ঈদে বাবার লেখা আর ছেলের সুরে ফাহমিদা নবী



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘শ্রাবণ মেঘে’ গানের পোস্টারে ফাহমিদা নবী

‘শ্রাবণ মেঘে’ গানের পোস্টারে ফাহমিদা নবী

  • Font increase
  • Font Decrease

আলাপের শুরুতেই দেশের স্বনামধম্য সঙ্গীতশিল্পী ফাহমিদা নবী বললেন, ‘গানের সুরের তো পরিবর্তন হয় না, পরিবর্তন হয় রূচির। আমি সেই শ্রোতাদের জন্য এখনো গান করছি, যারা ভালো গান শুনতে চায়।’

আসছে ঈদুল ফিতরেও তেমনি একটি নতুন গান উপহার দিতে যাচ্ছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই শিল্পী। গানটির নাম ‘শ্রাবণ মেঘে’। মজার বিষয় হলো, এই গানের কথা লিখেছেন এইচ এ গোলন্দাজ আর সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন তারই পুত্র অন্তু গোলন্দাজ। গানটি লিরিক্যাল ভিডিও আকারে অবমুক্ত করা হবে ‘গান জানালা’ ইউটিউব চ্যানেলে।

‘শ্রাবণ মেঘে’ গানটি রেকর্ডিংয়ের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে ফাহমিদা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘অন্তু শিল্পকলায় মিউজিশিয়ান হিসেবে কাজ করে। অনেকদিন ধরেই আমার সঙ্গে একটা গান করার কথা বলছিল। ফাইনালি সম্প্রতি ‘শ্রাবণ মেঘে’ গানটির রেকডিং করি। তখন দারুণ অনুভূতি হয়েছে। গাইতে গিয়ে গানের কথাগুলো একটু অণ্যরকম লাগছিল। আমি বললাম, গানটি তো ভালোই লিখেছিস অন্তু। ও বলল, আমি লিখিনি, আমার বাবা লিখেছেন। আমি শুনে অবাক হলাম, একজন বয়স্ক মানুষ এমন একটি গান লিখেছেন যাতে রয়েছে এক ধরনের চঞ্চলতা। মানুষের মনটা যে খানিক বাউন্ডুলে সেটি তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন গানে। আর অন্তুও খুব সুন্দর সুর করেছে। গানটিতে একপর্যায়ে যেমন অস্থিরতা আছে, আরেক পর্যায়ে মনটা একদম ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া আমেজ আছে। অন্তু তার বাবার সঙ্গে কথা বলিয়ে দিল। তিনি বললেন, আমি খুব খুশি আপনি আমার লেখা গানটি গেয়েছেন।’

ফাহমিদা নবী আরও বলেন, ‘পুরো গানটি কমপ্লিট হওয়ার পর যখন শুনলাম তখন অন্য একটা আমেজ পেলাম। মনে হলো এই গানের সঙ্গে একঝাঁক তরুণী যদি নাচে তাহলে খুব ভালো লাগবে। এটা একটি নাচের গান হয়ে উঠেছে। অন্তু আমাকে বেশ কয়েকবার বলেছে মিউজিক ভিডিওর জন্য সময় দিতে। আমি ঈদের আগে আর পেরে উঠিনি। তবে আমার ইচ্ছা আছে ঈদের পর ভিডিওর শুটিংটা করার। আমি একপাশে বসে গাইব আর মেয়েরা নাচবে এভাবে ভিডিওটা করার ইচ্ছা আমার। তখন আমার মিউজিক ভিডিও আকারে আসবে গানটি।’

   

ভক্তরা চান শাহরুখকে! ট্রেইলারের পর পরই হৈ চৈ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডিজনির বিখ্যাত সিনেমা ‘দ্য লায়ন কিং’-এর প্রিকুয়াল সিনেমা 'মুসাফা'-এর ট্রেইলার প্রচারিত পেয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ডিজনির অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল থেকে সিনেমাটির প্রথমবারে মতো ট্রেইলার আপলোড করা হয়।

