দ্বিতীয়বার কান থেকে আমন্ত্রণ পাওয়া অবিশ্বাস্য সম্মান : ঋতি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
চলচ্চিত্র সমালোচক ও চিত্রনাট্যকার সাদিয়া খালিদ ঋতি

চলচ্চিত্র সমালোচক ও চিত্রনাট্যকার সাদিয়া খালিদ ঋতি

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের সাদিয়া খালিদ ঋতিকে আবারও মর্যাদাপূর্ণ কান চলচ্চিত্র উৎসবের ফিপ্রেসকি জুরি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

৭৭তম কান উৎসব থেকে ডাক পাওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিক, চলচ্চিত্র সমালোচক ও চিত্রনাট্যকার ঋতি বলেন, ‘কান বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব। দ্বিতীয়বার কান থেকে আমন্ত্রণ পাওয়া একটি অবিশ্বাস্য সম্মান। জুরি বোর্ডে আমাদের চলচ্চিত্র সমালোচকদের নিয়মিত উপস্থিতি বিশ্ব চলচ্চিত্রকে ইউরোকেন্দ্রিক লেন্স থেকে সরে এসে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি উপলব্ধি করতে সাহায্য করবে।’

ঋতি বিয়ে করেছেন সঙ্গীতের তারকা দম্পতি রফিকুল আলম ও আবিদা সুলতানার ছেলে ফারশিদ আলমকে

ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস এঞ্জেলেস থেকে চিত্রনাট্যে পড়াশোনা শেষ করে ঋতি বিশ্বের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবের জুরির দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ইতালি, ভারত, ইংল্যান্ড, নেপাল, ফ্রান্স, রাশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশে। তিনি বেঙ্গালুরু ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, কেরালা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভালে ফিপ্রেসকি (ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফিল্ম ক্রিটিকস) জুরি হিসেবেও কাজ করেছেন দক্ষতার সঙ্গে।

সাদিয়া খালিদ ঋতি

ঋতি ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডের প্রথম আন্তর্জাতিক ভোটার এবং ২০২০ সালে বার্লিনালে ট্যালেন্টসে প্রথম বাংলাদেশী চলচ্চিত্র সমালোচক হিসাবে নির্বাচিত হন। তিনি ফিল্ম ইন্ডিপেনডেন্ট এবং লোকার্নো ওপেন ডোরস-এর সাথে মেন্টরশিপ প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন। ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে চার্লস ওয়ালেস ফেলোশিপের অংশ হিসাবে তিনি ২০২৩ সালে ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটে পরাবাস্তব চলচ্চিত্র নির্মাণে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানে ফিল্ম স্টাডিজ বিষয়ে পড়ান।

চিত্রনাট্যকারের ভূমিকায় ঋতিকে দেখা গিয়েছে নুরুল আলম আতিকের ওয়েব সিরিজ ‘আষাঢ়ে গল্প’তে। তার দুটো শর্ট ফিল্ম অস্কার কোয়ালিফাইং ফেস্টিভালে অংশ নিয়েছে। ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসব ১৪-২৫ মে, ২০২৪-এ অনুষ্ঠিত হবে ফ্রান্সের কান সৈকতে।

ঢাকা লিট ফেস্টে নির্মাতা অমিতাভ রেজার সঙ্গে এক সেশনে ঋতি

এর আগে বাংলাদেশ থেকে আহমেদ মুজতবা জামাল ২০০২, ২০০৫ এবং ২০০৯ সালে কানে ফিপ্রেসকি জুরি ছিলেন। ঋতি ২০১৯ সালে এবং ২০২২ সালে বিধান রিবেরু এই জুরির দায়িত্ব পালন করেন। তারা আইএফসিএবি (বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র সমালোচক সমিতি)-এর সদস্য হিসেবে যোগদান করেন সেই উৎসবে। এর আগে ২০১৯ সালে প্রথমবার তিনি কানের জুরি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

