আমরাই বাংলাদেশে প্রথম মিউজিক্যাল ডুয়ো: রোমিও ব্রাদার্স



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘রোমিও ব্রাদার্স' অরূপ ও নয়ন / ছবি: নূর এ আলম

‘রোমিও ব্রাদার্স' অরূপ ও নয়ন / ছবি: নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

বেশিরভাগ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াকে অবসর বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করলেও কারও কারও জীবন বদলে দেয় এই মাধ্যম। তেমনি দুজন অরূপ আর নয়ন। বাংলাদেশের নেটিজেনরা অবশ্য তাদের ‘রোমিও ব্রাদার্স’ নামে চেনে। ফেসবুকে গানের ভিডিও দিয়ে খুব অল্প সময়ে পেয়েছেন পরিচিতি। বার্তা২৪.কমের সঙ্গে সম্প্রতি আড্ডায় বসেছিলেন এই দুই তরুণ শিল্পী। সঞ্চালনা করেছেন মাসিদ রণ

‘রোমিও ব্রাদার্স' অরূপ ও নয়ন / ছবি: নূর এ আলম

মাসিদ রণ : অনেকটা হঠাৎ করেই পরিচিতি পেয়েছেন আপনারা। শুরুটা কিভাবে হয়েছিল?


নয়ন : শুরুটাই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। আমি অরূপের কাছে গীটার শিখতাম। একদিন গীটারের সঙ্গে গান গেয়ে সেই ভিডিও পোস্ট করলাম ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে। মানুষ বেশ পছন্দ করলো। সেই অনুপ্রেরণা থেকেই একের পর এক ভিডিও পোস্ট করতে লাগলাম। একটা সময় আমাদের পরিচিতি সোশ্যাল মিডিয়ার বাইরে চলে গেলো। ডাক পেতে থাকলাম দেশ-বিদেশের স্টেজ শোতে।

নয়ন / ছবি: নূর এ আলম

মাসিদ রণ : আপনারা দুজন তাহলে আপন ভাই নন?


অরূপ : না, আমরা আপন ভাই নই। তবে পারিবারিকসূত্রে আমাদের যোগাযোগ। সমবয়সী না হলেও আমরা আসলে বন্ধু। গানের জন্য সেই বন্ধুত্ব আরও গাঢ় হয়ে এখন আমরা ভাইয়ের মতোই। তাই যখন গান প্রকাশের কথা চিন্তা করলাম, তখন ‘রোমিও ব্রাদার্স’ নামেই শুরু করি।

অরূপ / ছবি: নূর এ আলম

মাসিদ রণ : কোন চিন্তা থেকে প্রথম গানের ভিডিও আপলোড করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়?


অরূপ : এর পেছনে আমাদের একেবারেই কোন চিন্তা-ভাবনা কিংবা পরিকল্পনা ছিলো না। মূলত, আমার বন্ধুরা সবসময় বলতো, ‘তুই এতো ভালো গান করিস, সেগুলো ফেসবুকে কেন পোস্ট করিস না? বড় বড় শিল্পীরাও তো গান গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে!’ তাদের কথাগুলোই এক সময় আমাকে উৎসাহী করে গানের ভিডিও বানাতে। কিন্তু একা সবটা সামলাতে পারবো বলে মনে হচ্ছিল না। এক পর্যায়ে নয়ন ভাইয়াও আমাকে এই ব্যাপারে সাহায্য করবে বললেন। এরপর থেকেই একসঙ্গেই আমরা ভিডিও আডলোড করলাম।

‘রোমিও ব্রাদার্স'-এর সঙ্গে আড্ডায় মাসিদ রণ / ছবি: নূর এ আলম

মাসিদ রণ : কোন ভিডিওটি ‘রোডিও ব্রাদার্স’-এর টার্নিং পয়েন্ট?


