এক সময় প্লেব্যাকের শীর্ষ সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন কনকচাঁপা। কিন্তু বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন বলে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাকে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এই গায়িকা। তিনি জানান, প্রায় অর্ধযুগেরও বেশি সময় ধরে তাকে গান গাওয়া থেকে বিরত রাখা হয়েছিল।
বিগত সরকারের সমালোচনা করে কনকচাঁপা বলেন, ‘আমি বিগত সাতটি বছর বিভিন্নভাবে নিগৃহীত হয়েছি, তাতে মোটেই ভেঙে পরিনি। আমি সবসময় হাসিখুশি থেকেছি। কখনো কাঁদিনি। কখনো হতাশ হইনি। যত সমস্যা এসেছে, কারো কাছে অভিযোগও করিনি। আমাকে সাত বছর বোবা করে রাখা হয়েছে, যা বর্ণনাতীত। আমি কোনো কিছু লিখতে পারতাম না। শুধু তাই নয়, আমি গান গাইতেও পারিনি। একজন শিল্পী যদি গান গাইতে না পারে, তার বোবা হয়ে যাওয়াই ভালো। কিন্তু আমি এতকিছুর পরও আশা হারাইনি।’
বিজ্ঞাপন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই ছাত্রদের পক্ষে ছিলেন কনকচাঁপা। ১৭ জুলাই এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি সবসময়ই ন্যায়ের পক্ষে। ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলনে হামলা, নিপীড়ন, রক্তপাত বন্ধ হোক। স্বাধীন বাংলাদেশে সম-অধিকার নিশ্চিত হোক।’
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে গানের সঙ্গে আছেন কনকচাঁপা। সিনেমায় তার গাওয়া গানের সংখ্যা তিন হাজারেরও বেশি। ৩৫টিরও বেশি একক অ্যালবাম রযেছে তার।
দেশের সফল ও শীর্ষ নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনির স্বামী মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুর খবরটি তনি তার ফেসবুকে নিশ্চিত করেছেন।
রোবাইয়াত ফাতিমা তনি তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সে আর নাই, ব্যাংকক সময় রাত ৩.০৩ মিনিটে আমাকে সারাজীবনের মত একা করে চলে গেছে’।
অসুস্থ হয়ে ব্যাংককের হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তনির স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন। গত বছর অক্টোবরের শুরুতে অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকার বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তনি তার স্বামীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ব্যাংকক নিয়ে যান। দুইমাস তনি দুই দেশে যাওয়া আসার মধ্যে ছিলেন।
তনির স্বামী ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ী। তার স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন ৩৮ বছরের বড় হওয়ায় সবসময় সমালোচনার শিকার হয়েছেন তনি। ফেসবুক লাইভে এলে নানারকম ট্রলের মুখেও পড়তেন এই নারী উদ্যেক্তা। তবে এসবে তার কোনও তোয়াক্কা নেই। দিনশেষে নিজের ঘরে শান্তিতে থাকতে চান বলেই অভিমত দিয়েছেন নানা সংবাদমাধ্যমে।
শাহাদাৎ হোসাইন তনির দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তিনি। এরপর ভালোবেসে বিয়ে করেন অসমবয়সী শাহাদাৎকে। প্রথমে পরিবার মেনে না নিলেও পরবর্তীতে সব ঠিক করে নেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্নভাবে বুলিং এর শিকার হলেও নিজের সাহসী প্রচেষ্টায় একজন সফল উদ্যোক্তা এবং অন্যদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন এই উদ্যেক্তা। দেশের বুকে তার ১২টি শোরুম রয়েছে।
ঢালিউড কুইন শাবনূর দীর্ঘদিন পর্দায় নেই। তারপরও তাকে নিয়ে দর্শকের আগ্রহের কোন কমতি নেই। ফলে প্রিয় তারকার হাল হকিকত জানতে তারা ঢু মারেন শাবনূরের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে। এই নায়িকাও নিজের ভালোলাগা-মন্দলাগার কথা শেয়ার করেন ভক্ত অনুরাগীদের সঙ্গে।
কিন্তু তা করতে গিয়ে অনেক সময় সমালোচিত হতে হয় তাকে। অযথা ট্রলের শিকারও হন প্রায়ই। এতোদিন এ নিয়ে মুখ না খুললেও এবার শাবনূর আর চুপ থাকতে পারলেন না। সাফ জানিয়ে দিলেন, তাকে নিয়ে যেন অহেতুক আর সমালাচনা, নিন্দা না করা হয়।
শাবনূর আজ (মঙ্গলবার, সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে) তার ফেসবুকে ‘সবার উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলতে চাই!’ শিরোনামে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তা পাঠকের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘অনেকে হয়তো জানেন যে আমি আমার সোশ্যাল মিডিয়া নিজের মতো করে হ্যান্ডেল করি। কোন এডমিনও নিয়োগ দেইনি। আমার যখন যেটা ভালো লাগে, নিজের ব্যক্তিগত পছন্দ বা বিশেষ কোন আনন্দ-বেদনার বিষয় থাকলে তা সবার সাথে শেয়ার করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত রয়েছি। যে ছবি বা ভিডিও পোস্ট করি সেগুলো নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন মন্তব্য করেন। এমনকি কেউ কেউ আমার ড্রেসআপ নিয়েও উদ্ভট প্রশ্ন তুলেন।
অস্ট্রেলিয়াতে আমি সচরাচর ক্যাজুয়াল ড্রেস পরতেই অভ্যস্ত, এবং এতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আর কে কি পরবে সেটাতো তার ব্যক্তিগত পছন্দের ব্যাপার, তাই না!
