যৌন হেনস্তা নিয়ে বিস্ফোরক শ্রীলেখা ও ঋতাভরী

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী ও শ্রীলেখা মিত্র

অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী ও শ্রীলেখা মিত্র

দক্ষিণী পরিচালক রঞ্জিতের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। এ খবর নিয়ে কলকাতায় দুদিন ধরেই বেশ চর্চা চলছে। এবার সেই নির্মাতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেন এই অভিনেত্রী।

পিটিআই জানিয়েছে, কোচি সিটি পুলিশ কমিশনারকে লিখিত অভিযোগ ই-মেইলে পাঠিয়েছেন শ্রীলেখা। তাতে জানানো হয়েছে, ২০০৯ সালে ‘পালেরি মাণিক্যম: ওরু পাথিরকোলাপথকথিন্তে কথা’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য শ্রীলেখাকে আমন্ত্রণ জানান পরিচালক রঞ্জিত। তার ডাকে কোচিতে গিয়েছিলেন শ্রীলেখা। এর আগে সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি এক চিত্রগ্রাহকের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলছিলাম। হঠাৎ রঞ্জিত আমাকে ডেকে নিয়ে যান তার শোয়ার ঘরের দিকে, সিনেমার গল্প বলার জন্য। আমি ভাবলাম, ভিড় এড়ানোর জন্য হয়তো তিনি ডাকছেন।’

বিজ্ঞাপন

শ্রীলেখা আরো বলেন, ঘরটি বেশ অন্ধকার ছিল। আমি ঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে এক সিনেমাটোগ্রাফারের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলাম। হঠাৎ আমার হাতের চুড়িগুলো নিয়ে খেলতে লাগলেন পরিচালক। আমরা নারীরা পুরুষের স্পর্শের অর্থ বুঝি। আমার অস্বস্তি হচ্ছিল, কারণ আমার ওর সঙ্গে আমার তেমন বন্ধুত্বও ছিল না। কিন্তু আমি নিশ্চিত হতে পারছিলাম না। তার পরে তিনি আমার ঘাড়ে ও চুলে স্পর্শ করতে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে আমি সেই ঘর থেকে বেরিয়ে যাই।’

শ্রীলেখা মিত্র ও দক্ষিণী পরিচালক রঞ্জিত

কেরালা চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমির প্রধান ছিলেন রঞ্জিত। শ্রীলেখা মিত্র অভিযোগ তোলার পর এ দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। তবে শ্রীলেখার আনীত সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৫১ বছর বয়সী এই নির্মাতা।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, কলকাতার আরেক স্বনামধন্য নায়িকা ঋতাভরী চক্রবর্তী জানালেন নিজের ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের খবর। অভিনেত্রী সোজা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ করলেন। বিচার দাবি করলেন। দিয়েছেন সোশ্যাল হ্যান্ডেলে পোস্ট। ঋতাভরী লিখছেন, ‘অনেক হিরো, প্রযোজক, পরিচালক তারা এহেন অপরাধ করেও প্রতিনিয়ত স্বাধীনভাবে কাজ করে চলেছেন। তাদের কাজকর্মের জন্য কোনও শাস্তি তারা পায়নি। এমনকি, আমি তো দেখলাম যে তারা প্রতিবাদ মিছিলে মোমবাতি নিয়েও হাঁটছে! হাবভাব এমন, আমার তো মনে হয় না তারা মেয়েদের একটা মাংসের দলা ছাড়া আর কিছু ভাবে! এই মুখোশধারী রাক্ষসগুলোকে চিহ্নিত করা উচিত। আমি আমার সব কাছের অভিনেত্রীদের বলছি, তোমরা এগিয়ে আসো। এদের মুখোশ টেনে খুলে ফেলো।’

ঋতাভরী চক্রবর্তী

অভিনেত্রী থামলেন না। বরং সোজাসুজি তার পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিচার দাবি করলেন। তার কথায়, ‘দিদি আমরা আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে এরকম একটি তদন্ত এবং বিচার চাই। না, আমরা আরেকটা ধর্ষণ চাই না, তার আগে এমন কিছু করতে চাই, যাতে একটা বিহিত হয়।’

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস