বন্ধুত্বটা হারিয়ে যায় নি : পুতুল ও রেজা দম্পতি



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
রেজা ও পুতুল দম্পতি /  ছবি : শেখ সাদী

রেজা ও পুতুল দম্পতি / ছবি : শেখ সাদী

  • Font increase
  • Font Decrease

সাজিয়া সুলতানা পুতুল ও সৈয়দ রেজা আলী- বন্ধু থেকে এখন দম্পতি। দুজনেই মাল্টি ট্যালেন্টেড। গান লেখেন, সুর করেন, কম্পোজিশন করেন এবং গান গেয়ে থাকেন। একসঙ্গে সুরের সাগরে ভাসছেন তারা। সদা হাসিমুখ এই দুই শিল্পীর রসায়নও বেশ মজার। আজ তাদের তৃতীয় বিবাহবার্ষিকী। দাম্পত্যের নানা বিষয় নিয়ে বার্তা২৪.কমের মুখোমুখি হয়েছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিদ রণ


তৃতীয় বিবাহবার্ষিকীতে মনের মধ্যে কী অনুভব হচ্ছে?


সৈয়দ রেজা আলী : আমাদের তিন বছরের অ্যানিভার্সারি, না?

সাজিয়া সুলতানা পুতুল : বিশ্বাস করা কঠিন! কিন্তু আসলেই তিন বছর।

সৈয়দ রেজা আলী : সাথে আমাদের একটা মেয়েও (গীতলিনা) আছে।

কন্যা গীতলিনাকে নিয়ে পুতুল ও রেজা দম্পতি /  ছবি : শেখ সাদী

সাজিয়া সুলতানা পুতুল : হ্যাঁ। সেটি বাড়তি পাওয়া! একেবারে ভরা করোনার মধ্যে আমাদের বিয়েটা হয়। একেবারে ঘরোয়াভাবে। যেদিন বিয়ে হয় দুপুরবেলা আমার শাশুড়ি মায়ের তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্তে সন্ধ্যায় বিয়ে হয়। কারণ, তারপর দিন থেকে লকডাউন শুরু হয়। একটা বিচ্ছিন্নতা শুরু হবে সেই ভাবনা থেকেই তিনি চেয়েছিলেন বিয়ে দিয়ে বউ ঘরে তুলে নেবেন সেদিনই।

সৈয়দ রেজা আলী : সবচেয়ে মজার বিষয় ছিল, সাধারনত বিয়ে করতে জামাই যায় শশুর বাড়ি। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে উল্টো হয়েছিল। পুতুল ও তার পরিবার এসেছিল আমাদের বাড়িতে। সেখানেই বিয়ে হয় (হাহাহা)।

সাজিয়া সুলতানা পুতুল : আমার ঠিকানা বদলে গেল সেই থেকে। এখন আমরা একসঙ্গে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।

রেজা ও পুতুল দম্পতি /  ছবি : শেখ সাদী

আপনারা একে অন্যকে ‘তুই’ সম্বোধন করেন। এর পেছনের কারণ কী?


সৈয়দ রেজা আলী : আসলে আমরা তো আগে থেকেই বন্ধু ছিলাম। বন্ধুদের তো তুই তুকারি সম্পর্ক। আর আমরা কখনো স্বামী-স্ত্রী হবো সেটি তো ভাবিনি তখন। সেই যে সম্পর্ক, বিয়ের পর তা আর বদলায়নি। এজন্যই তুই করে ডাকতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।

সাজিয়া সুলতানা পুতুল : হ্যা। বন্ধুত্বের খাতিরে আমার আসা যাওয়া ছিল রেজাদের বাড়িতে। তার বাবা-মা আমাকে ভালোভাবে জানতেন। আমিও তাদের জানতাম। আমরা একসঙ্গে গানের কাজ করতাম। একপর্যায়ে বাবা মায়ের পক্ষ থেকেই আমাদের বন্ধুত্বকে বিয়েতে রূপান্তরিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এখন মনে হয়, তারা ঠিক কাজটাই করেছেন। রেজার মতো জীবনসঙ্গী আমি পেয়েছি, এটা সত্যিই আরামের।

পুতুল /  ছবি : শেখ সাদী

বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একে অন্যকে কোন উপহার দিয়েছেন কী?