   

লাক্সের ১০০ বছরের আয়োজনে সুন্দরীদের হাট



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
আফসানা মিমি, কুসুম শিকদার, চম্পা, সুবর্ণা মুস্তাফা, মেহজাবীন চৌধুরী, বিদ্যা সিনহা মিম, ঈশিতা ও অপি করিম

আফসানা মিমি, কুসুম শিকদার, চম্পা, সুবর্ণা মুস্তাফা, মেহজাবীন চৌধুরী, বিদ্যা সিনহা মিম, ঈশিতা ও অপি করিম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘লাক্স’ শাবানের এক সময়ের ট্যাগ ছিল চিত্রতারকাদের শাবান। হলিউড বলিউডসহ  বিশ্বের বিভিন্ন সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির রূপালী পর্দার তারকারা এই শাবান মেখেই এতো সুন্দর হয়, এমনটা ভাবতো সাধারন জনগন। কারণ, শুরু থেকেই ‘লাক্স’ শাবানের বিজ্ঞাপনে শুধুমাত্র বিশ্বের সিনেমা জগতের সুপারস্টার নারী তারকাকেই দেখা গেছে।

তবে বাংলাদেশের অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফাই প্রথম, যিনি সিনেমার তারকার বাইরে এই শাবানের বিজ্ঞাপনের মডেল হন। এরপর থেকেই ‘লাক্স’ শাবানের ট্যাগলাইনে পরিবর্তন আসে। চিত্রতারকাদের শাবানের বদলে তারকাদের পছন্দের শাবান লাক্স- এমনটা করে দেওয়া হয়। সারা বিশ্বের লাক্সের ক্যাম্পেইনেই পরবর্তীতে ট্যাগ লাইন পরিবর্তন করা হয়। কথাগুলো সুবর্ণা মুস্তাফা নিজেই জানালেন গতকাল।

Caption

গতকাল রাজধানী ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে বসেছিল লাক্স শাবানের গৌরবময় ১০০ বছর পূর্তীর উদযাপন অনুষ্ঠান। সেখানে বাংলাদেশের সমস্ত লাক্সতারকাদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

সুবর্ণা মুস্তাফা ছাড়াও এদিন মঞ্চ আলোকিত করেন লাক্সেওর বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান ও চম্পা, নৃত্যশিল্পী শামীম আরা নীপা, ছোটপর্দার অভিনেত্রী আফসানা মিমি, অপি করিম, ঈশিতা, কুসুম শিকদার, বিদ্যা সিনহা মিম ও মেহজাবীন চৌধুরী।

Caption

এছাড়াও উপস্থিত লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার থেকে উঠে আসা তারকা আজমেরী হক বাঁধন, মৌসুমী হামিদ, মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া, মিম মানতাশা প্রমুখ।

লাক্স তারকাদের বাইরে উপস্থিত ছিলেন জয়া আহসানের মতো প্রখ্যাত তারকা। এছাড়াও ছিলেন পিয়া জান্নাতুল, হৃদি শেখ, রাবা খান, কানিজ আলমাস খান, মাহমুদুল হাসান মুকুল, সদ্য মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগীতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা শাম্মি ইসলাম নীলা প্রমুখ।

Caption

জমকালো এই সন্ধ্যায় পারফর্ম করেছেন বিদ্যা সিনহা মিম। যার শোবিজ পথচলা শুরু হয় ২০০৭ সালে, ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’র মাধ্যমে। তাই নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন এভাবে, ‘এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার ইমোশনাল জার্নি আছে। আমার মনে হয়, হাজারো মেয়ের স্বপ্ন পূরণে ভূমিকা রাখে তারা। আমিও এক সিম্পল মেয়ে ছিলাম। সেখান থেকে এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে শোবিজে এলাম। জীবনের মোড় ঘুরে গিয়েছিল। তাই সবসময় বলি, লাক্স আমাকে নতুন করে জন্ম দিয়েছিল।’