অরূপ : মাদার্স ডে’তে একটা ভিডিও করেছিলাম। যে ভিডিওর মাধ্যমে আমরা মা আর সন্তানের সম্পর্কের ইমোশনকে প্রকাশ করতে চেয়েছিলাম। গানটি ছিলো জনপ্রিয় রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘বড় আশা করে এসেছি গো কাছে ডেকে লও’। ভিডিওটিতে দেখা যায়, আমি মায়ের পায়ে আলতা পরিয়ে দিচ্ছি আর নয়ন ভাইয়া পাশে গীটার বাজাচ্ছেন। এই ভিডিওটি দর্শক দারুণ পছন্দ করে। এরপর থেকেই আমাদের প্রায় সব ভিডিওই দর্শকের ভালো সাড়া পায়।

‘রোমিও ব্রাদার্স' অরূপ ও নয়ন / ছবি: নূর এ আলম

মাসিদ রণ : সঙ্গীতাঙ্গনে আপনাদের যাত্রা একেবারেই অল্প দিন। দুজনই তরুণ, ভবিষ্যতেও কী গান নিয়েই থাকতে চান? নাকি অন্য কোন পেশায় ভালো সুযোগ পেলে গান ছেড়ে দেবেন?


নয়ন : না না, একদমই গান ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছা নেই। অনেকে এটা ভাবতে পারেন যে সহজে আমরা পরিচিতি পেয়েছি, হয়তো টাইম পাস হিসেবে গানের ভিডিও করছি। একটা সময় হয়তো অন্য কাজ করবো।

বিষয়টি আসলে তেমন হয়। আমরা দর্শকের সামনে অল্পদিন হাজির হলেও আমাদের চর্চা কিন্তু ছোটবেলা থেকেই। যেমন, আমি সঙ্গীত পরিবারেই বেড়ে উঠেছি। আমার পরিবারের অনেকেই কাওয়ালি গানের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। আমি সেগুলো শুনে শুনেই বড় হয়েছি। একটা সময় নিজেই গানগুলো নিজের মধ্যে আত্মস্থ করেছি। তেমনি অরূপও ছোটবেলা থেকেই রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ও সেমি ক্ল্যাসিক্যাল গানের চর্চা করে আসছে। ফলে গানের প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও ডেডিকেশন অন্য পর্যায়ে। আমরা যেখানে যেভাবেই থাকি না কেন গানটা আমাদের সঙ্গে রয়েই যাবে।

‘রোমিও ব্রাদার্স' অরূপ ও নয়ন / ছবি: নূর এ আলম

মাসিদ রণ : গান নিয়ে আপনারা কি স্বপ্ন দেখেন?


নয়ন : খেয়াল করলে দেখবেন, আমাদের উপমহাদেশে গানের অনেক জুটি রয়েছে। যেমন শংকর-জয়কিশান, নাদিম-শ্রাবন, লক্ষীকান্ত-পেয়ারেলাল, কল্যান জি-আনন্দ জি, আনন্দ-মিলিন্দ, শিব-হরি, যাতিন-লালিত, শংকর-এহসান-লয়, বিশাল-শেখর, সেলিম-সুলেমান, সাজিদ-ওয়াজিদ, মিট ব্রস, সচিন-জিগার, অজয়-অতুল, সচিত-পরম্পরা, নিজামি ব্রাদার্স, নুরানস সিস্টার্সসহ আরও অনেক জুটি। এসব জুটির কাজগুলো কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন ফ্লেভারের হয় যা মানুষকে খুব কানেক্ট করে। আমরাও যেভাবে কাজ করতে চাই যাতে মানুষের মনে আমাদের গানের আলাদা জায়গা তৈরী হয়।

অরূপ : ইনফ্যাক্ট আমাদের পরিচিতি এভাবে হয়েছে যে, আমরাই বাংলাদেশে প্রথম মিউজিক্যাল ডুয়ো, ‘রোমিও ব্রাদার্স’।

নয়ন / ছবি: নূর এ আলম

মাসিদ রণ : ‘রোমিও ব্রাদার্স’ তো আপনাদের ব্যান্ডদলেরও নাম, তাই না?


