ঈদ উৎসবে ডিএমএস চমক



বিনোদন প্রতিবেদক, বার্তা২৪.কম
ঈদ উৎসবে ডিএমএস চমক

ঈদ উৎসবে ডিএমএস চমক

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদকে ঘিরে শ্রোতা-দর্শকদের জন্য বিভিন্ন ঘরনার গান ভিডিও নিয়ে হাজির হচ্ছে দেশের অন্যতম অডিও ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ধ্রুব মিউজিক স্টেশন (ডিএমএস)।
২৯ মার্চ থেকে প্রকাশ পেতে শুরু করেছে ধ্রুব মিউজিক স্টেশন (ডিএমএস) এর ঈদ উৎসবকে ঘিরে তাদের আয়োজনের গানগুলো।
প্রতিষ্ঠানটির বর্ণিল ঈদ আয়োজনে এবার থাকছে বাংলা সঙ্গীতের দুই উজ্জ্বল নক্ষত্র শওকত আলী ইমন ও আঁখি আলমগীরের কন্ঠে ‘কফির পেয়ালা’। আশিক মাহমুদের কথায় গানটির সুর করেছেন আকাশ মাহমুদ। সঙ্গীতায়োজন করেছেন শওকত আলী ইমন নিজেই। গানের ভিডিও নির্মাণ করেছেন শিথিল রহমান।
এই প্রজন্মের জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী জিসান খান শুভ’র কন্ঠে শ্রোতারা শুনতে পাবেন ‘মেঘ ২’ শিরোনামের নতুন গান। শুভ’র কথা ও সুরে গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন আমজাদ হোসেন। সুনামগঞ্জের মনোরম লোকেশনে চিত্রায়ন করে গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন ফারহান আহমেদ রাফাত।
নাহিদ হাসানের কন্ঠে আসছে ‘তোমার ভেজাচুল’ শিরোনামের নতুন গান। মাহমুদ শাওনের অনবদ্য কাব্যমালায় সুর দিয়েছেন নাহিদ নিজেই। গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন আমজাদ হোসেন। ভিডিও নির্মাণ করেছেন ফারহান আহমেদ রাফাত।
সামজ ভাই গেয়েছন ‘আঘাত’ শিরোনামের নতুন গান। জিসান খান শুভ’র কথা ও সুরে গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন আমজাদ হোসেন। সুনামগঞ্জের মনোরম লোকেশনে চিত্রায়ন করে গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন ফারহান আহমেদ রাফাত।
কন্ঠশিল্পী খালেদ মুন্না গেয়েছেন ‘তোমার নিষ্ঠুর আচরণে বুকে ধাক্কা লাগে’। প্রিন্স রুবেলের কথা ও সুরে গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন রোজেন রহমান। ভিডিও নির্মাণ করেছেন ফারহান আহমেদ রাফাত।
আলোচিত কন্ঠশিল্পী সাথী খানের কন্ঠে প্রকাশ পাবে ‘বেশি কথা না বলিয়া’ শিরোনামের গান। সচল পাগল সুজনের কথা ও সুরে গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন আদিব কবীর। ভিডিও নির্মাণ করেছেন রাজ বিশ্বাস শংকর।
জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী ঐশী দ্বৈত কন্ঠ দিয়েছেন এই প্রজন্মের কন্ঠশিল্পী জনি খানের সাথে। তাদের দু’জনের নতুন গান ‘বেসামাল’। মাহতাব হোসেনের গীতিকবিতায় সুর দিয়েছেন জনি খান। সঙ্গীতায়োজন করেছেন মুশফিক লিটু। গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন রাহাত বাপ্পী।
প্রতিবারে মত এবারও ধ্রুব মিউজিক স্টেশন সুযোগ করে দিয়েছে নতুন প্রতিভাবানদের। নতুন একটি ব্যান্ডকে তারা তুলে এনেছে। নতুন এই ব্যান্ডের নাম ফড়িং ব্যান্ড। তাদের নতুন গান ‘সোনার ফড়িং’ প্রকাশ পা”েছ এবারের ঈদে। শেখ মোঃ পলাশের কথা ও সুরে গানটিতে কন্ঠ দিয়েছেন ব্যান্ডের ভোকাল রাছেল সিকদার। সঙ্গীতায়োজনে ছিলেন তরিক। গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন ফারহান আহমেদ রাফাত।
এই প্রজন্মের কন্ঠশিল্পী এ আর টুটুলের কন্ঠে ‘নীলচে খামে’ প্রকাশ পাবে এবারের ঈদে। সালেহ আকরাম মেরিনের কাব্য মালায় সুর দিয়েছেন এ আর টুটুল নিজেই। সঙ্গীতায়োজন করেছেন মুশফিক লিটু ।
নিজের কথা, সুর ও কন্ঠে শ্রোতাদের জন্য নতুন গান নিয়ে আসছেন কন্ঠশিল্পী এহসান কবির। গানের শিরোনাম ‘মনটা আমার ভাড়া দেবো’। গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন তমাল হাসান। ভিডিও নির্মাণ করেছেন মামুন রনি।

