বন্ধুত্বটা হারিয়ে যায় নি : পুতুল ও রেজা দম্পতি



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
রেজা ও পুতুল দম্পতি /  ছবি : শেখ সাদী

রেজা ও পুতুল দম্পতি / ছবি : শেখ সাদী

  • Font increase
  • Font Decrease

সাজিয়া সুলতানা পুতুল ও সৈয়দ রেজা আলী- বন্ধু থেকে এখন দম্পতি। দুজনেই মাল্টি ট্যালেন্টেড। গান লেখেন, সুর করেন, কম্পোজিশন করেন এবং গান গেয়ে থাকেন। একসঙ্গে সুরের সাগরে ভাসছেন তারা। সদা হাসিমুখ এই দুই শিল্পীর রসায়নও বেশ মজার। আজ তাদের তৃতীয় বিবাহবার্ষিকী। দাম্পত্যের নানা বিষয় নিয়ে বার্তা২৪.কমের মুখোমুখি হয়েছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিদ রণ


তৃতীয় বিবাহবার্ষিকীতে মনের মধ্যে কী অনুভব হচ্ছে?


সৈয়দ রেজা আলী : আমাদের তিন বছরের অ্যানিভার্সারি, না?

সাজিয়া সুলতানা পুতুল : বিশ্বাস করা কঠিন! কিন্তু আসলেই তিন বছর।

সৈয়দ রেজা আলী : সাথে আমাদের একটা মেয়েও (গীতলিনা) আছে।

কন্যা গীতলিনাকে নিয়ে পুতুল ও রেজা দম্পতি /  ছবি : শেখ সাদী

সাজিয়া সুলতানা পুতুল : হ্যাঁ। সেটি বাড়তি পাওয়া! একেবারে ভরা করোনার মধ্যে আমাদের বিয়েটা হয়। একেবারে ঘরোয়াভাবে। যেদিন বিয়ে হয় দুপুরবেলা আমার শাশুড়ি মায়ের তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্তে সন্ধ্যায় বিয়ে হয়। কারণ, তারপর দিন থেকে লকডাউন শুরু হয়। একটা বিচ্ছিন্নতা শুরু হবে সেই ভাবনা থেকেই তিনি চেয়েছিলেন বিয়ে দিয়ে বউ ঘরে তুলে নেবেন সেদিনই।

সৈয়দ রেজা আলী : সবচেয়ে মজার বিষয় ছিল, সাধারনত বিয়ে করতে জামাই যায় শশুর বাড়ি। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে উল্টো হয়েছিল। পুতুল ও তার পরিবার এসেছিল আমাদের বাড়িতে। সেখানেই বিয়ে হয় (হাহাহা)।

সাজিয়া সুলতানা পুতুল : আমার ঠিকানা বদলে গেল সেই থেকে। এখন আমরা একসঙ্গে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।

রেজা ও পুতুল দম্পতি /  ছবি : শেখ সাদী

আপনারা একে অন্যকে ‘তুই’ সম্বোধন করেন। এর পেছনের কারণ কী?


সৈয়দ রেজা আলী : আসলে আমরা তো আগে থেকেই বন্ধু ছিলাম। বন্ধুদের তো তুই তুকারি সম্পর্ক। আর আমরা কখনো স্বামী-স্ত্রী হবো সেটি তো ভাবিনি তখন। সেই যে সম্পর্ক, বিয়ের পর তা আর বদলায়নি। এজন্যই তুই করে ডাকতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।

সাজিয়া সুলতানা পুতুল : হ্যা। বন্ধুত্বের খাতিরে আমার আসা যাওয়া ছিল রেজাদের বাড়িতে। তার বাবা-মা আমাকে ভালোভাবে জানতেন। আমিও তাদের জানতাম। আমরা একসঙ্গে গানের কাজ করতাম। একপর্যায়ে বাবা মায়ের পক্ষ থেকেই আমাদের বন্ধুত্বকে বিয়েতে রূপান্তরিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এখন মনে হয়, তারা ঠিক কাজটাই করেছেন। রেজার মতো জীবনসঙ্গী আমি পেয়েছি, এটা সত্যিই আরামের।

পুতুল /  ছবি : শেখ সাদী

বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একে অন্যকে কোন উপহার দিয়েছেন কী?