নয়ন : হ্যাঁ। আসলে প্রথমে তো আমরা দুজনই গান করতাম। তাই স্টেজ শোতেও প্রথমে দুজনেই যেতাম। কিন্তু বড় স্টেজ শোতে দুজনে গান করে আর বাজিয়ে মাতানো সম্ভব না। তাই আমরা ‘রোমিও ব্রাদার্স’ নামে ব্যান্ড গড়ে তুলি। সব মিলিয়ে আমাদের ব্যান্ড মেম্বার ৬ জন।

অনেকে মনে করেন আমাদের একজন হয়তো ভোকাল, অন্যজন সাইড ভোকাল। কিন্তু বিষয়টা আসলে তা নয়। আমরা দুজনই মেইন ভোকাল, যে গানে যার গলা দরকার সে লিড করে। বাকী চারজন মেম্বার আসলে ফিক্সড না, কয়েকজনের মধ্যে যে যখন ফ্রি থাকেন তাকে তখন নেওয়া হয়।

অরূপ / ছবি: নূর এ আলম

মাসিদ রণ : বাংলায় একটা কথা রয়েছে, ‘আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারি’। আপনারা দেখতে দারুণ সুদর্শন। এই বিষয়টি কি দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছে?


অরূপ : রূপের মধ্যেই তো সবকিছু পাওয়া যায় না। হতে পারে প্রথমে হয়তো আমাদের বাইরের লুকটা কাউকে আকৃষ্ট করেছে, কিন্তু দিনশেষে গানের কোয়ালিটি না থাকলে কিন্তু কোন দর্শকই বেশিক্ষণ আমাদের গান শুনবে না। ফলে আমি মনে করি ভেতর ও বাইরের সৌন্দর্য মিলিয়েই আমরা। যেভাবে যাচ্ছে না যাক না! সমস্যা তো নেই (হাহাহা)।

নয়ন : আমারও তাই মনে হয়। সৌন্দর্য হয়তো জনপ্রিয়তা পাওয়ার রাস্তাকে খানিকটা সহজ করে, কিন্তু গুণ থাকাটা আবশ্যক। নয়তো সেই জনপ্রিয়তা ধরে রাখা সম্ভব না। একটা উদাহরণ দিই, আমরা সম্প্রতি কলকাতা ট্যুরে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের দারুণ কিছু শো হয়েছে। গান আর কবিতার মেলবন্ধনে আমরা দর্শকের কাছে প্রেজেন্ট করেছি। শুধু তাই নয়, সেখানে মিরচি মিউজিক অ্যাওয়ার্ডের মতো সম্মানজনক অনুষ্ঠানে আমরা অনেক গুণী শিল্পীর সান্নিধ্য পেয়েছি। তাদের কেউ কেউ আমাদের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে পোষণ করেছেন। তারা কিন্তু এর আগে আমাদেরকে চিনতেন না। এখন তারা যদি দেখতেন যে এরা শুধু দেখতে সুন্দর, গানে তেমন জোর নেই তাহলে কিন্তু কখনোই একসঙ্গে কাজ করতে চাইতেন না।

‘রোমিও ব্রাদার্স' অরূপ ও নয়ন / ছবি: নূর এ আলম

মাসিদ রণ : মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে শোনা যায়, আপনারা নাকি স্টেজ শোতে বেশ চড়া পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন?


অরূপ : আপনি খুব একটা ভুল শুনেছেন তা বলবো না। এটা সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদ যে আমরা অল্প সময়ে নিজেদের একটা জায়গা করতে পেরেছি। ফলে আমরা যতোটুকু পারিশ্রমিক পেলে পরিশ্রম সার্থক হবে বলে মনে করি সেটা সবাই আমাদের দিচ্ছেন।

নয়ন : আসলে পারফরমেন্সের কোয়ালিটি আর দর্শকের চাহিদার ওপরেই তো পারিশ্রমিক হওয়া উচিত। আমরা অনেক কষ্ট করে সময় দিয়ে এক একটি পারফরমেন্স রেডি করি।