Caption

২০০৯ সালে প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন মেহজাবীন চৌধুরী। যাকে এখন টেলিভিশন পর্দার কুইন বলা হয়। তিনি বলেন, ‘আমি আজ যা কিছু হয়েছি, তার সবটা দিয়েছে এই প্ল্যাটফর্ম। তাদের ১০০ বছরের পূর্তি আয়োজনে আসতে পেরেও আমি উচ্ছ্বসিত। তারা বরাবরই মেধা ও প্রতিভাকে সামনে আনার প্রয়াস জারি রেখেছে। এজন্য তাদের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।’

Caption

 

‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’র মাধ্যমে ২০১০ সালে শোবিজে পা রেখেছেন এ প্রজন্মের অভিনেত্রী মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া। তিনি বললেন, ‘প্রতিষ্ঠান দুটির সঙ্গে আমার সম্পর্ক অন্যরকম। সবসময় তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তারা আমাকে একটা প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে, যার মাধ্যমে টয়া হিসেবে দেশের মানুষের কাছে আমি পরিচিতি পেয়েছি এবং কাজ করে যাচ্ছি।’

;

পাঠ্যসূচিতে স্থান পেল কাজল রেখা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: 'কাজল রেখা'

ছবি: 'কাজল রেখা'

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সিনেমা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম। তার সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি 'কাজল রেখা'। চলতি বছর ঈদুল ফিতরে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ময়মনসিংহ গীতিকাব্য কাজল রেখার প্রেক্ষিতে সিনেমার গল্প সাজানো হয়েছে।

কাজল রেখা নামের মেয়ের জীবনের গল্প ফুটে উঠেছে গীতিকাব্যে৷ সিনেমাতে অভিনয় করেছেন মন্দিরা চক্রবর্তী, সাদিয়া আয়মান, শরিফুল রাজ,ইরিশ জাকের, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, খাইরুল বাসার সহ আরো অনেকে।

সম্প্রতি কাজলরেখা সিনেমাটিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে বাংলা সাহিত্যের প্রতীকী হিসেবে প্রতিটি হিসেবে সিনেমাটিকে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের কোর্সের অন্তর্ভুক্ত পাঠের অংশ হবে সিনেমাটি। এই নিয়ে সিনেমা সংশ্লিষ্টরা তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সম্মাননার জন্য।

এর আগেও বাংলার ঐতিহ্যবাহী উপন্যাস গুলোতে তৈরি হওয়া সিনেমাগুলোকে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। বহিপীর, লালসালু,  হাজার বছর ধরে, পদ্মা নদীর মাঝি ইত্যাদি অনেক সিনেমাকে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের উদ্দেশ্যে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়।এইবার সেই দলে যোগ দিল কাজল রেখা সিনেমাও। সিনেমার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান, চরিত্র সম্পর্কে জ্ঞান, গল্পের গভীরতা ও ধারাবাহিকতা  ইত্যাদি নানারকম বিষয় বুঝতে সুবিধা হয়।

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাজলরেখার শুটিং হয়েছে প্রায় ৫০ দিন। সিনেমার মূল শুটিং লোকেশন সুসঙ্গ দুর্গাপুরের লক্ষ্মীপুর অঞ্চল। এছাড়া খুলনার সুন্দরবন, কক্সবাজার, সিলেটের হাওর অঞ্চল এবং ঢাকার মিরপুর অঞ্চলে সিনেমাটির শুটিং হয়েছে। তরুণ ও অভিজ্ঞদের মিশ্রণে শতাধিক শিল্পী-কুলাকুশলী এতে কাজ করেছেন। আর ছবিটির বিভিন্ন শুটিং পর্যায়ে সহস্রাধিক কর্মী সরাসরি এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম নির্মিত পাঁচটি সিনেমার মধ্যে সবচেয়ে বড় বাজেটের ছবি ‘কাজলরেখা’। ময়মনসিংহ গীতিকার আদি গল্পকাহিনী নিয়ে নির্মিত ‘কাজলরেখা’ সিনেমাটির সব শিল্পী ও কলাকুশলী বাংলাদেশের হলেও ভিএফএক্সসহ কিছু কারিগরি সহায়তায় যুক্ত ছিলেন ভারতের কুশলী শিল্পীরা।

