গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদ জানিয়ে শুরু ‘জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলন’



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
বাঁ থেকে লিলি ইসলাম, বুলবুল ইসলাম, আতিউর রহমান, শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায় ও লাইসা আহমদ লিসা

বাঁ থেকে লিলি ইসলাম, বুলবুল ইসলাম, আতিউর রহমান, শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায় ও লাইসা আহমদ লিসা

  • Font increase
  • Font Decrease

রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় আয়োজন জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামী শুক্রবার ৮ মার্চ। এবার উদ্বোধনী অধিবেশনে গাজায় ইসরায়েলের বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে মনুষ্যত্বের জয়গান করা হবে। থাকবে আরও বৈচিত্র্যময় আয়োজন।

রোববার ১০ মার্চ সমাপনী অধিবেশন সকাল ৯টায় শুরু হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। পরে থাকবে সংগীত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে সনদ ও পুরস্কার প্রদান। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় থাকবে পাঠ, আবৃত্তি ও সংগীতানুষ্ঠান।

শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় তিন দিনের এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এবার শিল্পগুরু মুস্তাফা মনোয়ারকে রবীন্দ্রপদক প্রদান করে সম্মাননা জানানো হবে। ‘নিশিদিন ভরসা রাখিস, ওরে মন, হবেই হবে’ বোধনসংগীত হিসেবে কবিগুরুর এই গান পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠান শুরু হবে।

আজ বুধবার দুপুর ১২টায় ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনের রমেশচন্দ্র দত্ত স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের এক সংবাদ সম্মেলনে এবারের আয়োজন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

কর্মসূচি:

শুক্রবার ৮মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন পরিষদের নির্বাহী সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক আতিউর রহমান। পরে থাকবে আজিজুর রহমান তুহিনের গ্রন্থনায় ‘সত্যের আনন্দ রূপ এই তো জাগিছে’ শীর্ষক গীতি-আলেখ্য।

এরপর বেলা আড়াইটা থেকে শুরু হবে কিশোর বিভাগের সংগীত প্রতিযোগিতা। সন্ধ্যায় নৃত্যালেখ্য ‘তুমি অনন্যা’। এই দিনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এ জন্য দিবসটিকে স্মরণ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতিনাট্যের নারী চরিত্রগুলো নিয়ে এই নৃত্যালেখ্য গ্রন্থনা করেছেন শিল্পী লিলি ইসলাম। এ ছাড়া থাকবে সংগীত, আলোচনা, পাঠ ও আবৃত্তি।

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাধারণ বিভাগের সংগীত প্রতিযোগিতা শুরু হবে। বেলা সাড়ে তিনটায় প্রতিনিধি সম্মেলন, সাড়ে চারটায় হবে ‘রবীন্দ্র-শিক্ষাদর্শ ও বাংলাদেশের নবশিক্ষাযাত্রা’শীর্ষক সেমিনার। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। সন্ধ্যায় গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় পিষ্ট মানবতার আর্তধ্বনি-প্রতিধ্বনি তুলে ধরে পরিবেশিত হবে বিশেষ রবীন্দ্র গীতি–আলেখ্য ‘মানুষগুলো সব ইতিহাসের ছেঁড়া পাতা’। এটি গ্রন্থনা করেছেন প্রাবন্ধিক মফিদুল হক। এরপর থাকবে সংগীত ও নৃত্যানুষ্ঠান।

লিখিত বক্তব্যে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের ৪২তম অধিবেশন। এতে ঢাকাসহ সারা দেশের সম্মিলন পরিষদের ৮২টি শাখার সাত শতাধিক শিল্পী, সংগঠক ও সংস্কৃতিকর্মী অংশ নেবেন।

লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নৃত্যশিল্পী শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী জাহিদুর রহিমের প্রয়াণের পর ১৯৭৯ সালে তার নামে ‘জাহিদুর রহিম স্মৃতি পরিষদ’ গঠন করে দেশব্যাপী রবীন্দ্রসংগীতচর্চার প্রসারের কাজ শুরু হয়। এরপর কবিগুরুর নাম যোগ করে সংগঠনের নামকরণ করা হয় ‘জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ’। সংগঠনের লক্ষ্য ছিল সব প্রতিবন্ধকতা দূর করে বাঙালির জাতীয় সংস্কৃতির সুষ্ঠু বিকাশের ধারাকে বেগবান করতে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া। সংগঠনের নাম পরিবর্তন করা হলেও শিল্পী জাহিদুর রহিমের স্মৃতি রক্ষার্থে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ‘জাহিদুর রহিম স্মৃতি পুরস্কার’ প্রবর্তন করা হয়।
প্রথম পর্যায়ে কেবল ঢাকায়ই জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের অধিবেশনগুলো অনুষ্ঠিত হতো। সংগঠনের কার্যক্রমকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ১৯৮৪ সাল থেকে এক বছর ঢাকায় ও পরের বছর অন্য কোনো জেলায় সম্মেলনের অধিবেশন করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি ঢাকায় অনুষ্ঠিত অধিবেশনে কিশোর ও সাধারণ বিভাগে সংগীত প্রতিযোগিতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের নির্বাহী সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক আতিউর রহমান বলেন, সংগঠনের সভাপতি সংগীতজ্ঞ সন্জীদা খাতুনের পরামর্শ নিয়ে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বহুমাত্রিক কাজ ও ভাবাদর্শ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার রূপরেখায় তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। সম্মিলন পরিষদ এখন প্রতিবছর ঢাকা ও ঢাকার বাইরে যেসব জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করছে, তা রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় আয়োজনে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, এসব অধিবেশন কেবল সংগীত, আবৃত্তি বা নৃত্যচর্চার ভেতরই সীমিত থাকে না, সমাজের নানা রকম অসংগতি ও দুর্ভোগ থেকে মুক্তির উপায় নিয়েও এখানে আলোচনা করা হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কেবল বাংলার কবি নন, তিনি ছিলেন বিশ্বকবি। বিশ্বমানবতার কল্যাণ ও সংকট নিয়ে তিনি ভেবেছেন। সে কারণে এবার ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্বর হামলার প্রতিবাদ করা হবে। এটা এবারের সম্মেলনের বড় সংযোজন।

সংবাদ সম্মেলনে এবারের আয়োজনের সাংগঠনিক বিষয়, প্রশিক্ষণ, প্রতিযোগিতা, অনুষ্ঠানের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন পরিষদের তিন সহসভাপতি। তাদের মধ্যে শিল্পী লাইসা আহমদ লিসা বলেন, কোভিডের পর এবার সম্মেলন উপলক্ষে সারা দেশে প্রতিযোগীদের নিয়ে বছরভর ব্যাপক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছিল। অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকেরা তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে সংগীত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ জন্য তরুণদের নিয়ে পরিষদের এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নিরন্তর চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
শিল্পী বুলবুল ইসলাম বলেন, এবারে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। সারা দেশ ঘুরে প্রশিক্ষণ পর্ব দেখে মনে হয়েছে,অনেক প্রতিভাবান নবীন শিক্ষার্থী রয়েছে। এবারের প্রতিযোগিতা পর্ব থেকে অনেক প্রতিভাবান নতুন শিল্পী বেরিয়ে আসবে। দর্শকদের জন্যও প্রতিযোগিতা উপভোগ্য হয়ে উঠবে।

