যুবকের মৃত্যুর জন্য দায়ী ‘কে পপ’!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘কে পপ’-এর অন্যতম জনপ্রিয় দল ব্ল্যাকপিঙ্ক

‘কে পপ’-এর অন্যতম জনপ্রিয় দল ব্ল্যাকপিঙ্ক

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ কোরিয়া ও উত্তর কোরিয়ার শত্রুতা বহুদিনের। এবার এই শত্রুতার বলি হতে হলো ২২ বছর বয়সী এক যুবককে।

সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০২২ সালে কে-পপ গান শোনা এবং দক্ষিণ কোরিয়ান চলচ্চিত্র দেখার অপরাধে এক যুবককে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। তথ্যটি ৬৪৯ জন উত্তর কোরিয়া ত্যাগ করা ব্যক্তির সাক্ষ্য থেকে নেয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াংহাই প্রদেশের সেই যুবকের বিরুদ্ধে ৭০টি কে-পপ গান শোনা এবং ৩টি দক্ষিণ কোরিয়ান সিনেমা দেখার অভিযোগ রয়েছে।

উত্তর কোরিয়ায় বিনোদনের পেছনে অতিরিক্ত খরচ করা নিষিদ্ধ। যারা এই নিয়ম লঙ্ঘন করে, তাদের কঠিন শাস্তি দেয়া হয়। উত্তর কোরিয়ার বাসিন্দাদেরকে পশ্চিমী সংস্কৃতি থেকে দূরে রাখার জন্যই এই আইন করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার সরকার মনে করে কে-পপ গান শুনলেও জনগণের ওপরে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

‘কে পপ’-এর আইকন বিটিএস

প্রতিবেদনটিতে মূলত বাইরের সংস্কৃতির প্রবাহকে আটকানোর জন্য পিয়ংইয়ংয়ের মরিয়া প্রচেষ্টাকে তুলে ধরা হয়েছে। নববধূদের সাদা পোশাক পরা, বরের সানগ্লাস পরা বা ওয়াইন গ্লাস থেকে অ্যালকোহল পান করা এসব বিষয়কে দক্ষিণ কোরিয়ার রীতি হিসেবে দেখা হয়। স্কিনি জিন্স এবং টি-শার্টের পাশাপাশি রঙ্গিন বা লম্বা চুলেও নিষেধাজ্ঞা আছে উত্তর কোরিয়ায়।

তথ্যসূত্র : দ্য গার্ডিয়ান

১০০ টা কাজ করে লাভ কী যদি আলোচনাই না হয়: তাহমিনা অথৈ



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
তাহমিনা অথৈ / ছবি: নূর এ আলম

তাহমিনা অথৈ / ছবি: নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

গুণী নির্মাতা সাইদুল আনাম টুটুলের ‘কালবেলা’ চলচ্চিত্র দিয়ে শোবিজে পা রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যায়ের নাট্যকলায় পড়াশুনা করে আসা অভিনেত্রী তাহমিনা অথৈ। এরপর কাজ করেছেন শুধুই সিনেমায়। এবার আসছেন ওয়েব প্ল্যাটফর্মে। বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি

তাহমিনা অথৈ / ছবি: নূর এ আলম

ব্যস্ততা কি নিয়ে?


অভিনয় নিয়েই আমার ব্যস্ততা। সম্প্রতি একটি ওয়েব সিরিজের শুটিং শেষ করেছি। কাজটির জন্য আমাকে লম্বা সময় ধরে প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। কারণ চরিত্রটির জন্য অনেক বেশি ওজন বাড়াতে হয়েছে। শারিরিক গড়নের এতোটাই পরিবর্তন করতে হয়েছে যে অনেকে আমাকে দেখলে চিনতেই পারবেন না। এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া একজন অভিনয়শিল্পীর জন্য কঠিন। কারণ, একটি কাজের জন্য এতোটা সময় দিতে হয় যে অন্য কাজ হাতছাড়া হয়। কিন্তু আমি অতোসব না ভেবে শুধুমাত্র অভিনয়টাকে ভালোবেসেই কাজটি করেছি। চরিত্রের প্রতি নিমগ্নতা না থাকলে অভিনয়টাকে পুরোপুরি ভালোবাসা যায় না।

