মিষ্টি জান্নাতকে আইনি নোটিশ পাঠালেন তমা মির্জা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
মিষ্টি জান্নাত ও তমা মির্জা /  ছবি : ফেসবুক

মিষ্টি জান্নাত ও তমা মির্জা / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

অভিনয় ক্যারিয়ারে কোন সাড়া ফেলতে না পারলেও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক মন্তব্যের জন্য আলোচনায় এসেছেন চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাত।

আলোচনার সূত্রপাত সুপারস্টার শাকিব খানের ডাক্তার পাত্রী বিয়ে করা প্রসঙ্গে। মিষ্টি যেহেতু চিত্রনায়িকার পাশাপাশি একজন ডাক্তার, তাই বিষয়টি নিয়ে তিনি রহস্য রেখেছেন। এরপর তিনি বাকযুদ্ধে জড়ান উপস্থাপক ও অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়ের সঙ্গে। জয় নাকি তাকে শুটিং সেটে চুমু খেয়েছেন এমন নানা কুকথা বলেন মিষ্টি।

মিষ্টি জান্নাত /  ছবি : ফেসবুক

এখানেই ক্ষ্যান্ত হননি তিনি। এরপর তিনি কাটাক্ষ শুরু করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী তমা মির্জাকে নিয়ে। 

তবে শাকিব খান কিংবা শাহরিয়ার নাজিম জয় চুপ থাকলেও তমা মির্জা হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি। আজ (২৩ মে) মিষ্টির বাড়িতে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন জনপ্রিয় এই নায়িকা।

আইনি নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তমার উদ্দেশে মিষ্টির এমন আপত্তিকর মন্তব্যে তার ১০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে।

আইনি নোটিশ প্রসঙ্গে তমা মির্জ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘যা করার আমার আইনজীবি করছেন। তবে এটুকু বলতে চাই, ছাড় দিতে দিতে বেশি বাড় বেড়েছে। এসবে আর ছাড় দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। বিন্দুমাত্র ছাড় পাবে না কেউ।’

তমা মির্জা /  ছবি : ফেসবুক

তমা মির্জার পক্ষে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন আইনজীবি সজীব মাহমুদ আলম। আইনি নোটিশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকা দুটি ভিডিও বক্তব্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ‘আপনার বয়ফ্রেন্ডকে বিয়ে করবো না, তমা মির্জাকে খোঁচা দিয়ে মিষ্টি জান্নাত’ এবং ‘ ... নায়িকা হয়েছে তমা মীর্জা : জান্নাত’ শীর্ষক শিরোনামে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে মানহানিকর বক্তব্য রয়েছে বলে দাবি করেছেন আইনজীবী। এ সব বক্তব্যে সাংবাদিক ও দেশের জনগণের কাছে তার (তমা মির্জার) সুনাম নষ্ট হয়েছে। এ ধরণের বক্তব্য তমার চরিত্র ও ব্যক্তিত্বে আঘাত হেনেছে। এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এতে ১০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে। তাই নোটিশে সাত দিনের মধ্যে জনসম্মুখে ক্ষমা চেয়ে দশ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া পরবর্তীতে এ ধরণের মন্তব্য থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। অন্যথায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

   

নিজে হাটে গিয়ে গরু কিনেছি : সাফা কবির



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
সাফা কবির / ছবি: বার্তা২৪

সাফা কবির / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

শোবিজ তারকাদের সবকিছু নিয়েই দর্শকের আগ্রহ থাকে। কোরবানির ঈদের সময় তারা জানতে চান প্রিয় তারকারা কোথায় ঈদ কাটাবেন, কি পোশাক পরবেন, কি খাবেন কিংবা কোথায় ঘুরবেন ইত্যাদি বিষয়। জনপ্রিয় তারকার ঈদের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মাসিদ রণ-

সাফা কবির, মডেল ও অভিনেত্রী
ঈদে আমি খুব একটা সাজগোজ করি না। সাদা ছিমছাম পোশাক পরি। আম্মুকে বাড়ির কাজে সাহায্য করি। তবে ভক্ত দর্শক জানতে চান, আমি ঈদে কিভাবে কাটাচ্ছি, কি খাচ্ছি, কিরকম সাজগোজ করছি। তাই ঈদের দিন বিকেল বেলা আমার ভক্তদের জন্যই স্পেশ্যালি রেডি হই। তখন একটু কালারফুল পোশাক পরা হয়। তবে অনেক বেশি গর্জিয়াস পোশাক আমি পরি না। ঈদের ছবি সবার সঙ্গে শেয়ার করি, ভক্তরা খুশি হন।

