আহমেদ রুবেলের মৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরক অরুণা বিশ্বাস!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
অরুণা বিশ্বাস /  ছবি : সংগৃহিত

অরুণা বিশ্বাস / ছবি : সংগৃহিত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ শুক্রবার সকালে ঢালিউডের গুণী অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন, সিন্ডিকেটের নামে সব গুণী শিল্পীগুলোকে কাজ না দিয়ে ঘরে বসিয়ে রেখে জীবিত মেরে ফেলা হচ্ছে। আর মঞ্চে চলছে দাঁড়িয়ে হাহুতাশ। অসম্মান, অশ্রদ্ধা এসব পাওয়ার জন্য শিল্পীর জন্ম নয়। কী কারণে এমনটা লিখেছেন, তা ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেননি। এ প্রসঙ্গে পরে বিস্তারিত কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে।

অরুণা জানান, গেল বুধবার মারা যাওয়া শক্তিমান অভিনয়শিল্পী আহমেদ রুবেলের মৃত্যু তাকে নাড়া দিয়েছে। এক যুগের বেশি সময় ঢাকা ছেড়ে গাজীপুরের জয়দেবপুরে নিজ বাড়িতে গিয়ে থাকা শুরু করেন। আশির দশকের মাঝামাঝি কলেজ পড়তে ঢাকায় আসা আহমেদ রুবেল জীবনের দুই যুগ কাটান। অভিনয়ের ব্যস্ততা কমে যাওয়ায় নতুন কোনো কাজে যুক্ত হলে তবেই ঢাকায় আসতেন। এর বাইরে অন্য সময়টায় জয়দেবপুরের ছায়াবীথি এলাকায় থাকতেন। অরুণা বিশ্বাসের মতে, আহমেদ রুবেলের মতো অভিনয়শিল্পী সিন্ডিকেটে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। তাই কাজের ব্যস্ততা কমে যায়।

অরুণা বিশ্বাস /  ছবি : সংগৃহিত

রাগে ক্ষোভে অরুণা বিশ্বাস ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অখাদ্য-কুখাদ্য জোর করে গেলাচ্ছেন, বলছেন দর্শকের রুচি খারাপ। সিন্ডিকেটের নামে সব গুণী শিল্পীকে কাজ না দিয়ে ঘরে বসিয়ে রেখে জীবিত মেরে ফেলছেন, আর মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাহুতাশ। অসম্মান, অশ্রদ্ধা এসব পাওয়ার জন্য শিল্পীর জন্ম নয়।

ফেসবুক পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে অরুণা বিশ্বাস বলেন, ‘আজকে আহমেদ রুবেল মারা গেছে। সবাই অনেকে দুঃখ প্রকাশ করতেছে। ঠিকাছে। অনেকে আবার এও বলছেন, তিনি দেরি করে সেটে আসতেন। ফরীদি ভাই সম্পর্কেও এ রকম বলতে শুনেছি। আরে ভাই, গুণী শিল্পীরা একটু এ রকম হয়। তারা একটু যদি এ রকম করেনও, আমাদের মতো ক্ষুদ্র মানুষদের এগুলো মেনে নেওয়া উচিত। আমি মনে করি, দেশের স্বার্থে, সংস্কৃতির স্বার্থে, শিল্পের স্বার্থে এসব মেনে নেওয়া উচিত। এখনো অনেক গুণী শিল্পী, তাদের সম্মান, শ্রদ্ধা ও যত্নে আগলে রাখা উচিত। কাজের মধ্যে রাখা উচিত। তাদের নিয়ে নতুন সব চরিত্র ভাবা উচিত।’

কথায় এসেছে সিন্ডিকেট প্রসঙ্গও। এ নিয়ে অরুণা বিশ্বাস বললেন, ‘সিন্ডিকেট বিষয়টা একটা সংগঠনের মতো। আমরাও তো একটা সময় কাজ করেছি। রাজ্জাক (নায়ক রাজ্জাক) কাকু, শিবলী (শিবলী সাদিক) ভাই, মাহফুজ (মাহফুজুর রহমান খান) ভাই— তারা কখনোই বলেননি, তোমরা ওখানে কাজ করবা না। একে–ওকে নেওয়া যাবে না। তাকে নেওয়া যাবে না। এগুলো তো আমরা বুঝিও নাই। জানিও না। এই যে এখন এত এত আলোচিত কাজ হচ্ছে, বেশির ভাগ জায়গায় অশালীল সংলাপে ভরা। আমি সেদিন তথাকথিত একটা বেশ আলোচিত ফিল্ম দেখলাম। স্বামী–স্ত্রী একে অপরকে এত বাজে ভাষায় গালাগালি করতেছে! দেখে বেকুব বনে গেলাম। আরে আমরা তো ওভাবে বড়ই হয়নি।’

