শুভ জন্মদিন দ্য লেডি সুপারস্টার ‘জয়া আহসান’



তানভীর তারেক
জয়া আহসান / ছবি : ফেসবুক

জয়া আহসান / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ দুই বাংলার নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসানের জন্মদিন। সারাটাদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় শুধু জয়ার ছবিই ঘুরছে। ভক্ত থেকে সহকর্মী, সাংবাদিক - সবাই তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছায় সিক্ত করছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলা সিনেমা দিয়ে খ্যাতি পাওয়া এই তারকাকে নিয়ে লিখেছেন মেধাবী গীতিকার, সুরকার, কম্পোজার, উপস্থাপক ও সাংবাদিক তানভীর তারেক

জয়া আহসান ও তানভীর তারেক, ছবি লোকেশন : কলকাতা, ক্লিক : সুরঞ্জনা

জয়া’কে আমি ফিলসফার হিসেবে মানি।

আমরা হরহামেশাই বলি- শিল্পীদের বিনয়ী হতে হয়।

এটা খুবই ভুল তত্ত্ব।

শুধু শিল্পী কেন? মানুষ মাত্রই বিনয়বচন, বিনয়বতার তার ভেতরে ধারণ করা খুব প্রয়োজন।

প্রশ্ন হল- আমরা এখন অনেকেই খুব বিনয়ী হবার অভিনয় করি। কিন্তু মনে মনে একেকটা খাড়া ইবলিশ!

জয়া আহসান / ছবি : ফেসবুক

যাই হোক, মানুষ জয়ার ভেতরে ভান কম। সে সরল। সাবলীল। সহজ। ওর সাথে আমার পরিচয়ের বয়স দেড় যুগের বেশি হয়ে গেল।

জয়া আহসানের অভিনয়ের জার্নিকে কেউ কেউ ঈর্ষা করে। কিন্তু মুশকিল হল, ওর স্ট্রাগলকে তারা আবার মেপে দেখতে চায় না। চাইলে এদেশে আরো এমন শিল্পী তৈরি হতো।

জয়া একটা দারুণ কথা বলে, ‘আমি দৌড়াতে চাই না। দৌড়ালে পথ দ্রুত শেষ হয়ে যায়।’

জয়া’র সাথে আমার একাধিকবার নানান বিষয়ে অন ক্যামেরা/ অফ ক্যামেরা আড্ডা হয়েছে। এত বড় শিল্পী- তাই এভাবে বলা ভাল যে, আমি তার সাথে আড্ডার সুযোগ পেয়েছি বা সে সেই সুযোগটা আমাকে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে ৫ম বারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার গ্রহণ করছেন জয়া আহসান

এক আড্ডায় জয়া বলেছিল, ‘তানভীর ভাই , আমি হাঁসের মতো। সারাদিন কাঁদা, পোকা মাকড়ের ভেতরে হাঁটি, ডুবি ভাসি। আবার ডাঙায় এলেই একবারে ঝেড়ে সব ফেলে দিই। কিছু মনে রেখে চলি না।’

কথাটা যখন ওর বাসায় ধারণ করি তখন বুঝিনি, পরে এডিটর যখন এডিট করছে তখন বারবার দেখি! কিভাবে বললো এমন কথা!

জয়া বাংলা ছবির যে পর্যায়ে হাঁটছে তার এই শিল্পযাত্রা সুচিত্রা সেনের পরে কেউ এমন একাই এ পথে এতোটা দূর হাটেনি। এটা আমি অন রেকর্ড একদিন বলেছিলাম কোনো এক অনুষ্ঠানে। সে অনুষ্ঠানে জয়া ছিল না। এক নির্মাতার সাথে আড্ডায় বলেছিলাম।

ঐ ক্লিপ দেখে শীর্ষস্থানীয় এক নায়িকা আমাকে ফোন দিয়ে নানান আদেশ-উপদেশ, বেসুরো ধমক! সিনেমা নিয়ে আপনার অনেক জ্ঞান আছে আগে জানতাম। কিন্তু কী সব মূর্খের মতো কথা বলেন আজকাল। জয়া কেন ? ও অভিনয় জানে নাকি! আপনার মাথা গ্যাছে নাকি। এই বলে- তিনি নিজে কী কী অর্জন করেছেন, সেই গল্প আমাকে বলা শুরু করলেন।

তারপর থেকে আমি অফিশিয়ালি জয়া আহসানকে বাংলাদেশের লেডি সুপারস্টার হিসেবে সম্বোধন করি।

জয়ার ঘরে রয়েছে ভারতের সম্মানজনক তিনটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার

তার মাস কয়েক পরে কোনো এক অনুষ্ঠানে জয়া আর সেই শীর্ষ নায়িকা একসাথে কোনো এক ঘটনাচক্রে। সেখানে পারলে জয়াকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয় সে! বলতে থাকে- তোমাকে আমার কী যে ভাললাগে, কেমন করে করো এমন দারুণ অভিনয়!

আগে এসব দৃশ্যে অবাক হতাম। টাফনিল খেয়ে টেয়ে মাথা ঠিক রাখতে হত। এখন আর অবাক হই না। অভ্যেস হয়ে গেছে।

আমরা অনেকটা এরকমই যে, আপনি আমার নীচের অবস্থানে যতদিন আছেন বা থাকবেন ততদিন আপনাকে খুব প্রশংসা করে যাবো। যেই আপনি আমাকে ছাড়িয়ে যাবেন তখনই ছেলেটা/মেয়েটা খুব খারাপ, দিনকে দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ আমরা নিজেকে ছাড়িয়ে যাক এটা কখনও নিতে পারি না।

সমস্যা হলো - জয়া আহসান অনেক আগেই এখনকার সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন। তাই এখন তার ঐ হাঁস হয়ে উঠা ছাড়া উপায়ও নাই। আবার অহংকারও তাকে মাটি থেকে আড়াল করেনি কখনও।
আমরা এই সোস্যাল মিডিয়ার জমানায় অদ্ভুত এক কামড়া-কামড়ি কালচারে বাস করছি। কারণ আমাদের অনেকের হাতেই কাজ কম, ক্ষুধা বেশি। তাই আজাগা কুজায়গায় কামড়িয়ে চলেছি।
এটা হয়ত সময়ের দোষ।

বলিউডের অন্যতম শক্তিমান অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠীর সঙ্গে হিন্দি সিনেমা ‘কড়ক সিং’-এ অভিনয় করেছেন জয়া

বাংলা নাটকের জয়া আহসান থেকে ঢাকাই ফিল্মের জয়া আহসান অত:পর কলকাতার আবর্তের জয়া’র যে জয় যাত্রা- সর্বাধিক ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তি, সর্বাধিক ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তি।
তার এই জার্নিকে আপনি প্রশংসা না-ই করে থাকতে পারবেন। কিন্তু অস্বীকার করতে পারবেন না।

আমরা এখন শিল্পীদের কেউ কেউ একটা-দুইটা হিট হলেই গণমাধ্যমের সাথে আড়াল থাকার খুব চেষ্টা করি। পা অনেকটা মাটি থেকে উপরে রেখে হাঁটার অভ্যেস করি। এতে সে যে ক্রমেই নিজেকে হারিয়ে ফেলে তা বুঝে উঠতে পারে না। গণমাধ্যমকে ফেস করা আর ঠিকঠাকভাবে ফেস করার ভেতরে অনেক পার্থক্য। যা জয়া খুব সুন্দর করে মেনটেইন করে।

জানেন তো! শিল্পীকে সফল না স্বার্থক হতে হয়। কারণ জীবনে একটা কাজে সফল হবেন আবার পরের কাজে ব্যর্থ, তার পরে হয়ত অ্যাভারেজ।

জয়া আমাদের দেশের এক স্বার্থক শিল্পী। একটা মানুষ পুরোপুরি সহী হতে পারে না। জয়াও না। তবে নিজের কথা, নিজের অর্জনের কথা যে মানুষটি বিভিন্ন পাবলিক ডোমেইনে নিজ মুখে বলা শুরু করবে, ভাববেন- তখন থেকেই সে তার নিজেকে হারিয়ে ফেলা শুরু করেছে। জয়া তার প্রত্যেকটা ইন্টারভিউতে আত্মসমালোচনায় থাকেন। এখানেই মেয়েটা ব্যতিক্রম। অদ্ভুত। অসাধারণ।

গত বছর কলকাতার অন্যতম ব্যবসাসফল ছবি ‘দশম অবতার’-এ জয়া ও প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি

শুভ জন্মদিন দ্য লেডি সুপারস্টার ‘জয়া আহসান’। আপনি এরমই থাইকেন। আপনাকে ভালবাসা।

‘তুফান’-এর পর ‘পদাতিক’ নিয়ে আসছেন চঞ্চল চৌধুরী



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
`পদাতিক’ সিনেমার পোস্টার

`পদাতিক’ সিনেমার পোস্টার

  • Font increase
  • Font Decrease

গেলো ঈদুল আযহা মাতিয়েছেন ‘তুফান’ দিয়ে। সুপারস্টার শাকিব খানের সঙ্গে তার টক্কর দারুণ উপভোগ করেছে দর্শক। বলছি দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর কথা। ‘তুফান’-এর বেগ কমতে না কমতেই নতুনভাবে পর্দায় ফিরছেন এই মেধাবী অভিনেতা। 