অরূপ : তাছাড়া আমাদের পারফরমেন্সগুলো কিন্তু ইউনিক। আমরা একই ধাচের গান করি না। দেখা গেল একমঞ্চে রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের গান থেকে শুরু করে ফোক, সেমি ক্ল্যাসিক্যাল, সুফি, কাওয়ালি, গজল, ফ্রেন্স, ইংরেজি- সব ধরনের গান নিয়ে হাজির হই।

নয়ন : এতো ধরনের গান করতে কিন্তু আলাদা আলাদা ইন্সট্রুমেন্ট লাগে। তার জন্য দক্ষ যন্ত্রশিল্পী আমাদের সঙ্গে নিতে হয়। যেমন সরোদ, এটা আমাদের দেশে খুব একটা কেউ বাজায় না। যখন কোন শোতে একজন সরোদশিল্পী দরকার পড়ে তখন কিন্তু বাইরে থেকেও আনতে হয়। ফলে তাদের একটা ভালো পারিশ্রমিক দিতে হয়। সবমিলিয়ে আমরা পারিশ্রমিকটা ঠিক করি।

‘রোমিও ব্রাদার্স' অরূপ ও নয়ন / ছবি: নূর এ আলম

মাসিদ রণ : সোশ্যাল মিডিয়া আপনাদের ক্যারিয়ার দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আবার এই প্ল্যাটফর্মে নিত্যদিন শিল্পীদের অনেক নেতিবাচক মন্তব্য কিংবা ট্রলের শিকার হতে হয়। আপনারা বিষয়টি কিভাবে দেখেন?


অরূপ ও নয়ন : সোশ্যাল মিডিয়া এখন পর্যন্ত আমাদের শুধু ভালোবাসাই দিয়েছে। কোন ট্রল কিংবা নেতিবাচক কিছুর মুখোমুখি হইনি। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়া না থাকলে হয়তো আমরা নিজেদের জায়গা এতো দ্রুত করতে পারতাম না। এমনকি আমরা আমাদের চাহিদা বুঝে যেভাবে পারিশ্রমিক নিচ্ছি সেটাও হয়তো সম্ভব হতো না!

রাফিকে ছবির প্রস্তাব, দেব বললেন ‘মিথ্যা’



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
দেব ও রায়হান রাফী

দেব ও রায়হান রাফী

  • Font increase
  • Font Decrease

একটু আগেই কলকাতার সিনেমার সুপারস্টার ও এমপি দেব তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্টোরি শেয়ার করেছেন। স্টোরিটি বাংলাদেশের এ সময়ের অন্যতম সফল নির্মাতা রায়হান রাফিকে ঘিরে।

স্টোরিতে লেখা আছে, ‘‘তুফান’ রিলিজের পর তার সাফল্য দেখে দেব ও জিৎ দুজনেই আমাকে তাদের সাথে কার করার অফার দিয়েছেন। আমি এখনো কাউকে কনফার্ম করিনি।- এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন রায়হান রাফি।’’

কলকাতায় ‘তুফান’ ছবির প্রচারে শাকিব খান, মিমি চক্রবর্তী ও রায়হান রাফি

এই বক্তব্যটির কথা শুনে দেবের হয়তো ভালো লাগেনি। তাই সে বিষয়টি স্টোরির মাধ্যমে ক্লিয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘এটা সত্য নয়। তারপরও তার জন্য শুভকামনা।’

তবে রায়হান রাফি এ ধরনের কোন বক্তব্য কোন ইন্টারভিউতে দিয়েছেন কি না নিয়ে সন্দেহ রয়েছে নেটিজেনদের। অনেকের দাবী তানভীর তারেকের একটি শোতে এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন রাফি। তবে তিনি কলকাতার কোন বড় দুই অভিনেতা তাকে অফার দিয়েছেন তাদের নাম উল্লেখ করেননি।

রাফিকে নিয়ে দেবের ফেসবুক স্টোরির স্ক্রিনশট

ফেসবুক কমেন্টে একজন লিখেছেন, ‘কিছু লোকজন ভিউ পাওয়ার জন্য চমকপ্রদ হেডলাইন, থাম্বনেইল দিয়ে মানুষকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে।’

আরেকজন অবশ্য লিখেছেন, ‘বিষয়টা না জেনে-বুঝেই স্টোরি মেরে দিলো দেব!’