অরুণা বিশ্বাস /  ছবি : সংগৃহিত

সেই আলোচিত ফিল্মের নামটা কী জানতে চাইলে বলেননি অরুণা বিশ্বাস। উত্তরটা দিলেন এভাবে, ‘নামটা মনে আছে, কিন্তু মুখে আনতে চাই না। নাম নিলে আরও হাইলাইটস করা হবে। অথচ যে দুজন অভিনয়শিল্পী এসব সংলাপ দিচ্ছেন, তারাও কিন্তু দুর্দান্ত অভিনয়শিল্পী, কিন্তু এমন অশালীন গালিগালাজ! এ রকম আরও অনেক ভালো অভিনয়শিল্পী আছেন, যাঁদের দর্শক দেখতে চান। কিন্তু তারা সেই সুযোগ পাচ্ছেন না। অনেক গুণী শিল্পী আছেন, যাঁরা বসে আছেন। কাজ করতে চান। অনেক সিনিয়র শিল্পীও আছেন, শিল্পের পথে যাঁদের দীর্ঘ ভ্রমণ, যাঁরা এটাই শুধু অভিনয়টাই শিখেছেন। অভিনয়টাই করে গেছেন আজীবন—সেই তারাও দিনের পর দিন কাজ থেকে বঞ্চিত। সেদিন এক আড্ডায় কয়েকজন সিনিয়র শিল্পী দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এত বড় মাপের শিল্পী তারা, সম্মান রক্ষাথে নাম নিচ্ছি না। আমি নিজেও তো সেভাবে ভালো কোনো কাজের জন্য ডাক পাই না।

কাজ কিন্তু আয় রোজগারের জন্য না। আমি নাহয় সারভাইব করছি। সত্যিকারের শিল্পীদের আসলে শিল্পের একটা খুদা আছে। সব সময় এখানে টাকাপয়সা ম্যাটার করে না। আজকে, এই বয়সে অমিতাভ বচ্চন যে কাজ করছেন, তিনি কি শুধু টাকার জন্যই কাজ করছেন? সৌমিত্র চট্টোপধ্যায় মৃত্যুর আগমুহূর্ত পর্যন্ত অভিনয় করে গেছেন। এসব কি টাকার জন্যই?— এসব আসলে শিল্পের খুদা। আমরা তো এখন একজন আরেকজনকে সঠিকভাবে শ্রদ্ধা করতেই শিখিনি। আহমেদ রুবেল মারা যাওয়ার পর এসব আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।’ বললেন অরুনা বিশ্বাস।

অরুণা বিশ্বাস /  ছবি : সংগৃহিত

আহমেদ রুবেলের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে জানিয়ে অরুণা বিশ্বাস বললেন, ‘এই ভদ্রলোককে নিয়ে আমি কাজ করছি। কালকে দেখলাম পরিচালক আমিতাভ রেজা বলছেন, আহমেদ রুবেল মানুষটা খুব নিঃসঙ্গ ছিলেন। আমি তো বলব, আহমেদ রুবেলকে নিঃসঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে। তাকে তো অনেক দিন ধরে কাজই দেওয়া হয়নি। তিনি যদি কাজের মধ্যে থাকতেন, আনন্দেই থাকতেন। মনটা সতেজ থাকত। অথচ আজ মরার পর কতশত নিউজ। কত অ্যাঙ্গেলের নিউজ। অথচ বেঁচে থাকা অবস্থায় যদি এর অর্ধেক গুরুত্ব দিয়েও যদি তার খবর নেওয়া হতো, তার ঢাকা ছেড়ে জয়দেবপুর চলে যাওয়া লাগত না। আমার ধারণা, এসব তাকে অনেক কুড়ে কুড়ে খেয়েছে। কোনো মানুষকে নিসঃঙ্গ করে দেওয়া অপরাধ, যা আহমেদ রুবেলের ক্ষেত্রে ঘটেছে। অথচ তিনি দেখতে সুন্দর, কী বলিষ্ঠ কণ্ঠ, কী অসাধারণ সংলাপ বলতেন—তাঁর তো এভাবে নিঃসঙ্গ হওয়ার কথা নয়। সময় থাকতে আমাদের গুণী অন্য শিল্পীদের নিয়ে এখনই ভাবতে হবে।’