(সমস্বরে) অবশ্যই। বছরে একটা দিন আসে, উপহার না দিলে কী হয় (হাহাহা)!

সাজিয়া সুলতানা পুতুল : আমার কাছে রেজার চাওয়া থাকে মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট জাতীয় কিছু। যদিও আমি চেষ্টা করি তা না দিতে। কারণ সে সারা বছরই ওগুলো কিনতে থাকে। তাই অন্যকিছু দিয়েছি গত দুই বছর। কিন্তু এবছর সে বলেছে, না আমার মিউজিক্যাল কিছু হলেই ভালো হয়। পরে তাকে একটি গীটারের প্যাডেল দিয়েছি। যতোবার সে ব্যবহার করবে আমার কথন মনে পড়বে!

সৈয়দ রেজা আলী : আমি এখনো দিইনি। সবটা এখনই বলে দেব? সারপ্রাইজ থাকাই ভালো।

কন্যা গীতলিনাকে নিয়ে রেজা ও পুতুল দম্পতি /  ছবি : শেখ সাদী

কাজের জায়গায় পরস্পরকে কিভাবে সাপোর্ট করেন?


(সমস্বরে) আমরা একে অপরের কাজকে সম্মান করি। তাই কেউ যাতে কারও জন্য বিরক্ত না হয় সেদিক খেয়াল রাখি। এমনকি যার কাজটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ থাকে তাকে কাজের মধ্যেই থাকতে দেই। সে সময় আমাদের মেয়েকে অন্যজন টেক কেয়ার করি।


দুজন শিল্পী হওয়ায় একসঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে কোন বিড়ম্বনা তৈরী হয় কী?


সৈয়দ রেজা আলী : না, আমরা একে অন্যের ব্যাপারে জাজমেন্টাল নই। সবচেয়ে বড় কথা আমরা একে অন্যকে স্পেস দিই। সেটা কাজ হোক বা একান্তে কিছু মি টাইম কাটানো হোক। কারণ আমাদের একে অন্যের ব্যক্তিত্ব, মেধা কিংবা এথিক্যাল জায়গায় প্রচন্ড সম্মানবোধ রয়েছে। তবে এটা ঠিক যে, যেহেতু দুজনই ক্রিয়েটিভ কাজের সঙ্গে যুক্ত ফলে আমরা তো একে অপরের কাজ কিছুটা হলেও বুঝি। তাই আমরা কেউ কিছু তৈরী করলে সবার আগেই একে অপরকেই দেখাই। এবং কোন সাজেশন আসলে সেটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে থাকি।

সাজিয়া সুলতানা পুতুল : বিড়ম্বনা তো হয় না। বরং লাভ হয়েছে আমার। দেখা গেল কেউ বলল, একটা গানের ভয়েস দিতে হবে, স্টুডিওতে আসুন। আমি যদি বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে থাকি, তাহলে বলি যে, আপনি কি আমাকে মিউজিক্যাল ট্র্যাক টা পাঠাবেন? আমি ভয়েসটা রেকর্ড করে পাঠাচ্ছি। পরে সেটা রেজার ওপর চাপিয়ে দিই। ও শত ব্যস্ত থাকলেও আমাকে এক ফাঁকে ভয়েসটা রেকর্ড করে দেয়।

নিজের ব্যান্ডদল ‘ব্রহ্মপুত্র বাংলাদেশ’-এর সদস্যদের সঙ্গে রেজা

তৃতীয় বিবাহবার্ষিকীতে নিজের কাছে এবং একে অপরের কাছে কী প্রত্যাশা রয়েছে?