গত বছর ভারতের কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা মৃণাল সেনের বায়োপিকে নাম লেখিয়ে হইচই ফেলে দেন তিনি। ফার্স্ট লুকের পর থেকেই ভক্তরা অপেক্ষা করছিল চঞ্চলের নতুন চ্যালেঞ্জের ফলাফল দেখার জন্য। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে সেই ছবি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। আগামী ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি পাবে মৃণাল সেনের বায়োপিক সিনেমা ‘পদাতিক’। সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন সৃজিত মুখার্জি।

`পদাতিক’ সিনেমার শুটিংয়ে সহশিল্পীদের সঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী

এই ছবির মাধ্যমেই পূর্ণাঙ্গ কলকাতার ছবিতে অভিষেক হতে যাচ্ছে চঞ্চলের। অবশ্য এর আগে তিনি ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার ছবি ও কলকাতার ওয়েব প্ল্যাটফর্মে কাজ করেছেন।

‘পদাতিক’ সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। ইতোমধ্যেই পোস্টার ও টিজারে মৃণালরূপে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন অভিনেতা। তবে পর্দায় তার মতো ব্যক্তিত্ব তুলে ধরা একেবারেই সহজ নয়। একটু ১৯-২০ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কিংবদন্তি পরিচালককে নিজের মধ্যে ধারণ করা যে কতটা চ্যালেঞ্জিং তা সিনেমার শুটিং শুরু হবার পর থেকেই টের পেয়েছেন চঞ্চল।

`পদাতিক’ সিনেমার পোস্টার

এ সিনেমায় মৃণালের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মনামী ঘোষ। এ ছাড়াও রয়েছেন কোরাক সামান্থা, সম্রাট চক্রবর্তী এবং জিতু কমলসহ অনেকে।

;

৩ কোটি ২৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ, নায়ক শান্তর নামে মামলা



md.nazrul
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৩ কোটি ২৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫০০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে ঢাকাই সিনেমার নায়ক শান্ত খানের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

চলচ্চিত্রে শান্তর অভিষেক ২০১৯ সালে। ২০২১ সালে তার অভিনীত ‘প্রেম চোর’, ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়াঁ ভাই’ নামে দুটি সিনেমা মুক্তি পায়। এছাড়া তিনি বুবুজান ও গ্যাংস্টার নামে আরও দুই সিনেমায় অভিনয় করেছেন। নায়ক শান্ত খান চাঁদপুরের আলোচিত বালুখেকো চেয়ারম্যান ও শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খানের ছেলে।

বুধবার (৩ জুলাই) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. আতাউর রহমান সরকার। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২)(ক) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুদক দুদক সূত্রে জানা যায়, অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিকানা অর্জনের অভিযোগে শান্ত খানের বিরুদ্ধে ২০২২ সাল থেকে অনুসন্ধান করছে দুদক।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি দুর্নীতি দমন কমিশন হতে তার নামে ইস্যুকৃত মূল সম্পদ বিবরণী ফরম ও সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ গ্রহণ করলেও আদেশ মোতাবেক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী কমিশনে দাখিল করেননি। নিজ নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত তিন কোটি চব্বিশ লাখ ছাপ্পান্ন হাজার পাঁচশত টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে আসামির নামে ১৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্যাদি পাওয়া যায়। এছাড়া ২০১৮-২০১৯ করবর্ষ হতে ২০২২-২০২৩ করবর্ষ পর্যন্ত তার পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় পাওয়া যায় ১৯ লাখ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা।

মো. শান্ত খানের পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ অর্জিত মোট সম্পদের পরিমাণ ১৬ কোটি ৮ লাখ ৫২ হাজার টাকা। অন্যদিকে অর্জিত সম্পদের বিপরীতে অনুসন্ধানকালে তার ১২ কোটি ৮৩ লাখ ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা আয়ের উৎসের তথ্যাদি পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে আসামি মো. শান্ত খানের আয় অপেক্ষা অতিরিক্ত সম্পদের পরিমান তিন কোটি চব্বিশ লাখ ছাপ্পান্ন হাজার পাঁচশত টাকা, যা তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ মৰ্মে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়া যায়। 

;

‘ভিক্টোরিয়া’স সিক্রেট’-এর পার্টনার প্রিয়াঙ্কা চোপড়া



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও ‘ভিক্টোরিয়া’স সিক্রেট’ এর ফ্যাশন শোতে জিজি হাদিদ

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও ‘ভিক্টোরিয়া’স সিক্রেট’ এর ফ্যাশন শোতে জিজি হাদিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বখ্যাত অন্তর্বাস সংস্থা ‘ভিক্টোরিয়া’স সিক্রেট’ এর অংশীদার হলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন খবর নিজেই জানিয়েছেন দেশি গার্ল।