(সমস্বরে) অবশ্যই। বছরে একটা দিন আসে, উপহার না দিলে কী হয় (হাহাহা)!

সাজিয়া সুলতানা পুতুল : আমার কাছে রেজার চাওয়া থাকে মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট জাতীয় কিছু। যদিও আমি চেষ্টা করি তা না দিতে। কারণ সে সারা বছরই ওগুলো কিনতে থাকে। তাই অন্যকিছু দিয়েছি গত দুই বছর। কিন্তু এবছর সে বলেছে, না আমার মিউজিক্যাল কিছু হলেই ভালো হয়। পরে তাকে একটি গীটারের প্যাডেল দিয়েছি। যতোবার সে ব্যবহার করবে আমার কথন মনে পড়বে!

সৈয়দ রেজা আলী : আমি এখনো দিইনি। সবটা এখনই বলে দেব? সারপ্রাইজ থাকাই ভালো।

কন্যা গীতলিনাকে নিয়ে রেজা ও পুতুল দম্পতি /  ছবি : শেখ সাদী

কাজের জায়গায় পরস্পরকে কিভাবে সাপোর্ট করেন?


(সমস্বরে) আমরা একে অপরের কাজকে সম্মান করি। তাই কেউ যাতে কারও জন্য বিরক্ত না হয় সেদিক খেয়াল রাখি। এমনকি যার কাজটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ থাকে তাকে কাজের মধ্যেই থাকতে দেই। সে সময় আমাদের মেয়েকে অন্যজন টেক কেয়ার করি।


দুজন শিল্পী হওয়ায় একসঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে কোন বিড়ম্বনা তৈরী হয় কী?


সৈয়দ রেজা আলী : না, আমরা একে অন্যের ব্যাপারে জাজমেন্টাল নই। সবচেয়ে বড় কথা আমরা একে অন্যকে স্পেস দিই। সেটা কাজ হোক বা একান্তে কিছু মি টাইম কাটানো হোক। কারণ আমাদের একে অন্যের ব্যক্তিত্ব, মেধা কিংবা এথিক্যাল জায়গায় প্রচন্ড সম্মানবোধ রয়েছে। তবে এটা ঠিক যে, যেহেতু দুজনই ক্রিয়েটিভ কাজের সঙ্গে যুক্ত ফলে আমরা তো একে অপরের কাজ কিছুটা হলেও বুঝি। তাই আমরা কেউ কিছু তৈরী করলে সবার আগেই একে অপরকেই দেখাই। এবং কোন সাজেশন আসলে সেটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে থাকি।

সাজিয়া সুলতানা পুতুল : বিড়ম্বনা তো হয় না। বরং লাভ হয়েছে আমার। দেখা গেল কেউ বলল, একটা গানের ভয়েস দিতে হবে, স্টুডিওতে আসুন। আমি যদি বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে থাকি, তাহলে বলি যে, আপনি কি আমাকে মিউজিক্যাল ট্র্যাক টা পাঠাবেন? আমি ভয়েসটা রেকর্ড করে পাঠাচ্ছি। পরে সেটা রেজার ওপর চাপিয়ে দিই। ও শত ব্যস্ত থাকলেও আমাকে এক ফাঁকে ভয়েসটা রেকর্ড করে দেয়।

নিজের ব্যান্ডদল ‘ব্রহ্মপুত্র বাংলাদেশ’-এর সদস্যদের সঙ্গে রেজা

তৃতীয় বিবাহবার্ষিকীতে নিজের কাছে এবং একে অপরের কাছে কী প্রত্যাশা রয়েছে?


সৈয়দ রেজা আলী : আমি সত্যি স্টুডিওটা হওয়ার পর কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকি। এটা অবশ্য পুতুলেরই চাওয়া ছিল। আমার বাবা বিয়ের পর পুতুলকে বলেছিলেন, ‘কি চাও তুমি?’ ও বলেছিল, ‘বাবা, আমাদের একটা স্টুডিও করে দেন।’ তবে এ বছর চেষ্টা করব আমার স্ত্রী, কন্যা ও পরিবারকে আরও বেশি সময় দিতে। আর নিজের কাছে প্রত্যাশা হলো আমি একটি ইন্সট্রুমেন্টাল অ্যালবাম করছি। সেটি যতো সুন্দরভাবে প্রকাশ করা যায় সেই চেষ্টা করব।

সাজিয়া সুলতানা পুতুল : আমার ক্ষেত্রেও গান নিয়ে সব চাওয়া পাওয়া। কারণ গান আ ব্যক্তিজীবন আমাদের মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। রেজার কাছে আমারও প্রত্যাশা ওর ইন্সট্রুমেন্টাল অ্যালবামটা যেন এ বছর ঠিকঠাকভাবে প্রকাশ করতে পারে। কারণ এটা ওর অনেক বড় একটি স্বপ্ন ও সাধনার কাজ। আর নিজের কাছে প্রত্যাশা হলো আমাদের কন্যা এখন থেকে একটু একটু পড়তে পারে। আমরা চাই এই সময়ে তাকে আরও সময় দিয়ে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে।

   

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজের প্রস্তুতি নিচ্ছেন মডেল রিফাত



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
ইমাম মাহমুদ রিফাত /  ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

ইমাম মাহমুদ রিফাত / ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

  • Font increase
  • Font Decrease

তরুণ প্রজন্মের প্রতিশ্রুতিশীল মডেল ইমাম মাহমুদ রিফাত। আইন বিষয়ে (এলএলবি অনার্স প্রোগ্রাম) পড়াশুনার পাশাপাশি ঢাকার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে মডেল হিসেবে কাজ করছেন এই সুদর্শন তরুণ।

তার মডেলিং ক্যারিয়ার শুরু হয় ‘মিস্টার এন্ড মিস ফটোজেনিক ২০২২’-এ অংশগ্রহণের মাধ্যমে। সেখানে তিনি দ্বিতীয় রানার আপ হন। রিফাত বলেন, ‘মডেলিং আমার শখ। আমি ফ্যাশন ভালবাসি, তাই মডেলিং করছি। এখন আমি ফোকাস করছি ফ্যাশন মডেল হিসেবে ফটোশুটে। বাংলাদেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে আমার প্রিয় পুরুষ মডেল হলেন নোবেল, আসিফ আজিম এবং রাজ মানিয়া। আর নারী মডেলদেও মধ্যে সাদিয়া ইসলাম মৌ আপু, সৈয়দ রুমা, ইমিও আজরা মাহমুদকে খুব ভালোলাগে। তারা যেমন নিজেদের কাজ দিয়ে দেশের সুনাম অর্জন করেছেন, আমিও তেমনটি করতে চাই।’

ইমাম মাহমুদ রিফাত /  ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

রিফাত নিজের পরিচয়েই পরিচিত হতে চান। কিন্তু পাঠকদের জানানোর জন্য বলা- এই তরুণ মডেল বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা’র আত্মীয়।

রিয়াত এরইমধ্যে ফেব্রিলাইফ, ডিজাইনারের দরজা, খাকি ফ্যাশন হাউস, ক্লিম্ব, ব্যাং ফ্যাশন হাউস, ওয়ান মেন, বাংলা ফ্যাশন হাউস, প্রাণ চাটনি, মোজো, সুতা ফ্যাশন হাউস, আরবানবন ফ্যাশন হাউস, জেন জেড ক্লোসেট ফ্যাশন হাউস এবং কিছু দুর্দান্ত ফ্যাশন ডিজাইনারের সাথে কাজ করেছেন। তিনি এখন আমি খাকি ফ্যাশন ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়া কলকাতার মেরে প্রোডাকশন হাউসের সাথে কাজ করেছেন।