তাছাড়া ১০০ কাজ করেও যদি আলোচনায় না আসা যায়, আমার ডেডিকেশন কতোখানি তা মানুষ দেখতেই না পারে তাহলে সেই ধরনের কাজ করে কি লাভ? একটি কাজ করেও আলোচনায় আসা যায় যদি করার মতো করা যায়। তবে এই সিরিজটি নিয়ে স্পষ্ট করে এখনই কোন তথ্য দিতে পারবো না।  সিরিজটি খুব জলদি আসবে, তার আগে প্রযোজনা সংস্থা থেকেই সবাইকে জানানো হবে।

তাহমিনা অথৈ / ছবি: নূর এ আলম

আরও দুটি ছবির কাজ ধরেছিলেন। সেগুলোর কী অবস্থা?


হ্যাঁ। প্রখ্যাত নির্মাতা সালাহউদ্দিন জাকীর ‘অপরাজিত একা’ ছবিটির শুটিং ডাবিং সবটাই শেষ হয়েছে। এরপর তো জাকী স্যার চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তাই ছবিটি আর মুক্তি পায়নি। এটি ইমপ্রেস টেলিফিল্মসের ছবি। ছবিটি কবে আসবে তারাই ভালো জানে। এই ছবিতে আফজাল হোসেন, দীপা খন্দকারসহ অনেক গুণী শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এছাড়া শেখ রায়হান পরিচালিত ‘চট্টলা এক্সট্রেস’ নামের একটি ছবি শুরু করেছিলাম চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদের বিপরীতে। এরমধ্যে ছবিটির আর্ট ডিরেক্টর মারা গেছেন। তাই সেই কাজটিও আপাতত বন্ধ আছে।
সিনেমার বাইরে বেশকিছু টিভিসি ও ওভিসির কাজ করা হয়েছে। আমি ভাগ্যবান যে খুব কম কাজ করলেও যেগুলো করেছি তাতে দর্শকের দারুণ সাড়া পেয়েছি।

তাহমিনা অথৈ / ছবি: নূর এ আলম

অভিনয় আপনার পেশা। এতো কম কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করা কষ্টসাধ্য হয়ে যায় না?


বেছে বেছে ভালো কাজ করতে গেলে আমাদের মতো দেশে একটু তো অসুবিধার সম্মুখীন হতেই হয়। কারণ এখানে অনেক মেধাবী শিল্পী রয়েছেন, সেই তুলনায় ভালো কাজের সুযোগ কম। তবে আমি শুধুমাত্র টাকার জন্য অভিনয় করতে আসিনি। অভিনয় নিয়ে লেখাপড়া করেছি, অভিনয়টাকে ভালোবাসার জায়গা থেকেই করতে চাই। কাজের ক্ষেত্রে কোনো কম্প্রমাইজ করতে চাই না। পরিবার থেকেও অনেক টাকা উপার্জনের চাপ নেই। আমি হয়তো প্রতিদিন শুটিং করি না, কিন্তু প্রতিনিয়ত অভিনয়ের চর্চার মধ্যেই থাকি।

তাহমিনা অথৈ / ছবি: নূর এ আলম

সেই চর্চাটা কি রকম? কোন থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত আছেন?


শুধু থিয়েটার আর ক্যামেরার সামনে অভিনয় করা মানেই সব না। অভিনয়চর্চার আরও নানা উপায় রয়েছে। পড়াশুনা করা, শরীর ঠিক রাখা, কণ্ঠস্বরের চর্চা- এসব তো আমি একাডেমিক্যালি শিখে এসেছি। সেই চর্চাটাই বাড়িতে করতে থাকি। যাতে যে কোন সময় যে কোন চরিত্র পেলে আমি প্রস্তুত থাকি।

তাহমিনা অথৈ / ছবি: নূর এ আলম

নাটকে কিংবা বানিজ্যিক সিনেমায় আপনাকে দেখা যায় না কেন?