যদি আমার শেয়ারকৃত কোনো কিছু কারো ভালো না লাগে তবে শালীনতার সঙ্গে গঠনমূলক সমালোচনা করতে পারেন। কিন্তু রিপিটেডলি আজেবাজে মন্তব্য যেন না করেন, তা থেকে বিরত থাকতে সবাইকে বিনীত অনুরোধ করছি। আর একান্তই যদি আমার একটিভিটিস কারো পছন্দ না হয় তবে আমাকে ফলো না করলেই পারেন।
যারা আমার ওয়ালে এসে বিরূপ মন্তব্য করেন তারা আবার দেখি আমার নামে বিভিন্ন একাউন্ট খুলে, পেজ চালিয়ে, আমার পোষ্ট করা ছবি/ভিডিও নিয়ে আবার ব্যবসা করেন। আমাকে পুঁজি করে অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছেন, রমরমা ব্যবসা করছেন, তা করেন; কিন্তু আমার এখানে এসে ভন্ডামী করছেন কেন? কেনই বা সংঘবদ্ধ হয়ে খারাপ মন্তব্য করে যাচ্ছেন? এদের আবার কেউ কেউ আমাকে আড়ালে চলে যেতে বলেন, হাহাহা…..। এই ডিজিটাল যুগে এসেও মানুষ এসব জ্ঞান দেয়। আমি আড়ালে চলে যাবো না প্রকাশ্যে থাকবো তা আমি বুঝবো।
অন্যের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি, আচার ব্যবহার, কথা বলার ভাষা; এইসব ব্যাপারগুলো আমাদের পারিবারিক মূল্যবোধ ও পারিবারিক শিক্ষার পরিচয় বহন করে। মন্তব্য করার ক্ষেত্রে আমরা যেনো একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই। সবাই ভালো থাকবেন।’
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নন্দিত সঙ্গীতশিল্পী সামিনা চৌধুরীকে দেশের দর্শক মিস করছেন বহুদিন। কারণ তিনি গত বছরের মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত টানা ছয় মাস ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে।
সামিনা চৌধুরী সেখান থেকে বার্তা২৪.কমকে গতকাল মধ্যরাতে জানালেন, ‘এই ছয় মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে ডজনখানেক অনুষ্ঠান করেছি। প্রোগ্রামগুলো এমনভাবে সাজানো ছিলো যে চাইলেই আমি দেশে ফিরতে পারছিলাম না। এদিকে দেশের জন্য সত্যি মন পড়ে থাকতো। কিন্তু গান গাইতে গিয়ে প্রবাসী বাঙালী ভাই-বোনের চোখে মুখে যে তৃপ্তি দেখতে পেতাম তখন সবকিছু ভুলে যেতাম অনায়াসেই।’
সামিনা তার অভিজ্ঞতা থেকে বললেন, ‘প্রতিটি শো যে কী ভালো হয়েছে তা বলে বোঝানো যাবে না। টানা দুই তিন ঘণ্টা গাওয়ার পরও দর্শক আমাকে স্টেজ থেকে নামতে দিতে চাইতো না। এই ভালোবাসা অমূল্য একজন শিল্পীর কাছে।’
তবে যেই না তিনি অনুষ্ঠানের মাঝে ১০ টা দিনের ফাঁক পেলেন, অমনি ছুটে আসেন দেশে। নতুন বছরের প্রথম দিনে দেশেই ছিলেন। কারণ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আয়োজিত একটি শোয়ের জন্য অনেক আগে তিনি চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। গত ৯ জানুয়ারি খুলনাতে সেই শোতে অংশ নেন সামিনা। ঠিক আর দুদিন পরেই নিউ ইয়র্কের একটি বিশেষ শোতেও তিনি ছিলেন প্রধাণ আকর্ষণ। ফলে সেই শোটিও তাকে ধরতে হবে যে করেই হোক। কিভাবে খুলনা থেকে নিউ ইয়র্কে গিয়ে শো ধরলেন সেই চ্যালেঞ্জিং অভিজ্ঞতাই বর্ণনা করেছেন ফেসবুকে।
