মাঝে কিছুটা বিরতি দিয়ে আবারও শোবিজে নিয়মিত হয়েছেন অভিনেত্রী লারা লোটাস। কাজ করছেন নাটকে। চলছে মডেলিং-এর কাজও। সম্প্রতি তিনি বিটিভির একটি নাটকে অভিনয় করেছেন মূখ্য চরিত্রে। সেই নাটকটির নাম ‘পটল যখন পরিচালক’। আজ ১০ ফেব্রুয়ারি রাত ৯ টায় প্রচারিত হবে নাটকটি।
ইরানী বিশ্বাসের রচনা ও সাদিকুল ইসলাম নিয়োগীর প্রযোজনায় নাটকটিতে অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরফান আহমেদ, মোঃ ইকবাল বাবু, তারিক স্বপন, শফিক খান দিলু, আশা মজিদ রোজী, রহিম সুমন, সেলিম কামাল, হাসান মাহমুদ ও জান্নাতুল ফেরদৌস।
বিজ্ঞাপন
নাটকে দেখা যাবে- পটল নামের একজন পরিচালক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে গ্রাম থেকে ঢাকায় আসে। কিন্তু টাকার অভাবে তার কিছুই করা হয়ে ওঠেনি। অন্যদিকে মফিজ নামের এক গার্মেন্টস কর্মির ইচ্ছে অভিনয় করার। একদিন পটলের সাথে মফিজের পরিচয় হয়। পটল মফিজকে দিয়ে গ্রাম থেকে জমি বিক্রি করিয়ে টাকা আনায় নাটক বানানোর জন্য। পটল কারো ফোন কখনো রিসিভ করে না। মোবাইল কেটে দেয়। কিছুক্ষণ পর কল ব্যাক করে তাদের বলে, আমি বিজি ছিলাম প্রডিউসারের সাথে মিটিং নিয়ে। রিমি নামের একটি মেয়ে পটলের নাটকে অভিনয়ের স্বপ্ন দেখে।
বিভিন্ন ভাবে পটলকে সে পটানোর চেষ্টা করে। পটলও তাকে মিথ্যা কথা বলতে থাকে। এভাবে একটার পর একটা মিথ্যা কথা বলে চলতে থাকে পটলের জীবন। অবশেষে নাটক বানানোর টাকা দিয়ে রিমিকে বিয়ে করে পটল। একপর্যায়ে মফিজ তার প্রেমিকার মাধ্যমে জানতে পারে পটলের চালাকির কথা। তারপর মফিজ পুলিশ নিয়ে পটলের বাসর ঘরেই হাজির হয়। নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি হয় এ গল্পের।
ছোটপর্দার অভিনেতা আরশ খান সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আলোচিত। অভিনয় দিয়ে যতোটা আলোচনায় এসেছেন তার চেয়ে ঢের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। তাকে নিয়ে হইচই শুরু হয় অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমকের সঙ্গে বিবাদে জড়ানোর পর। এই অভিনেতার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগও আনেন চমক!
এরপর আরশ খানকে আলোচনা শুরু হয় আরেক অভিনেত্রী তানিয়া বৃষ্টির সঙ্গে প্রেম প্রসঙ্গে। আর অতি সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনে রাজপথে নেমে এবং বন্যার্তদের সাহায্য করতে ছুটে যাওয়ার জন্য প্রশংসা কুড়ান তিনি।
আবারও আলোচনায় এসেছে আরশ খান আর তানিয়া বৃষ্টির সম্পর্ক। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তানিয়া বলেন, ‘একসঙ্গে অনেক নাটকে জুটি হয়ে কাজ করেছি। এ কারণে আমাদের সম্পর্ক খুবই ক্লোজ ছিল। আসলে ভাই-ব্রাদার টাইপের ফ্রেন্ড ছিলাম। এ ছাড়া দুজনের বাসাও কাছাকাছি ছিল। ওই সময় আমাদের অনেক কাজ হয়েছে। তবে এখন আর আগের মতো একসঙ্গে কাজ করছি না। সেই ফ্রেন্ডশিপ আর নেই।’
এ প্রসঙ্গে আরশ খানও মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘তানিয়া বৃষ্টি আমার কলিগ। কিছু দিন আগে দেখলাম আমাকে ভাই-ব্রাদার টাইম বলেছে, আমি বলবো বোনের মতো। আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি!’