সৈয়দ রেজা আলী : আমি সত্যি স্টুডিওটা হওয়ার পর কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকি। এটা অবশ্য পুতুলেরই চাওয়া ছিল। আমার বাবা বিয়ের পর পুতুলকে বলেছিলেন, ‘কি চাও তুমি?’ ও বলেছিল, ‘বাবা, আমাদের একটা স্টুডিও করে দেন।’ তবে এ বছর চেষ্টা করব আমার স্ত্রী, কন্যা ও পরিবারকে আরও বেশি সময় দিতে। আর নিজের কাছে প্রত্যাশা হলো আমি একটি ইন্সট্রুমেন্টাল অ্যালবাম করছি। সেটি যতো সুন্দরভাবে প্রকাশ করা যায় সেই চেষ্টা করব।

সাজিয়া সুলতানা পুতুল : আমার ক্ষেত্রেও গান নিয়ে সব চাওয়া পাওয়া। কারণ গান আ ব্যক্তিজীবন আমাদের মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। রেজার কাছে আমারও প্রত্যাশা ওর ইন্সট্রুমেন্টাল অ্যালবামটা যেন এ বছর ঠিকঠাকভাবে প্রকাশ করতে পারে। কারণ এটা ওর অনেক বড় একটি স্বপ্ন ও সাধনার কাজ। আর নিজের কাছে প্রত্যাশা হলো আমাদের কন্যা এখন থেকে একটু একটু পড়তে পারে। আমরা চাই এই সময়ে তাকে আরও সময় দিয়ে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে।

হাসপাতালে শেষ দেখায় সামিনাকে যা বলেছিলেন শাফিন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার যে অনুষ্ঠানে গাইতে গিয়ে আর ফিরলেন না শাফিন আহমেদ, সেই মঞ্চে সেদিন গেয়েছিলেন দেশের আরেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী। অনুষ্ঠানের চার দিনের মাথায় জানতে পারেন শাফিন আহমেদ চিরতরে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। শাফিন আহমেদের মৃত্যুর খবর অবিশ্বাস্য ছিল সামিনা চৌধুরীর কাছে। এই খবর সহ্য করাটাও ছিল ভীষণ কষ্টদায়ক।

যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সামিনা চৌধুরী জানালেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বামী ইজাজ খান স্বপনসহ গিয়েছিলেন শাফিন আহমেদকে দেখতে। হাসপাতালে তাদের থাকার অনুরোধ করেছিলেন বলেও জানালেন সামিনা চৌধুরী।

সামিনা বলেন, ‘‘তিন দিন আগে দেখে এলাম শাফিন ভাইকে। বারবার আমাকে আর স্বপনকে থাকতে বলছিলেন। স্বপনকে বললেন, ‘আমাকে ছেড়ে যেয়ো না প্লিজ! আমার সঙ্গে গল্প করো। আমার অনেক ব্যথা হচ্ছে কোমরে। স্বপন, তোমাকে কিছু বলব, বসো।’'

সামিনা আরও বলেন, ‘শাফিন ভাইকে পানি খাওয়াল স্বপন। তারপর তাকে ঘুমের ওষুধ দেওয়া হলো। শাফিন ভাইয়ের অবস্থা দেখে আমাদের চলে আসতে বললেন আয়োজকেরা। কী বলতে চেয়েছিলেন শাফিন ভাই, কে জানে। কোনো চাপা কষ্ট কি ছিল তার ভেতর? দেশের আরেকটি সম্পদ, আরেকটি মেধার বিয়োগ হলো। চোখে শুধু ভাসছে। তোমরা যেয়ো না প্লিজ...আমাকে আর পাবা না।’

;

ম্যানেজারের সঙ্গে প্রেম, ভাঙছে যীশুর ২০ বছরের সংসার?