অন্য এক নেটিজেনের মন্তব্য, ‘রাফি কলকাতার যে ২ বড় স্টারের নাম বললো তারা কি অঙ্কুশ আর বনি নাকি তাহলে? কলকাতার বড় ২ সুপারস্টারকে সবাই চিনে।’

Caption

এ প্রসঙ্গে রাফির কোন মন্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে যেহেতু দেব নিজেই যুক্ত হয়ে পড়েছেন তাই রাফির উচিত দ্রুত এ বিষয়ে স্পষ্ট কোন বক্তব্য দেওয়া- এমনটাই মনে করছে নেটিজেন।

;

‘টাইটানিক', ‘অ্যাভাটার’ প্রযোজকের মৃত্যু



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘টাইটানিক’ ছবির জন্য অস্কার জেতেন জেমস ক্যামেরন ও জন ল্যান্ডাউ। সঙ্গে নায়িকা কেট উইন্সলেট

‘টাইটানিক’ ছবির জন্য অস্কার জেতেন জেমস ক্যামেরন ও জন ল্যান্ডাউ। সঙ্গে নায়িকা কেট উইন্সলেট

  • Font increase
  • Font Decrease

দুনিয়া জুড়ে খ্যাতি হয়তো অনেক ছবিই পেয়েছে, কিন্তু ‘টাইটানিক’-এর মতো মানুষের হৃদয়ে গেথে ছবির সংখ্যা কয়টা? এখনো সাধারন দর্শক থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের তারকারাও বলে থাকেন, তাদের পছন্দের সিনেমার শীর্ষে ‘টাইটানিক’। 

ট্রাডেজিক প্রেমের গল্প নিয়ে জেমস ক্যামেরনের ছবিটিই হয়তো হতো না যদি জন ল্যান্ডাউ না থাকতেন! কারণ তিনিই ছবিটির পেছনে সে সময়ের অনুপাতে কাড়ি কাড়ি টাকা ঢেলেছিলেন। তিনিই ‘টাইটানিক’ ছবির প্রযোজক। জন ল্যান্ডাউ সেরা প্রযোজক হিসেবে অস্কারও জয় করেছেন।

প্রযোজক জন ল্যান্ডাউ

কিংবদন্তি নির্মাতা জেমস ক্যামেরনের ‘টাইটানিক’, ‘অ্যাভাটার’সহ অনেক কালজয়ী সিনেমার সেই প্রযোজক জন ল্যান্ডাউ মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।

তিনি প্রখ্যাত পরিচালক জেমস ক্যামেরনের সঙ্গে জুটি বেঁধে সর্বকালের সবচেয়ে বড় তিনটি ব্লকবাস্টার ছবি নির্মাণ করেছিলেন। ১৯৯৭ সালে ‘টাইটানিক’ দিয়ে সেরা ছবির অস্কার জেতেন জন ল্যান্ডাউ

ল্যান্ডাউ ও ক্যামেরনের পার্টনারশিপ ‘অ্যাভাটার’ এবং এর সিক্যুয়েল ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ সহ সিনেমার ইতিহাসের অন্যতম বড় ব্লকবাস্টার উপহার দিয়েছে দর্শকদের।

ল্যান্ডাউ হলিউডের প্রযোজক এলি এবং এডি ল্যান্ডাউ-এর সন্তান। তিনি অল্প সময়ের জন্য টোয়েন্টিন্থ সেঞ্চুরি ফক্স চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থায় একজন নির্বাহী হিসেবে কাজ করেছেন। ‘দ্য লাস্ট অব দ্য মোহিকানস’ এবং ‘ডাই হার্ড টু’ সহ বেশকইয়েকটি চলচ্চিত্রে তিনি তত্ত্বাবধান করেছিলেন।

‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ ছবির প্রিমিয়ার শোতে প্রযোজক জন ল্যান্ডাউ ও পরিচালক জেমস ক্যামেরন