এদিকে আরশ খানের মা অভিনেত্রী নীলা ইসলাম ছেলের বিয়ের কথা ভাবছেন। মায়ের পছন্দেই বিয়ে করতে চান এই অভিনেতা। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, মা যে মেয়েকে পছন্দ করবেন তাকেই বিয়ে করবেন।
বলিউডের নায়করা একসঙ্গে বসে আড্ডা দিতে পারে, বন্ধুত্ব রাখতে পারে কিন্তু নায়িকারা কখনোই একে অপরের বন্ধু হতে পারে না- একটা সময় এটাই যেন মিথ হয়ে গিয়েছিলো।
তার কারণও কম ছিলো না। বলিউডের ইতিহাস ঘাটলে দুই নায়িকার মধ্যে এমন বহু খবর পাওয়া যাবে যারা একে অণ্যের মুখ পর্যন্ত দেখতেন না। ব্যক্তিগত, প্রেমঘটিত কিংবা পেশাগত ঈর্ষা- নানা কারণ থাকতে পারে এর পেছনে।
শ্রীদেবী-মাধুরী, শ্রীদেবী-জয়া প্রদা, জয়া বচ্চন-রেখা, শাবানা আজমী-স্মিতা পাতিল থেকে শুরু করে কারিনা কাপুর-প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, কারিনা-আমিষা প্যাটেল, কারিনা-বিপাশা বসু, প্রিয়াঙ্কা-টুইঙ্কেল, ঐশ^রিয়া-রানি মুখার্জি, কঙ্গনা রানৌত-তাপসী পান্নু, কঙ্গনা-সোনম কাপুর, সোনম-দীপিকা, দীপিকা-ক্যাটরিনা; এসব নায়িকাদের দ্বন্দ্ব বিনোদন পাতায় ভালোই রসদ জুগিয়েছে।
এই তালিকায় সর্বশেষ নাম আলিয়া ভাট আর শ্রদ্ধা কাপুর। ভক্তরা এই দুই তারকাকে একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবতেই পছন্দ করেন। কারণ দুই জনই একই বছরে তারকাখ্যাতি পান। দুজনের সোশ্যাল মিডিয়া অনুসারীর সংখ্যা নিয়েও চলে তুলনা। আলিয়ার ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ আর শ্রদ্ধার ‘আশিকী ২’ থেকে শুরু হয় এই তুলনা। এরপর আলিয়া ভাট নিজেকে নিয়ে গেছেন দেশের শীর্ষ অভিনেত্রীর অবস্থানে, পিছিয়ে পড়েন শ্রদ্ধা। যা শ্রদ্ধা ভক্তরা মানতে নারাজ। তাদের মতে শ্রদ্ধাও দারুণ মেধাবী-সুন্দরী। কিন্তু আলিয়া প্রভাব খাটিয়ে শ্রদ্ধাকে কোনঠাঁসা করেছেন।
কিন্তু এই দুই অভিনেত্রীর মুখে বা আচরণে এমন কিছুই প্রকাশ পাইনি কখনো। আর এবার তারা একে অপরের সঙ্গে যে আচরণ করলেন তাতে নেটিজেনদের মুখ ‘হা’ হয়ে গেছে!
গতকাল মুক্তি পেয়েছে আলিয়া ভাটের কামব্যাক সিনেমা ‘জিগরা’র ট্রেইলার। এরইমধ্যে তা দর্শকের তুমুল প্রশংসা কুড়াচ্ছে। আলিয়া ভাটের অভিনয়ের প্রশংসা আরও একবার চারিদিকে। এবার বাদ থাকলেন না শ্রদ্ধা কাপুরও। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার মতো পাবলিক প্ল্যাটফর্মেই আলিয়ার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠলেন। ‘জিগরা’র ট্রেলার দেখে শ্রদ্ধা কাপুর লিখেছেন, ‘কী চমৎকার ট্রেলার আলিয়া ভাট, এ সিনেমা তো ভাইকে নিয়ে হলে গিয়ে দেখতে হবে।’
আলিয়াও শ্রদ্ধার এই দারুণ আচরণে মুগ্ধ। তাই সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে ভোলেননি। শ্রদ্ধার সাম্প্রতিক ব্লকবাস্টার হিট সিনেমা ‘স্ত্রী ২’কে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করে আলিয়া লিখেছেন ‘ধন্যবাদ আমার ব্লকবাস্টার স্ত্রী’।
যে দুই তারকাকে নিয়ে সর্বদা সবাই তুলনা করতে ব্যস্ত, মনে করেন তাদের মধ্যে সাপে-নেউলে সম্পর্ক, তাদের এমন আচরণ দেখে যারপরনাই বিস্মিত নেটিজেন।
প্রসঙ্গত, করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশন ও আলিয়ার ইটারনাল সানশাইন প্রযোজিত ‘জিগরা’ মুক্তি পাবে আগামী ১১ অক্টোবর। ভাই-বোনের সম্পর্ক নিয়ে নির্মিত ভাসান বালা পরিচালিত এই ছবিতে আলিয়ার ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন নেটফ্লিক্স মুভি ‘দ্য আর্চিজ’ তারকা ভেদাং রায়না। ভাইকে বাঁচাতে আলিয়ার আপ্রাণ চেষ্টা ও ধুন্দুমার অ্যাকশন সবাইকে মুগ্ধ করেছে।