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
যীশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা শর্মা দম্পতি

যীশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা শর্মা দম্পতি

  • Font increase
  • Font Decrease

টলিউড তারকা যীশু সেনগুপ্ত আর সাবেক অভিনেত্রী নীলাঞ্জনা শর্মার দুই দশকের দাম্পত্য জীবন। এত দিন তাদের সম্পর্ককে সবাই আদর্শ মেনে এসেছে। কিন্তু জীবনে কোনকিছুই যে স্থায়ী নয়, কিংবা আমরা বাইরে থেকে যা দেখি তার সবটাই যে সত্য নয় সে কথা আরও একবার হয়তো ঘটতে চলেছে! কয়েক দিন ধরে হঠাৎই টলিপাড়ায় আলোচনায় তাদের বিচ্ছেদের খবর।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তাদের সম্পর্ক আগের মতো নেই। নীলাঞ্জনার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টও সে ইঙ্গিতই দিয়েছে।

দুই কন্যাকে নিয়ে ‍সুখের সংসার ছিলো যিশুর

শিনাল সূর্তি নামের নারীর সঙ্গে নাকি সম্পর্কে জড়িয়েছেন যীশু। এটাই তাদের দাম্পত্য কলহের মূল কারণ। ইতিমধ্যেই নিজের নামের পাশ থেকে সেনগুপ্ত পদবি সরিয়ে ফেলেছেন নীলাঞ্জনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাবাকে আনফলো করে দিয়েছেন বড় মেয়ে সারাও।

এখন প্রশ্ন, সত্যিই কি তাহলে যীশু-নীলাঞ্জনার ২০ বছরের দাম্পত্য ভাঙনের পথেই এগোচ্ছে? যদিও এ বিষয়ে স্পিকটি নট যীশু সেনগুপ্ত। এই পরিস্থিতিতে নীলাঞ্জনার পক্ষে কথা বলেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী মহুয়া চট্টোপাধ্যায়। নীলাঞ্জনার সঙ্গে মহুয়ার বন্ধুত্ব বহুদিনের। প্রায় দিনই তাদের একসঙ্গে দেখা যায়। এদিকে এই কঠিন পরিস্থিতিতে নীলাঞ্জনার পাশেই দাঁড়ালেন মহুয়া চট্টোপাধ্যায়।

যীশু সেনগুপ্ত

মহুয়া নীলাঞ্জনার উদ্দেশে লিখেছেন, ‘তোমাকে দুর্দান্ত ও শক্তিশালী মানুষ বলেই জানি। খুব গর্ব হয় তোমার জন্য। সব সময়ই তোমার সঙ্গে রয়েছি নীলাঞ্জনা।’ পাল্টা মহুয়া চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন নীলাঞ্জনাও।

তবে শুধু মহুয়া চট্টোপাধ্যায় নন, নীলাঞ্জনার পাশে দাঁড়িয়েছেন তার অভিনেত্রী বন্ধু রাগেশ্বরীও। তিনিও নিজের ইনস্টাস্টোরিতে লিখেছেন, ‘একসময় জীবনে কঠিন সময়ে তুমি আমাকে হাত ধরে বাঁচিয়েছিলে, এবার আমার পালা। আজ আমার পালা।’

যীশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা শর্মা দম্পতি

ইতিমধ্যেই যীশু-নীলাঞ্জনা নাকি বিচ্ছেদের পথেই হাঁটছেন বলে খবর। টলিপাড়ায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, তারা নাকি বিচ্ছেদের বিষয়ে আইনি পরামর্শও নিচ্ছেন। শোনা যাচ্ছে, গুজরাটিকন্যা শিনাল সূর্তির সঙ্গেই নাকি বেশ কয়েক মাস ধরে তারা লিভ ইন সম্পর্কেও রয়েছেন। এমনকি ‘খাদান’ সিনেমার শুটিংয়ের জন্য কলকাতায় এসেও নাকি যীশু নিজের বাড়িতেও ওঠেননি।