ল্যান্ডউয়ের মৃত্যুর খবরের পরে ক্যামেরন হলিউড রিপোর্টার্সকে বলেছেন, একজন মহান প্রযোজক এবং একজন মহান মানুষ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। জন ল্যান্ডাউ সিনেমার ব্যাপারে স্বপ্নচারী ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন চলচ্চিত্র হল মানব শিল্পের চূড়ান্ত রূপ এবং চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হলে প্রথমে নিজেকে মানুষ হতে হবে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি

;

জাস্টিনের ভারত সফরের ছবিতে প্রশংসায় ভাসছেন নেটিজেন



প্রমা কান্তা কোয়েল, বার্তা২৪.কম
জাস্টিন বিবার / ছবি: ইন্সটাগ্রাম

জাস্টিন বিবার / ছবি: ইন্সটাগ্রাম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী জাস্টিন বিবার সম্প্রতি ভারতে এসেছেন। নামকরা ধনকুবের মুকেশ আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানির বিয়েতে গান শোনাতে হাজির হন কোটি তরুণীর হার্টথ্রোব বিবার। সেই সফরের বিভিন্ন মুহূর্তই ভক্তদের সাথে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন তিনি। বিবার তার নিজস্ব ইন্সটাগ্রাম একাউন্ট থেকে কনসার্টের কিছু ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেখানে কমেন্টে তার ভক্ত এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা, বিশেষ করে ভারতীয় এবং হিন্দি ভাষাভাষীরা মন্তব্য করছেন।  

ভারতে কনসার্টে জাস্টিন বিবার / ছবি: ইন্সটাগ্রাম

আগামী ১২ থেকে ১৪ তারিখ আম্বানি পরিবারের এই জেনারেশনের সর্বশেষ বিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মুকেশ এবং নীতা আম্বানির কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত, তার্ই ছোটবেলোর বান্ধবী রাধিকা মার্চেন্টের সঙ্গে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন। ভারতীয় প্রভাবশালী ব্যবসায়ী বীরেণ মার্চেন্টের কন্যা রাধিকা। এই উৎসব উপলক্ষে একত্রিত হয়েছেন সকল সুধীজন।

কনসার্টে ভক্তদের সঙ্গে গান গাইছেন বিবার / ছবি: ইন্সটাগ্রাম

শুক্রবার ( ৫ জুলাই) তাদের সঙ্গীতের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পুরো বলিউড পাড়া সেখানে উপস্থিত হলেও, সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিলেন জাস্টিন বিবার। কানাডিয়ান এই সঙ্গীত শিল্পী বিশ্বব্যাপী চর্চিত নাম। বিশেষ করে অধিকাংশ তরুণীর হৃদয়ে বসবাস তার। ব্যতিক্রম নয়, ভারতীয়রাও। প্রমাণ মিললো অনন্ত-রাধিকার সঙ্গীতের দিনও।

আম্বানি পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে বিবার / ছবি: ইন্সটাগ্রাম 

সাদা স্যান্ডো গেঞ্জি, শুভ্র জ্যাকেট এবং কম্ফোর্টেবল কালো ট্রাউজার পড়ে গান গাইতে স্টেজে ওটেন বিবার। সঙ্গে ছিল কালো লেদার বুট জুতা, কালো ক্যাপ এবং চওড়া লাল ফ্রেমের সানগ্লাস। স্টেজের সামনে অসংখ্য তরুণীর ভীড়। সকলে চিৎকার করছে তার নাম ধরে। অনুষ্ঠানে বিবার তার বিখ্যাত সকল গানগুলো গেয়ে শোনান। ‘লাভ ইওরসেল্ফ’, ‘আই’ম দ্য ওয়ান’, ‘হোয়ার আর ইউ নাউ’ ইত্যাদি নানান গানে কণ্ঠ মিলিয়েছেন উপস্থিত বলিউড শিল্পীরা।