অভিনেত্রীদের সঙ্গে হওয়া যৌন হেনস্তা দমনে ‘সুরক্ষা কমিটি’ খুলেছে টলি ফেডারেশন। এ কমিটিতে অভিযোগ জানানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সুপরিচিত চলচ্চিত্র পরিচালক অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সেখানকার পরিচালকদের সংগঠন ‘ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’।
বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, ই-মেইল মারফত অরিন্দম শীলকে এই বরখাস্তের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মেইলে জানানো হয়েছে, পরিচালকের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ উঠেছে। যার প্রাথমিক প্রমাণ রয়েছে এবং তা অত্যন্ত উদ্বেগের। এমন অভিযোগ সংগঠনের পক্ষে ক্ষতিকর। সে কারণেই ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিচালককে সাসপেন্ড করা হচ্ছে, অথবা যত দিন না পর্যন্ত পরিচালকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হচ্ছে, তত দিন এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
দিনকয়েক আগে পশ্চিমবঙ্গের এক অভিনেত্রী (পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে) অভিযুক্ত পরিচালকের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ এনে নারী কমিশনের দ্বারস্থ হন। এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে ‘ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’র সভাপতি সুব্রত সেন বলেছেন, ‘‘নারী কমিশনের থেকে অভিযোগ আসার পরই আমরা বিষয়টি নিয়ে সবাই আলোচনায় বসি। সবার সম্মতিতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।’ সেই অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিচালকের বিরুদ্ধে এই বিশেষ নির্দেশ কার্যকর হবে। যে দিন তিনি ‘নির্দোষ’ হিসেবে লিখিত বার্তা পাবেন, সে দিন থেকে আবার আগের মতো কাজ শুরু করতে পারবেন, জানিয়েছেন সুব্রত। অরিন্দমের নাম উল্লেখ না করে এ-ও জানিয়েছেন, ‘এরপরও পরিচালক যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতে চান বা তার সঙ্গে যদি কোনো প্রযোজক কাজ করেন, সে ক্ষেত্রে কোনো বক্তব্য থাকবে না সমিতির।’’
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমে কথা বলেছেন অরিন্দম শীল। দৃশ্য বোঝাতে গিয়ে অভিনেত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করার অভিযোগে তিনি দাবি করেন, বিষয়টি ‘একটি খুনির সন্ধানে’ সিনেমার সেটে হয়েছে। অভিনেতা সাহেব ও অভিযোগকারী অভিনেত্রীকে তিনি একটি ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। তা একটি ‘চিট শট’ ছিল। তার ভাষায়, সেই সময় অনিচ্ছাকৃতভাবেই একটা ঘটনা ঘটে। তখনো এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া হয়নি। সেই সময়ে চিত্রগ্রাহক থেকে শুরু করে সেটের বাকি সবাই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অভিনেতা সাহেব চট্টোপাধ্যায়ও ছিলেন।
অরিন্দম আরও জানান, ‘তিনি শুক্রবার নারী কমিশনে গিয়ে কথা বলেছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, তার অনিচ্ছাকৃত কোনো আচরণের জন্য অভিনেত্রী যদি অপমানিত হয়ে থাকেন, তার জন্য তিনি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। আমার সহকারী পরিচালক ও ক্যামেরাম্যান এবং সুরিন্দর ফিল্মসের সদস্যরা সাক্ষী হিসেবে আছেন। কিন্তু ডিরেক্টরস গিল্ড আমার সঙ্গে কথা না বলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