সাফা কবির / ছবি: বার্তা২৪

তবে কোরবানির ঈদে আমার ব্যস্ততা বেশ আগে থেকেই শুরু হয়। কারণ অনেকেই জানেন, আমার বাবা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাইরে থাকেন। সব ঈদে তিনি দেশে ফিরতে পারেন না। তাই আমাকে আর মাকেই ঈদ করতে হয়। মায়ের এখন বয়সও হচ্ছে। তাই অনেক কাজে সরাসরি আমাকেই এগিয়ে আসতে হয়। যেমন কোরবানির গরু কেনা। এবারও আমি নিজে হাটে গিয়ে গরু কিনেছি। ঈদের ঠিক আগের দিন শুটিংয়ের সব ব্যস্ততা শেষ করে ফেলেছি। এরপর গরুর হাটে গিয়েছি। এই কাজটি করতে প্রথমে ভয় ভয় লাগলেও এখন আমি বেশ উপভোগ করি।

সাফা কবির / ছবি: বার্তা২৪

;

‘গোলাম মামুন’-এর মতো কাজ আগে করিনি : সাবিলা নূর



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
সাবিলা নূর / পোশাক : ট্রেন্ড মার্ট; ছবি : শেখ সাদী

সাবিলা নূর / পোশাক : ট্রেন্ড মার্ট; ছবি : শেখ সাদী

  • Font increase
  • Font Decrease

ওটিটিতে একের পর এক সফল কাজ উপহার দিয়ে চলেছেন নির্মাতা শিহাব শাহীন। সেই নির্মাতার ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে নির্মিত ওয়েব সিরিজ ‘গোলাম মামুন’-এর প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর। সিরিজটি এরইমধ্যে (গত ১৩ জুন) হইচই প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে। এই সিরিজ ও সমসাময়িক বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন মাসিদ রণ

সাবিলা নূর / পোশাক : ট্রেন্ড মার্ট; ছবি : শেখ সাদী

‘গোলাম মামুন’ চলছে হইচইতে। সিরিজটি নিয়ে কিছু বলুন...


প্রতি ঈদে চেষ্টা করি দর্শককে ভিন্ন ধাচের কাজ উপহার দেওয়ার। এবার ঈদে ‘গোলাম মামুন’ তেমনি একটি কাজ। এটি আমার অভিনয় ক্যারিয়ারে সত্যিই একটি ভিন্নরকম কাজ। আমি নাটক করার ক্ষেত্রেই আজকাল বাচ-বিচার করি। আর ওটিটিতে কাজের সময় সেটা আরও অনেক গুরুত্বের সঙ্গে করি। নাটকে যে ধরনের চরিত্র বা গল্পে কাজ করি সে ধরনের কাজ ওটিটিতেও করব এটা আমি চাই না, কারণ ওটিটিতে দর্শক টাকা খরচ করে কনটেন্ট দেখেন।

সেদিক থেকে বলতে গেলে, নাটকে আমি এখন পর্যন্ত কোন পুলিশ অফিসারের চরিত্রে কাজ করিনি। ‘গোলাম মামুন’ সিরিজেই প্রথমবার পুলিশের চরিত্রে কাজ করেছি। তাই এই কাজটির প্রতি আমার আলাদা এক ধরনের টান কাজ করেছে। তাছাড়া শিহাব শাহীনের মতো নির্মাতার সঙ্গে তো বরাবরই কাজ করতে চাই। কারণ তার নির্মাণে আমি একাধিক সফল নাটকে অভিনয় করেছি। অপূর্ব ভাইয়ার সঙ্গেও তো অনেক কাজের অভিজ্ঞতা আছে। ওটিটিতে এটাই তাদের সঙ্গে প্রথম কাজ। এক ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল কাজটির মধ্যে। এক ধরনের চমকও রয়েছে। সিরিজটি তো এখন দর্শকের জন্য উন্মুক্ত হয়েই গেছে। সবাইকে দেখার আমন্ত্রন জানাচ্ছি।

সাবিলা নূর / পোশাক : ট্রেন্ড মার্ট; ছবি : শেখ সাদী

‘গোলাম মামুন’-এর সাড়া কেমন পাচ্ছেন?