ইমাম মাহমুদ রিফাত /  ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

রিফাত বলেন, ‘আমি আমার পরবর্তী প্রকল্পের জন্য ভারতে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে কিছু ভারতীয় ফ্যাশন ডিজাইনার এবং কিছু ফ্যাশন হাউসের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। সবাই দোয়া করবেন আমি যেন আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারি।’

;

গৃহিণীদেরও একটু অবসর দিন : ফাহমিদা নবী



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
ফাহমিদ নবী /  ছবি : শেখ সাদী

ফাহমিদ নবী / ছবি : শেখ সাদী

  • Font increase
  • Font Decrease

১ মে দিবস ‘বিশ্ব শ্রমিক দিবস’। প্রতি বছরের মতো এবারও আমাদের দেশে পালিত হচ্ছে শ্রমিকদের জন্য উৎসর্গ করা এই দিনটি। অধিকার আদায়ের উজ্জ্বল এই দিনটি নিয়ে শোবিজ তারকাদের কি ভাবনা? তা নিয়ে এই আয়োজন সাজিয়েছেন মাসিদ রণ

ফাহমিদ নবী

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী

যখনই কোন আন্দোলন হয়, তার মানে হলো দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া একজন জনতা আন্দোলনে নামে তাদের অধিকার আদায়ে। মে দিবসেও পাশ্চাত্যের দিন মজুররা তাদের ওপর বছরের পর বছর ঘটে যাওয়া অণ্যায়ের প্রতিবাদ এবং অধিকার আদায়ের লড়ায়ে নেমেছিলেন। সেই থেকে এই দিনটি বিশ্ব শ্রমিক দিবস হিসেবে পালিত হয়। কিন্তু আজও কি আমরা শ্রমিকদের সঠিক মর্যাদা বা অধিকার দিতে পারছি?

আমি আমার দেশিয় কনটেক্সট থেকে একটা বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই। সেটি বলার পর হয়তো অনেকে আমাকে আমার বিরুদ্ধেও দু-চারটি কথা বলতে পারেন। কিন্তু তাই বলে বিষয়টা উত্থাপন না করলে তো হবে না!

ফাহমিদ নবী /  ছবি : শেখ সাদী

আমরা অবশ্যই নানা পেশার মানুষের অধিকারের কথা বলি। তাদের ন্যায্য পাওনা, কর্মঘন্টা, সুযোগ সুবিধার কথা বলি। কিন্তু যারা হাউজওয়াইফ বা গৃহিণী আছেন, তাদেরকে কি আজও আমরা আলাদা কোন পেশা হিসেবে মূল্যায়ণ করি?

‘গৃহিণী’ও যে একটি পেশা সেটাই যেখানে ভাবতে পারি না, সেখানে তার অধিকারের প্রশ্ন তো অনেক দূরের কথা! আপনি সব হাউজওয়াইফকে জিজ্ঞেস করুন, তাদের অধিকাংশই একই কথাই বলবে। তাদেরও একটু অবসর চাই, তাদেরও একটু মি টাইম চাই।

তারা বছরের পর বছর ঘুম থেকে উঠে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত শুধু কাজই করে। তাদের কোন কর্মঘণ্টা নেই, কোন বেতন ভাতা নেই, বোনাস নেই, বেশিরভাগ সময় অ্যাপ্রিসিয়েশনও নেই।
এমনকি যে পরিবারে স্বামী হয়ত বেকার, সেখানেও ওই স্ত্রীকেই সব কাজ করতে হয়। স্বামী তার নিজের কাজগুলোও করে না। এখনই সময় দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিয়ে গৃহিণীদেরও একটু অবসরের সুযোগ করে দেওয়া।

;

আল আমিন সবুজের কথায় গাইলেন রুনা-ওয়াসী



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আল আমিন সবুজের কথায় গাইলেন রুনা-ওয়াসী

