ইন্ডিয়ান আইডলে অডিশনের আগেই বাদ, তবুও জাহিদ অন্তুকে নিয়ে খবরের ছড়াছড়ি
একটি ভিনদেশি জাতীয় রিয়েলিটি শোয়ের আঞ্চলিক অডিশনেই টিকলেন না, তার আগেই নিজ দেশের জাতীয় টিভিতে পূর্ণদৈর্ঘ্য সাক্ষাৎকার থেকে শুরু করে প্রায় সব গণমাধ্যমে নিউজ করালেন, আর সাংবাদিকরা সত্যতা যাচাই না করেই সেই সংবাদ প্রকাশ করলেন!
এই ঘটনা আর কোথাও না, ঘটেছে বাংলাদেশেই। তরুণ শিল্পী জাহিদ অন্তু এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। গত ক’দিন ধরেই গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনায় আসে জাহিদ অন্তু প্রথম বাংলাদেশি যিনি ভারতের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ইন্ডিয়ান আইডলে টিকেছেন।
অথচ আজ প্রকাশ পেলো তিনি ইন্ডিয়ান আইডলে টেকা তো দূরের কথা, প্রাথমিক অডিশনের জন্যও নির্বাচিত হননি। তিনি কেবলমাত্র আঞ্চলিক অডিশনে (কলকাতায়) অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে টিকলে তবেই তাকে মুম্বাইতে প্রাথমিক অডিশনের জন্য ডাকা হতো। সেই অডিশন পার করার পর গ্রাণ্ড অডিশনে টিকলে তবেই তাকে বলা যেতো ইন্ডিয়ান আইডলের প্রতিযোগী। সুতরাং তাকে নিয়ে এভাবে সংবাদ হওয়ার কিছু নেই।
অথচ নিজেকে লাইমলাইটে আনতে জাহিদ অন্তু সময় টিভিতে লম্বা সাক্ষাৎকার দিয়েছেন এই বিষয়ে। এছাড়া যমুনা টিভির সংবাদ কার্ড নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ারও করেছেন। অবশ্য তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘কল করলে যাওয়া হবে অন্যথা নয়। এতো আশা রাখবেন না।’
অথচ তিনি যদি নিজ থেকে না জানান তবে কলকাতায় দেওয়া একটি আঞ্চলিক অডিশনের খবর বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের জানার কথা না।
ফাইনাল অডিশনের জন্য না টেকার পর জাহিদ অন্তুর দাবি, প্রথম দুই রাউন্ডের চেয়ে শেষ রাউন্ডে পারফর্মেন্স অনেক বেটার ছিলো। তিনি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, তৃতীয় রাউন্ড অতিক্রমের বিষয়ে। কিন্তু তা আর হলো না। ১৮ আগস্ট বাদ পড়লেও সেই খবর পেয়েছেন ১ সেপ্টেম্বর!
প্রসঙ্গত, জাহিদ অন্তু আরটিভির ইয়ং স্টার রিয়েলিটি শোতে বিজয়ী হওয়ার মাধ্যমে শোবিজে পা রাখেন। যদিও সেই শোয়ের বিচারক প্যানেল নিয়েও সম্প্রতি সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন তোলেন তিনি।