মুক্তির পর অন্তর্জালে দারুণ প্রশংসা কুড়াচ্ছে সিরিজটি, খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। গল্প, নির্মাণ এবং অভিনয়ের প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন দর্শক। আমাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করানোর জন্য অনেকেই অভনয়ের প্রশংসা করছেন।

সাবিলা নূর / পোশাক : ট্রেন্ড মার্ট; ছবি : শেখ সাদী

গণমাধ্যমে এসেছে, এই সিরিজে অপূর্বর নায়িকা শার্লিন ফারজানা। তাহলে আপনি কি করছে এখানে?


আসলে যদি কেউ এ কথা বলে থাকেন তাহলে সেটি ভুল তথ্য! কারণ এখানে গোলাম মামুনের কোন নায়িকা নেই। আসলে সিরিজের গল্পটাই এমন যে নায়ক-নায়িকা থাকার দরকার নেই, সবাই যার যার চরিত্র প্লে করেছেন।

সাবিলা নূর / পোশাক : ট্রেন্ড মার্ট; ছবি : শেখ সাদী

অনেকেই ওটিটিতে কাজ করছেন বলে টিভি নাটক থেকে একদম দূরে সরে যাচ্ছেন। আপনাকেও কি এবারের ঈদে কোন নাটকে দেখা যাবে না?


একদমই আমার ক্ষেত্রে তেমনটি ঘটেনি। আমি নাটকের মেয়ে, নাটক থেকেই দর্শক আমাকে আপন করে নিয়েছেন। ফলে নাটক আমি ছাড়ার প্রশ্নই নেই। আমার কথা হলো, যে মাধ্যমে ভালো গল্প ও চরিত্র পাবো, সেই মাধ্যমেই কাজ করবো। এবার ঈদেও তাই করেছি। গোলাম মামুন-এর শুটিং আগেভাগে শেষ হওয়ায় আমি ঈদের বেশকিছু নাটক করার সুযোগ পেয়েছি। তারমধ্যে একটি নাটকের কথা এরইমধ্যে অনেকে জেনে ফেলেছেন। নাটকটির নাম ‘প্রিন্সেস ডায়না’। পরিচালনা করেছেন নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল। পার্থ শেখ নামে একজন নতুন অভিনেতার বিপরীতে কাজ করেছি এই নাটকে। এছাড়া পার্থর সঙ্গে ইমরাউল রাফাতের আরেকটি নাটকে অভিনয় করেছি। ‘সুতো’ নামের সেই নাটকে ইরেশ যাকেরও অভিনয় করেছেন।

জুনায়েদ বোগদাদির সঙ্গে এস আই মজুমদারের একটি নাটক করেছি, নাম ‘দ্বিতীয় আলো’। আবু হুরায়রা তানভীরের সঙ্গে করেছি ‘অর্ধাঙ্গীনি’ নামের একটি নাটক। গুণী অভিনেতা শ্যামল মাওলার সঙ্গে এর আগে আশফাক নিপুণের ‘কষ্টনীড়’ ওয়েব সিরিজে ভাই বোনের চরিত্রে কাজ করেছিলাম। তবে এবারই প্রথম নায়ক-নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেছি একটি নাটকে। পরিচালনা করেছেন রাজীব পিয়ালের এই নাটকটির নাম ‘মাকড়শা’।

সাবিলা নূর / পোশাক : ট্রেন্ড মার্ট; ছবি : শেখ সাদী

‘প্রিন্সেস ডায়না’ নাটকের অভিজ্ঞতা কেমন?


এ নাটকে আমি যাত্রাপালার প্রিন্সেসের চরিত্রে কাজ করেছি। ছোটবেলা থেকেই নাচ করে আসছি। অভিনয়ের পাশাপাশি এখনো মঞ্চে নাচটা নিয়মিত করি। তবে যাত্রাপালার এই নাচ আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। এটি একটু ভিন্ন আঙ্গিকের নাচ। তারপরও নাচ জানা হিসেবে নতুন নাচের এই মুদ্রা আমাকে বাড়তি সুবিধা দিয়েছে। চরিত্রটির মধ্যে একটা চ্যালেঞ্জ আছে। বাস্তবে আমাদের সমাজে যাত্রাপালার নৃত্যশিল্পী বা নর্তকীর প্রতি গ্রাম্য প্রভাবশালীদের লোলুপ দৃষ্টি থাকে। তারা এই সব নারীকে ভোগবিলাসে ব্যবহার করতে চান। নাটকেও প্রিন্সেস ডায়ানার প্রতি সেই দৃষ্টিভঙ্গি প্রভাবশালীদের আছে। কাজটি করতে এসে নতুন কিছু শিখতে পরেছি। এ ধরনের নতুন গল্পে, নতুন চরিত্রে কাজটি করতে ভালোই লাগছে। নাটকটি চ্যানেল আইয়ের ঈদ অনুষ্ঠানমালায় প্রচারের কথা রয়েছে।