আল আমিন সবুজের কথায় গাইলেন রুনা-ওয়াসী

  • Font increase
  • Font Decrease

মা দিবসে (১২ মে) আসছে কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার ‘এইনা বৃদ্ধাশ্রম’ শিরোনামের নতুন একটি গানের মিউজিক ভিডিও। তার সঙ্গে এতে দ্বৈত কণ্ঠ দিয়েছেন চলতি সময়ের কণ্ঠশিল্পী খায়রুল ওয়াসী। আল আমিন জমাদ্দার সবুজের কথায় এটির সুর করেছেন খায়রুল ওয়াসী। সংগীত পরিচালনায় রিপন খান। মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন গীতিকার নিজেই। এটি এজে, এস ওয়ার্ল্ডের ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশ হবে।

গানটি প্রসঙ্গে সুরকার ও শিল্পী খায়রুল ওয়াসী বলেন, ‘রুনা লায়লা ম্যাম আমার সুরে আমার সাথেই গান গেয়েছেন এটা সত্যি আমার ভাগ্য। ছোটবেলা থেকেই আমার প্রিয় স্বপ্নের কণ্ঠ ও শিল্পী ব্যক্তিত্ব রুনা লায়লা ম্যাম এর গান শুনে শুনে বড় হয়েছি। গান চর্চায় এত দ্রুত ম্যামের সাথে দ্বৈত গান গাইতে পারবো ভাবতে পারিনি। রুনা ম্যাম গানের কথা ও সুর নিয়ে প্রশংসা করেছেন। আমার মাথায় হাত রেখে দোয়া করে বলেছেন ভালভাল কাজ যেনো অব্যাহত রাখি।

গীতিকার আল আমিন জমাদ্দার সবুজ বলেন, ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমার এই গানটা করা। যেদিন থেকে আমি গান লেখালেখি করি সেদিন থেকে স্বপ্ন দেখতাম কিংবদন্তী শিল্পীদের দিয়ে এমন কিছু গান করাবো। যে গানের মাধ্যমে শ্রোতারা বিনোদনের পাশাপাশি সামাজিক ম্যাসেজও পাবে। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এখন অবক্ষয় ঢুকে গেছে। বাবা মা কত স্বপ্ন, কত কষ্ট, কত আশা নিয়ে ছেলে মেয়েকে বড় করেন। অথচ কিছু সন্তান নামের কুলাঙ্গার তাদের বাবা মাকে শেষ জীবনে বোঝা মনে করে তাদের কাছে রাখতে চান না। তাদের ঠিকানা হয় বৃদ্ধাশ্রমে। অথচ তারা ভুলে যায় কদিন পর তারাও বাবা মা হবেন। তাদের সন্তানরা তাদের সাথে একই আচরণ করতে পারে। বাস্তবতার সেই নিরিখে আমার এ গানটি লিখেছি।

;

জীবনের সেরা অভিনয় উপহার দিলেন রবি কিষাণ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘লাপাতা লেডিস’ ছবিতে রবি কিশান

‘লাপাতা লেডিস’ ছবিতে রবি কিশান

  • Font increase
  • Font Decrease

‘টুয়েলভথ ফেল’ এর পর আবারও সর্বত্র আলোচনায় বলিউডের একটি কম বাজেটের ছবি! যদিও নতুন এই ছবিটি বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছে গেল মার্চের ১ তারিখে। প্রায় দু’মাস পর নতুন করে আলোচনায় আসার অন্যতম কারণ, সম্প্রতি ছবিটি মুক্তি পেয়েছে ওটিটি প্লাটফর্ম নেটফ্লিক্সে!