`চাপা ডাঙার বউ’ চলচ্চিত্রে দিয়ে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু অরুণা বিশ্বাসের। নায়করাজ রাজ্জাকের হাত ধরে ১৯৮৬ সালে পথচলা শুরু করা অরুণার বিশ্বাসের অভিনয়জীবন চার দশক ছুঁই ছুঁই।

প্রকাশ পেয়েছে ‘একটি খোলা জানালা’র টিজার



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘একটি খোলা জানালা’র  পোস্টারে ফারিণ এবং নাদিয়া

‘একটি খোলা জানালা’র পোস্টারে ফারিণ এবং নাদিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

ভিকি জাহেদের নতুন ভূতুড়ে কনটেন্ট ‘একটি খোলা জানালা’ আসতে চলেছে সামনে। সঠিক তারিখ এখনো প্রকাশ হয়নি, তবে সকল প্রচারণায় ‘কামিং সুন’ লেখা জানান দিচ্ছে, খুব বেশিদিন দর্শককে অপেক্ষা করতে হবে না। জনপ্রিয় ওটিটি প্লাটফর্ম ‘বিঞ্জ’ এ এই শর্ট ফিল্মটি প্রকাশ পাবে।  

সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে শর্টফিল্মটির টিজার। কয়েক সেকেন্ডের ছোট টিজারটি ভয় ধরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। টিজারটির ক্যাপশন, ‘ঝড়বৃষ্টির রাতে অচেনা কে এই মানুষ?’

প্রথম দৃশ্যে দেখা যায়, প্রচন্ড ঝড়-বৃ্ষ্টির রাত। একটি পুরানো বাড়ির বাইরে বাজ পড়ার শব্দও শোনা যাচ্ছে। পরের দৃশ্যটি ঘরের ভেতরে। সেখানে কেউ একজন আরাম কেদারায় বসে দোল খাচ্ছে। তার মুখ দেখা যাচ্ছে না। দৃশ্য প্রথমে লোকটির পা ফোকাস করে ধারণ করা। ধীরে ধীরে উপরে উঠতে থাকা দৃশ্য হাতে এসে থেমে যায়। তার পেছনে রহস্যে ঘেরা কিছু একটা পড়ে থাকতেও দেখা যায়। গায়ে হিম ধরে যায়, অস্পষ্ট সেই বস্তুটি দেখলে আবার আরাম কেদারায়  বসে থাকা ব্যক্তি কেমন যেন স্বাভাবিক নন, তাও স্পষ্ট জানান দিয়ে ভয় বাড়িয়ে তোলে।  

আনুমানিক আধা ঘণ্টার এই শর্ট ফিল্মটি হরর্ জনরার। বাংলাদেশের ছোট পর্দার দুই জনপ্রিয় মুখ তাসনিয়া ফারিণ এবং সালহা খানম নাদিয়া অভিনয় করেছেন এখানে। তারা দু’জনেই সেবিকা চরিত্রে থাকবেন, তা পোস্টার দেখেই স্পষ্ট ছিল।

ভিকি জাহেদ এই সময়ের অন্যতম দর্শকপ্রিয় নির্মাতা। তার প্রতিটি কাজ দর্শক সাদরে গ্রহণ করেন। তার প্রতিটি কাজই অনন্য এবং দর্শক মনে ছুঁয়ে যায়। পুনর্জন্ম, রেডরাম, আরারাত, দ্য সাইলেন্স, আমি কি তুমি- এমনকি সাম্প্রতিক সময়ের তিথিডোর তারই উদাহরণ। প্রতিটি নাটকেরই গল্প, চিত্রনাট্য, সংলাপ অত্যন্ত চমৎকার। একেকটি কাজকে ভিন্নতার নতুন শিখরে নিয়ে যান ভিকি। চারিদিকে এখনো নাটকটির দারুণ প্রশংসা শোনা যাচ্ছে।