প্রসঙ্গত, যীশু এ মুহূর্তে বলিউড, টলিউড ও দক্ষিণি ইন্ডাস্ট্রিতে অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা। কাজের সূত্রে মুম্বাইয়ে বেশির ভাগ সময় থাকতে হয় তাকে।

২০০৪ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন যীশু-নীলাঞ্জনা। খ্যাতির শিখরে পৌঁছানোর বহু আগেই থেকেই যীশু সেনগুপ্তের সঙ্গে আলাপ নীলাঞ্জনার। যখন তারা বিয়ে করেন, তখন যীশু টেলিভিশনের একজন উঠতি অভিনেতা। নীলাঞ্জনা শর্মাও অভিনয় করতেন। তিনি জনপ্রিয় অভিনেত্রী অঞ্জনা ভৌমিকের মেয়ে। তবে বিয়ের পর সংসারেই মন দেন নীলাঞ্জনা। দুই মেয়ে সারা ও জারাকে নিয়ে ছিল তাদের সংসার।

যীশু সেনগুপ্ত

তথ্যসূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা

;

বায়োপিকের টিজারে টিমোথি যেন অবিকল বব ডিলান!



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
বব ডিলানের বায়োপিকে টিমোথি শ্যালামে ও এলে ফ্যানিং

বব ডিলানের বায়োপিকে টিমোথি শ্যালামে ও এলে ফ্যানিং

  • Font increase
  • Font Decrease

টিমোথি শ্যালামেকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। অভিনয়গুণে অল্প দিনের মধ্যেই দর্শকের মনে শক্ত অবস্থান করে নিয়েছেন কম বয়সী এই হলিউড অভিনেতা। তার অভিনীত ‘ডুন’ ও ‘ওঙ্কা’ সিনেমা দুটি ব্যাপক আলোচিত হয়েছে।

জীবন্ত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী বব ডিলানের বায়োপিক ‘আ কমপ্লিট আননোন’-এর মূখ্য চরিত্রেও দেখা যাবে টিমোথি শ্যালামেকে। প্রকাশ পেয়েছে ছবিটির টিজার। ‘আ কমপ্লিট আননোন’-ও যে বিশ্বজয় করতে চলেছে, তা টিজার দেখেই নিশ্চিত সিনেপ্রেমীরা।

বব ডিলানের বায়োপিকে টিমোথি শ্যালামে

টিজারে ‘আ হার্ড রেইন’স আ-গনা ফল’ গানের কিছু অংশ গাইতে শোনা গেছে টিমোথিকে। মেকআপ, পোশাক আর চুলের স্টাইলে টিমোথি যেন অবিকল বব ডিলান! ছবিটি পরিচালনা করেছেন ‘ওয়াক দ্য লাইন’, ‘ফোর্ড ভার্সেস ফেরারি’, ‘লোগান’ খ্যাত পরিচালক জেমস ম্যানগোল্ড।

টিজারের শুরুতে টিমোথিকে ম্যানহাটনের রাস্তায় হাঁটতে দেখা যায়। এ সময়ে অ্যামেরিকান গায়ন পিট সিগার বব ডিলানের গান প্রথম শোনার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। পিট সিগারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন এডওয়ার্ড নরটন। টিজারে ম্যানহাটনে ডিলানের কিছু প্রিয় স্থান দেখানো হয়েছে। তার মাঝে আছে ক্যাফে হোয়া এবং হোটেল চেলসা। টিজারে ডিলান, হোয়ান বাইজ এবং সিলভি রুশোর ত্রিভুজ প্রেমের ইঙ্গিতও দেয়া হয়েছে।

বব ডিলানের বায়োপিক ‘আ কমপ্লিট আননোন’-এর দুটি দৃশ্যের কোলাজ

১৯৫৯ সালে ক্যারিয়ার শুরুর পর গানের দুনিয়ায় নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন বব ডিলান। ৮১ বছরের জীবনে অনেক কীর্তি গড়েছেন তিনি। সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারও পেয়েছেন এই গীতিকবি। নন্দিত এই গায়ক, গীতিকারের জীবনের প্রথম দিকের ঘটনাবলি তুলে ধরা হবে সিনেমাটিতে।

