেদকে শ্রদ্ধার আসনে বসিয়েছেন। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে কলকাতায় গায়ক অনুপম রায় বলেছেন, মাইলসে শাফিনের গান শুনেই বেড়ে উঠেছেন তিনি। ব্যান্ডটির ভক্ত তিনি। কলকাতার ক্যাকটাস ব্যান্ডের সিধুসহ আরও অনেকেই শাফিনের গানের প্রতি ভালোবাসার কথা জানিয়েছেন।

ব্যান্ড মাইলস-এর সদস্যরা

;