সিংহ শাবক সিম্বার শৈশবে অনাথ হওয়া থেকে বড় হয়ে জঙ্গলের রাজা হয়ে ওঠার গল্প ছিল ‘দ্য লায়ন কিং’। তবে তার পূর্ববর্তী ঘটনায় নির্মিত হয়েছে- ‘মুসাফা’ সিনেমাটি, যেখানে মুফাসার বনের রাজা হয়ে ওঠার সফর দেখানো হবে।

ভক্তদের প্রত্যাশা ছিল ‘লায়ন কিং’-এর মতো ‘মুফাসা’তেও মুফাসা চরিত্রের কণ্ঠ দেবেন শাহরুখ খান।

'দ্য লায়ন কিং'-এ শাহরুখ খান, ছবি- সংগৃহীত

এর আগে ‘দ্য লায়ন কিং’-এ মুফাসার কণ্ঠ দিয়েছিলেন শাহরুখ খান এবং সিম্বার কণ্ঠ দিয়েছিলেন তারই বড় ছেলে আরিয়ান খান। খান পরিবারের বাবা ও ছেলের সেটি ছিল প্রথম একসঙ্গে কাজ। সদ্য আপলোড হওয়া ট্রেইলারে দেখা মিলেছে, ছোট মুফাসার জঙ্গলের জীবনেরও। সে কারণে ভক্তদের প্রত্যাশাও বেড়ে গেছে। ভক্তরা চান, ছোট মুফাসার কণ্ঠ যেন দেয় শাহরুখ খানের ছোট ছেলে আব্রাহাম খান।

এটা ঠিক অসম্ভবও কিছু না। এর আগে যখন আরিয়ান আর শাহরুখের জোট বন্ধন ঘটে তখন সেটাও ভক্তদের জন্য ছিল অপ্রত্যাশিত কিছু। তাছাড়া ‘মুফাসা’ সিনেমার ইংলিশ ভার্সনে একসঙ্গে জোট বেঁধেছেন, বিয়ন্সে এবং তার মেয়ে ব্লু ইভি কার্টার।

তাই, ভক্তরা চান বড় ছেলে আরিয়ান খানের পর এবার আব্রাহাম খানের সঙ্গে শাহরুখের জোট বন্ধন।

সিংহ শাবক সিম্বার দ্য লায়ন কিং হয়ে ওঠার গল্প সবার জানা। কাকা স্কারের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে সিম্বা তার বাবাকে হারায় এবং জঙ্গল থেকে বিতাড়িত হয়। তবে মুফাসা কীভাবে বনের রাজা হলো এবং তার ভাই স্কারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হলো, সেই গল্প দেখানো হবে ‘মুফাসা’তে।

২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘দ্য লাইন কিং’। ওয়াল্ট ডিজনির কমিকসের অন্যতম জনপ্রিয় গল্প ‘দ্য লাইন কিং’-এর পরিপ্রেক্ষিতে সিনেমাটি তৈরি করা হয়েছে। এর আগে লায়ন কিং গল্পের কার্টুন সিনেমাটি অনেক জনপ্রিয় ছিল। ২০১৯ সালে এর লাইভ অ্যাকশন অ্যাডাপটেশন প্রকাশ পায়। ভিএফএক্সের মাধ্যমে পর্দায় দারুনভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়, পুরো গল্পটি।

‘দ্য লায়ন কিং’-এর হিন্দি সিনেমায় প্রথমবার একসঙ্গে ডাবিং সিনেমায় কণ্ঠ দেন বলিউড কিং শাহরুখ খান আর ছেলে আরিয়ান খান। ভক্তদের জন্য সেটিও ছিল অপ্রত্যাশিত এক উপহার।

 

;

লাক্সের ১০০ বছরের আয়োজনে সুন্দরীদের হাট



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
আফসানা মিমি, কুসুম শিকদার, চম্পা, সুবর্ণা মুস্তাফা, মেহজাবীন চৌধুরী, বিদ্যা সিনহা মিম, ঈশিতা ও অপি করিম