এর আগে ‘একটি খোলা জানালা’র দুটি পোস্টার উন্মোচিত হয়েছে। একটিতে দেখা যাচ্ছে তাসনিয়া ফারিণকে, অন্যটিতে সালহা খানম নাদিয়াকে। দুজনের পরণেই রয়েছে নার্সের পোশাক। সঙ্গে ভিকি জাহেদের অন্য সব কাজের মতো সাসপেন্সের ছোঁয়া।

 

;

৫ দিনে ৭২৫ কোটি আয় করল ‘কাল্কি’



বিনোদন ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বলিউড সিনেমা ‘কাল্কি ২৮৯৮ এডি’র অশ্বমেধের ঘোড়া যেন লাগামহীন ভাবে ছুটছে। পরিণত হয়েছে ব্লকবাস্টার রূপে। সুপারস্টার প্রভাস ও দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত সিনেমাটি মুক্তির মাত্র চার দিনেই বিশ্বজুড়ে ৫০০ কোটির সীমানা ছাড়িয়েছে।

দক্ষিণী সিনেমার তারকা অভিনেতা প্রভাস। তার অভিনীত বহুল আলোচিত সিনেমা ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’। নাগ অশ্বিন পরিচালিত এ সিনেমায় তার সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন অমিতাভ বচ্চন, কমল হাসান, দীপিকা পাড়ুকোন, দিশা পাটানির মতো শিল্পীরা।

স্যাকনিল্কের তথ্য অনুসারে, ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ সিনেমা মুক্তির ৫ দিনে শুধু ভারতে আয় করেছে ৩৬৯ কোটি রুপি। বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ৫১৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকার বেশি)।

করোনা সংকটসহ নানা কারণে পিছিয়ে যায় ৬০০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমার মুক্তি। সব বাধা পেরিয়ে গত ২৭ জুন বিশ্বের ৫ হাজার ৬০০ পর্দায় মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। মুক্তির পর বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে এটি। মুক্তির প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি আয় করা ভারতীয় সিনেমার তালিকায় ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ তৃতীয়। প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ‘ট্রিপল আর’ ও ‘বাহুবলি টু’।

;

১০০ টা কাজ করে লাভ কী যদি আলোচনাই না হয়: তাহমিনা অথৈ



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
তাহমিনা অথৈ / ছবি: নূর এ আলম

তাহমিনা অথৈ / ছবি: নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

গুণী নির্মাতা সাইদুল আনাম টুটুলের ‘কালবেলা’ চলচ্চিত্র দিয়ে শোবিজে পা রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যায়ের নাট্যকলায় পড়াশুনা করে আসা অভিনেত্রী তাহমিনা অথৈ। এরপর কাজ করেছেন শুধুই সিনেমায়। এবার আসছেন ওয়েব প্ল্যাটফর্মে। বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি

তাহমিনা অথৈ / ছবি: নূর এ আলম

ব্যস্ততা কি নিয়ে?


অভিনয় নিয়েই আমার ব্যস্ততা। সম্প্রতি একটি ওয়েব সিরিজের শুটিং শেষ করেছি। কাজটির জন্য আমাকে লম্বা সময় ধরে প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। কারণ চরিত্রটির জন্য অনেক বেশি ওজন বাড়াতে হয়েছে। শারিরিক গড়নের এতোটাই পরিবর্তন করতে হয়েছে যে অনেকে আমাকে দেখলে চিনতেই পারবেন না। এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া একজন অভিনয়শিল্পীর জন্য কঠিন। কারণ, একটি কাজের জন্য এতোটা সময় দিতে হয় যে অন্য কাজ হাতছাড়া হয়। কিন্তু আমি অতোসব না ভেবে শুধুমাত্র অভিনয়টাকে ভালোবেসেই কাজটি করেছি। চরিত্রের প্রতি নিমগ্নতা না থাকলে অভিনয়টাকে পুরোপুরি ভালোবাসা যায় না।

তাছাড়া ১০০ কাজ করেও যদি আলোচনায় না আসা যায়, আমার ডেডিকেশন কতোখানি তা মানুষ দেখতেই না পারে তাহলে সেই ধরনের কাজ করে কি লাভ? একটি কাজ করেও আলোচনায় আসা যায় যদি করার মতো করা যায়। তবে এই সিরিজটি নিয়ে স্পষ্ট করে এখনই কোন তথ্য দিতে পারবো না।  সিরিজটি খুব জলদি আসবে, তার আগে প্রযোজনা সংস্থা থেকেই সবাইকে জানানো হবে।

তাহমিনা অথৈ / ছবি: নূর এ আলম

আরও দুটি ছবির কাজ ধরেছিলেন। সেগুলোর কী অবস্থা?