তথ্যসূত্র : এনডিটিভি

বব ডিলানের বায়োপিকে টিমোথি শ্যালামে

;

শাফিন আহমেদের কিছু বিরল ছবি আর অজানা কথা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
মা ফিরোজা বেগমের সঙ্গে শাফিন আহমেদ ও হামিন আহমেদ (২০১০) / ছবি : আবেগ রহমান

মা ফিরোজা বেগমের সঙ্গে শাফিন আহমেদ ও হামিন আহমেদ (২০১০) / ছবি : আবেগ রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার সেন্টারা হাসপাতালে গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী শাফিন আহমেদ।

তার মৃত্যুর শোকের আঁচ এখনো পাওয়া যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যে যেভাবে পারছেন প্রিয় শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।

শাফিনকে পেলে এভাবেই মধ্যমণি করে রাখতেন শিল্পীসমাজ। ছবিতে শাফিনের পাশে আসিফ আকবর, শওকত আলী ইমন, শহিদুল্লাহ ফরায়েজী, ফুয়াদ নাসের বাবু, লাবুসহ গানের মানুষরা
 

অনেকেই জানেন না শাফিন আহমেদের জন্ম কলকাতায়। আর তারা তিন ভাই- তাহসিন, হামিন ও শাফিন। বাবা কমল দাশগুপ্ত, মা ফিরোজা বেগম। দুজনেই সংগীতাঙ্গনের কিংবদন্তি। তবে অনেকেই জানেন না, ছেলেবেলায় শাফিন আহমেদের নাম ছিল মনোজিৎ দাশগুপ্ত!

১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ১৯৬৭ সালের দিকে গোটা পরিবারসহ পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন তারা। এরপর ভর্তি হন স্কুলে। সেসময়ই পরিবর্তন করা হয় তার নাম। মনোজিৎ দাশগুপ্ত থেকে তিনি হয়ে যান শাফিন আহমেদ।

কিশোর বেলায় মাকে ঘিরে তিন ভাই তাহসিন, হামিন ও শাফিনের হাসিমুখ

নাম পরিবর্তন নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে শাফিন জানিয়েছিলেন, ‘ভারতবর্ষ যখন স্বাধীন হলো, তখন হিন্দু-মুসলিমের মাঝে যে দূরত্ব বা বিবাদ, সেই সময়ে তা প্রবল ছিল। সেখান থেকেই কিন্তু দুটো দেশের জন্ম- ভারত ও পাকিস্তানের। সেজন্য ভারতে থাকাকালীন একজন ভারতীয় নাগরিক হিসেবে হিন্দু পরিচিতিটা যে রকম প্রয়োজন ছিল, একই রকমভাবে যখন পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসলাম তখন দেখা গেল মুসলিম পরিচয়টা খুব জরুরি ছিল। কারণ আমরা স্কুলে ভর্তি হতে পারছিলাম না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বাসার ব্যাপারটা ছিল কি, বাবা খুবই প্রগ্রেসিভ একজন মানুষ ছিলেন। ধর্ম নিয়ে তার মধ্যে সে রকম কোনো চিন্তা-ভাবনা ছিল না। উনি গানের জগতের মানুষ, গান নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। আমরা ছোটকাল থেকে বড় হয়েছি আসলে ইসলাম ধর্মকে ঘিরেই। মায়ের কাছ থেকেই এই প্রভাব এসেছে। ইসলাম ধর্মের চর্চাটা বাসায় ছিল। এ ব্যাপারে আব্বার কোনো মন্তব্য ছিল না। উনার কোনো দৃষ্টিভঙ্গি কখনোই তিনি চাপিয়ে দিতে চাননি।’