আফসানা মিমি, কুসুম শিকদার, চম্পা, সুবর্ণা মুস্তাফা, মেহজাবীন চৌধুরী, বিদ্যা সিনহা মিম, ঈশিতা ও অপি করিম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘লাক্স’ সাবানের এক সময়ের ট্যাগ ছিল চিত্রতারকাদের শাবান। হলিউড বলিউডসহ  বিশ্বের বিভিন্ন সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির রূপালী পর্দার তারকারা এই সাবান মেখেই এতো সুন্দর হয়, এমনটা ভাবতো সাধারন জনগন। কারণ, শুরু থেকেই ‘লাক্স’ সাবানের বিজ্ঞাপনে শুধুমাত্র বিশ্বের সিনেমা জগতের সুপারস্টার নারী তারকাকেই দেখা গেছে।

তবে বাংলাদেশের অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফাই প্রথম, যিনি সিনেমার তারকার বাইরে এই সাবানের বিজ্ঞাপনের মডেল হন। এরপর থেকেই ‘লাক্স’ শাবানের ট্যাগলাইনে পরিবর্তন আসে। চিত্রতারকাদের শাবানের বদলে তারকাদের পছন্দের সাবান লাক্স- এমনটা করে দেওয়া হয়। সারা বিশ্বের লাক্সের ক্যাম্পেইনেই পরবর্তীতে ট্যাগ লাইন পরিবর্তন করা হয়। কথাগুলো সুবর্ণা মুস্তাফা নিজেই জানালেন গতকাল।

ছবি : ফেসবুক

গতকাল রাজধানী ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে বসেছিল লাক্স শাবানের গৌরবময় ১০০ বছর পূর্তীর উদযাপন অনুষ্ঠান। সেখানে বাংলাদেশের সমস্ত লাক্সতারকাদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

সুবর্ণা মুস্তাফা ছাড়াও এদিন মঞ্চ আলোকিত করেন লাক্সেওর বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান ও চম্পা, নৃত্যশিল্পী শামীম আরা নীপা, ছোটপর্দার অভিনেত্রী আফসানা মিমি, অপি করিম, ঈশিতা, কুসুম শিকদার, বিদ্যা সিনহা মিম ও মেহজাবীন চৌধুরী।

ছবি : ফেসবুক

এছাড়াও উপস্থিত লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার থেকে উঠে আসা তারকা আজমেরী হক বাঁধন, মৌসুমী হামিদ, মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া, মিম মানতাশা প্রমুখ।

লাক্স তারকাদের বাইরে উপস্থিত ছিলেন জয়া আহসানের মতো প্রখ্যাত তারকা। এছাড়াও ছিলেন পিয়া জান্নাতুল, হৃদি শেখ, রাবা খান, কানিজ আলমাস খান, মাহমুদুল হাসান মুকুল, সদ্য মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগীতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা শাম্মি ইসলাম নীলা প্রমুখ।

ছবি : ফেসবুক

জমকালো এই সন্ধ্যায় পারফর্ম করেছেন বিদ্যা সিনহা মিম। যার শোবিজ পথচলা শুরু হয় ২০০৭ সালে, ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’র মাধ্যমে। তাই নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন এভাবে, ‘এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার ইমোশনাল জার্নি আছে। আমার মনে হয়, হাজারো মেয়ের স্বপ্ন পূরণে ভূমিকা রাখে তারা। আমিও এক সিম্পল মেয়ে ছিলাম। সেখান থেকে এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে শোবিজে এলাম। জীবনের মোড় ঘুরে গিয়েছিল। তাই সবসময় বলি, লাক্স আমাকে নতুন করে জন্ম দিয়েছিল।’