এই পরিচালক আরও জানান, অনিচ্ছাকৃতভাবেই যে ঘটনা ঘটেছে, তা তিনি লিখিতভাবেই দিতে যাচ্ছিলেন। তাতে অভিনেত্রী রাজি ছিলেন না। তখন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের অনুরোধে তিনি অনিচ্ছাকৃত শব্দটি বাদ দেন। সেটিই এখন তার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। পরিচালক জানান, বিষয়টি আইনজীবীদের সঙ্গে তিনি আলোচনা করবেন। তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন।
এ ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকজন শিল্পী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ফেসবুকে নন্দিত অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি লিখেছেন, ‘পাপের ঘড়া উল্টায়। ভেবেছিলাম বোধ হয় নিজের জীবনে দেখে যেতে পারব না। ভগবান, তুমি এই কথাটুকু যে রেখেছ, এ-ই অনেক। ২০ বছর সময় লাগল, সে লাগুক। আমাদের জগতের সমস্ত মেয়েদের বলছি, সময় এসেছে সম্মান দখল করার। আর ভয় নয়। গলা তুলে, আঙুল তুলে চিৎকার করে নোংরা লোকগুলোর মুখোশ টেনে ছিঁড়তে হবে। সবাই বেরিয়ে এসো। হাত ধরে একসঙ্গে সোচ্চার হই। এটা আমাদের মৌলিক অধিকার।’
স্বস্তিকার স্ট্যাটাস দেখে বোঝা যাচ্ছে, এই পরিচালকের সঙ্গে তারও তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। যদিও সেই ঘটনার কথা কোনদিন উল্লেখ করেনি এই অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, অরিন্দম শীল একাধারে চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা ও প্রযোজক। তার পরিচালিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো ‘আবর্ত’, ‘এবার শবর’, ‘হর হর ব্যোমকেশ’, ‘ঈগলের চোখ’ ও ‘মিতিন মাসী’।
গত শনিবার প্রথম সন্তানের মা হয়েছেন বলিউড সুপারস্টার দীপিকা পাড়ুকোন। কন্যা সন্তান এসেছে রনবীর সিং-দীপিকা পাড়ুকোনের সংসারে। তবে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই দীপিকা জানিয়েছেন, তিনি অভিনয় থেকে লম্বা বিরতি নেবেন।
তিনি কারিনা বা আলিয়ার মতো মা হওয়ার পর খুব দ্রুত অভিনয়ে ফিরবেন না। তিনি বরং আনুশকা শর্মার মতো লম্বা বিরতি নেবেন। সন্তানকে পুরোটা সময় দেবেন।
আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রণবীর জানিয়েছিলেন, তিনি কন্যাসন্তান চান। ‘আমি চাই মেয়ে হোক, দীপিকার মতো কন্যা পেলে জীবন পূর্ণ হয়,’ বলেছিলেন তিনি। অন্যদিকে ভোগ সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দীপিকাও বলেছিলেন, তিনি বাচ্চাকাচ্চা ভালোবাসেন। এমনকি সন্তানের জন্য অভিনয় ছাড়তেও তার আপত্তি নেই।
বিয়ের ছয় বছরের মাথায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম সন্তান আসার খবর জানিয়েছিলেন রণবীর-দীপিকা। এরপর রোহিত শেঠির কপ ইউনিভার্সের নতুন কিস্তি ‘সিংহাম অ্যাগেইন’-এর শুটিংয়ে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অ্যাকশন দৃশ্যে দেখা যায় অভিনেত্রীকে, তখন অবশ্য সেভাবে তার বেবিবাম্প বোঝা যায়নি। দীপিকার বেবিবাম্প প্রকাশ্যে আসে ভারতীয় লোকসভা নির্বাচনের ভোটের দিন। এরপর গত জুন মাসে কল্কি ২৮৯৮ এডির প্রচারে কথা বলেন অভিনেত্রী।
জানান, ছবিটিতে তিনি অভিনয় করেছেন অন্তঃসত্ত্বা নারীর চরিত্রে। শুটিং যখন শুরু করেন, তখন তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন না কিন্তু ছবিটি মুক্তির সময় পর্দার মতো তিনিও প্রথম সন্তান জন্ম দেওয়ার অপেক্ষায়!
২০১৩ সালে ‘গোলিও কি রাসলীলা: রামলীলা’ ছবির শুটিংয়ের সময় শুরু হয় দীপিকা ও রণবীরের প্রেম। পরে ‘বাজিরাও মস্তানি’, ‘পদ্মাবত’, ‘৮৩’ ইত্যাদি ছবিতে তাদের জুটি হিসেবে দেখা গেছে। ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর ইতালিতে বিয়ে করেন দীপিকা-রণবীর।