ভাইকে পেলেও বোনের খোঁজ পাননি পুতুল
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয়েছে ফেনীর বাসিন্দারা। গেল বৃহস্পতিবার থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে ফেনীবাসী। একই সঙ্গে মোবাইল নেটওয়ার্কও নেই। এতে পরিবার-পরিজন কোথায় আছেন, কেমন আছেন, সেই খোঁজখবরটুকুও নিতে পারছেন না অনেকে। তেমনি একজন ‘ক্লোজআপ ওয়ান’খ্যাত শ্রোতাপ্রিয় শিল্পী সাজিয়া সুলতানা পুতুল।
গত বৃহস্পতিবার থেকে ফেনীতে থাকা তার ভাই ও বোনের সাথে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না বলে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) জানান পুতুল। ফেনী শহরের উকিলপাড়ায় বাড়ি পুতুলদের। সেখানে দোতলা পর্যন্ত পানি উঠে গেছে বলে জানান এই শিল্পী। এই বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকতেন পুতুলের ভাই। পাশে বড় বোনও থাকতেন। বৃহস্পতিবার থেকে ভাই-বোনের খোঁজ পাচ্ছিলেন না তিনি।
তবে এখন ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছেন এই শিল্পী। শুক্রবার রাতেই তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার ভাইয়ের পরিবারের খোঁজ পেয়েছি। তিন তলায় পানি না ওঠায় নিরাপদে আছে তারা। বোনের পরিবারের খোঁজ চলছে। কোনো একটা মসজিদে আশ্রয় নিয়েছে বলে জেনেছিলাম। কোন মসজিদ তা জানি না। সেখানেই আছে নাকি অন্যত্র গেছে বুঝতে পারছি না।’
গতকাল বিকেলে পুতুল আবারও জানান, ‘ফেনীতে আমার বোনের পরিবারের আপডেট জানতে চেয়ে অনেকে ফোন করছেন, মেসেজ করছেন। জ্বি না, এখনো কোনো খোঁজ পাইনি। তবে যেহেতু ফেনীতে পানি কমতে শুরু করেছে তাই আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ওরা যদি বাড়ি ফিরতে পারে নিশ্চয়ই একটা খোঁজ আমরা পাবো।’
ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতি বৃষ্টিতে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যা সবচেয়ে ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে ফেনীতে। এছাড়া চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী, সিলেট, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, খাগড়াছড়ি এবং কক্সবাজার জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাত ও প্রবল স্রোতের কারণে বন্যার পানিতে ডুবে, পাহাড় ধসে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গত ১৯ আগস্ট থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৩ জন মারা গেছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও চার জনের বেশি।