নাটকের অফার মাঝেমধ্যেই পাই। কিন্তু আমি নাটকে অভিনয় করিনি। কারণ, প্রতিটি শিল্পীর একটি ভালোলাগার মাধ্যম থাকে যে সে কোন মাধ্যমে নিজেকে দেখতে চায়। আমি বরাবরই নিজেকে বড়পর্দায় দেখতে চেয়েছি। তাই সেদিকেই নজর দিয়েছি। আর বানিজ্যিক সিনেমার কথা বললেন, এ নিয়ে আমার কাছে অন্যরকম ব্যাখ্যা রয়েছে। আমার কাছে প্রতিটি সিনেমাই বানিজ্যিক। কারণ প্রতিটি ছবিই হলে দর্শক টিকিট কেটে দেখেন। এটা ঠিক যে এক একটি গল্পের এক একটি জনরা থাকে। আমি হয়তো এখন জীবনঘনিষ্ট গল্পের সিনেমাতেই বেশি কাজ করছি। আবার যদি এমন কোন ছবিতে প্রস্তাব পাই যেখানে একটু বেশি বিনোদনমূলক এলিমেন্ট রয়েছে সে ধরনের কাজও করতে চাই। তবে যে কাজই করি না কেন আমার গল্প আর চরিত্র পছন্দ হতে হবে।

;

চড়কাণ্ডের চেয়ে নিচে আর নামতে পারিনি: ববি



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
রাশিদ পলাশ ও ববি

রাশিদ পলাশ ও ববি

  • Font increase
  • Font Decrease

গেলো ঈদুল আযহায় মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘ময়ূরাক্ষী’র নির্মাতা ও নায়িকার মারামারির ঘটনা এখন শোবিজের অন্যতম আলোচিত ইস্যু। এ নিয়ে কদিন ঘরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জল ঘোলা হলেও মুখে তালা দিয়ে রেখেছিলেন নির্মাতা রাশিদ পলাশ এবং ইয়ামিন হব ববি দুই পক্ষই।

তবে এবার মৌনতা ভাঙলেন জনপ্রিয় এই চিত্রনায়িকা। একেবারে সংবাদ সম্মেলন করে কথা বলেছেন ঘটনাটি নিয়ে। ববি নিজ মুখেই শিকার করেন যে তিনি নির্মাতা রাশিদ পলাশকে থাপ্পড় মেরেছেন। এই নায়িকার ভাষ্য, ‘চড়কাণ্ডের বাইরে আসলে আর বেশিকিছু হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কারণ, আমি তো এতো নিচে নামতে পারবো না। এতো সস্তা আমি হতেই পারবো না।’

চিত্রনায়িকা ববি

নির্মাতার সঙ্গে সমঝোতা করবেন কিনা জানতে চাইলে ববি বলেন, ‘তার সঙ্গে এমন কিছুই হয়নি যে সমঝোতা করতে হবে। ওখানে যারা ছিলেন তারা ভালো বলতে পারবেন আসলে কতোটুকু ঘটনা ঘটেছিল।’

ববি আরও বলেন, ‘অল্প বয়স থেকে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। এতো বছর এখানে কাজ করছি, সবাই বলেন ববি মেয়ে হিসেবে খুবই ভদ্র। তবে তার মানে এই নয় যে অন্যায় হলে আমি চুপ করে না সহ্য করবো। সে (রাশিদ পলাশ) খুবই অসৎ একজন মানুষ। প্রোডিউসারকে অনেক ভুগিয়েছে। আমাকে যে যে কথা দিয়েছিলো আমি পর্দায় কিংবা পর্দার বাইরে তার কিছুই সেভাবে পাইনি। প্রোডিউসার আমাকে বলেছেন, যে বাজেটে ছবিটি হওয়ার কথা ছিলো তার দ্বিগুণ যে খরচ করে ফেলেছে।’