ধ্রুব মিউজিক স্টেশন (ডিএমএস) জানায়, ২৯ মার্চ থেকে প্রকাশ শুরু হওয়া এই ঈদ উৎসব চলবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। গানগুলো তাদের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশের পাশাপাশি গানগুলো শুনতে পাওয়া যাবে দেশি ও আর্ন্তজাতিক একাধিক অ্যাপ এ।

   

শুটিংয়ে যাওয়ার আগের দিন জানতে পারি আমি ‘শ্যামাকাব্য’র শ্যামা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
নীলাঞ্জনা নীলা /  ছবি : নূর এ আলম

নীলাঞ্জনা নীলা / ছবি : নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

২০১৪ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের একজন হয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু করেন নীলাঞ্জনা নীলা। সেই প্রতিযোগীতার বিচারক ছিলেন সুবর্ণা মুস্তাফা। পরবর্তীতে এই গুণী শিল্পীর প্রযোজিত ছবি ‘গহীন বালুচর’-এর মাধ্যমেই বড়পর্দায় আত্মপ্রকাশ হয় নীলার। আজ সুবর্ণা মুস্তাফা প্রযোজিত আরেক সিনেমা ‘শ্যামাকাব্য’র নায়িকা হয়ে বড়পর্দায় আসছেন মিষ্টি হাসির নীলা। এই ছবি নিয়ে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিদ রণ


আপনি কম কাজ করেন, কিন্তু বেছে বেছে ভালো মানের কাজের সঙ্গেই নিজেকে যুক্ত করেন। সেদিক থেকে ‘শ্যামাকাব্য’র নাম ভূমিকায় কাজ করলেন। বিষয়টি নিয়ে আলাদা কোন চাপ অনুভব করছেন?


না না। শুটিং ডাবিং সব শেষে প্রমোশনের সময়ই আমি এই বিষয়টি খেয়াল করেছি। ‘শ্যামাকাব্য’র শ্যামা তো আমিই, তার মানে আমি নাম ভূমিকায় (হাহাহা)।

নীলাঞ্জনা নীলা /  ছবি : নূর এ আলম

আপনি পরিচালক বদরুল আনাম সৌদের সিনেমা ও নাটকে বেশকিছু কাজ করেছেন। কিন্তু এই ছবিতে নাকি তিনি আপনাকেই সবশেষে নিয়েছেন। কারণ কী?