সাবিলা নূর / পোশাক : ট্রেন্ড মার্ট; ছবি : শেখ সাদী

নায়ক ছাড়া একটি নাটক করেছেন শুনলাম। সেটি নিয়ে একটু বিস্তারিত শুনতে চাই...


মুরসালিন শুভর পরিচালনায় ওই নাটকটির নাম ‘রাত বাকী’। শুটিং করেছি ময়মনসিংহের কবি নজরুল বিশ^বিদ্যালয়ে। শুধু তাই নয়, আমাদের কাস্ট এন্ড ক্রু সবই ছিল ওই বিশ^বিদ্যালয়ের নাট্যকলার শিক্ষার্থীরা। তারা তো সবাই একাডেমিকভাবে কাজটি শিখেছে। ফলে তাদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাই আলাদা। আমার তো ভীষণ ভালোলেগেছে এমন তরুণ সব মেধাবীদের সঙ্গে কাজ করতে পেরে। ভবিষ্যতে তাদের সঙ্গে আরও কাজ করতে চাই। ৪০ মিনিটের এই নাটকটি আবর্তিত হয়েছে আমার চরিত্রকে কেন্দ্র করে। সেখানে কোন পুরুষ প্রোটাগনিস্ট নেই। আশা করছি কাজটি যারা দেখবেন, তাদের ভাবনায় নতুন মাত্রা যোগ হবে।

;

দেখুন ৮ তারকার বাবার পুরস্কারপ্রাপ্তির মুহূর্তগুলো



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
গর্বিত বাবা পুরস্কারস্থলে বাবাকে নিয়ে সিয়াম আহমেদ ও দিব্য-সোম্য / ছবি : শেখ সাদী

গর্বিত বাবা পুরস্কারস্থলে বাবাকে নিয়ে সিয়াম আহমেদ ও দিব্য-সোম্য / ছবি : শেখ সাদী

  • Font increase
  • Font Decrease

সন্তানের জীবনে বাবা মায়ের ভূমিকা কতোখানি সে কথা নতুন করে বলার প্রয়োজন পড়ে না।

বাবাকে সম্মানিত করতে পেরে আনন্দে আত্মহারা চিত্রনায়িকা তমা মির্জা / ছবি : শেখ সাদী

তবে বাবারা খানিকটা মুখচোরা স্বভাবের হন।

সাবিলা নূরের বাবা আছেন বড় বোনের কাছে আমেরিকায়। তাই সাবিলা একাই অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন। পরে বাবাকে চমকে দেবেন!

দায়িত্বের বোঝা সামলাতে সামলাতে তারা হাসতেই ভুলে যান।

সাফা কবির / ছবি : শেখ সাদী / ছবি : শেখ সাদী

সন্তানের সঙ্গে কারও কারও তৈরী হয় অদৃশ্য দেয়াল!

অসুস্থ বাবাকে নিয়ে মঞ্চে ওঠেন অভিনেত্রী রুনা খান / ছবি : শেখ সাদী

তারপরও সন্তানের জীবনে বটগাছের ছায়া হয়ে তারাই ঠাই দাঁড়িয়ে থাকেন।

পুরস্কার গ্রহণ করছেন এষা ইউসুফ ও নাসিরউদ্দিন ইউসুফ / ছবি : শেখ সাদী

নিজের সন্তান যখন সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত হয় তখন বাবাদের মতো বুকটা গর্বে ভরে ওঠে।

সিয়াম আহমেদ ও তার বাবা নাসির উদ্দিন আহমেদ এসেছিলেন ম্যাচিং পোশাক পরে / ছবি : শেখ সাদী

তেমনি বাবাদের বিগত দুই বছর ধরে ‘গর্বিত বাবা সম্মাননা’ দিয়ে আসছে গর্বিত বাবা ফাউন্ডেশন।