ছবিটি ২০১২ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ফিরোজা বেগমের স্বামী ও শাফিনের বাবা কমল দাশগুপ্ত’র ১০০ তম জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠানে তোলা। ফ্রেমবন্দী হয়েছিলেন দেশের চার প্রখ্যাত শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন, সুবীর নন্দী, ফিরোজা বেগম ও শাফিন আহমেদ। একে একে সবাই চলে গেছেন, রয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন (তিনিও বেশ অসুস্থ)। 

শাফিন আহমেদের ডাক নাম ছিল মুনা। পরিবারের অনেকে এ নামেই ডাকে। এ ছাড়া সংগীতাঙ্গনের অনেকে যারা আমাকে ছোটবেলা থেকে চেনে, তখনও এমন তারকাখ্যাতি পাইনি, বয়স ১৭-১৮ হবে; সেই সময়ে যারা চিনতেন তারাও মুনা নামটিই আগে বলেন।

কিংবদন্তি সুরকার কমল দাশগুপ্ত ও প্রখ্যাত নজরুল সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগমের সন্তান শাফিন। যেন সুরের চামচ মুখে জন্মেছিলেন তিনি। বাবার কাছে উচ্চাঙ্গসংগীত আর তবলা, মায়ের কাছে নজরুলসংগীত শিখেছেন। ৯ বছর বয়সে নজরুলের শিশুতোষ গান ‘প্রজাপতি প্রজাপতি’ রেকর্ড করেছেন শাফিন।

কৈশোরে বিটলসসহ বহু ওয়েস্টার্ন অ্যালবাম হাতের নাগালে পেয়েছেন। ইংরেজি গানে মুগ্ধতা জমে; বাড়িতে ড্রামস ও গিটার বাজাতেন। মা-বাবা নাখোশ হননি; বরং আশকারাই দিয়েছেন।

মায়ের সঙ্গে হামিন ও শাফিন

শাফিন আহমেদের মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে প্রখ্যাত গীতিকার ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদ বলেছেন, ‘ওনার কণ্ঠটা একদমই আলাদা। অত্যন্ত সুরে গান করেন। একই সঙ্গে বেজ বাজিয়ে গান করা ভীষণ কঠিন কাজ। এটিই তাকে আলাদা করেছে।’

প্রিন্স মাহমুদের লেখা ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘কী করে সব ভুলে যাই’সহ ১০ টির মতো গান গেয়েছেন শাফিন। মাইলসের বাইরে শাফিনের বেশির ভাগ জনপ্রিয় একক গানের কথা ও সুর করেছেন তিনি।

১৯৭৯ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড মাইলস। চার দশকের ক্যারিয়ারে ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা অন্তরে’, ‘ফিরে এলে না’, ‘হ্যালো ঢাকা’সহ বহু হিট গান উপহার দিয়েছেন শাফিন।

কনসার্টে রীতিমতো ঝড় তুলতেন রক তারকা শাফিন

কনসার্টে রীতিমতো ঝড় তুলতেন রক তারকা শাফিন। গান আর গিটারের তালে শ্রোতাদের হৃদয়ে উন্মাদনা ছড়িয়েছেন। প্রাণশক্তিই তাকে সমসাময়িকদের চেয়ে আলাদা করেছে বলে মনে করেন আরেক ব্যান্ড তারকা মাকসুদ হক।

নব্বইয়ের দশকে কলকাতায় মাইলসের কনসার্টে শ্রোতাদের ঢল নামত। কলকাতার শিল্পীরাও শাফিন আহমেদকে শ্রদ্ধার আসনে বসিয়েছেন। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে কলকাতায় গায়ক অনুপম রায় বলেছেন, মাইলসে শাফিনের গান শুনেই বেড়ে উঠেছেন তিনি। ব্যান্ডটির ভক্ত তিনি। কলকাতার ক্যাকটাস ব্যান্ডের সিধুসহ আরও অনেকেই শাফিনের গানের প্রতি ভালোবাসার কথা জানিয়েছেন।

ব্যান্ড মাইলস-এর সদস্যরা

;