আসলে নির্মাতা সৌদ ভাইয়া আমাকে শুরুর দিকে শ্যামা চরিত্রে কল্পনা করতে পারছিলেন না। তার চোখে শ্যামা একটি শ্যাম বর্ণের মেয়ে। মেকাপের সাহায্যে সেটি তিনি করতে চাচ্ছিলেন না। তাই একটি শ্যাম বর্ণের মেয়েকেই খুঁজছিলেন। তারপরও আমাকে অডিশনের সুযোগ দেন। আমি অডিশনে ফেল করি। এরপর তিনি অন্য একজনকে নিয়েছিলেন। পরে কাজে নামার পর দেখা যায়, তিনি চরিত্রটি করতে ফেল করছেন। এরপর আমাকে আবারও ডাকা হয়। যেহেতু গল্পটি ততোদিনে আমার জানা হয়ে গেছে, তাই চরিত্রটি আমি ফিল করতে পারছিলাম। সেটি দেখে একদম আমাকে ছবিটিতে নেয়া হয়। শুটিংয়ে যাওয়ার আগের দিন জানতে পারি আমি ‘শ্যামাকাব্য’র শ্যামা!

সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা /  ছবি : নূর এ আলম

ছবিটি করার সময় কি মনে হয়েছে, আগে থেকে জানতে পারলে আপনি আরও বেশি প্রস্তুত হতে পারতেন?


হ্যাঁ। আরও সময় পেলে আমি ধীরে ধীরে চরিত্রটি হয়ে উঠতাম, এরপর সেটে যেতাম। যেহেতু সেটি হয়নি, তাই আমাকে শুটিংয়ের সময় এক্সট্রা প্রেসার নিতে হয়েছে। আমি অনেক বেশি ডেডিকেটেড ছিলাম, সর্বোচ্চ দিয়ে চরিত্রটি হয়ে ওঠার চেষ্টা করেছি। নির্মাতা, সহশিল্পী থেকে শুরু করে সেটের সবাই আমাকে ভীষণ হেল্প করেছেন। তাছাড়া এই গল্পটি নিয়ে সৌদ ভাইয়া যখন কাজ শুরু করেন, আমি তখন অডিশন দেওয়ার সুবাদে গল্পটি জানতাম। শ্যামা আমি করতে পারব কিনা, সেটি না জানলেও চরিত্রটি নিয়ে নিজের মধ্যে এক ধরনের প্রস্তুতি শুরু করেছিলাম। সবমিলিয়ে ফলাফল যেটা দাঁড়িয়েছে, সেটি খারাপ হয়নি। সৌদ ভাই এমন একজন নির্মাতা, তিনি যদি আমার পারফরমেন্সে সন্তুষ্ট না হতেন তবে দরকার পড়লে শুটিং পিছিয়ে দিতেন। তারপরও ছবির মানের দিকে কম্প্রোমাইজ করতেন না।

নীলাঞ্জনা নীলা /  ছবি : নূর এ আলম

‘শ্যামাকাব্য’র গল্প পড়েই এর প্রেমে পড়েছিলেন। আপনার চরিত্র ‘শ্যামা’র কোন দিক আপনাকে সবচেয়ে আকৃষ্ট করেছে?


‘শ্যামা’র মতো মেয়েকে সচারচর আমরা দেখি না। শ্যামা এমন একটি মেয়ে, যার জীবনে অনেক সমস্যা। কিন্তু তারমধ্যেও সে প্রচন্ড ধীরস্থির। একইসঙ্গে সুন্দরী এবং বুদ্ধিমতী। যার সঙ্গে কথা বলতে সবার আরাম লাগে, একটা স্বস্তির জায়গা পাওয়া যায়। শ্যামা’র এই দিকটিই আমার খুব ভালো লেগেছে।


সব কাজেই চ্যালেঞ্জ থাকে। ‘শ্যামাকাব্য’ করার এমন কোন চ্যালেঞ্চের কথা শোনাবেন?