পরিবারের চারজনই তারকা- শাহনাজ খুশি, বৃন্দাবন দাস, দিব্য ও সোম্য / ছবি : শেখ সাদী

এবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো এই আয়োজনের তৃতীয় আসর।

বাবার পুরস্কার হাতে রুনা খান / ছবি : শেখ সাদী

বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল সন্তানদের বাবারা পাবেন এই সম্মাননা। তারমধ্যে রয়েছেন শোবিজ অঙ্গনের ৮ জন তারকার বাবা।

সাবিলা নূর/ ছবি : শেখ সাদী

 এই তারকারা হলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা সিয়াম আহমেদ ও অভিনেত্রী রুনা খান এবং তমা মির্জা, ছোটপর্দার অন্যতম জনপ্রিয় দুই অভিনেত্রী সাবিলা নূর ও সাফা কবির, ওটিটি-চলচ্চিত্রের প্রতিশ্রুতিশীল দুই তারকা সৌম্য জ্যোতি ও দিব্য জ্যোতি এবং মঞ্চ নাটকের অন্যতম অভিনেত্রী ও নির্দেশক এষা ইউসুফ।

সাফার বাবা থাকেন বিদেশে। তাই একাই পুরস্কার গ্রহণ করেন সাফা কবির / ছবি : শেখ সাদী

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গর্বিত বাবাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

বাবা-মা ও ভাইকে নিয়ে তমা মির্জা / ছবি : শেখ সাদী

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন এই আয়োজনের সভাপতি দীলিপ কুমার আগারওয়াল এবং সাধারন সম্পাদক মেহেদী হাসান।

তমা মির্জা ও সাবিলা নূরের খুনসুটি / ছবি : শেখ সাদী

;

ক্যানসার সার্ভাইবার সুজেয় শ্যাম হাসপাতালে ভর্তি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সুজেয় শ্যাম /  ছবি : বার্তা২৪.কম

সুজেয় শ্যাম / ছবি : বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সুরকার ও সংগীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি। শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ১১ জুন তিনি এই হাসপাতালে ভর্তি হন। শুরু থেকেই তাকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেয়ের স্বামী দীপংকর দে। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, তার শ্বশুরের চিকিৎসার জন্য একাধিক বোর্ড মিটিং হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার চিকিৎসার ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিক। এনজিওগ্রাম করার কথা বলেছেন; দেখা যাক। তবে তিনি যে অবস্থা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তার চেয়ে এখন কিছুটা ভালোর দিকে। তার বয়স ৭৯ হয়েছে। সবাই তার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন।’

জানা গেছে, হঠাৎ হঠাৎ তার শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়। হাসপাতালে ভর্তির পরও একবার হয়েছে। তবে এখন কিছুটা ভালো তিনি। ডাক্তাররা বারবার বিভিন্ন পরীক্ষা–নিরীক্ষা করছেন। আজ সকালেও একটা বোর্ড মিটিং হয়েছে। তারা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি আবার ক্যানসার সার্ভাইবার! কিডনির সমস্যাও আছে। তাই ট্রিটমেন্ট করার ক্ষেত্রে অনেক কিছু ভাবতে হচ্ছে ডাক্তারদের। তবে তারা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। 

সুজেয় শ্যাম

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী হিসেবে দেশ স্বাধীনের ৪৫ বছর পর মুক্তিযোদ্ধার সনদ পান সুজেয় শ্যাম। তার আগপর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কোনো ভাতা পেতেন না বরেণ্য এই সুরকার ও সংগীত পরিচালক। দুই বছর ধরে তা পাচ্ছেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শেষ গান এবং পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর প্রথম গানের সুর করেন সুজেয় শ্যাম।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গীতিকার শহীদুল আমিনের লেখা ‘বিজয় নিশান উড়ছে ওই’ গানের সুর ও সংগীত পরিচালনা করেন তিনি। গানটির প্রধান কণ্ঠশিল্পী ছিলেন অজিত রায়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত সুজেয় শ্যামের অন্য গানগুলোর মধ্যে আছে ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি’, ‘রক্ত চাই রক্ত চাই’, ‘আহা ধন্য আমার জন্মভূমি’, ‘আয়রে চাষি মজুর কুলি’, ‘মুক্তির একই পথ সংগ্রাম’ ও ‘শোন রে তোরা শোন’।

;