হ্যাঁ। প্রখ্যাত নির্মাতা সালাহউদ্দিন জাকীর ‘অপরাজিত একা’ ছবিটির শুটিং ডাবিং সবটাই শেষ হয়েছে। এরপর তো জাকী স্যার চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তাই ছবিটি আর মুক্তি পায়নি। এটি ইমপ্রেস টেলিফিল্মসের ছবি। ছবিটি কবে আসবে তারাই ভালো জানে। এই ছবিতে আফজাল হোসেন, দীপা খন্দকারসহ অনেক গুণী শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এছাড়া শেখ রায়হান পরিচালিত ‘চট্টলা এক্সট্রেস’ নামের একটি ছবি শুরু করেছিলাম চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদের বিপরীতে। এরমধ্যে ছবিটির আর্ট ডিরেক্টর মারা গেছেন। তাই সেই কাজটিও আপাতত বন্ধ আছে।
সিনেমার বাইরে বেশকিছু টিভিসি ও ওভিসির কাজ করা হয়েছে। আমি ভাগ্যবান যে খুব কম কাজ করলেও যেগুলো করেছি তাতে দর্শকের দারুণ সাড়া পেয়েছি।

তাহমিনা অথৈ / ছবি: নূর এ আলম

অভিনয় আপনার পেশা। এতো কম কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করা কষ্টসাধ্য হয়ে যায় না?


বেছে বেছে ভালো কাজ করতে গেলে আমাদের মতো দেশে একটু তো অসুবিধার সম্মুখীন হতেই হয়। কারণ এখানে অনেক মেধাবী শিল্পী রয়েছেন, সেই তুলনায় ভালো কাজের সুযোগ কম। তবে আমি শুধুমাত্র টাকার জন্য অভিনয় করতে আসিনি। অভিনয় নিয়ে লেখাপড়া করেছি, অভিনয়টাকে ভালোবাসার জায়গা থেকেই করতে চাই। কাজের ক্ষেত্রে কোনো কম্প্রমাইজ করতে চাই না। পরিবার থেকেও অনেক টাকা উপার্জনের চাপ নেই। আমি হয়তো প্রতিদিন শুটিং করি না, কিন্তু প্রতিনিয়ত অভিনয়ের চর্চার মধ্যেই থাকি।

তাহমিনা অথৈ / ছবি: নূর এ আলম

সেই চর্চাটা কি রকম? কোন থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত আছেন?


শুধু থিয়েটার আর ক্যামেরার সামনে অভিনয় করা মানেই সব না। অভিনয়চর্চার আরও নানা উপায় রয়েছে। পড়াশুনা করা, শরীর ঠিক রাখা, কণ্ঠস্বরের চর্চা- এসব তো আমি একাডেমিক্যালি শিখে এসেছি। সেই চর্চাটাই বাড়িতে করতে থাকি। যাতে যে কোন সময় যে কোন চরিত্র পেলে আমি প্রস্তুত থাকি।

তাহমিনা অথৈ / ছবি: নূর এ আলম

নাটকে কিংবা বানিজ্যিক সিনেমায় আপনাকে দেখা যায় না কেন?


নাটকের অফার মাঝেমধ্যেই পাই। কিন্তু আমি নাটকে অভিনয় করিনি। কারণ, প্রতিটি শিল্পীর একটি ভালোলাগার মাধ্যম থাকে যে সে কোন মাধ্যমে নিজেকে দেখতে চায়। আমি বরাবরই নিজেকে বড়পর্দায় দেখতে চেয়েছি। তাই সেদিকেই নজর দিয়েছি। আর বানিজ্যিক সিনেমার কথা বললেন, এ নিয়ে আমার কাছে অন্যরকম ব্যাখ্যা রয়েছে। আমার কাছে প্রতিটি সিনেমাই বানিজ্যিক। কারণ প্রতিটি ছবিই হলে দর্শক টিকিট কেটে দেখেন। এটা ঠিক যে এক একটি গল্পের এক একটি জনরা থাকে। আমি হয়তো এখন জীবনঘনিষ্ট গল্পের সিনেমাতেই বেশি কাজ করছি। আবার যদি এমন কোন ছবিতে প্রস্তাব পাই যেখানে একটু বেশি বিনোদনমূলক এলিমেন্ট রয়েছে সে ধরনের কাজও করতে চাই। তবে যে কাজই করি না কেন আমার গল্প আর চরিত্র পছন্দ হতে হবে।