শুটিংয়ের প্রথম দুই দিন ছিল আমার জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং। কারণ আমি আগেই জানিয়েছি, এই ছবিতে আমার থাকারই কথা ছিল না। হুট করেই এমন একটি মনস্তাত্ত্বিকভাবে জটিল চরিত্র নিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো সত্যিই চ্যালেঞ্জের বিষয়। আর ছবিটিতে বেশিরভাগ শটই অনেক লম্বা লম্বা। তারওপর সংলাপনির্ভর ছবি এটি। এছাড়া আমার মতো ফর্সা মেয়েকে শ্যাম বর্ণ করার জন্যও এক বিরাট ঝঞ্জাট পোহাতে হয়েছে সবাইকে। একপর্যায়ে আমি নির্মাতাকে বলেই বসি, আমি আসলে পেরে উঠছি না। আমাকে কিছুটা সময় দিন। পরে অবশ্য আমাকে সময় দেওয়া হয়, একদিন মাত্র (হাহাহা)। তারপরও ওই একদিনে অনেকটাই নিজেকে গুছিয়ে নিতে পেরেছিলাম।

সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা /  ছবি : নূর এ আলম

ছবিতে সোহেল মণ্ডলের বিপরীতে অভিনয় করেছেন। কেমন অভিজ্ঞতা?


সোহেলের সঙ্গে আগেও আমি কাজ করেছিলাম টেলিভিশনের জন্য। সে আসলে খুবই হেল্পফুল। এজন্য আমার তো তাকে ভীষণ পছন্দ। আমাদের বোঝাপড়ার জায়গাটা ভালো। আমারদের কেমেস্ট্রিতো আমার ভালো লেগেছে, দৃঢ় বিশ্বাস দর্শকেরও খুব ভালো লাগবে।

নীলাঞ্জনা নীলা /  ছবি : নূর এ আলম

দর্শকের উদ্দেশ্যে কী বলার আছে?


সবাই হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখুন। আমার বিশ্বাস কেউ নিরাশ হবেন না। কারণ এই গল্পে একটা ব্যাপার আছে। সিনেমাটি দেখতে দেখতে মনে হবে একটা বই পড়ছি।

;

স্টার সিনেপ্লেক্সের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ ঈদ সিনেমার নির্মাতারা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনেক নির্মাতাই বলে থাকেন, এই দেশে একজন নির্মাতা একটি সিনেমা বানানো মানে তার জীবন থেকে অর্ধেক আয়ু ক্ষয় করে ফেলা! আর সেটি প্রদর্শনের জন্য সঠিক হল বা শো না পাওয়া মানে অকাল মৃত্যুবরণ করা। তেমনি এক ইস্যুতে মে দিবসের মতো তাৎপর্যপূর্ণ দিনে যেন নতুন করে গর্জে উঠলেন সিনেমার নির্মাতারা।

গত ঈদের অন্যতম সফল তিন সিনেমার (রাজকুমার, দেয়ালের দেশ ও কাজলরেখা) নির্মাতার পক্ষ থেকে স্টার সিনেপ্লেক্সের বিরুদ্ধে উঠেছে কারণ ছাড়াই ‘হাউজফুল’ ছবি নামিয়ে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ। তাদের আলাদা আলাদা প্রতিক্রিয়ায় একটাই অভিযোগ, ৩ মে থেকে দেশের সবচেয়ে বড় মাল্টিপ্লেক্স চেইন স্টার সিনেপ্লেক্স ঈদের সব সিনেমা নামিয়ে দিচ্ছে তাদের হলগুলো থেকে। দেশি সিনেমাগুলোর জায়গা দখল করে নিচ্ছে বিদেশি ছবিগুলো। প্রমাণপত্র হিসেবে প্রত্যেকেই দিয়েছেন ১ মে’র অনলাইন টিকিটের প্রায় ‘হাউজফুল’ স্ক্রিনশট।

