সামান্য টাকার জন্য মৌসুমী দেশ ছেড়ে পালাবে?: ওমর সানী

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ওমর সানী ও মৌসুমী দম্পতি

ওমর সানী ও মৌসুমী দম্পতি

ঢালিউডের প্রিয়দর্শিনী’খ্যাত চিত্রনায়িকা মৌসুমীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। চেক প্রত্যাখ্যান মামলায় জনপ্রিয় এই নায়িকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৬ অক্টোবর দিন ধার্য হয়েছে।

জানা গেছে, একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে দেয়া ১ লাখ ৬ হাজার ২১১ টাকার চেক প্রত্যাখ্যানের অভিযোগে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর ঢাকার একটি আদালতে মৌসুমীর বিরুদ্ধে মামলা করেন প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা। আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নায়িকার বাসায় সমন পাঠানো হয়। কিন্তু মৌসুমী যুক্তরাষ্ট্রে থাকায় আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ২৪ জুলাই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

ঘটনাটি কয়েকদিন আগের হলেও চুপ আছেন মৌসুমী। তবে বিষয়টি নিয়ে আজ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তার স্বামী চিত্রনায়ক ওমর সানী।

প্রিয়দর্শিনী’খ্যাত চিত্রনায়িকা মৌসুমী

তিনি বলেন, ‘এর চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ টাকার শতাধিক ঋণখেলাপিকে আমি চিনি। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে তারা পরিশোধ করেনি। সেখানে মৌসুমীর কয়েক লাখ টাকার ঋণের বিষয়টি মামলা পর্যন্ত নিয়ে গেছে! এটা মৌসুমীকে অসম্মান ও অপদস্থ করা ছাড়া আর কিছুই নয়। নামটা যেহেতু মৌসুমী, তাই ভাইরাল করার চেষ্টা করল। এই পরিমাণ টাকার জন্য মৌসুমীকে যদি অসম্মান করা হয়, তাহলে কোটি কোটি টাকার অন্য ঋণখেলাপির নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না কেন!’

বিজ্ঞাপন

সানী আরও বলেন, ‘মার্সিডিজ গাড়ি বাবদ মৌসুমী ঋণ নিয়েছিল। ৮ কি ১১টা চেকও দেওয়া আছে। মৌসুমী দেশের বাইরে যাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমি তাদের বলেছি, আমি তো গুলশানে থাকি না। বসুন্ধরায় থাকি। চিঠি ওখানে পাঠিয়ে দিয়েন। এরপর বলল ঠিক আছে, পাঠিয়ে দিয়েছি। এরপরও তারা গুলশানের সেই ঠিকানায় চিঠি পাঠায়। এরপর আমি বলেছি, আমাদের একটা বিপর্যয় ঘটেছে। টাকার কিস্তিটা আরেকটু কমিয়ে দিলে ভালো হয়। এই যেমন ৩০, ৪০, ৫০ বা ৬০ হাজার টাকা-যখন যা পারি দিয়ে দেব। আপনারা চেক স্থগিত করেন। আমাকে কিছুদিন সময় দেন। এক লাখ টাকা আমার পক্ষে এই মুহূর্তে দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, ওই সময়ে মৌসুমী ও আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নিয়েও জটিলতা হয়। তাই লেনদেন বন্ধ ছিল।’

ওমর সানী ও মৌসুমী দম্পতি

ওমর সানীর দাবী, সবকিছু বুঝিয়ে বলার পরও তারা কোনো কথা শোনেনি। তিনি বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান বরাবর চিঠিও লিখেছি। আমাকে উল্টো বলেছে, গাড়ি হস্তান্তর করেন। আমার সঙ্গে তারা ভালো আচরণও করেনি। একটা পর্যায়ে আমাকে বলে যে উনি (মৌসুমী) পালিয়ে গেছেন। এরপর আমি বলেছি, স্টুপিডের মতো কথা বলেন কেন? এই সামান্য টাকার জন্য মৌসুমী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবে? আমি ওর হাজব্যান্ড, আমি বারবার বলছি, আপনারা এসব ভাববেন কেন।’

ওমর সানী এখন আইনগতভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবেন বলেও জানান।

চিত্রনায়িকা মৌসুমী