লিলি ইসলাম বলেন, এ আয়োজন সারা দেশের শিল্পী, সংগঠক, সংস্কৃতিকর্মীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এবার অনুষ্ঠানের গান, নৃত্য, গীতি ও নৃত্যালেখ্য পরিকল্পনা করা হয়েছে সমকালীন বিভিন্ন বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে। গানে থাকবে প্রেম ও বসন্ত, নারী দিবসে গীতি-আলেখ্য করা হয়েছে কবিগুরুর নারীদের নিয়ে লেখা গান নিয়ে। একইভাবে আবৃত্তির একটি বিশেষ পরিবেশনা থাকবে গাজায় ইজরায়েলি হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে। সব মিলিয়ে এবারের অনুষ্ঠানে প্রতিটি পরিবেশনা বৈচিত্র্যময় ও উপভোগ্য হতে যাচ্ছে।

   

পাঠ্যসূচিতে স্থান পেল কাজল রেখা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: 'কাজল রেখা'

ছবি: 'কাজল রেখা'

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সিনেমা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম। তার সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি 'কাজল রেখা'। চলতি বছর ঈদুল ফিতরে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ময়মনসিংহ গীতিকাব্য কাজল রেখার প্রেক্ষিতে সিনেমার গল্প সাজানো হয়েছে।

কাজল রেখা নামের মেয়ের জীবনের গল্প ফুটে উঠেছে গীতিকাব্যে৷ সিনেমাতে অভিনয় করেছেন মন্দিরা চক্রবর্তী, সাদিয়া আয়মান, শরিফুল রাজ,ইরিশ জাকের, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, খাইরুল বাসার সহ আরো অনেকে।

সম্প্রতি কাজলরেখা সিনেমাটিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে বাংলা সাহিত্যের প্রতীকী হিসেবে প্রতিটি হিসেবে সিনেমাটিকে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের কোর্সের অন্তর্ভুক্ত পাঠের অংশ হবে সিনেমাটি। এই নিয়ে সিনেমা সংশ্লিষ্টরা তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সম্মাননার জন্য।

এর আগেও বাংলার ঐতিহ্যবাহী উপন্যাস গুলোতে তৈরি হওয়া সিনেমাগুলোকে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। বহিপীর, লালসালু,  হাজার বছর ধরে, পদ্মা নদীর মাঝি ইত্যাদি অনেক সিনেমাকে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের উদ্দেশ্যে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়।এইবার সেই দলে যোগ দিল কাজল রেখা সিনেমাও। সিনেমার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান, চরিত্র সম্পর্কে জ্ঞান, গল্পের গভীরতা ও ধারাবাহিকতা  ইত্যাদি নানারকম বিষয় বুঝতে সুবিধা হয়।

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাজলরেখার শুটিং হয়েছে প্রায় ৫০ দিন। সিনেমার মূল শুটিং লোকেশন সুসঙ্গ দুর্গাপুরের লক্ষ্মীপুর অঞ্চল। এছাড়া খুলনার সুন্দরবন, কক্সবাজার, সিলেটের হাওর অঞ্চল এবং ঢাকার মিরপুর অঞ্চলে সিনেমাটির শুটিং হয়েছে। তরুণ ও অভিজ্ঞদের মিশ্রণে শতাধিক শিল্পী-কুলাকুশলী এতে কাজ করেছেন। আর ছবিটির বিভিন্ন শুটিং পর্যায়ে সহস্রাধিক কর্মী সরাসরি এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম নির্মিত পাঁচটি সিনেমার মধ্যে সবচেয়ে বড় বাজেটের ছবি ‘কাজলরেখা’। ময়মনসিংহ গীতিকার আদি গল্পকাহিনী নিয়ে নির্মিত ‘কাজলরেখা’ সিনেমাটির সব শিল্পী ও কলাকুশলী বাংলাদেশের হলেও ভিএফএক্সসহ কিছু কারিগরি সহায়তায় যুক্ত ছিলেন ভারতের কুশলী শিল্পীরা।