‘রাজকুমার’ সিনেমায় শাকিব খান

‘রাজকুমার’ নির্মাতা হিমেল আশরাফ বুধবার দুপুরে লেখেন, ‘‘ঠিক গত সপ্তাহে টিকিট বিক্রিতে ১ নাম্বারে ছিল যেই সিনেমা, সেই সিনেমার কোনও শো পরের সপ্তাহে নেই, একটা শো-ও না! ঈদের সব বাংলা সিনেমা উধাও হয়ে গেলো! প্রতিদিন ৫০টার ওপরে শো স্টার সিনেপ্লেক্সের। এর মধ্যে একটা শো পাওয়ার যোগ্যতা নেই ঈদের কোনও সিনেমার? অথচ আজকে সন্ধ্যার ‘রাজকুমার’ ও ‘কাজলরেখা’র শোর টিকিট অনলাইনে চেক করে দেখেন, ৬০% অলরেডি সোল্ড-আউট। এখনও ৪ ঘণ্টা বাকি! আমি আজকে সন্ধ্যার শো স্ক্রিনশট দিলাম, যেখানে রাজকুমারের ৮৫% টিকিট সোল্ড-আউট। আগামী শুক্রবার (৩ মে) থেকে বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্সে ৬টা বিদেশি সিনেমা চলবে, যেখানে বাংলা সিনেমা চলবে একটা। ১৬টি শো বিদেশি সিনেমার, ৪টা শো বাংলা সিনেমার! বাংলাদেশের সিনেমা হল, বাংলাদেশের মানুষই দর্শক, বাংলা সিনেমার দর্শক থাকার পরেও বাংলা সিনেমা নাই! এই দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দাঁড়াতে অনেক পথ বাকি, অনেক...।’

‘কাজলরেখা’ সিনেমায় অনবদ্য অভিনয় করেছেন মিথিলা

একইভাবে নিজ নিজ ছবির টিকিট বিক্রির উদাহরণ টেনে কাছাকাছি প্রতিক্রিয়া বা হতাশা ব্যক্ত করেছেন ‘কাজলরেখা’র নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম এবং ‘দেয়ালের দেশ’ নির্মাতা মিশুক মনি। তাদের পক্ষে নির্মাতা সুমন আনোয়ার, খিজির হায়াত খানসহ আরও বেশ কজন নির্মাতা ফেসবুকে আওয়াজ তুলেছেন।

ঈদের তিন সপ্তাহের মাথায় তিন সফল নির্মাতার এমন জোটবদ্ধ প্রতিক্রিয়ায় অনেকটাই থমকে গেছে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি। ফুঁসে উঠেছে সিনেমা সমাজ। ফলে স্টার কর্তৃপক্ষ নতুন করে ভাবতেও পারে, ঈদের ছবিগুলো পর্দায় বহাল রাখার নিমিত্তে। বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বাংলা সিনেমার দর্শকরা। বিপরীতে এটাও তো প্রশ্ন, কেন স্টার সিনেপ্লেক্স ‘হাউজফুল’ বাংলা সিনেমাকে ফেলে বিদেশের ছবি তুলবে! তাও আবার এর মধ্যে মুক্তি পাওয়া বিদেশি ছবিগুলোও পায়নি দর্শকপ্রিয়তা। তাহলে কী কারণে স্টার সিনেপ্লেক্স ‘প্রায় হাউজফুল’ বাংলাদেশি ছবিগুলো নামিয়ে দিচ্ছে?

‘দেয়ালের দেশ’ সিনেমায় বুবলী ও শরিফুল রাজ

‘দেয়ালের দেশ’ নির্মাতা মিশুক মণি মনে করেন, ‘ঈদের সিনেমা হিসেবে সেল রিপোর্ট এতটাও খারাপ ছিল না যে সব শো একসঙ্গে বন্ধ করে দিতে হবে, ৩ মে থেকে। মিনিমাম শো রাখার যৌক্তিকতা ছিল। এই মুল্লুকে বাংলা সিনেমার কখনও জয় হয়নি আর আপনারা কথা বলতে না শিখলে কখনও জয় হবেও না। বাংলা সিনেমার কফিনের লাস্ট পেরেক মারতে বাকি।’

‘কাজলরেখা’ নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের আহ্বান, ‘বসুন্ধরায় আজকের ৪টা ৩০-এর শো হাউজফুল। তারপরও আগামী শুক্রবার থেকে বিদেশি ছবির জন্য ‘কাজলরেখা’র কোনও শো নাই। কেন? ঈদের অন্য সিনেমাগুলোও নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্তত ৪০% শো বরাদ্দ দেশি সিনেমার জন্য রাখার অনুরোধ করছি।’