ছবি : ফেসবুক

২০০৯ সালে প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন মেহজাবীন চৌধুরী। যাকে এখন টেলিভিশন পর্দার কুইন বলা হয়। তিনি বলেন, ‘আমি আজ যা কিছু হয়েছি, তার সবটা দিয়েছে এই প্ল্যাটফর্ম। তাদের ১০০ বছরের পূর্তি আয়োজনে আসতে পেরেও আমি উচ্ছ্বসিত। তারা বরাবরই মেধা ও প্রতিভাকে সামনে আনার প্রয়াস জারি রেখেছে। এজন্য তাদের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।’

ছবি : ফেসবুক

‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’র মাধ্যমে ২০১০ সালে শোবিজে পা রেখেছেন এ প্রজন্মের অভিনেত্রী মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া। তিনি বললেন, ‘প্রতিষ্ঠান দুটির সঙ্গে আমার সম্পর্ক অন্যরকম। সবসময় তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তারা আমাকে একটা প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে, যার মাধ্যমে টয়া হিসেবে দেশের মানুষের কাছে আমি পরিচিতি পেয়েছি এবং কাজ করে যাচ্ছি।’

;

পাঠ্যসূচিতে স্থান পেল কাজল রেখা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: 'কাজল রেখা'

ছবি: 'কাজল রেখা'

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সিনেমা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম। তার সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি 'কাজল রেখা'। চলতি বছর ঈদুল ফিতরে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ময়মনসিংহ গীতিকাব্য কাজল রেখার প্রেক্ষিতে সিনেমার গল্প সাজানো হয়েছে।

কাজল রেখা নামের মেয়ের জীবনের গল্প ফুটে উঠেছে গীতিকাব্যে৷ সিনেমাতে অভিনয় করেছেন মন্দিরা চক্রবর্তী, সাদিয়া আয়মান, শরিফুল রাজ,ইরিশ জাকের, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, খাইরুল বাসার সহ আরো অনেকে।

সম্প্রতি কাজলরেখা সিনেমাটিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে বাংলা সাহিত্যের প্রতীকী হিসেবে প্রতিটি হিসেবে সিনেমাটিকে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের কোর্সের অন্তর্ভুক্ত পাঠের অংশ হবে সিনেমাটি। এই নিয়ে সিনেমা সংশ্লিষ্টরা তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সম্মাননার জন্য।

এর আগেও বাংলার ঐতিহ্যবাহী উপন্যাস গুলোতে তৈরি হওয়া সিনেমাগুলোকে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। বহিপীর, লালসালু,  হাজার বছর ধরে, পদ্মা নদীর মাঝি ইত্যাদি অনেক সিনেমাকে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের উদ্দেশ্যে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়।এইবার সেই দলে যোগ দিল কাজল রেখা সিনেমাও। সিনেমার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান, চরিত্র সম্পর্কে জ্ঞান, গল্পের গভীরতা ও ধারাবাহিকতা  ইত্যাদি নানারকম বিষয় বুঝতে সুবিধা হয়।

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাজলরেখার শুটিং হয়েছে প্রায় ৫০ দিন। সিনেমার মূল শুটিং লোকেশন সুসঙ্গ দুর্গাপুরের লক্ষ্মীপুর অঞ্চল। এছাড়া খুলনার সুন্দরবন, কক্সবাজার, সিলেটের হাওর অঞ্চল এবং ঢাকার মিরপুর অঞ্চলে সিনেমাটির শুটিং হয়েছে। তরুণ ও অভিজ্ঞদের মিশ্রণে শতাধিক শিল্পী-কুলাকুশলী এতে কাজ করেছেন। আর ছবিটির বিভিন্ন শুটিং পর্যায়ে সহস্রাধিক কর্মী সরাসরি এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম নির্মিত পাঁচটি সিনেমার মধ্যে সবচেয়ে বড় বাজেটের ছবি ‘কাজলরেখা’। ময়মনসিংহ গীতিকার আদি গল্পকাহিনী নিয়ে নির্মিত ‘কাজলরেখা’ সিনেমাটির সব শিল্পী ও কলাকুশলী বাংলাদেশের হলেও ভিএফএক্সসহ কিছু কারিগরি সহায়তায় যুক্ত ছিলেন ভারতের কুশলী শিল্পীরা।