রাধিকা-অনন্তের সাথে জাস্টিন বিবার / ছবি: ইনস্টাগ্রাম

এর বাইরে হবু দম্পতির সঙ্গে একান্তে সময় কাটিয়েছেন বিবার। অনন্ত এবং রাধিকার সঙ্গেও ঘনিষ্ট  বন্ধুত্বপূর্ণ সময় কাটানোর দৃশ্য তিনি তুলে ধরেছেন। ভারতের বাইরের বিভিন্ন ভক্তও তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন সেসব ছবিগুলোর নিচে।

কনসার্টে ভক্তদের সঙ্গে বিবার / ছবি: ইন্সটাগ্রাম

কনসার্ট চলাকালে গান গাওয়া এবং ভক্তদের সঙ্গে সুর মেলানোর ২ টি ভিডিওসহ আরও অনেক ছবি মিলিয়ে প্রায় ১০ টি পোস্ট করেছেন বিবার। সেখানে অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে-পরে এবং চলাকালের বিভিন্ন মুহূ্র্ত ধরা দিয়েছে ভক্তদের কাছে।        

কনসার্ট শেষে ফিরছেন বিবার / ছবি: ইন্সটাগ্রাম

চলতি বছর জুড়েই চর্চায় ছিল অনন্ত আম্বানি এবং রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ে। প্রি-ওয়েডিং থেকে শুরু হয়েছে নানারকম আনন্দ উৎসব। বলিউড সংশ্লিষ্ট সকলে তো রয়েছেনই; এছাড়াও রিয়ান্না, বিল গেটস, মার্ক জুকারবার্গ অনেকেই হবু দম্পতিকে শুভ কামনা জানাতে প্রি-ওয়েডিংয়ে হাজির হন। এখন চলছে বিয়ের অনুষ্ঠান। সামনে আসতে চলেছে আরও বড় বড় চমক। 

;

সঙ্গীতে সোনায় মোড়ানো অনন্ত আম্বানি, ঝলমলে বলি তারকারা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
জাস্টিন বিবার, আলিয়া ভাট, অনন্ত-রাধিকা ও দীপিকা পাড়ুকোন

জাস্টিন বিবার, আলিয়া ভাট, অনন্ত-রাধিকা ও দীপিকা পাড়ুকোন

  • Font increase
  • Font Decrease

নীতা মুকেশ আম্বানি কালচারাল সেন্টারে গতকাল শুক্রবার রাতে বসেছিলো আম্বানি পরিবারের ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানি আর রাধিকা মার্চেন্টের গ্র্যান্ড সংগীতের আসর। হবু বউয়ের হাত ধরে যখন অনন্ত আম্বানি গ্র্যান্ড এন্ট্রি নিলেন, উপস্থিত অতিথিরা তখন কাকে ছেড়ে কাকে দেখবেন দ্বিধায় পড়ে গিয়েছিলেন। অনন্ত-রাধিকার চোখ ধাঁধানো লুক মুগ্ধ করেছে সবাইকে।

বরাবরের মতো নীতা আম্বানির সাজে স্পষ্ট কতো বড় ধনকুবেরের ঘরনী তিনি! গোলাপী পোশাক আর গ্রীণ ডায়মণ্ডের গয়নার তিনি ছিলেন অনুষ্ঠানের মধ্যমণি

এ অনুষ্ঠানে অনন্ত আম্বানি যে কালো-সোনালী পোশাকটি পড়েছিলেন, সেটা খাঁটি সোনায় মোড়ানো! পোশাকের জরি এমব্রয়ডারিতে ব্যবহৃত সমস্ত উপাদানই খাটি সোনার তৈরি। গলা বন্ধ ম্যান্ডারিন কলারের পোশাকটিতে ফুলেল নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সোনা দিয়ে। সাথে অনন্ত পরেছেন কালো কুর্তা শার্ট এবং প্যান্ট। জুতাও ছিল কালো। চুল পনিটেল করে বেঁধে রেখেছেন তিনি। তার পোশাকটি ডিজাইন করেছেন আবু জানি সন্দীপ খোসলা।