স্টার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এসব অভিযোগের এখনও কোন উত্তর মেলেনি। কারণ, নির্মাতারা প্রমাণসহ অভিযোগ তুলেছেন। দেখিয়েছেন, ১ মে তাদের সিনেমাগুলোর শো প্রায় ‘হাউজফুল’। তবু কেন চতুর্থ সপ্তাহের মাথায় নামাতে হবে ছবিগুলো? কতৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। 

‘ওমর’ সিনেমার পোস্টার

নতুন খবর হলো, বাদ পড়া ঈদ সিনেমাগুলো থেকে দুটি ছবির প্রদর্শন বহাল থাকছে সিনেপ্লেক্সের পর্দায়। এগুলো হলো হিমেল আশরাফ পরিচালিত ‘রাজকুমার’ ও মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘ওমর’। ৩ মে থেকে দুটি ছবিকে শো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে দৈনিক দুটি করে। এরমধ্যেও কিন্তু আছে। ‘রাজকুমার’ দেখা যাবে বসুন্ধরা সিটি ও সীমান্ত সম্ভারে। অন্যদিকে ‘ওমর’ চলবে শুধুই বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর।

;

শাকিব খানের জন্য বার বার হোচট খাচ্ছেন পূজা চেরী!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পূজা চেরী (ইনসেটে : শাকিব খান) / ছবি : ফেসবুক

পূজা চেরী (ইনসেটে : শাকিব খান) / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সঙ্গে কোন নায়িকা সিনেমা করলে তার প্রত্যাশার জায়গাটি থাকে আকাশচুম্বি। গ্ল্যামার গার্ল পূজা চেরী বেশ অবাক করে দিয়েই শাকিব খানের নায়িকা হন ‘গলুই’ সিনেমায়। কারণ শাকিব খান আর তার বয়সের ব্যবধান অনেক বেশি।

তারপরও হয়তো পূজা স্বপ্ন দেখেছিলেন, ‘গলুই’ তার ক্যারিয়ারের আগের সব ছবিকে ছাড়িয়ে যাবে। তার আগামীর পথ হবে মসৃন। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। পূজার ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে হিট তার প্রথম সিনেমা ‘পোড়ামন ২’। ‘গলুই’ সিনেমাটি একেবারে ফ্লপ তা কিন্তু নয়। তবে এই ছবি তার ক্যারিয়ারে যতোটা ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে, এরচেয়ে ঢের নেতিবাচকতা এনে দিয়েছে।

পূজা চেরী / ছবি : ফেসবুক

এই ছবির সময় থেকেই শাকিব খানের সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায়। মূলত এই গুঞ্জনের পর থেকেই পূজার ক্লিন ইমেজ ব্যাহত হয়। পরবর্তীতে তা তার ক্যারিয়ারে ব্যাপকভাবে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে। মোটকথা, শাকিব খানের সঙ্গে তার নাম জড়ানোর পরই তাকে হোচট খেতে হয়।

সেই শাকিব খানের জন্য আবারও হোচট খেলেন পূজা। শাকিব খানের প্রযোজনায় ‘মায়া’ সিনেমায় নায়িকা হওয়ার কথা ছিল পূজার। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে, এই ছবিতে পূজাকে আর রাখা হচ্ছে না। তার জায়গায় শাকিব খানের সুপারহিট সিনেমা ‘প্রিয়তমা’র নায়িকা ইধিকা পালকে বেছে নেয়া হয়েছে। 

‘গলুই’ সিনেমায় শাকিব খান ও পূজা চেরী

এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন পূজা। তিনি বলেন, ‘আমরা আসলে গল্পটা দেখে অভিনয় করি। “মায়া”র গল্পও ভালো। তবে ব্যাটে-বলে মেলেনি। সামনে হয়তো হবে।’

তবে নায়িকার উত্তরে যে আসল ঘটনাটি উঠে আসেনি, কথা শুনেই বুঝে নিয়েছেন নেটিজেনরা!

