বর্তমান সময়ের আলোচিত ঘটনা ‘আয়নাঘর’ নিয়ে সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন নির্মাতা জয় সরকার। এ সিনেমার ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু না বললেও নির্মাতা বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়েছিলেন নায়িকা হিসেবে ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কেয়া পায়েলকে নেবেন।
কারণ তার প্রথম সিনেমা ‘ইন্দুবালার’ নায়িকা ছিলেন কেয়া পায়েল। ফলে তার সঙ্গে জয়ের বোঝাপড়া বেশ ভালো। এজন্য কেয়া পায়েলকে নিয়েই সিনেমাটি বানাতে চেয়েছিলেন। তবে ‘আয়নাঘর’ সিনেমাটি নিয়ে কেয়া পায়েলের তেমন কোন আগ্রহ নেই সেটা তার কথায় স্পষ্ট।
বিজ্ঞাপন
অভিনেত্রী বলেন, ‘আমিও কয়েকজনের কাছে সিনেমার খবরটি শুনেছি। কিন্তু এ বিষয় নিয়ে আমার সঙ্গে পরিচালক বা প্রযোজক কারও আলোচনা হয়নি। আমি এখন নাটক নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছি। আগামী কয়েক মাসের শিডিউল দেওয়া আছে নির্মাতাদের। কদিন পরেই নাটকের শুটিং করতে দেশের বাইরে যাওয়ার কথা রয়েছে।’
এই অভিনেত্রী আরও জানান, আগামী মাসে তিনটি নাটকের শুটিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন তিনি। সব কটি নাটক পরিচালনা করবেন ওসমান মিরাজ, সহশিল্পী ফারহান আহমেদ জোভান। দেশে ফেরার পরেই আরও কয়েকটি নাটকের শুটিং করার জন্য শিডিউল দেওয়া আছে পায়েলের।
বিজ্ঞাপন
‘আয়নাঘর’ সিনেমার গল্প ও চিত্রনাট্য পছন্দ হলে অভিনয় করবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পায়েলের উত্তর, ‘এই মুহূর্তে সিনেমা নিয়ে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। ছোট পর্দাতেই ভালো সময় পার করছি।’
বিষয়টি নিয়ে পরে নির্মাতা জয় বলেন, ‘এখনো কেয়া পায়েলের সঙ্গে কথা হয়নি। সিনেমার চিত্রনাট্য নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি। আয়নাঘরের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে গল্প সাজাতে চাই। আমি চাই, সত্যটা উঠে আসুক। শিগগির অভিনেত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসব শিডিউল নিতে।’
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশজুড়ে আলোচনায় এসেছে ‘আয়নাঘর’। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাউন্টার-টেরোরিজম ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো দ্বারা পরিচালিত এটি একটি গোপন আটক কেন্দ্র ছিল। সেখানে বন্দিদের ওপর চালানো হতো অমানবিক অত্যাচার। সম্প্রতি সেখান থেকে মুক্তি পাওয়া মানুষগুলোর গল্প শুনে পুরো দেশ প্রায় স্তম্ভিত হয়ে আছেন।
মন্ত্রণালয়ের দৈনন্দিন কাজের বাইরে সাতটি অগ্রাধিকার কার্যক্রম ঘোষণা করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। গতকাল (২১ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তালিকা তুলে ধরেন তিনি।
সাতটি অগ্রাধিকার কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ‘রিমেম্বারিং মনসুন রেভল্যুশন’, ‘তারুণ্যের উৎসব’, ‘দেশব্যাপী প্রতিভা সন্ধান’, ‘ডিজিটাল ওরাল হিস্ট্রি প্রকল্প’, ‘বাংলা একাডেমি সৃজনশীল লেখালেখি কর্মশালা ও গবেষণা প্রকল্প’, ‘জাতীয় জাদুঘরে আধুনিক ভিডিও প্রক্ষেপণ ব্যবস্থা স্থাপন’ এবং ‘শো-ক্রিয়েটর ওয়ার্কশপ’।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাফরিজা শ্যামা প্রথমে সাতটি অগ্রাধিকার কার্যক্রমের বিষয়টি তুলে ধরেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা এবং নবতরঙ্গ সৃষ্টি করবে ‘রিমেম্বারিং মনসুন রেভল্যুশন’। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশের ৮ জন শীর্ষ নির্মাতার মাধ্যমে ৮টি বিভাগে ৮টি ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট তৈরির কর্মশালার আয়োজন করা হবে। কর্মশালার আউটপুট হিসেবে ৮টি মাঝারি দৈর্ঘ্যের ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট তৈরি করা হবে। এ ছাড়া ৮টি নতুন থিয়েটার প্রোডাকশন তৈরি করা হবে। দেশের তরুণদের কাছে জনপ্রিয় শীর্ষস্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে নজরুলের গানের একটি অ্যালবাম তৈরি করা হবে এবং এর প্রকাশনা উপলক্ষে ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে একটি কনসার্ট আয়োজন করা হবে। এই কনসার্টটি সারা দেশে সম্প্রচার করা হবে। তা ছাড়া ফটোগ্রাফি পেইন্টিং ও কার্টুন প্রদর্শনী করা হবে।
রিমেম্বারিং মনসুন রেভল্যুশনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ফারুকী বলেন, ‘এর মাধ্যমে জুলাই–আগস্ট বিপ্লবের গল্প শোনানো হবে। একই সঙ্গে বিগত সরকারের ১৫ বছরের নির্যাতন ও দুর্নীতির গল্প শোনানো হবে। আগামী বছর জানুয়ারি থেকে মাসব্যাপী এ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান তিনি।’
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ‘তারুণ্যের উৎসব’ আয়োজন করবে বাংলাদেশ সরকার, যেখানে দেশজুড়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। দেশব্যাপী প্রতিভা সন্ধান কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশি শিশু, কিশোর-কিশোরী এবং যুবক-যুবতীদের মধ্যে নতুন সাংস্কৃতিক জাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশব্যাপী প্রতিভা সন্ধান কর্মসূচি আয়োজন করবে মন্ত্রণালয়। ডিজিটাল ওরাল হিস্ট্রি প্রকল্পের’ অংশ হিসেবে একটা বৃহৎ ডিজিটাল আর্কাইভিং করা হবে। ‘রিমেম্বারিং মনসুন রেভল্যুশন’–এ যে লাখো মানুষ যুক্ত হয়েছে, তাদের অংশগ্রহণের ইতিহাস ভিডিও ক্যামেরায় রেকর্ড করে সংগ্রহ করা হবে। এই ভিডিওগুলো প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে ‘
ডিজিটাল ওরাল হিস্ট্রির বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, ‘দেশের সব মানুষের কাছে আহ্বান জানানো হবে জুলাই অভ্যুত্থানে যারা প্রিয়জন হারিয়েছেন, তারা যেন নিজের মুঠোফোনে সেসব ঘটনার বয়ান দেন। কীভাবে গুলি করেছে, কীভাবে মারা গেছেন, তার বেদনার গল্পটা যেন বলেন। যারা আহত হয়েছেন, তারাও নিজেদের কথা বলবেন। কারা তাদের আক্রমণ করেছে, তারা কীভাবে আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন এসব বিষয় ভিডিও করে পাঠাবে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এসব রেকর্ডিং আর্কাইভে সংরক্ষণ করবে। ফারুকী বলেন, অপরাধী তার অপরাধ মুছতে চায়। বিগত সরকারের সেসব অপরাধ মুছতে দেওয়া হবে না।’
সংবাদ সম্মেলেন জানানো হয়, বাংলা একাডেমি প্রতিশ্রুতিশীল লেখকদের জন্য সৃজনশীল লেখালেখি কর্মশালা এবং বই প্রকাশ করবে। পাশাপাশি ৫০টি গবেষণা প্রবন্ধ ও ১০টি এক বছর মেয়াদি গবেষণাবৃত্তি প্রদান করবে। জাতীয় জাদুঘরের অডিটরিয়ামে প্রক্ষেপণ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ করা হবে, যাতে স্টেজ পারফরম্যান্সসহ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র/ডকুমেন্টরি ও অন্যান্য ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট বছরব্যাপী প্রদর্শন করা যায়। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্মের অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ-তরুণীদের জন্য শো-ক্রিয়েটর কর্মশালা আয়োজন করা হবে।