রাশিদ পলাশ ও ববি

যুক্ত করে ববি বলেন, ‘সে আমার নামে যেসব অভিযোগ এনেছে সবটাই মিথ্যা। আমি তাকে অনেক সাপোর্ট করেছি। এমনও হয়েছে, আমাকে বলেছে আপা আজকে আপনাকে পেমেন্টটা না দিই, প্রোডাকশনের খবচটা আগে চালাই। আমি বলেছি, ঠিক আছে আমার পেমেন্ট পরে দাও। আমার নামে সে প্রোডিউসারের কাছ থেকে বার বার পেমেন্ট নিয়েছে অথচ আমি পুরো পেমেন্টটা এখনো পাইনি! সেই ছেলে এখন এসে যখন আমার নামে এসব কথা বলে সেটি তো আমি মেনে নেব না। তাছাড়া সে যদি পর্দায় ভালো একটি কাজ উপহার দিতে পারতো তাও আমি সব ভুলে যেতাম। সেখানেও সে তেমন কিছুই করতে পারেনি এজন্য দর্শক ছবিটি পছন্দ করেনি। এছাড়া তার নামে প্রযোজকের আরও অভিযোগ রয়েছে।’

;

শুভ জন্মদিন দ্য লেডি সুপারস্টার ‘জয়া আহসান’



তানভীর তারেক
জয়া আহসান / ছবি : ফেসবুক

জয়া আহসান / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ দুই বাংলার নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসানের জন্মদিন। সারাটাদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় শুধু জয়ার ছবিই ঘুরছে। ভক্ত থেকে সহকর্মী, সাংবাদিক - সবাই তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছায় সিক্ত করছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলা সিনেমা দিয়ে খ্যাতি পাওয়া এই তারকাকে নিয়ে লিখেছেন মেধাবী গীতিকার, সুরকার, কম্পোজার, উপস্থাপক ও সাংবাদিক তানভীর তারেক

জয়া আহসান ও তানভীর তারেক, ছবি লোকেশন : কলকাতা, ক্লিক : সুরঞ্জনা

জয়া’কে আমি ফিলসফার হিসেবে মানি।

আমরা হরহামেশাই বলি- শিল্পীদের বিনয়ী হতে হয়।

এটা খুবই ভুল তত্ত্ব।

শুধু শিল্পী কেন? মানুষ মাত্রই বিনয়বচন, বিনয়বতার তার ভেতরে ধারণ করা খুব প্রয়োজন।

প্রশ্ন হল- আমরা এখন অনেকেই খুব বিনয়ী হবার অভিনয় করি। কিন্তু মনে মনে একেকটা খাড়া ইবলিশ!

জয়া আহসান / ছবি : ফেসবুক

যাই হোক, মানুষ জয়ার ভেতরে ভান কম। সে সরল। সাবলীল। সহজ। ওর সাথে আমার পরিচয়ের বয়স দেড় যুগের বেশি হয়ে গেল।

জয়া আহসানের অভিনয়ের জার্নিকে কেউ কেউ ঈর্ষা করে। কিন্তু মুশকিল হল, ওর স্ট্রাগলকে তারা আবার মেপে দেখতে চায় না। চাইলে এদেশে আরো এমন শিল্পী তৈরি হতো।

জয়া একটা দারুণ কথা বলে, ‘আমি দৌড়াতে চাই না। দৌড়ালে পথ দ্রুত শেষ হয়ে যায়।’

জয়া’র সাথে আমার একাধিকবার নানান বিষয়ে অন ক্যামেরা/ অফ ক্যামেরা আড্ডা হয়েছে। এত বড় শিল্পী- তাই এভাবে বলা ভাল যে, আমি তার সাথে আড্ডার সুযোগ পেয়েছি বা সে সেই সুযোগটা আমাকে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে ৫ম বারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার গ্রহণ করছেন জয়া আহসান

এক আড্ডায় জয়া বলেছিল, ‘তানভীর ভাই , আমি হাঁসের মতো। সারাদিন কাঁদা, পোকা মাকড়ের ভেতরে হাঁটি, ডুবি ভাসি। আবার ডাঙায় এলেই একবারে ঝেড়ে সব ফেলে দিই। কিছু মনে রেখে চলি না।’

কথাটা যখন ওর বাসায় ধারণ করি তখন বুঝিনি, পরে এডিটর যখন এডিট করছে তখন বারবার দেখি! কিভাবে বললো এমন কথা!

