যুক্তরাষ্ট্রে যে পুরস্কার পেয়ে আবেগাপ্লুত চঞ্চল

  • মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রে দুটি পুরস্কার পেলেন চঞ্চল চৌধুরী

যুক্তরাষ্ট্রে দুটি পুরস্কার পেলেন চঞ্চল চৌধুরী

একের পর এক জনপ্রিয় কাজ এবং পুরস্কার ঝুলতে পুরছেন চঞ্চল চৌধুরী। এখন তার খ্যাতির সীমানা দেশ ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে দেশের বাইরেও। বিশেষ করে ভারতের কলকাতার মানুষ একই ভাষাভাষির হওয়ায় কলকাতার জনপ্রিয়তা সেখানেও আকাশচুম্বি। তাইতো এবার কলকাতাকেন্দ্রিক একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার এলো চঞ্চলের অর্জনের তালিকায়।

এই পুরস্কারটি নিয়ে চঞ্চল দারুণ উচ্ছ্বসিত। কারণ এটি ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের সুযোগ্য কন্যা ও এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের মা সুনেত্রা ঘটকের নামানুসারে যোগ্য শিল্পীকে প্রদাণ করা হবে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো- এই পুরস্কার এ বছরই প্রবর্তণ করা হলো। আর সেই প্রথম পুরস্কারটিই পেলেন আমাদের দেশের চঞ্চল চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন
এনএবিসি ২০২৪-এ চঞ্চল অংশ নিয়েছেন কলকাতারএকঝাঁক তারকার সঙ্গে

এছাড়া তিনি কাছাকাছি সময়ে পেয়েছেন বাংলাদেশকেন্দ্রিক আরেকটি আন্তর্জাতিক পুরস্কারও। দুটি পুরস্কার অনুষ্ঠানই অনুষ্ঠিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেই দুটি পুরস্কারের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে চঞ্চল লিখেছেন, ‘প্রথম ছবিটি নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ এবং দ্বিতীয় ছবিটি শিকাগোতে অনুষ্ঠিত এনএবিসি ২০২৪-এ সেরা অভিনেতা হিসেবে পুরস্কারপ্রাপ্তির। এর আগে বহুবার ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি, সেজন্য কৃতজ্ঞতা আলমগীর খান আলম ভাইয়ের প্রতি।

কিন্তু এবার এনএবিসি ২০২৪-এর সেরা অভিনেতার পুরস্কার প্রাপ্তিতে আমি বিশেষভাবে সম্মানিত এবং আনন্দিত। তার কারণ এই পুরস্কারটি পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের মা শ্রদ্ধেয়া সুনেত্রা ঘটক মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড। এই বছরেই এনএবিসি এই গুনী ব্যক্তিত্বের নামে এই অ্যাওয়ার্ডটি প্রচলন করলো এবং সেই পুরস্কারটি প্রথমবারের মতো আমাকে প্রদাণ করা হলো। আমার বন্ধু অভিনেতা পরমব্রতর হাত থেকেই আমি এই পুরস্কারটি গ্রহণ করেছি। এটা ছিলো আমার জন্য বিশেষ আনন্দের।

বিজ্ঞাপন
রমব্রতর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করছেন চঞ্চল

বিশেষভাবে উল্লেখ্য, শ্রদ্ধেয়া সুনেত্রা ঘটক ছিলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋত্বিক কুমার ঘটকের ভ্রাতুষ্পুত্রী। আমাকে এই বিশেষ পুরস্কার প্রদানের জন্য এনএবিসি কর্তৃপক্ষকে জানাই অশেষ কৃতজ্ঞতা। বাংলা চলচ্চিত্রের জয় হোক।’