ফারুকী বলেন, ‘বিপ্লবের পর এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে কালচারাল ব্রিজ তৈরি করা। আমরা বলতে চাই, এই বাংলাদেশটা সবার। এখানে ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে আলাদা করা যাবে না। আমাদের সাংস্কৃতিক পলিসির মূলে থাকবে বহুজন, বহু ধর্ম, বহু ভাষা, সবার সংস্কৃতি এবং সবার সংস্কৃতির বিকাশ ঘটানোর জন্য আমরা কাজ করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এতকাল সংস্কৃতিকে সংকীর্ণ জায়গা থেকে দেখেছি। আমরা দেখেছি, সংস্কৃতি বলতে শুধু গান–বাজনা–নাচ–সিনেমা। তবে এসব সংস্কৃতি পরিবর্তনের চেষ্টা করেছিল কিছু মানুষ। বর্তমান সরকার এসব সংকীর্ণ জায়গা থেকে উঠে আসবে।’
ফারুকী বলেন, ‘সাতটি কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে নতুন প্রাণের স্পন্দন হবে। জুলাই–আগস্টের অভ্যুত্থানের কথা তুলে ধরে ফারুকী বলেন, আওয়ামী লীগ এখনো অভ্যুত্থান অস্বীকার করছে। তারা এখনো ক্ষমা চায়নি। তাদের পাল্টা জবাব দিতে হবে। সাতটি কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক উন্মাদনা তৈরি হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) আতাউর রহমান, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম, নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলীসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধান এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক বিজয় দেবেরাকোন্ডার ব্যক্তিগত জীবন ঘিরে রয়েছে নানা গুঞ্জন। বিশেষ করে ‘পুষ্পা’খ্যাত অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানার সঙ্গে সম্পর্কের খবর দীর্ঘদিন ধরেই শিরোনামে উঠে আসছে। যদিও দুজনের কেউই এখন পর্যন্ত নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি। এদিকে, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিজয় দেবেরাকোন্ডা তার ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন বিষয়ে মুখ খুলেছেন।
যেখানে বিজয় তার সম্পর্কের বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেননি, তবে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, এখন তিনি প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন। অভিনেতা বলেন, ‘এখন আমি একা নই। আমার জীবনে বিশেষ কেউ আছে, তবে আমি তার নাম বলতে চাই না।’ এরপরই তার ভক্তরা খুশিতে আত্মহারা, কারণ তারা অনেক দিন ধরে রাশমিকার সঙ্গে বিজয়ের সম্পর্কের গুঞ্জন শুনে আসছেন।
সেই সাক্ষাৎকারে প্রেমের বিষয়ে বিজয় বলেন, ‘নিঃশর্ত ভালোবাসা একটি রোমান্টিক অনুভূতি, কিন্তু আমার ক্ষেত্রে, ভালোবাসা কখনোই নিঃশর্ত নয়। ভালোবাসা আসে কিছু প্রত্যাশা নিয়ে। তবে আমি জানি, ভালোবাসা অনুভব করার মুহূর্তে কী হয়, সেটা আমি অনুভব করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, আমি এখনও জীবনে এমন কাউকে পাইনি যিনি তার সঙ্গী থেকে কোনো প্রত্যাশা রাখেন না। ভালোবাসা হতে পারে অনেক বড় অনুভূতি, তবে এর মধ্যে কিছুটা প্রত্যাশা তো থাকতে হবেই।’
এ ছাড়াও তিনি বিয়ে নিয়ে খোলাখুলি বলেন, ‘আমি মনে করি না যে আমার ক্যারিয়ারের মাঝখানে বিয়ে কোনো প্রভাব ফেলবে। তবে নারীদের জন্য এটি একটু কঠিন হতে পারে, কারণ পেশাগত জীবনের সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনকে সামলানো সহজ নয়।’
এদিকে, বিজয় তার সহশিল্পীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি একাধিকবার সহঅভিনেত্রীদের সঙ্গে ডেট করেছি। তবে আমি ডেটিং করি না। আমি তখনই বাইরে যাই, যখন আমি কাউকে ভালোভাবে চিনি এবং বন্ধুত্বের একটা দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে ওঠে।’