জয়া বাংলা ছবির যে পর্যায়ে হাঁটছে তার এই শিল্পযাত্রা সুচিত্রা সেনের পরে কেউ এমন একাই এ পথে এতোটা দূর হাটেনি। এটা আমি অন রেকর্ড একদিন বলেছিলাম কোনো এক অনুষ্ঠানে। সে অনুষ্ঠানে জয়া ছিল না। এক নির্মাতার সাথে আড্ডায় বলেছিলাম।

ঐ ক্লিপ দেখে শীর্ষস্থানীয় এক নায়িকা আমাকে ফোন দিয়ে নানান আদেশ-উপদেশ, বেসুরো ধমক! সিনেমা নিয়ে আপনার অনেক জ্ঞান আছে আগে জানতাম। কিন্তু কী সব মূর্খের মতো কথা বলেন আজকাল। জয়া কেন ? ও অভিনয় জানে নাকি! আপনার মাথা গ্যাছে নাকি। এই বলে- তিনি নিজে কী কী অর্জন করেছেন, সেই গল্প আমাকে বলা শুরু করলেন।

তারপর থেকে আমি অফিশিয়ালি জয়া আহসানকে বাংলাদেশের লেডি সুপারস্টার হিসেবে সম্বোধন করি।

জয়ার ঘরে রয়েছে ভারতের সম্মানজনক তিনটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার

তার মাস কয়েক পরে কোনো এক অনুষ্ঠানে জয়া আর সেই শীর্ষ নায়িকা একসাথে কোনো এক ঘটনাচক্রে। সেখানে পারলে জয়াকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয় সে! বলতে থাকে- তোমাকে আমার কী যে ভাললাগে, কেমন করে করো এমন দারুণ অভিনয়!

আগে এসব দৃশ্যে অবাক হতাম। টাফনিল খেয়ে টেয়ে মাথা ঠিক রাখতে হত। এখন আর অবাক হই না। অভ্যেস হয়ে গেছে।

আমরা অনেকটা এরকমই যে, আপনি আমার নীচের অবস্থানে যতদিন আছেন বা থাকবেন ততদিন আপনাকে খুব প্রশংসা করে যাবো। যেই আপনি আমাকে ছাড়িয়ে যাবেন তখনই ছেলেটা/মেয়েটা খুব খারাপ, দিনকে দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ আমরা নিজেকে ছাড়িয়ে যাক এটা কখনও নিতে পারি না।

সমস্যা হলো - জয়া আহসান অনেক আগেই এখনকার সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন। তাই এখন তার ঐ হাঁস হয়ে উঠা ছাড়া উপায়ও নাই। আবার অহংকারও তাকে মাটি থেকে আড়াল করেনি কখনও।
আমরা এই সোস্যাল মিডিয়ার জমানায় অদ্ভুত এক কামড়া-কামড়ি কালচারে বাস করছি। কারণ আমাদের অনেকের হাতেই কাজ কম, ক্ষুধা বেশি। তাই আজাগা কুজায়গায় কামড়িয়ে চলেছি।
এটা হয়ত সময়ের দোষ।

বলিউডের অন্যতম শক্তিমান অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠীর সঙ্গে হিন্দি সিনেমা ‘কড়ক সিং’-এ অভিনয় করেছেন জয়া

বাংলা নাটকের জয়া আহসান থেকে ঢাকাই ফিল্মের জয়া আহসান অত:পর কলকাতার আবর্তের জয়া’র যে জয় যাত্রা- সর্বাধিক ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তি, সর্বাধিক ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তি।
তার এই জার্নিকে আপনি প্রশংসা না-ই করে থাকতে পারবেন। কিন্তু অস্বীকার করতে পারবেন না।

আমরা এখন শিল্পীদের কেউ কেউ একটা-দুইটা হিট হলেই গণমাধ্যমের সাথে আড়াল থাকার খুব চেষ্টা করি। পা অনেকটা মাটি থেকে উপরে রেখে হাঁটার অভ্যেস করি। এতে সে যে ক্রমেই নিজেকে হারিয়ে ফেলে তা বুঝে উঠতে পারে না। গণমাধ্যমকে ফেস করা আর ঠিকঠাকভাবে ফেস করার ভেতরে অনেক পার্থক্য। যা জয়া খুব সুন্দর করে মেনটেইন করে।