বলছি কিরণ রাও পরিচালিত এই সময়ের আলোচিত হিন্দি ছবি ‘লাপাতা লেডিস’ এর কথা। মাত্র ৪/৫ কোটি বাজেটের ছবিটি বক্স অফিসে আয় করেছে ২০ কোটির বেশী। ওটিটি রাইটস, টিভি রাইটস মিলিয়ে সেটা বাড়বে আরো কয়েক গুণ।

কিন্তু এতো কম বাজেটের ছবিটি কেন সবার মুখে মুখে? এরজন্য সিনেবিশ্লেষকরা বলছেন, কোনো জটিলতা ছাড়া সহজভাবে একটি দারুণ গল্প দর্শককে দেখাতে পেরেছেন কিরন রাও। মূলত গল্পের শক্তিকেই বেশীর ভাগ ছবিটি নিয়ে সর্বত্র আলোচনার জন্য ক্রেডিট দিচ্ছেন!

‘লাপাতা লেডিস’ ছবিতে রবি কিশান

গল্পের পাশাপাশি যদিও এই ছবির প্রধান এবং অন্যতম শক্তি বলা যায় অভিনয়! ছবিতে যারা অভিনয় করেছেন প্রত্যেকেই কম পরিচিত, তবে এমন নিঁখুত অভিনয় করেছেন; মনে হয়েছে এই চরিত্রের মানুষগুলো পাশের বাড়ির! সবাইকে দর্শক সিনেপর্দায় দেখেও আপন করে নিয়েছেন। গল্প ও চরিত্রের সাথে সবাই মিশে গেছেন।

তবে এটা সত্য যে, এই ছবিতে একজন বেশ পরিচিত মুখও অভিনয় করেছেন। নাম রবি কিষাণ। ভারতীয় ছবির বেশ আলোচিত মুখই বলা যায়। ছবিতে লোকাল থানার বড় বাবুর চরিত্রে দেখা গেছে তাকে। লোকাল থানার দায়িত্বে সাধারণত যে স্বভাবের দারোগা থাকে; ঠিক মানানসই চরিত্রটি করেছেন রবি কিষাণ। তার অভিনয় দেখে দর্শক বলছেন, এমন দুর্দান্ত অভিনয় রবি কিষাণ এর আগে করেননি। দুই পা এগিয়ে আবার কেউ বলছেন, ‘লাপাতা লেডিস’-এ জীবনের সেরা অভিনয় করেছেন রবি কিষাণ।

অথচ এই চরিত্রটি নাকি শুরু করতে চেয়েছিলেন পরিচালক কিরণ রাওয়ের প্রাক্তন স্বামী এবং বলিউডর সুপারস্টার আমির খান। যিনি আবার কম বাজেটের এই ছবিটির প্রযোজকও। এই চরিত্রটি নিয়ে কিরণ গণমাধ্যমকে বলছিলেন, আমির এই চরিত্রটি ভীষণ পছন্দ করেছিলেন। পর্দায় এই চরিত্রটি তিনি রূপদানও করতে চেয়েছিলেন। এমনকি স্ক্রিন টেস্টও হয়েছিলো তার। কিন্তু শেষমেষ তাকে বাদ দেয়া হয়। নেয়া হয় রবি কিষাণকে।

‘লাপাতা লেডিস’ ছবিতে রবি কিশান

কিরণ বলেন, আমার এটা আসলে কম বাজেটের একটা ছবি। এটা রিয়েলেস্টিক রাখতে আমি বদ্ধপরিকর ছিলাম। সিনেমাটি দর্শকের কাছে বিশ্বাসযোগ্যভাবে তুলে ধরতে বড় তারকা মুখ ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, এটা ভেবে শেষ পর্যন্ত আমিরকে ওই চরিত্র থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, আমিরের অডিশন খুব ভালো হয়েছিলো। কিন্তু রবি কিষাণেরটা আরো বেশী কিছু ছিলো। তার অডিশন দেখে আমির এবং আমি মনে করেছিলাম এই চরিত্রটিকে রবি কিষাণ আমিরের চেয়ে বাস্তবসম্মত ও বিশ্বাসযোগ্য রূপে পর্দায় তুলে ধরতে বেশী সক্ষম হবেন।

;