গীয়াসউদ্দিন সেলিম ছবিটি দীর্ঘ বছর ধরে মনের আঙিনায় যত্ন করে তিনি ২০০৯ সালের শেষ দিকে ‘কাজলরেখা’ নির্মাণের প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেন। দীর্ঘ ১২ বছর গবেষণা, গীত সংগ্রহ, চিত্রনাট্য রচনা, লোকেশন নির্বাচন ইত্যাদি শেষে ২০২২ সালে ছবিটির দৃশ্যায়ন শুরু হয়। অবশেষে তা এখন দর্শকের আঙিনায়। তিনি বাংলাদেশের মতো ছোট্ট সিনেমা বাজারের ছোট্ট বাজেটে কয়েকশ’ বছরের পুরনো গল্পকে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। তার গভীর গবেষনা সিনেমায় স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।

;

ডিউন কপি করেছে কল্কি মেকার্স, নেটিজেনদের সন্দেহ



বিনোদন ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি নির্ভর সিনেমা কল্কি ২৮৯৮ এ.ডি। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে অত্যাধুনিক পৃথিবী পরিণত হয়েছে প্রায় ধ্বংসস্তূপে। অভিনয় করেছেন প্রভাস, দীপিকা পাড়ুকোন, কমল হাসান, অমিতাভ বচ্চনসহ বাঘা বাঘা বলিউড অভিনয় শিল্পীরা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সিনেমাটির নতুন পোস্টারের সাথে প্রকাশের নতুন তারিখ প্রকাশ করা হয়েছে৷

পোস্টার প্রকাশ পাওয়া পর সিনেমা নিয়ে আবারও হাইপ তৈরি হয়েছে৷ নেটিজেনরা একেরপর এক প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছে।

নেটিজেনের এক পক্ষ সিনেমা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে। অনেকে মন্তব্য করেছে সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া সুপারহিট হলিউড সিনেমা ডিউন ফ্রাঞ্চাইজির সাথে মিল পাওয়া যাচ্ছে কল্কি সিনেমার।

আগে থেকেই এরকম মন্তব্য করেছিলেন অনেকে। নতুন এই পোস্টার প্রকাশ পাওয়ার পর আবার সমালোচনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন দীপিকা পাডুকোন। তার একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে কল্কি সিনেমার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পাশে ডিউনের অভিনেত্রী জেনডায়ার আরেকটি ছবি। দুই অভিনেত্রীর লুকে মিল খুঁজে পেয়েছেন তারা। নেটিজেনদের দাবি কল্কি সিনেমা সংশ্লিষ্টরা ডিউন সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। কিন্তু এমনটা স্বীকার করতে নারাজ পরিচালক।

সিনেমার প্রচারণার সময় থেকেই ভক্তদের মনে হতে থাকে কপি করার কথা। হায়েদ্রাবাদে এক প্রচারণা ক্যাম্পেইনে পরিচালক নাগ অশ্বিনকে এই নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়েছিল। এক শিক্ষার্থী অশ্বিনকে প্রশ্ন করেন, 'কল্কি সিনেমার পোস্টার দেখলে কেন মনে হচ্ছে ডিউনের পোস্টার দেখছি?' এই প্রশ্নের উত্তরে পরিচালক বলেন, 'ধূলাবালি এর কারণ! কল্কি সিনেমা কেয়ামতের সময়কার গল্পে তৈরি। ধ্বংসপ্রায় পৃথিবীতে বায়ু বিষাক্ত, সূর্য মৃতপ্রায় আর পরিবেশ বসবাসের অযোগ্য। সেই কারণে প্রতিটি সিনে চারদিকে এত বালি। ডিউন সিনেমাও মরুভূমি অঞ্চলের গ্রহের গল্প। দু'টো সিনেমায় এই সাদৃশ্যের কারণেই এমন মনে হচ্ছে।'

;