‘ওমর’-এর ছোট মির্জা দর্শককে আকৃষ্ট করবে
আবু হুয়ায়রা তানভীর। বদরুল আনাম সৌদ পরিচালিত ‘গহীন বালুচর’ সিনেমাতে প্রেমিক তরুণের চরিত্রে অভিনয় করে সাড়া ফেলেন। শোবিজে পথচলা বড়পর্দা দিয়েই। তবে সে পথে তাকে নিয়মিত পাওয়া যায়নি। তিনি বরং ছোটপর্দা দিয়ে নিজেকে আরও ঝালিয়ে নিয়েছেন। এবার ঈদে তাকে আবারও পাওয়া যাবে বড়পর্দায়। শুধু তাই নয়, দেখা যাবে ওটিটি এবং টেলিভিশনেও। সমসাময়িক বিষয়ে বার্তা২৪-এর সঙ্গে কথা বলেছেন এই মেধাবী অভিনেতা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিদ রণ
ঈদে মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘ওমর’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাই...
‘ওমর’-এ আমি ‘ছোট মির্জা’ চরিত্রে অভিনয় করেছি। ছোট মির্জা খুবই ইন্টারেস্টিং ক্যারেক্টার। তাকে খুব বেশি সময় স্ক্রিনে দেখা যাবে না ঠিক, তবে যতোটুকু সময় দেখা যাবে ততোটুকুই খুব গুরুত্বপূর্ণ ছবির জন্য। ছোট মির্জার একটা ডায়নামিক বিষয় আছে যা দর্শককে আকৃষ্ট করবে। আর মোস্তফা কামাল রাজের সঙ্গে কাজ করা খুবই ভালো অভিজ্ঞতা। ছবিতে শরিফুল রাজ, শহীদুজ্জামান সেলিম, রোজি সেলিম, ফজলুর রহমান বাবু, নাসিরউদ্দিন খানের মতো অভিনয়শিল্পী কাজ করেছেন। তাদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাও অসাধারন। সব মিলিয়ে একেবারে ঈদের ছবি যেমন হওয়া উচিত ‘ওমর’ ঠিক তেমনি একটি ছবি।
তারকাবহুল ছবি ‘ওমর’। তাদের মধ্যে নিজেকে মেলে ধরতে কোন ধরনের চাপ অনুভব করেছেন কি?
চাপ তো ছিলই না, আমি বরং তারকাশিল্পী, সিনিয়র অভিনয়শিল্পী কিংবা মেধাবী অভিনয়শিল্পী যাই বলি না কেন, তাদের সঙ্গে কাজ করতে আরাম বোধ করি। কারণ আমার শুরুটাই হয়েছে সুবর্ণা মুস্তাফার মতো শিল্পীর সঙ্গে কাজ করে। সেখান থেকেই শিখেছি, যতো বেশি দক্ষ কো আর্টিস্ট পাব সেটি আমার জন্যই ভালো। তাদের কাছ থেকে শেখার আছে অনেক কিছু। এবং তাদের মানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিজেকেও অভিনয়টা করতে হবে বলে এক্সট্রা মনোযোগ থাকে।
ঈদে শাকিব খানের ‘রাজকুমার’সহ প্রায় এক ডজন ছবি আসার কথা শোনা যাচ্ছে। তারমধ্যে ‘ওমর’ নিয়ে আপনি কতোটুকু আশাবাদী?
হ্যাঁ, যা বুঝতে পারছি তাতে মনে হচ্ছে এবার ঈদে অনেক বেশি ছবি আসছে। কিন্তু ‘ওমর’ নিয়ে ভীত হওয়ার কোন কারণ নেই। কারণ, ‘ওমর’ তেমনি ছবি যা নিয়ে আশাবাদী হওয়া যায়। ছবির গল্প, নির্মাণ কিংবা কাস্টিং- সবমিলিয়ে আমরা বরং এক্সাইটেড। আমি শিল্পী হিসেবে চাই, বাকী যে ছবিগুলো ঈদে মুক্তি পাবে সেগুলোও যেন ভালো ব্যাবসা করে। তাতে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিরই লাভ। আর ইন্ডাস্ট্রির লাভ মানে আমরাও লাভবান হবো। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত ছবি আসলে কিন্তু অসুবিধাই হয়। ফলে একটি ঈদে কয়টি ছবি আসা উচিত সে বিষয়ে আরও ভাবনার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করি।
বলছিলেন, অনেকদিন আউটডোরে শুটিং করে এলেন। কি কাজে এতোদিন ঢাকার বাইরে ছিলেন?
ঈদে আমার বেশকিছু নতুন কাজ দেখতে পাবেন দর্শক। সেগুলোর মধ্যে কিছু কাজের শুটিং ঢাকার বাইরে হয়েছে সম্প্রতি। তাই টানা ১১ দিন বাসার বাইরেই ছিলাম। তবে কাজগুলো নিয়ে এখন বলতে পারব না। কারণ এখনো প্রযোজনা সংস্থা থেকে কিছুই ঘোষণা করা হয়নি।
ঈদে তাহলে আগের তুলনায় বেশি কাজ করেছেন। কি কি কাজ আসতে যাচ্ছে?
হ্যাঁ, ভাগ্যে ছিল তাই বেশি কাজ করা হয়েছে। কারণ, ঈদের কাজের শুটিং মূলত যে সময়ে হয় সে সময় দেশের বাইরে আরেকটি কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু সেটি পিছিয়ে যাওয়ায় দেশে থেকে ঈদের কাজগুলো করার সুযোগ পেয়েছি। এবার মূলত ওটিটির জন্যই বেশি কাজ করা হয়েছে। তবে সেগুলো নিয়ে এখনই কথা বলতে পারব না। টিভি নাটকের কাজও করেছি কিছু। এরমধ্যে রয়েছে সাইফুল হাফিজের পরিচালনায় ‘শুকতারা’। আরেকটি নাটকের নাম ‘অচেনা মুহূর্ত’।
অভিনেতা হিসেবে প্রতিটি কাজই গুরুত্বপূর্ণ। তারপরও কাজ করার পর বোঝা যায় অমুক কাজটি বেশি সাড়া ফেলতে পারে। এবার ঈদে আপনার তেমন কাজ কোনটি?
ঠিকই বলেছেন। পূর্ব অভিজ্ঞতাবশত এখন কাজ করার সময় বুঝতে পারি কোন কাজটি দর্শকের মনে বেশি সাড়া ফেলবে। এবার ঈদেও তেমন একটি কাজ রয়েছে। তবে সেটির ঘোষণা আসবে ঈদের দিনেই। ঈদের ৭ম দিনে সেটি প্রচার হবে বলে শুনেছি। চমকটা থাকুক, এখনই কিছু না বলি।
বিবাহিত জীবন নতুনই বলা যায়। কেমন কাটছে?
আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো। আমার জীবনসঙ্গী আমার কাজের ব্যাপারে খুব সাপোর্টিভ। আই অ্যাম হ্যাপীলি ম্যারেড।