গীয়াসউদ্দিন সেলিম ছবিটি দীর্ঘ বছর ধরে মনের আঙিনায় যত্ন করে তিনি ২০০৯ সালের শেষ দিকে ‘কাজলরেখা’ নির্মাণের প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেন। দীর্ঘ ১২ বছর গবেষণা, গীত সংগ্রহ, চিত্রনাট্য রচনা, লোকেশন নির্বাচন ইত্যাদি শেষে ২০২২ সালে ছবিটির দৃশ্যায়ন শুরু হয়। অবশেষে তা এখন দর্শকের আঙিনায়। তিনি বাংলাদেশের মতো ছোট্ট সিনেমা বাজারের ছোট্ট বাজেটে কয়েকশ’ বছরের পুরনো গল্পকে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। তার গভীর গবেষনা সিনেমায় স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।

;

ডিউন কপি করেছে কল্কি মেকার্স, নেটিজেনদের সন্দেহ



বিনোদন ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি নির্ভর সিনেমা কল্কি ২৮৯৮ এ.ডি। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে অত্যাধুনিক পৃথিবী পরিণত হয়েছে প্রায় ধ্বংসস্তূপে। অভিনয় করেছেন প্রভাস, দীপিকা পাড়ুকোন, কমল হাসান, অমিতাভ বচ্চনসহ বাঘা বাঘা বলিউড অভিনয় শিল্পীরা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সিনেমাটির নতুন পোস্টারের সাথে প্রকাশের নতুন তারিখ প্রকাশ করা হয়েছে৷

পোস্টার প্রকাশ পাওয়া পর সিনেমা নিয়ে আবারও হাইপ তৈরি হয়েছে৷ নেটিজেনরা একেরপর এক প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছে।

নেটিজেনের এক পক্ষ সিনেমা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে। অনেকে মন্তব্য করেছে সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া সুপারহিট হলিউড সিনেমা ডিউন ফ্রাঞ্চাইজির সাথে মিল পাওয়া যাচ্ছে কল্কি সিনেমার।

আগে থেকেই এরকম মন্তব্য করেছিলেন অনেকে। নতুন এই পোস্টার প্রকাশ পাওয়ার পর আবার সমালোচনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন দীপিকা পাডুকোন। তার একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে কল্কি সিনেমার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পাশে ডিউনের অভিনেত্রী জেনডায়ার আরেকটি ছবি। দুই অভিনেত্রীর লুকে মিল খুঁজে পেয়েছেন তারা। নেটিজেনদের দাবি কল্কি সিনেমা সংশ্লিষ্টরা ডিউন সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। কিন্তু এমনটা স্বীকার করতে নারাজ পরিচালক।

সিনেমার প্রচারণার সময় থেকেই ভক্তদের মনে হতে থাকে কপি করার কথা। হায়েদ্রাবাদে এক প্রচারণা ক্যাম্পেইনে পরিচালক নাগ অশ্বিনকে এই নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়েছিল। এক শিক্ষার্থী অশ্বিনকে প্রশ্ন করেন, 'কল্কি সিনেমার পোস্টার দেখলে কেন মনে হচ্ছে ডিউনের পোস্টার দেখছি?' এই প্রশ্নের উত্তরে পরিচালক বলেন, 'ধূলাবালি এর কারণ! কল্কি সিনেমা কেয়ামতের সময়কার গল্পে তৈরি। ধ্বংসপ্রায় পৃথিবীতে বায়ু বিষাক্ত, সূর্য মৃতপ্রায় আর পরিবেশ বসবাসের অযোগ্য। সেই কারণে প্রতিটি সিনে চারদিকে এত বালি। ডিউন সিনেমাও মরুভূমি অঞ্চলের গ্রহের গল্প। দু'টো সিনেমায় এই সাদৃশ্যের কারণেই এমন মনে হচ্ছে।'

;

‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি

‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইমতিয়াজ আলির পরিচালনায় অমর সিং চামকিলায় অভিনয়ের কারণে প্রশংসিত হয়েছেন পরিণীতি চোপড়া। সম্প্রতি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর কেরিয়ার শুরুর দিনগুলো ভাগ করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এক পডকাস্টে শো-তে কেরিয়ার সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। যশ রাজ ফিল্মের মার্কেটিং এবং পিআর বিভাগে একজন ইন্টার্ন হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন পরিনীতি চোপড়া।

