ঈদে একযোগে দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘কাজলরেখা’
পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম তার ‘মনপুরা’ ছবিটি মুক্তির পরপরই ২০০৯ সালের শেষ দিকে ‘কাজলরেখা’ নির্মাণের প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেন। দীর্ঘ ১২ বছর গবেষণা, গীত সংগ্রহ, চিত্রনাট্য রচনা, লোকেশন নির্বাচন ইত্যাদি শেষে ২০২২ সালে ছবিটির দৃশ্যায়ন শুরু হয়। এখন চলচ্চিত্রটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই ঈদুল ফিতরে বাংলাদেশসহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়াতে পর্যায়ক্রমে মুক্তি পাবার অপেক্ষায় 'কাজলরেখা'।
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাজলরেখার শুটিং হয়েছে প্রায় ৫০ দিন। সিনেমার মূল শুটিং লোকেশন সুসঙ্গ দুর্গাপুরের লক্ষ্মীপুর অঞ্চল। এছাড়া খুলনার সুন্দরবন, কক্সবাজার, সিলেটের হাওর অঞ্চল এবং ঢাকার মিরপুর অঞ্চলে সিনেমাটির শুটিং হয়েছে। তরুণ ও অভিজ্ঞদের মিশ্রণে শতাধিক শিল্পী-কুলাকুশলী এতে কাজ করেছেন। আর ছবিটির বিভিন্ন শুটিং পর্যায়ে সহস্রাধিক কর্মী সরাসরি এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম নির্মিত পাঁচটি সিনেমার মধ্যে সবচেয়ে বড় বাজেটের ছবি ‘কাজলরেখা’। ময়মনসিংহ গীতিকার আদি গল্পকাহিনী নিয়ে নির্মিত ‘কাজলরেখা’ সিনেমাটির সব শিল্পী ও কলাকুশলী বাংলাদেশের হলেও ভিএফএক্সসহ কিছু কারিগরি সহায়তায় যুক্ত ছিলেন ভারতের কুশলী শিল্পীরা।
তারকাবহুল এই সিনেমায় একটি চরিত্রের মধ্যে নাকি অসংখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন দক্ষ অভিনেতা আজাদ আবুল কালাম, শনিবারের সংবাদ সম্মেলনে এমনটিই জানিয়েছেন নির্মাতা সেলিম।
এছাড়া বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেত্রী রায়িফাত রশিদ মিথিলা রয়েছেন এই সিনেমায়। মিথিলা 'কাজলরেখা' সিনেমায় কঙ্কণদাসী চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
ইরেশ যাকের অভিনয় করেছেন ছবির প্রধান চরিত্র কাজল রেখার বাবার চরিত্রে। অনেক আগে যখন ছবিটি নির্মাণের কথা ভেবেছিলেন সেলিম, তখন এই চরিত্রে ইরেশের বাবা আলী যাকেরকে কাস্ট করতে চেয়েছিলেন। এখন সেই চরিত্রটিই তার ছেলে করেছেন। আর ইরেশের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন ‘প্রাচ্যনাট’ থিয়েটার দলের গুণী অভিনেত্রী সাহানা সুমি।
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক শরীফুল রাজ কাজলরেখা সিনেমায় সুঁচরাজা চরিত্রটি করেছেন।
ছবিতে কাজল রেখার দুটি সময়কে দেখানো হবে। প্রথমে এই নাম ভূমিকার জন্য নির্মাতার পছন্দ ছিলেন দর্শকের ভীষণ প্রিয় অভিনেত্রী অগ্নিলা ইকবাল। কিন্তু এখন তিনি কানাডায় স্থায়ীভাবে বাস করছেন বলে নতুন কাস্টিংয়ের কথা ভাবেন সেলিম। কাজল রেখার ছোটবেলার চরিত্রে দেখা যাবে, এ সময়ের টিভি নাটকের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মানকে। আর বড় বেলায় দেখা যাবে চ্যানেল আই সেরা নাচিয়ে প্রতিযোগিতা থেকে উঠে আসা মন্দিরা চক্রবর্তীকে।
এই দুটি চরিত্র নিয়ে সেলিম সংবাদ সম্মেলনে সেলিম বলেন, মন্দিরা আর সাদিয়ার চেহারায় মিল আছে। দুজনেরই ঢেউ খেলানো চুল। তাই, আমার মনে হয়, এই কাস্টিং পারফেক্ট আছে।
এছাড়াও রয়েছেন খাইরুল বাশার, ইরফান সেলিম সুজয় প্রমুখ।