;

চড়কাণ্ডের চেয়ে নিচে আর নামতে পারিনি: ববি



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
রাশিদ পলাশ ও ববি

রাশিদ পলাশ ও ববি

  • Font increase
  • Font Decrease

গেলো ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘ময়ূরাক্ষী’র নির্মাতা ও নায়িকার মারামারির ঘটনা এখন শোবিজের অন্যতম আলোচিত ইস্যু। এ নিয়ে কদিন ঘরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জল ঘোলা হলেও মুখে তালা দিয়ে রেখেছিলেন নির্মাতা রাশিদ পলাশ এবং ইয়ামিন হক ববি দুই পক্ষই।

তবে এবার মৌনতা ভাঙলেন জনপ্রিয় এই চিত্রনায়িকা। একেবারে সংবাদ সম্মেলন করে কথা বলেছেন ঘটনাটি নিয়ে। ববি নিজ মুখেই শিকার করেন যে তিনি নির্মাতা রাশিদ পলাশকে থাপ্পড় মেরেছেন। এই নায়িকার ভাষ্য, ‘চড়কাণ্ডের বাইরে আসলে আর বেশিকিছু হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কারণ, আমি তো এতো নিচে নামতে পারবো না। এতো সস্তা আমি হতেই পারবো না।’

চিত্রনায়িকা ববি

নির্মাতার সঙ্গে সমঝোতা করবেন কিনা জানতে চাইলে ববি বলেন, ‘তার সঙ্গে এমন কিছুই হয়নি যে সমঝোতা করতে হবে। ওখানে যারা ছিলেন তারা ভালো বলতে পারবেন আসলে কতোটুকু ঘটনা ঘটেছিল।’

ববি আরও বলেন, ‘অল্প বয়স থেকে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। এতো বছর এখানে কাজ করছি, সবাই বলেন ববি মেয়ে হিসেবে খুবই ভদ্র। তবে তার মানে এই নয় যে অন্যায় হলে আমি চুপ করে না সহ্য করবো। সে (রাশিদ পলাশ) খুবই অসৎ একজন মানুষ। প্রোডিউসারকে অনেক ভুগিয়েছে। আমাকে যে যে কথা দিয়েছিলো আমি পর্দায় কিংবা পর্দার বাইরে তার কিছুই সেভাবে পাইনি। প্রোডিউসার আমাকে বলেছেন, যে বাজেটে ছবিটি হওয়ার কথা ছিলো তার দ্বিগুণ যে খরচ করে ফেলেছে।’

রাশিদ পলাশ ও ববি

যুক্ত করে ববি বলেন, ‘সে আমার নামে যেসব অভিযোগ এনেছে সবটাই মিথ্যা। আমি তাকে অনেক সাপোর্ট করেছি। এমনও হয়েছে, আমাকে বলেছে আপা আজকে আপনাকে পেমেন্টটা না দিই, প্রোডাকশনের খবচটা আগে চালাই। আমি বলেছি, ঠিক আছে আমার পেমেন্ট পরে দাও। আমার নামে সে প্রোডিউসারের কাছ থেকে বার বার পেমেন্ট নিয়েছে অথচ আমি পুরো পেমেন্টটা এখনো পাইনি! সেই ছেলে এখন এসে যখন আমার নামে এসব কথা বলে সেটি তো আমি মেনে নেব না। তাছাড়া সে যদি পর্দায় ভালো একটি কাজ উপহার দিতে পারতো তাও আমি সব ভুলে যেতাম। সেখানেও সে তেমন কিছুই করতে পারেনি এজন্য দর্শক ছবিটি পছন্দ করেনি। এছাড়া তার নামে প্রযোজকের আরও অভিযোগ রয়েছে।’

;