রাজকে সঠিকভাবে জীবনযাপন করতে বললেন পরী!

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রাজ ও পরী

রাজ ও পরী

তার নিজের জীবন নিয়েই বিতর্কের শেষ নেই। জড়াতে হয়েছে আইনি ঝামেলাতেও। ঢাকাই সিনেমার সেই চিত্রনায়িকা পরীমনিই এবার তার প্রাক্তন স্বামী চিত্রনায়ক শরিফুল রাজকে পরামর্শ দিলেন কিভাবে জীবনযাপন করতে হবে!

রাজের সঙ্গে পরীমনির বিচ্ছেদ হয়েছে প্রায় দুই বছর। বিচ্ছেদর পর থেকে ছেলে পুণ্য পরীমনির কাছেই বড় হচ্ছে। বিচ্ছেদের পর থেকে তাদের দুজনের মুখ দেখা দেখিও বন্ধ ছিল। এত দিনে সন্তানকেও দেখার সুযোগ হয়নি রাজের। এই সময়ে রাজ চুপচাপ থাকলেও, অনেকবারই ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বলেছেন পরী। ছেলের প্রতি দায়িত্ব পালন না করার অভিযোগ তুলে বেশ কয়েকবার দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে রাজের সমালোচনা করেছেন।

বিজ্ঞাপন
পরী, রাজ ও পূণ্য

কিন্তু হঠাৎ করে তাদের দুজনকে ঘিরে দৃশ্যপট যেন পাল্টাচ্ছে, এমন খবরই পাওয়া যাচ্ছে। চলচ্চিত্র পাড়ার এক ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, মাসখানেক হলো রাজ নাকি পরীর বাসায় যাতায়াত করেছেন। এর মধ্যে কয়েকটি অনুষ্ঠানেও দুজনের দেখা হয়েছে। সন্তানকে দেখার জন্য এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার পরীমনির বাসায় গিয়েছেন রাজ।

গতকাল গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি স্বীকারও করেছেন পরীমনি। তিনি বলেন, ‘অন্য একটি বিষয়ের জন্য সে (রাজ) বাসায় এসেছিল। বিচ্ছেদ হওয়ার পর আমার সঙ্গে দেখা হয়নি। আমি দেখা করতেও চাইনি। বাসায়ও আসা মানা ছিল তার। কিন্তু হঠাৎ করেই কিছুদিন আগে আমার বাসায় এসেছিল। সেই সময় বাসা থেকে যাওয়ার আগে তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র আমার বাসায় রয়ে গিয়েছিল। কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে বাসায় এসেছিল। কাগজপত্রগুলো আমি যত্ন করেই রেখে দিয়েছিলাম। এসে নিয়ে গিয়েছে। বেশ অনেকক্ষণই ছিল। এলে তো আর বের করে দিতে পারি না।’

বিজ্ঞাপন
পরীমনি

ছেলের সঙ্গে দেখা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে পরী বলেন, ‘হ্যাঁ, দেখা তো হবেই। তারও তো সন্তান পুণ্য। আমি রান্না করেছিলাম। সবাই মিলে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেছি। এই আরকি।’

তাহলে দুজনের মধ্যে সম্পর্কের জায়গাটা শীতল হয়েছে, বলা যাবে কি, এমন প্রশ্নে পরীমনি বলেন, ‘শীতলের কী আছে। আর শীতল তো হতেই পারত, কিন্তু সেটি মেইনটেইন করেনি রাজ। এই শহরে অনেকেরই তো বিচ্ছেদ হয়েছে, হয়। সন্তানকে ঘিরে কি বিচ্ছেদ বাবা-মায়ের দেখা-সাক্ষাৎ হয় না? কথা হয় না? সন্তানকে ঘিরে সুন্দর সময়ও কাটে না বাবা-মায়ের? কিন্তু রাজের বিষয়টি ভিন্ন। ও বাচ্চাকে সময় দেয়নি। সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেয়নি। শখ করেও কোনো দিন সন্তানকে খেলনা পর্যন্ত কিনে দিতে দেখলাম না। ঠিকমতো খবরই তো রাখেনি। আমার মনে হয়, সন্তানের মর্মই ও বোঝে না।’

রাজ, পরী ও পূণ্য

পরীমনি আরও বলেন, ‘কয়েক দিন তো দেখলাম। রাজ পুণ্যকে কোলে নিতে চাইলে ওভাবে রাজকে বাবা হিসেবে চিনতে পারে না এখন। অথচ আগে রাজ ছাড়া পুণ্য কিছুই বুঝত না। এটি রাজের জন্য নির্মম।’ এই নায়িকার মন্তব্য, ‘সব কথার শেষ কথা, রাজের সাফল্যেও আমার যায় আসে না, ব্যর্থতাতেও নয়। সে তো আমার জীবনে অতীত। সে এখন আমার কাছে ঘৃণার পাত্র।’

এদিকে ঘৃণা করলেও রাজকে সঠিকভাবে জীবনযাপনের পরামর্শ দিয়েছেন পরীমনি। কারণ, সন্তানের বাবা হিসেবে তার কার্যকলাপের বিষয়টিও সন্তানের ওপর পড়ে। \

পরীমনি