পরিণীতি বলেন, ‘আমি রানির হয়ে 'দিল বোলে হারিপ্পা', দীপিকা পাড়ুকোন এবং নীল নিতিন মুকেশের 'লফাঙ্গে পারিন্দে'র প্রচার করেছি। অনুষ্কা ও শাহিদ কাপুরের ‘বদমাশ কোম্পানি’র কাজও করেছিলাম। যশরাজের স্টুডিয়োতে ইন্টার্ন হিসেবে আমার শেষ ছবি ছিল ব্যান্ড বাজা বরাত। ওদের জন্য কফিও অর্ডার করতাম’। তিনি আরও বলেন, ইন্টার্ন থাকার সময় যে সাংবাদিকদের তিনি সেলেব্রিটি সাক্ষাৎকারে ব্যবস্থা করে দিতেন, তাঁরাই এখন তাঁর সাক্ষাৎকার নেন।


যশরাজ ফিল্মসের সঙ্গে দেড় বছর কাজের পর, সেই চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। একদিন হঠাৎই তাঁর কাছে ফোন আসে আদিত্য চোপড়ার। যা তাঁর কেরিয়ার আর জীবন দুটোই বদলে দেয়। ‘চাকরি ছাড়ার কয়েকদিন পর, আমি আদির কাছ থেকে একটি ফোন পাই। তখন তো আমি অবাক, ও আমাকে কেন ফোন করছে।’

ফোনে আদিত্য সেই সময় পরিণীতিকে যশরাজের সঙ্গে তিনটি সিনেমার চুক্তিতে স্বাক্ষর করানোর কথা বলেছিলেন। কাস্টিং ডিরেক্টর শানু শর্মার সঙ্গে তাঁর অডিশনের ভিডিও পছন্দ হয়েছিল আদিত্য চোপড়ার। এর এক মাস পর লেডিজ ভার্সেস রিকি বহেল-এর অফার পান।


এরপর প্রায় ১১ বছর যশরাজের নায়িকা হিসেবে কাজ করেন পরিণীতি। ইশকজাদে, হাসি তো ফাসি, মেরি প্যায়ারি বিন্দু-র মতো সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি দর্শকদেরকে।

‘পাঞ্জাবের এলভিস প্রিসলি’ ওরফে গায়ক অমর সিংহ চমকিলার ‘বায়োপিক’-এ দেখা যাচ্ছে পরিণীতি চোপড়াকে। অমর সিংহের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন গায়ক-অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্জ, এবং তাঁর দ্বিতীয়া স্ত্রীর ভূমিকায় রয়েছেন পরিণীতি চোপড়া।

এই ছবির জন্য নিজের প্রায় ১৬ কেজি ওজন বাড়ান পরিনীতি। এমনকী, সেই ‘মোটা চেহারা’ নিয়েই বিয়ে করতে হয় তাঁকে! তবে, এত ভালো একটা সিনেমার জন্য এটুকু আত্মত্যাগে তিনি খুশি, জানিয়েছেন পরিণীতি।

;

বাংলাদেশে প্রচলিত শাস্ত্রীয় নৃত্য



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
দেশে চর্চিত শাস্ত্রীয় নৃত্য

দেশে চর্চিত শাস্ত্রীয় নৃত্য

  • Font increase
  • Font Decrease

নানারকম বাদ্যযন্ত্রের সমন্বয়ে তৈরি হয় সুর। সেই সুরের সাথে তাল মিলিয়ে অনুভূতির আত্মপ্রকাশ নৃত্য। শরীরের সকল অঙ্গের সঞ্চালনের মাধ্যমে শৈল্পিক চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়। নাচ একটি বিনোদনের মাধ্যমও বটে! আমাদের দেশে অনেক বিনোদন শিল্পী নাচের চর্চা করেন।