এই সুখবর দিয়ে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘ভিক্টোরিয়া’স সিক্রেট’-এর পার্টনার হতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত। কারণ আমরা একসঙ্গে লিঙ্গভিত্তিক সমতার দিকে অগ্রসর হব আর ভিক্টোরিয়া’স সিক্রেট ইমপ্যাক্ট ফান্ডের সঙ্গে মিলে VS20 কমিউনিটির কণ্ঠ হিসেবে কাজ করব।”

‘ভিক্টোরিয়া’স সিক্রেট’ এর ফ্যাশন শোতে বেলা হাদিদ

প্রিয়াঙ্কা জানান, তারা একসঙ্গে ল্যাতিন আমেরিকার মহিলাদের স্বাস্থ্য ও আর্থিক পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন। ইউকের নারীদের কারিগরি শিক্ষাও দেওয়া হবে। আর কলম্বিয়ার নারীরা পাবেন ফেলোশিপ।

অভিনেত্রীর কথায়, “সারা বিশ্বের নারীদের ক্ষেত্রে লিঙ্গভিত্তিক সমতা আর অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য এই ধরনের পার্টনারশিপ প্রয়োজন।”

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

উল্লেখ্য, ১৯৭৭ সালে অর্থার ৪৭ বছর আগে ‘ভিক্টোরিয়া’স সিক্রেট’ শুরু হয়েছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ব্র্যান্ডের সুখ্যাতি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। নয়ের দশকে আবার ‘ভিক্টোরিয়া’স সিক্রেট ফ্যাশন শো’ শুরু হয়। তাতেই ব্র্যান্ডের সাফল্যো আকাশছোঁয়া হয়। সারা বিশ্বের নামী মডেলরা এই ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে থাকেন। এমন ব্র্যান্ডের সঙ্গে এবার প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার নাম যুক্ত হল। তাতেই শুভেচ্ছার বন্যা সোশাল মিডিয়ায়।

;

দুর্নীতির অভিযোগে জরিমানা দিতে চেয়ে নিন্দিত ঋতুপর্ণা!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত / ছবি : ফেসবুক

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

বেশ কদিন ধরে কলকাতার প্রখ্যাত অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। গত মে মাসে রেশন দুর্নীতি মামলায় ঋতুকে তলব করে ভারতীয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অভিনেত্রী বলেছিলেন, রেশন দুর্নীতি কী, সে সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। তবে মাস ঘুরতে না ঘুরতেই নাকি ৭০ লাখ রুপি ফেরত দিতে চেয়ে ইডি বরাবর আবেদন করছেন ঋতুপর্ণা।

উল্লেখ্য, গত জুন মাসে ইডি কর্মকর্তারা রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে প্রায় ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, যে নথি ইডির কর্মকর্তারা চেয়েছিলেন, তা জমা দিয়েছি। আমি তাদের সহযোগিতা করেছি। তারাও আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। এই দুর্নীতির সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারবো না।

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত / ছবি : ফেসবুক

ইডি সূত্রে জানা গেছে, রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা। ঋতুপর্ণার মাধ্যমে রেশন দুর্নীতির প্রায় ৬০ লাখ রুপি টালিউডে বিনিয়োগ হয়েছে। সেই টাকা ঋতুপর্ণা ফিরিয়ে দিয়েছেন বলেও দাবি করেন। তারপরও ইডিকে কেন ৭০ লাখ রুপি ফেরানোর আবেদন জানালেন, তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।

কলকাতার আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘চুরি না করলে টাকা ফেরত দিচ্ছেন কেন ? ৭০ লাখ টাকা তো মুখের কথা নয়। সাধারণ মানুষের চুরি করা টাকা। কেউ নিজের গাঁট থেকে এমনি এমনি এতগুলো টাকা দেয় না। ক্যামেরার সামনে হাত নেড়ে কী প্রমাণ করতে চাইছেন? আপনি অস্কার পাচ্ছেন না, আপনাকে চোর বলা হচ্ছে। লজ্জাও করে না?’

শ্রীলেখা মিত্র / ছবি : ফেসবুক

নেটিজেনরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কেউ লিখেছেন, ‘কী অবস্থা...! আরও কত নাম বেরোবে দেখে যাও শুধু।’ আবার কেউ ঋতুর পক্ষেও লিখেছেন, ‘এটা বুঝলাম না। তিনি টাকা ফেরত দিচ্ছেন কেন? এমন করতে কারওকে দেখিনি। কত বড় বড় চোর এল গেল! বিদেশে বসে আছে সব।’

এর আগে রোজভ্যালি কেলেঙ্কারিতেও ঋতুপর্ণাকে তলব করেছিল ইডি। রোজভ্যালির সঙ্গে তার লেনদেন হয়েছে বলেও তখন অভিযোগ ওঠে। এবার দেখা যাক, ইডি তার টাকা ফেরতের আবেদন মঞ্জুর করে, নাকি অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের পথে হাঁটে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত / ছবি : ফেসবুক

;