শ্বশুরবাড়িতে জামাই হয়ে বসবাসের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘হাউজ হাজবেন্ড’। একটি সাধারণ গ্রামের পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধনকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে নাটকটি, যেখানে হাস্যরসের মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক বার্তা ফুটে উঠেছে।
কাজী রিটনের প্রযোজনায় নাটকটি পরিচালনা করছেন ফরিদুল হাসান। প্রযোজক জানান, এক ভিন্নধর্মী গ্রামের গল্পে নাটকটি টিভি দর্শকদের জন্য নতুনত্ব উপস্থাপন করছে।
কাজী রিটন বলেন, ‘এই নাটকে এমন একটি গ্রামের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে ঘরে ঘরে রয়েছে ঘরজামাই। অর্থাৎ সেই গ্রামের মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হয় ঘরজামাই থাকার শর্তে। এমনই বিস্ময়কর ধারণার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে এই পারিবারিক ও কমেডি ঘরানার দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটক। আশা করি দর্শকদের কাছে ভালো লাগবে।’
মাহফুজ খানের গল্প আর নাজ নাজমার চিত্রনাট্যে নাটকটিতে অভিনয় করেছেন সালাউদ্দিন লাভলু, নাদিয়া আহমেদ, মৌসুমী হামিদ এবং আ খ ম হাসান প্রমুখ।
‘হাউজ হাজবেন্ড’ নাটকটি ১০ নভেম্বর থেকে প্রতি রবিবার ও সোমবার রাত ৮টায় এটিএন বাংলায় প্রচারিত হচ্ছে।
ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়ায় রাজধানীর নানা এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছেন চালকরা। এতে করে রাজধানী জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে মহাখালীতে রেললাইন অবরোধ করায় বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল। এ অবস্থায় তাদের সরিয়ে দিতে রাস্তায় নেমেছে সেনাবাহিনী।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আগারগাঁও, কল্যাণপুর, গাবতলী, টেকনিক্যাল, মোহাম্মদপুর, পল্লবী, ডেমরা এলাকায় অটোরিকশা চালকরা সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। মহাখালীতে ট্রেন লাইনে রিকশা রেখে অবরোধ কর্মসূচি পালন করায় রাজধানীর সঙ্গে সারা দেশে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে ব্যাটারি চালিত রিকশার উৎপত্তির গোঁড়াতে হাত দিয়েছেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা নিলয় আলমগীর। তিনি বলেন, `অটো রিকশা ইমেপোর্ট করে দেশে এনে আবার বন্ধ করা হচ্ছে।ইমপোর্ট করার পারমিশন দেয় কে আর বন্ধ করার পারমিশন দেয় কে? অটো রিকশাকে নিয়ে কেনো এই ছিনিমিনি খেলা!'
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিলয় আলমগীরের দেওয়া এই পোস্টের নিচে একজন লিখেছেন, বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরি না করে অটো রিকশা বন্ধ করা কি উচিত? এতে করে লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে যাবে। হাজার হাজার পরিবারের আয়ের রাস্তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। আগে বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরি করেন।
আরেকজন লিখেছেন, ঠিক বলছেন তাদের সাথে এই রকমের করা ঠিক নয় ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এতো সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
আগে, গত মঙ্গলবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুলও জারি করেন আদালত।