আমাদের দেশে এখন নানারকম নৃত্য চর্চা দেখা যায়। তবে বরাবরই আমাদের দেশে শাস্ত্রীয় নৃত্য চর্চার প্রাধান্য দেখা যায়। নৃত্য সম্পর্কিত পাঠ্য তথ্য অনুযায়ী, শাস্ত্রীয় নৃত্যেরও নানারকম বিভিন্নতা রয়েছে। তবে মূলত ৮ ধরনের নৃত্যকে প্রধান শাস্ত্রীয় নৃত্যের অন্তর্ভুক্ত বিবেচনা করা হয়।

সেগুলো হলোঃ ১। কত্থক, ২। ভরতনাট্যম, ৩।মণিপুরি, ৪। ওডিসি, ৫। কথাকলি, ৬।কুচিপুরি, ৭।মোহিনিত্তম এবং ৮।গৌড়ীয়।

কত্থকঃ উত্তর ভারতে শুরু হয়েছিল কত্থক চর্চা। একে প্রাচীনতম শাস্ত্রীয় নৃত্য হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। ধারণা করা হয় যাযাবর সম্প্রদায়ের মাধ্যমে এই নৃত্যের আবির্ভাব হয়েছিল। আধুনিক সমাজে কত্থক নৃত্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন পণ্ডিত বিরজু মহারাজ। বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দিক্ষিতও এই নৃত্যে পারদর্শী। আমাদের দেশে মুনমুন আহমেদ, শিবলী মোহাম্মদ অনন্য কত্থক শিল্পী।

ভরতনাট্যমঃ দক্ষিণ ভারতীয় তাণ্ডব ধর্মী নৃত্য প্রকৃতি ভরতনাট্যম। একে কঠিনতম শাস্ত্রীয় নৃত্যগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভারতবর্ষে বিশ্বাস করা হয়, প্রাচীনতম ধর্মীয় বইয়ে এই ঘরানার নৃত্যের উল্লেখ রয়েছে।

মণিপুরিঃ মণিপুরি সম্প্রদায়ের চর্চিত নাচ এটি। একে মন্দির ধর্মী ধ্রুপদ নৃত্য বলা হয়। বাংলায় এই নৃত্য চর্চার প্রসার হয় রবীন্দ্রনাথের হাত ধরে। আমাদের দেশে ওয়ার্দাঁ রিহাব, সামিনা হোসেন প্রেমা, শরমিলা বন্দোপাধ্যায় এখন এই নৃত্যে পারদর্শী। তবে শান্তিবালা সিনহার হাত ধরে মণিপুরি নাচের প্রসার ঘটেছিল।

ওডিসিঃ পার্শ্ববর্তী ভারতীয় রাজ্য ওড়িষ্যার নৃত্য ঘরনা ওডিসি। ভারতে এই নৃত্য চর্চা বেশ সমৃদ্ধ। আমাদের দেশে তেমন অভিজ্ঞ খুব বেশি নেই। সেখানকার এক খোদাইচিত্রে এই নৃত্যভঙ্গী আবিষ্কার হয়েছিল। নৃত্যশিল্পী বেনজির সালাম কোলকাতা থেকে ওডিসি নৃত্য নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেছেন, আমাদের দেশে তিনি বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে তিনি প্রশিক্ষণ দেন।

আমাদের দেশে এই ৪ ধরনের নৃত্য চর্চা বেশি নজরে পড়ে। তবে শীর্ষ স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে এইসব নাচের অভিজ্ঞ শিক্ষকরা শিক্ষা দিয়ে থাকেন। তবে কালের বিবর্তনে আধুনিক নৃত্য চর্চাও হয়। ব্যালে, হাই হিলস, বেলি , সালসা, হিপহপ সহ নানারকম নাচের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।

;