গীয়াসউদ্দিন সেলিম ছবিটি দীর্ঘ বছর ধরে মনের আঙিনায় যত্ন করে তিনি ২০০৯ সালের শেষ দিকে ‘কাজলরেখা’ নির্মাণের প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেন। দীর্ঘ ১২ বছর গবেষণা, গীত সংগ্রহ, চিত্রনাট্য রচনা, লোকেশন নির্বাচন ইত্যাদি শেষে ২০২২ সালে ছবিটির দৃশ্যায়ন শুরু হয়। অবশেষে তা এখন দর্শকের আঙিনায়। তিনি বাংলাদেশের মতো ছোট্ট সিনেমা বাজারের ছোট্ট বাজেটে কয়েকশ’ বছরের পুরনো গল্পকে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। তার গভীর গবেষনা সিনেমায় স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।

;

ডিউন কপি করেছে কল্কি মেকার্স, নেটিজেনদের সন্দেহ



বিনোদন ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি নির্ভর সিনেমা কল্কি ২৮৯৮ এ.ডি। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে অত্যাধুনিক পৃথিবী পরিণত হয়েছে প্রায় ধ্বংসস্তূপে। অভিনয় করেছেন প্রভাস, দীপিকা পাড়ুকোন, কমল হাসান, অমিতাভ বচ্চনসহ বাঘা বাঘা বলিউড অভিনয় শিল্পীরা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সিনেমাটির নতুন পোস্টারের সাথে প্রকাশের নতুন তারিখ প্রকাশ করা হয়েছে৷

পোস্টার প্রকাশ পাওয়া পর সিনেমা নিয়ে আবারও হাইপ তৈরি হয়েছে৷ নেটিজেনরা একেরপর এক প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছে।

নেটিজেনের এক পক্ষ সিনেমা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে। অনেকে মন্তব্য করেছে সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া সুপারহিট হলিউড সিনেমা ডিউন ফ্রাঞ্চাইজির সাথে মিল পাওয়া যাচ্ছে কল্কি সিনেমার।

আগে থেকেই এরকম মন্তব্য করেছিলেন অনেকে। নতুন এই পোস্টার প্রকাশ পাওয়ার পর আবার সমালোচনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন দীপিকা পাডুকোন। তার একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে কল্কি সিনেমার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পাশে ডিউনের অভিনেত্রী জেনডায়ার আরেকটি ছবি। দুই অভিনেত্রীর লুকে মিল খুঁজে পেয়েছেন তারা। নেটিজেনদের দাবি কল্কি সিনেমা সংশ্লিষ্টরা ডিউন সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। কিন্তু এমনটা স্বীকার করতে নারাজ পরিচালক।

সিনেমার প্রচারণার সময় থেকেই ভক্তদের মনে হতে থাকে কপি করার কথা। হায়েদ্রাবাদে এক প্রচারণা ক্যাম্পেইনে পরিচালক নাগ অশ্বিনকে এই নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়েছিল। এক শিক্ষার্থী অশ্বিনকে প্রশ্ন করেন, 'কল্কি সিনেমার পোস্টার দেখলে কেন মনে হচ্ছে ডিউনের পোস্টার দেখছি?' এই প্রশ্নের উত্তরে পরিচালক বলেন, 'ধূলাবালি এর কারণ! কল্কি সিনেমা কেয়ামতের সময়কার গল্পে তৈরি। ধ্বংসপ্রায় পৃথিবীতে বায়ু বিষাক্ত, সূর্য মৃতপ্রায় আর পরিবেশ বসবাসের অযোগ্য। সেই কারণে প্রতিটি সিনে চারদিকে এত বালি। ডিউন সিনেমাও মরুভূমি অঞ্চলের গ্রহের গল্প। দু'টো সিনেমায় এই সাদৃশ্যের কারণেই এমন মনে হচ্ছে।'