জানেন তো! শিল্পীকে সফল না স্বার্থক হতে হয়। কারণ জীবনে একটা কাজে সফল হবেন আবার পরের কাজে ব্যর্থ, তার পরে হয়ত অ্যাভারেজ।

জয়া আমাদের দেশের এক স্বার্থক শিল্পী। একটা মানুষ পুরোপুরি সহী হতে পারে না। জয়াও না। তবে নিজের কথা, নিজের অর্জনের কথা যে মানুষটি বিভিন্ন পাবলিক ডোমেইনে নিজ মুখে বলা শুরু করবে, ভাববেন- তখন থেকেই সে তার নিজেকে হারিয়ে ফেলা শুরু করেছে। জয়া তার প্রত্যেকটা ইন্টারভিউতে আত্মসমালোচনায় থাকেন। এখানেই মেয়েটা ব্যতিক্রম। অদ্ভুত। অসাধারণ।

গত বছর কলকাতার অন্যতম ব্যবসাসফল ছবি ‘দশম অবতার’-এ জয়া ও প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি

শুভ জন্মদিন দ্য লেডি সুপারস্টার ‘জয়া আহসান’। আপনি এরমই থাইকেন। আপনাকে ভালবাসা।

;

গাড়ি-বাড়ি উপহার পাওয়া নিয়ে মুখ খুললেন মাহি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মাহিয়া মাহি / ছবি : ফেসবুক

মাহিয়া মাহি / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

এক যুগ আগে জাজ মাল্টিমিডিয়ার হাত ধরে সুপারহিট ‘ভালোবাসার রঙ’ ছবির মাধ্যমে শোবিজে আসেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। জাজের ১৬-১৭টি চলচ্চিত্রে দেখা গেছে তাকে মাহিকে। এরপর একটা সময় মাহি ও জাজের কর্ণধার আব্দুল আজিজের প্রেমের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে এবং নানা বিতর্কে সে সময় জাজ থেকে বেরিয়ে যান মাহি।

সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার জানিয়েছেন, মাহিকে তিনি দুটি গাড়ি ও একটি ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছিলেন। এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এতদিন কথা না বললেও এবার বিষয়টি নিয়ে এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন নায়িকা।

মাহিয়া মাহি / ছবি : ফেসবুক

আব্দুল আজিজের কাছ থেকে গাড়ি-বাড়ি উপহার পাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মজার ছলে মাহিয়া মাহি বলেন, ‘চারটা ছিল! কেন কমিয়ে বলল!’ এরপর নায়িকা বলেন, ‘অগ্নিকন্যা-এই ট্যাগটা যারা আমার নামের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে, আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। সুতরাং আমি একবার যাদের কাছে কৃতজ্ঞ, তাদেরকে কখনোই খাটো করে কথা বলতে চাই না এবং আমি পারবও না। আজিজ ভাই থেকে শুরু করে পুরো জাজ মাল্টিমিডিয়া, তারা আমাকে আজকের মাহিয়া মাহি বানিয়েছে। সুতরাং ফ্ল্যাট, গাড়ি-এগুলোতো অনেক ক্ষুদ্র বিষয়। তারা যদি এটা বলে থাকে, আমি এ নিয়ে কোনো কিছু বলব না। আমার কাছে জাজকে অনেক সম্মানের একটা জায়গায় রেখেছি, আজীবন রাখব; এটা নিয়ে কোনো কিছু বলব না।’

মাহিয়া মাহি / ছবি : ফেসবুক

মাহি জানিয়েছেন, জাজকে তিনি যে সম্মান দেন, ঠিক তেমনটাই আশা করেন জাজের কাছ থেকেও। আব্দুল আজিজের উদ্দেশে অনুরোধ করে মাহি বলেন, ‘আমি যেহেতু আপনাদেরকে (জাজ) সম্মান করি, সেই সম্মানটা আমিও চাইব যে আপনারাও আমাকে সবসময় দিয়ে আসবেন। আমি তাদেরকে অনুরোধ করছি, আমার মনে হয় সামনে এ ধরনের কোনো কিছু আর শোনা যাবে না।’

;