সামিনা চৌধুরী লিখেছেন, ‘ব্যাপারটা অন্যরকম চ্যালেঞ্জিং আর দারুণ ছিল। আমি দেশে গেছিলাম ৩০ ডিসেম্বর মাত্র ১০ দিনের জন্য। কারণ ১১ জানুয়ারি নিউ ইয়র্কে শো। ৯ জানুয়ারি খুলনার অনুষ্ঠান শেষ করে সে রাতেই ঢাকার উদ্দেশে রওনা হলাম। ১০ তারিখ ভোর সোয়া পাঁচটার দিকে বাসায় পৌঁছে ফজরের নামাজ পড়ে কিছু খেয়ে একটু ঘুমিয়ে নিলাম। সাড়ে ১১টায় উঠে আবারও বাকি গোছগাছ। বিকেলে এয়ারপোর্ট। সন্ধ্যায় প্লেন ছাড়লো। ১১ তারিখ দুপুরে নিউ ইয়র্ক পৌঁছলাম, প্লেনে আমি তেমন ঘুমাতে পারি না, সেই আমি অনেকটা ঘুম দিয়ে নিজেকে একটু একটু করে স্টেজে ওঠার জন্য প্রস্তুত করতে থাকলাম। প্লেনে গরম পানি আর চা ছিল নিত্যসঙ্গী। ১০ ঘণ্টার ট্রানজিট ছিল দুবাইতে, তবু আসতে তো হবেই। কমিটমেন্ট বলে কথা। আল্লাহকে বললাম, আজকে যেন বরফ না পড়ে, যেন প্লেন ভালোভাবে ল্যান্ড করে, যেন ভালোভাবে গাইতে পারি ইত্যাদি ইত্যাদি। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর কাছে যা যা চাইলাম সব পেলাম। বাসায় ফিরে একটু খেয়ে মেকাপ নিয়ে রওনা হলাম অনুষ্ঠানে। আল্লাহকে ডাকতে ডাকতে পৌঁছলাম নির্দিষ্ট সময়ের ৮ মিনিট আগেই। এটিভি চ্যানেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমি গাইলাম। আমেরিকার নতুন একটি টিভি চ্যানেল এটিভি, খুবই সুন্দর করে অনুষ্ঠানটি করেছে। ধন্যবাদ এটিভি চ্যানেল। ধন্যবাদ আরিফ এত ভালো সাউন্ডের জন্য। আর ভালোবাসা আমার মিউজিশিয়ান ভাইদেরকে। আল্লাহ মহান..’
২০২৫ সালটা শুরু হয়েছে জনপ্রিয় শিল্পী তাহসানের বিয়ের খবরে। মাস পেরোনোর আগেই এবার শোবিজে আরও বিয়ের খবর সামনে এলো। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০২৩‘ শাম্মী ইসলাম নীলা ।
মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-২০২৩ এ বিজয়ীর মুকুট জেতেন তিনি। বর্তমানে ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার, মডেল শাম্মি ইসলাম নীলা। গতকাল (১৩ জানুয়ারি) বিয়ের দারুণ কিছু ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছেন নীলা। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘এটা একেবারেই সহজ ছিলো না। তারপরও আমরা এটাকে সম্ভব করেছি, আমরা এখন বিবাহিত।’
তবে তিনি তবে, কাকে বিয়ে করেছেন তার তার কিছুই জানাননি। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য নীলার সঙ্গে বার্তা২৪.কম থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
তবে নীলা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত আপডেট দিচ্ছেন। এই যেমন, তার বিয়ের ছবি প্রকাশ করেছে মিস ওয়ার্ল্ড-এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ। বিষয়টি নিয়ে নীলা বেশ গর্ব অনুভব করছেন।
নীলা বিয়ে করলেও এখনও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাকে সর্বশেষ ১২ জানুয়ারিতেও ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে ব্র্যান্ডের প্রমোশন করতে দেখা গেছে।
নীলার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। তিনি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএতে পড়াশোনা করছেন। মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-২০২৩ এর মুকুট জেতা শাম্মি ইসলাম নীলা মিস ওয়ার্ল্ডের ৭১তম আসরে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন। তবে নীলা এখনো শোবিজের মেইনস্ট্রিম কোন কাজ যেমন নাটক, চলচ্চিত্র কিংবা ওটিটিতে কাজ করেননি। তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতেই নিজের ক্যারিয়ার সীমাবদ্ধ রেখেছেন।