;

‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি

‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইমতিয়াজ আলির পরিচালনায় অমর সিং চামকিলায় অভিনয়ের কারণে প্রশংসিত হয়েছেন পরিণীতি চোপড়া। সম্প্রতি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর কেরিয়ার শুরুর দিনগুলো ভাগ করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এক পডকাস্টে শো-তে কেরিয়ার সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। যশ রাজ ফিল্মের মার্কেটিং এবং পিআর বিভাগে একজন ইন্টার্ন হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন পরিনীতি চোপড়া।

পরিণীতি বলেন, ‘আমি রানির হয়ে 'দিল বোলে হারিপ্পা', দীপিকা পাড়ুকোন এবং নীল নিতিন মুকেশের 'লফাঙ্গে পারিন্দে'র প্রচার করেছি। অনুষ্কা ও শাহিদ কাপুরের ‘বদমাশ কোম্পানি’র কাজও করেছিলাম। যশরাজের স্টুডিয়োতে ইন্টার্ন হিসেবে আমার শেষ ছবি ছিল ব্যান্ড বাজা বরাত। ওদের জন্য কফিও অর্ডার করতাম’। তিনি আরও বলেন, ইন্টার্ন থাকার সময় যে সাংবাদিকদের তিনি সেলেব্রিটি সাক্ষাৎকারে ব্যবস্থা করে দিতেন, তাঁরাই এখন তাঁর সাক্ষাৎকার নেন।


যশরাজ ফিল্মসের সঙ্গে দেড় বছর কাজের পর, সেই চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। একদিন হঠাৎই তাঁর কাছে ফোন আসে আদিত্য চোপড়ার। যা তাঁর কেরিয়ার আর জীবন দুটোই বদলে দেয়। ‘চাকরি ছাড়ার কয়েকদিন পর, আমি আদির কাছ থেকে একটি ফোন পাই। তখন তো আমি অবাক, ও আমাকে কেন ফোন করছে।’

ফোনে আদিত্য সেই সময় পরিণীতিকে যশরাজের সঙ্গে তিনটি সিনেমার চুক্তিতে স্বাক্ষর করানোর কথা বলেছিলেন। কাস্টিং ডিরেক্টর শানু শর্মার সঙ্গে তাঁর অডিশনের ভিডিও পছন্দ হয়েছিল আদিত্য চোপড়ার। এর এক মাস পর লেডিজ ভার্সেস রিকি বহেল-এর অফার পান।


এরপর প্রায় ১১ বছর যশরাজের নায়িকা হিসেবে কাজ করেন পরিণীতি। ইশকজাদে, হাসি তো ফাসি, মেরি প্যায়ারি বিন্দু-র মতো সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি দর্শকদেরকে।

‘পাঞ্জাবের এলভিস প্রিসলি’ ওরফে গায়ক অমর সিংহ চমকিলার ‘বায়োপিক’-এ দেখা যাচ্ছে পরিণীতি চোপড়াকে। অমর সিংহের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন গায়ক-অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্জ, এবং তাঁর দ্বিতীয়া স্ত্রীর ভূমিকায় রয়েছেন পরিণীতি চোপড়া।

এই ছবির জন্য নিজের প্রায় ১৬ কেজি ওজন বাড়ান পরিনীতি। এমনকী, সেই ‘মোটা চেহারা’ নিয়েই বিয়ে করতে হয় তাঁকে! তবে, এত ভালো একটা সিনেমার জন্য এটুকু আত্মত্যাগে তিনি খুশি, জানিয়েছেন পরিণীতি।

;