অনন্ত-রাধিকার চোখ ধাঁধানো লুক মুগ্ধ করেছে সবাইকে

রাধিকার পোশাকটিও আবু জানি সন্দীপ খোসলার নকশা করা। পুরো লেহেঙ্গা জুড়ে করা হয়েছে মূল্যবান সোয়ারভস্কি ক্রিস্টালের কাজ। বেইজ ও গোল্ড রঙের অফ শোল্ডার ব্লাউজের সাথে এ-লাইন লেহেঙ্গায় দারুণ লাগছিল রাধিকাকে। গলায় পরেছিলেন হীরার নেকলেস, সাথে পান্নাও ছিল। একটি ব্রেসলেট, কানের দুলের সাথে উইংড আই-লাইনারে হালকা সাজে সেজেছেন রাধিকা।

মুকেশ আম্বানি ও নিতা আম্বানির কন্যা ঈষা আম্বানি

এছাড়া বলিউডের প্রখ্যাত তারকারা এসেছিলেন ঝলমলে পোশাক পরে। ছবিতে দেখুন তাদের সাজ পোশাক-

বলিউডের শীর্ষ অভিনেত্রী আলিয়া ভাট পরেছিলেন কালো ক্ল্যাসি ডিজাইনের ল্যাহেঙ্গা। ট্যালেন্টেড অভিনেত্রীর গ্ল্যামার যেন উপচে পড়ছে!
অনন্ত-রাধিকার সঙ্গীত অনুষ্ঠানের সবচেয়ে বড় চমক ছিলেন হলিউডের বিখ্যাত পপ তারকা জাস্টিন বিবার। তার এই ইন্ডিয়ান লুক এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল!
সুপারস্টার দীপিকা পাড়ুকোন গর্ভবতী অবস্থায় এসেছিলেন অনুষ্ঠানে। বেগুণী শাড়িতে তার দিক থেকে যেন চোখ ফেরানো দায়!
সোনালি হেভি কাজ করা নেটের শাড়িতে চিরতরুণ মাধুরী দিক্ষিত
মুকেশ আম্বানি ও নিতা আম্বানির বড় পুত্রবধূ
দারুন মানিয়েছে শাহেদ কাপুর ও মিরা রাজপুত দম্পতিকে
আবেদনময়ী অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুর পরে এসেছিলেন ময়ূরের মোটিফের এক্সক্লুসিভ ল্যাহেঙ্গা
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ভিকি কৌশল
তরুণ প্রজন্মের হার্টথ্রব অনন্যা পাণ্ডে
বলিউড তারকা সারা আলী খান
ক্রিকেটার রোহিত শর্মার সঙ্গে জনপ্রিয় অভিনেতা বারুন ধাওয়ান
বলিউড ডিভা মালাইকা আরোরা
বলিউডের ‘ডাবাং গার্ল’ সোনাক্ষী সিনহা
সাইফ আলী খান ও অমৃতা সিংয়ের পুত্র ইব্রাহিম আলী খান
শ্রীদেবীর ছোটকন্যা খুশি কাপুর
খুশি কাপুরের অভিষেক সিনেমা ‘আর্চিস’-এর সহঅভিনেতা ও কথিত প্রেমিক ভেদাং রায়না
বলিউড অভিনেত্রী ও মডেল শর্বরী
অনন্ত ও রাধিকার সঙ্গীত অনুষ্ঠানে আলিয়া ও রণবীর কাপুর দম্পতি, সঙ্গে আলিয়ার বোন শাহিন ও জনপ্রিয় অভিনেতা আদিত্য রয় কাপুর

মুকেশ ও নীতা আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানি ও শিল্পপতি বীরেন মার্চেন্টের মেয়ে রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা চলছে বেশ কয়েক মাস ধরেই। তাদের প্রাক্–বিবাহের প্রথম ও দ্বিতীয় অনুষ্ঠানে রীতিমতো তারার মেলা বসেছিল। ১২ থেকে ১৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতা। মুম্বাইতে হতে যাওয়া এ অনুষ্ঠানেও বসবে তারার মেলা।

;