পূজা চেরী / ছবি : ফেসবুক
;

আমরা আবেগপ্রবণ, তারা পেশাদার : পরীমনি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পরীমনি /  ছবি : ফেসবুক

পরীমনি / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি নানা ভূমিকায় দর্শকের মন জয় করেছেন। তিনি মডেল, অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী হিসেবে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।

এবার নতুন এক ভূমিকায় দেখা গেলো এই নায়িকাকে। ‘কোচ’ হিসেবে কাজ করলেন সম্প্রতি। না, কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা খেলার মাঠে কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেননি তিনি। পরী যেহেতু সিনেমার মানুষ, তাই সিনেমা জগতের মানুষের সামনেই কোচের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।

প্রথমবার কলকাতার ছবিতে কাজ করলেন পরীমনি। দেবরাজ সিনহা পরিচালিত ‘ফেলুবকশী’ নামে সেই সিনেমার শুটিং গত সোমবার শেষ করেছেন তিনি।

‘ফেলুবকশী’ সিনেমায় পরীমনির লুক /  ছবি : ফেসবুক

কাজটি করে দারুণ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন পরীমনি, ‘একটা সময় আমার মনেই হয়নি আমি অন্য পরিবেশে, অন্য দেশের শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করছি। পরিচালক থেকে শুরু করে সহশিল্পী সোহম দাদা, মধুমিতাসহ সবাইকে আমার দেশীয় সহশিল্পীদের মতোই মনে হয়েছে। কাজ, কাজের ফাঁকে আড্ডা, খুনসুটি-দারুণ সময় কেটেছে।’

পরী জানান, খুনসুটি করতে গিয়ে একে অপরকে পচিয়েছেনও তারা। বলেন, ‘‘আমি এসব বলে পুরো সেট হাসিয়েছি যে, তোমরা যখন সংলাপ দাও, উচ্চারণ ভুলভাল মনে হয়। বাংলাটা শুনতে কেমন যেন লাগে। দেখ, আমরা কত সুন্দর করে বাংলা উচ্চারণ করি। আমাদের দেশের বরিশালের প্রচলিত সংলাপ ‘ডাইলে লবণ দেছো, না দেবা?’ এই বলে ওখানকার এক সহশিল্পী আমাকেও পচিয়েছে। হা হা হা...।’’

পরীমনি /  ছবি : ফেসবুক

পরীমনি আরও বলেন, ‘‘ওখানকার অনেক মানুষের আদি বাড়ি বাংলাদেশের বরিশাল ও ফরিদপুরে। তাই আমি তাদের সামনে ভাষা শেখানোর কোচ-এর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েঠি। ওদের বরিশাইল্লা ভাষা শিখিয়েছি। যেমন, ‘ও মোনু, এম্মি আইয়ো’। শেখানোর পর যখন এই বাক্য ওদের মুখে শুনি, হাসতে হাসতে মরি।’’

কাজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে পরী বলেন, ‘যে কোনো নতুন ছবি, নতুন গল্প, নতুন চরিত্র, নতুন জায়গা, নতুন সহশিল্পী কিংবা নতুন পরিবেশে একধরনের আনন্দ নিয়েই কাজ শুরু হয়। তবে সেই কাজ ঠিকঠাক শেষ করতে পারলে আনন্দ আরও দ্বিগুণ হয়। নতুন জায়গা হলেও আমরা একই ভাষাভাষীর। শুধু মাঝখানে একটা কাঁটাতারের দেয়াল। ফলে পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সময় লাগেনি। প্রায় ১৪ দিন কাজ করলাম, পার্থক্য শুধু একটা জায়গায়, আমরা বেশি আবেগপ্রবণ, তারা বেশি পেশাদার।’

পরীমনি /  ছবি : ফেসবুক
;